আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই?
আশা করি সবাই ভালোই আছেন।
…………………….…………..…….…………………. …………..…..…..…………………….…………..…….…………………….………..…..…..
প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নতুন একটি পোস্ট
নিয়ে হাঁজির হয়েছি। আমি রেগুলার ট্রিকবিডি তে পোস্ট
পাবলিশ করি, এবং ভবিষ্যতেও করবো। কিন্তু একটা কথা হলো
আপনার যদি পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে লাইক দিয়ে পাশে
থাকবেন অথবা কোনো মন্তব্য বা পরমর্শের জন্য কমেন করে
জানাতে পাবেন। ……….………..…………….……………….……………… …….……….…………………………..………………………………………….……. …………………………………..………………..………………….……….…..
নিয়ে হাঁজির হয়েছি। আমি রেগুলার ট্রিকবিডি তে পোস্ট
পাবলিশ করি, এবং ভবিষ্যতেও করবো। কিন্তু একটা কথা হলো
আপনার যদি পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে লাইক দিয়ে পাশে
থাকবেন অথবা কোনো মন্তব্য বা পরমর্শের জন্য কমেন করে
জানাতে পাবেন। ……….………..…………….……………….……………… …….……….…………………………..………………………………………….……. …………………………………..………………..………………….……….…..
যাই হোক আজকের পোস্টের মূল বিষয় হলোঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
তো চলুন বিস্তারিত পোস্টে চলে
যায়।
বিস্তারিত পোস্টঃ
যায়।
বিস্তারিত পোস্টঃ
বিস্তারিত পোস্টঃ
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering)
পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানীরা জীবন্ত প্রাণির ডি এন এ (DNA) পরিবর্তন করার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করে তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। আবার অন্যভাবে বলা যায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো কোনো প্রাণীতে ম্যানুয়েললি ডিএনএ (DNA) যোগ করার প্রক্রিয়া।
[“Genetic Enginering is the process of manually adding new DNA to an organism”।]
কোনো জীবের জীবন, বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঐ জীবের DNA এর উপর নির্ভর করে। DNA এর যে অংশ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী তাকে জিন (Genes) বলে। আণবিক বিজ্ঞানীগণ অনেক এনজাইম আবিষ্কার করেছেন যা DNA এর গঠন পরিবর্তন করতে পারে। কিছু কিছু এনজাইম আছে যার সাহায্যে DNA এর কিছু অংশ (strands) বাদ দিতে অথবা যোগ করতে পারে। এ ধরনের এনজাইম ব্যবহার করে।
বিজ্ঞানীরা DNA থেকে নির্দিষ্ট জিন বাদ দিয়ে কাস্টমাইজ DNA তৈরি করতে শিখেছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো সহজ হবে- টমেটো ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না। অন্যদিকে মাছ ঠাণ্ডা পানিতে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করবে কোনো জিনের জন্য মাছ ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে, সেই জিন টমেটোতে প্রতিস্থাপন করলে টমেটো ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারবে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে আমরা নিম্নলিখিতভাবে উপকার পেয়ে থাকি
- ১। ইনসুলিন উৎপাদন হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বড় সুফল। ইনসুলিন ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়।
- ২। Interferon হলো মানব কোষ থেকে নিঃসৃত এক ধরনের রস (agent) যা ভাইরাস নাশক (Anti viral) হিসেবে কাজ করে। আজকাল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরি Interferon ব্যবহৃত হচ্ছে। ৩। জিন থেরাপি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুফল। জিন থেরাপির মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা এবং
- ত্রুটিপূর্ণ মানুষের জিন পরিবর্তন করে সুস্থ করে তোলা যায়।
- ৪। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন অনেক sophisticated ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন করা হয়। এ নতুন ঔষধ নির্দিষ্ট জিনের ক্লোনিং দ্বারা তৈরি। ৫। হিউম্যান গ্রোথ হরমোন এখন শিল্পজাত ব্যাকটেরিয়া থেকে নিষ্কাশিত হতে পারে। এই হরমোন বামনত্ব (বেঁটে) রোধে ব্যবহৃত হয়। জেনেটিক্যাললি উৎপাদিত হিউম্যান গ্রোথ হরমোন পোড়া ত্বক, ফেটে যাওয়া হাঁড়, এবং খ্যাদ্য নালির আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ৬। জেনেটিক্যাললি পরিবর্তিত (modified) ফসল উৎপাদনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন- সয়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তেল বীজ ইত্যাদি। এগুলো পোকা-মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদ নাশক দ্বারা আক্রান্ত হলেও ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরোধী। তাছাড়া জেনেটিক্যাললি পরিবর্তিত ফসল অধিক খরা ও ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে।
- ৭। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে জৈব কারখানায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও এনজাইম উৎপাদন করা যায়। এগুলো প্রচুর সংখ্যায় Tryptophan এর মতো টিকা ও সম্পূরক তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া জ্বালানি তৈরিতেও এগুলো ব্যবহৃত হয়।
- ৮। গর্ভবতী মহিলাদের Fetuses দেখে সন্তানের জেনেটিক ত্রুটিসমূহ নির্ণয় করা যায়। পিতা-মাতা ও ডাক্তার মিলে শিশুর জন্মের পূর্বেই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
……..….………….…….…………………….……… …………..…….……………….…………………..…… .………………..…...……….………….…………………. ……………..…….…………………….………..…..…..
তো আজ এই পর্যন্তই। আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি। এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এই পোস্ট টি সম্পর্কে আপনাদের আরো কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন অথবা ট্রিকবিডির কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। এবং পোস্টটি তে লাইক দিতে ভুলবেন না। সবার সুসাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই পোস্ট টি শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।