Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক
No Mercy
অসাধারণ এক কোরিয়ান থ্রিলার। একজন ফরেনসিক ডাক্তার হয়ে অপরাধী কে সেটা জানার পরও অপরাধীকে বাচাঁনোর চেষ্টা, কারন অপরাধীর কাছে তার মেয়ে আটক। প্রতিটা সেকেন্ড টানটান উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত কি হয়? সত্যিই কি অপরাধী বেচেঁ যায়? তার মেয়েকে কি রক্ষা করতে পারে? মুভি দেখলে উত্তর পেয়ে যাবেন।
Mirage
যদি এমনটা হয় যে ২০ বছর আগে গিয়ে দেখে আসলেন আপনার জীবনে কি হবে এবং আবার বর্তমানে ফিরে এসে সেই অনুযায়ী জীবনযাপন করলেন।কতো ভালোই না হতো।শেষ পর্যন্ত না দেখলে বুঝতেই পারবেন না যে কি হচ্ছে এই স্প্যানিশ মিস্ট্রি ড্রামা মুভিটিতে। আপনাকে এক মরীচিকার মধ্যে ফেলে দিবে।
Psycho (1960)
এক নারী তার এমপ্লয়ারের এক ক্লায়েন্টের ৪০ হাজার ডলার মেরে দিয়ে ভেগে যায়৷ যাওয়ার পথে অতিরিক্ত বৃষ্টি থাকায় হাইওয়ে থেকে অদূরেই এক হোটেলে থামে৷ কিন্তু সেই হোটেলেই ঘটে যায় তার জীবনাবসান! কেন? তার ডলারের জন্য? নাকি নারীঘটিত কোনো ব্যাপার! প্রাইভেট ডিটেকটিভ আরবোগ্যাস্ট তদন্তে এসে উদঘাটন করেন রহস্য তার চেয়েও ঘোলাটে।
Anjaam Pathira
আনোয়ার হুসেইন একজন ক্রিমিনোলজিস্ট। এক এক করে পাচঁজন পুলিশ কর্মকর্তার খুন হয়।তার হত্যার ধরনও খুবই ভয়ঙ্কর।আনোয়ারও জড়িয়ে পড়ে তদন্তে। । কি আক্রোশ তার পুলিশের উপর? কেনোই বা আক্রোশ? জানতে হলে দেখতে হবে এই মালায়লাম সাইকো থ্রিলার মুভিটি।
Forensic
সিরিয়াল কিলারের গল্প। একের পর এক খুন। কখনো মনে হবে আসল কিলার পেয়ে গেছে কিন্তু তারপরও টুইস্ট। দেখার মতো একটা মালায়লাম মুভি। সময় ভালোই কাটবে।
Thadam
অরুন বিজয় অভিনীত এই মুভিটি অন্য ধাচের থ্রিলার মুভি।সাউথের অধিকাংশ মুভিতে দেখা যায় যে, আসল খুনি কে ধরতে হবে। কিন্তু এখানে একই চেহারার ২ জন এর মাঝে একজন খুনি, যে পুলিশের চোখের সামনেই আছে, কিন্তু তাকে সনাক্ত করতে পারতেছে না শুধু প্রমানের অভাবে।
Mumbai Police
মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রির আরেকটা সেরা এবং আমার অন্যতম প্রিয় মুভি মুম্বাই পুলিশ। সার্বক্ষনিক স্ক্রিনের দিকে চোখ রাখতে বাধ্য করবে মুভিটা।মুভিটার পুলিশের এক সদস্য এর খুন কে নিয়ে।খুন টির তদন্ত করতে গিয়ে কিছু অজানা সত্য সামনে আসবে যা আপনাকে চমকে দিতে পারে।
Ratsasan:
এমন কোনো সাউথা লাভার নেই যে এখনো এই মুভি দেখেন নাই। ভিষ্ণু ভিশাল ও আমালা পল অভিনীত এই মুভিটি দেখেন নাই এমন পাবলিক পাওয়া যাবেনা।একটা থ্রিলার মুভি হওয়ার জন্য প্রতিটা এলিমেন্ট রইছে এই মুভিতে। এই মুভি শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগেও বলা সম্ভব না পরবর্তীতে কি হচ্ছে।
Privet Eye:
একজন সিরিয়াল কিলার ৩ টা খুন করে, কিন্তু একটি লাশকে একজন নতুন ডাক্তার ভুল করে নিয়ে আসে পোস্টমর্টেম করার জন্য । তার এই বোকামীর জন্য সে ফেসে যায়, যার ফলে সে পুলিশকে সেটা জানাতে পারেনা, তাই পুলিশের হাত থেকে বাচতে সে একজন আনপ্রোফেশনাল ডিটেকটিভকে (মূল চরিত্র) খুনিকে ধরার জন্য ভাড়া করে। এরপরে কি ঘটবে? খুনি কে? জানার জন্য দেখে ফেলুন কোরিয়ান এই মুভিটা।
Aswathama
শহরে একের পর এক মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়ে যাচ্ছে,নায়কের বোনও এর শিকার যার কিনা এন্গেজমেন্টও হয়ে গেছে। কে বা কারা এবং কিসের মাধ্যমে এইগুলা হচ্ছে তা বের করতে পাগল পারা আমাদের মুভির হিরো। থ্রিলার যেহেতু শেষের দিকে টুইস্ট অপেক্ষা করছে…..
বিঃদ্রঃ-জিশু সেনগুপ্তের অভিনয় জাস্ট ওয়াও ছিলো।
.
Anjaam Pathira
প্লটঃ-শহরে একের পর এক পুলিশ খুন হচ্ছে এবং খুন করার প্যাটার্নও সেইম।
শেষ পর্যন্ত খুনিকে ধরতে পারে কিনা তার জন্য দেখতে হবে মুভিটি। সময় বৃথা যাবেনা এটা বলতে পারি।
বিঃদ্রঃ-যারা রাতসান দেখে ফেলছেন,
তারা আবারও এটার স্বাদ পাবেন।
.
North 24 Kaatham
মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রির আরেক সৃষ্টি এবং সাথে ফাহাদ ফাসিল। বেশী আহামরি কিছুনাই তবে সাধারনের মধ্যে অসাধারণ কিছু পেতে পারেন।
.
World Famous Lover
যারা নিয়মিত সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখেন তাদের বিজয় দোবারাকোন্ডার ব্যাপারে বেশী কিছু বলা লাগবেনা। আর্জুন রেড্ডি দেখে নাই এমন মুভিখোরও এখন খুব কমই আছে।
প্লটঃ-মুভির হিরো লেখক হতে চায় এবং একবছর সময় চায় হিরোইনের কাছে।যথারীতি একবছর যাওয়ার পরও হিরো কিছুই করতে পারেনাই।হিরোইন চলে যায় ব্রেকআপ করে,হিরোইনকে ফিরিয়ে আনার জন্য হিরো কি করে তাই দেখতে পাবেন মুভিতে।যাইহোক গল্পের ভিতর গল্প,তার ভিতর গল্প।
.
Sudani From Nigeria
সৌবিন সাহির একজন ফুটবল প্রেমি সেই সাথে এলাকার একটা ফুটবল টিমের ম্যানেজারও সে। হঠাৎই তার টিমের একজন নাইজেরিয়ান খেলোয়ার ইন্জুরিতে পরে,একদিন নাইজেরিয়ানের দাদী মারা গেলে সে দেশে যাওয়ার বায়না করে কিন্তু তার অরিজিনাল পাসপোর্টই নাই।
সে কি পারবে তার দেশে ফিরতে?
অসাধারণ একটা মুভি,দেখতে পারেন।
Golden Slumber:- প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হঠাৎ দিনের আলোতে সবার সামনে খুন করে দেয় আর তাকে খুন করার অভিযোগ করা হয় মেল লীড’কে এখন পুরো দেশ ও পুলিশদের সামনাসামনি করে নিজেকে নির্দোষ করার অপ্রাণ এক লড়ায় দেখতে চাইলে মুভিটা দেখতে পারেন।
Cold Eye:- মানে শীতল চোখঁ শহরে একের পর এক চুরি হচ্ছে আর স্পেশাল ফোর্স গোয়েন্দারা কিছুই ক্লু পাচ্ছে না এরমাঝে আবির্ভাব ফিমেল লীডের যে তার ঠান্ডা মস্তিষ্কে কেস সমাধানের চেষ্টা করে এরপর কি হবে তা মুভিতে দেখতে পাবেন।
Churuli (চক্র):-কেরলার প্রত্যন্ত বিচ্ছিন্ন কুয়াশাচ্ছন্ন গাছ গাছালী ঘেরা রহস্যময় চক্রাকার গ্রাম।যারা টাইপ লুপ,থ্রিলার,রহস্যঘেরা মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য এই মুভিটা।
Night In Paradise:- কখনো হিমশীতল লোহমর্ষক ক্লাইম্যাক্স দেখেছেন?
যেইটা দেখার সময় আপনার শীরা উপশীরা সমস্ত শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে সাথে বিজিএম গায়ের লোম শিউরে যাবে একরাশ বিষন্নতার শুন্যতা দেখে আপনার মন আতকে উঠবে ইন্ডিং দেখে আপনাকে ভাবাবে মুভি শেষ করে বলে উঠবেন হ্যা এইটা অন্যতম সেরা মুভি যার কোন তুলনা হয়না।
Love 911:-একদম পিউর রোমান্টিক সিনেমা যাদের এই জনরা পছন্দ তারা দেখতে পারেন।একটি ভুলের কারনে ফিমেল লিড তার ডাক্তারের সার্টিফিকেট হারাতে বসে কিন্তু মেল লিড যদি একটা কেস করে তবে সে তার সার্টিফিকেট ফিরে পাবে ডাক্তারি পেশায় ফিরতে পারবে।এখন ফিমেল লিডের মিশন শুরু হয় অভিযোগ এখন ফিমেল লিডের মিশন শুরু হয় অভিযোগ করানোর জন্য মেল লিডকে কনভেস করানো কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়না তাই তাকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর চিন্তা করে ফিমেল লিড এরপর কি ঘটে যা দেখতে চোখঁ রাখতে হবে।
Maanaadu:-টাইম লুপ নিয়ে দারুণ সিনেমা।মেল লিড এক বিয়ে থেকে কনে কে ভাগিয়ে বন্ধুর সাথে বিয়ে দিবে আর তাই সে বিদেশ থেকে ভারতে পা রাখে তবে প্লেন থেকেই মেল লিড লুপে পড়ে সে বারবার মন্ত্রীকে খুন করার জন্য ফেঁসে যায় এখন থেকে বাড়াবে কেমন করে তা মুভিতে দেখতে পাবেন।
Extreme Job:-ফিল গুড টাইম মুভি যাকে বলে এটা সেই টাইপের মুভি।এক টিমে কিছু গোয়েন্দা পুলিশ যাদের কোন ভ্যালুই নেই কেউ সম্মান দেয়না কেউ ইজ্জত করেনা এরমাঝেই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের দলকে ধরার একটা সুযোগ আছে আর তারা সবাই বদ্ধ পরিকর যে এটা করে তাদের সম্মান ফিরাবে আর তার জন্য তারা নিজেদের সর্বস্ব উজার করে দিতে প্রস্তুত কিন্তু এটা কি এতই সোজা!মুভিতে প্রচুর ভরপুর কমেডি আছে তাই বোর হওয়ার চান্স নেই।
Bheeshma Parvam:-মাইকেল একজন গ্যাংস্টার যাকে বাইরের সবাই পছন্দ করলেও তার নিজের পরিবারের কিছু সংখ্যক মানুষ অপছন্দ করে তাকে পথ থেকে সরিয়ে তার জায়গা নিতে চায়।
New World:- Goldmoon এর গ্যাংস্টারের চেয়ারম্যান এক রাতে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায় এখন তার গদি নিয়ে সব গ্যাংস্টারের লড়াই যা বেশ থমথমে এক লড়াই।
স্পোর্টস ড্রামা জনরার মুভি প্রায় সবারই ভালো লাগে। আমার দেখা কিছু স্পোর্টস ড্রামা জনরার মুভির কথা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম ।
সালটা ২০০৭ তখন হয়ত স্পোর্টস মুভি করাটা রিতিমত চ্যালেঞ্জিং একটা বেপার ছিল।কারন তখন এই ধরনের মুভি ফ্লপ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশি।কিন্তু শাহরুখ খান রিস্ক নিয়েই আমাদের উপহার দিলেন এই দারুন মুভিটি।কি নেই এই মুভিতে শাহরুখ খানের অসাধারন এক্টিং, ডিরেকশন, স্ক্রিনপ্লে সবকিছুই যেন পার্ফেক্ট ছিল।এই মুভিটা প্রায় অনেকবারই দেখেছি।যতবার দেখি তত বার ই ভাল লাগে।
Dangal
অনেক স্পোর্টস মুভি আসবে যাবে কিন্তু এই মুভিটি বলিউডে একটা আলাদা জায়গা করে থাকবে।এই মুভিতে আমির খান এর এক্টিং এবং ডেডিকেশন সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।কখনো বা ৪ জনের বাবা কখনো বা রেসলিং বয়।আর এর জন্য মোটা হওয়া আবার বডি বানানো এটা মনে হয় শুধু আমির খান এর ধারাই সম্ভব।
Sultan
বাজরাঙ্গি ভাইজানের পরে সালমান খানের অন্য তম সেরা কাজ এই মুভিটি।এই মুভিতে সালমানের ডেডিকেশন এর তারিফ অবস্যই করতে হবে।এই মুভিতে সালমান খান কে কখনো ৩০ বছরের যুবক ত কখনো ৪০ বছর বয়সের ভুড়িওয়ালা সালমান খান এর যে ট্রান্সফরম্যাশন দেখানো হয়েছিল তা সত্যই প্রসংসার দাবিদার।আর এই মুভিতে তার এক্টিং আমার কাছে যথেস্ট ভাল লেগেছে।
Lagaan (2001)
এই মুভি নিয়ে কি বলব, মুভি রিলিজের আগে কত কথাই না হয়েছিল কিন্তু রিলিজ এর পর সবার সব সমালোচনাকে বুড়ু আঙ্গুল দেখিয়ে জিতে নেয় অসংখ্য পুরস্কার।আর আমির খান এর এক্টিং এর তারিফ অবশ্যই করতে হবে।যদিও মুভিটা এখন অনেকটাই ড্রামাটিক মনে হবে।কিন্তু তাও দেখবেন ভাল লাগবে।
Bigil (2019)
সাউথ ইন্ডাস্ট্রির বেস্ট মুভিগুলোর মধ্যে একটা। কি নেই মুভিতে। আর থালাপাতির এক্টিং এর তো কোনো কথাই নেই। কোনো সাউথ লাভারই হয়তো এই মুভি দেখা বাকি রাখেনি। আপনি না দেখলে এখনই দেখা শুরু করে দেন।
Ms Dhoni The Untold Story
এই মুভিটার প্রান ছিল সুশান্ত এর এক্টিং দারুন অভিনয় করেছিল এই মুভিতে।আর সে এর ফলটাও পেয়েছে।ক্রিকেট নিয়ে বলিউডে যত মুভি ই হোক না কেন এই মুভিটা একটা আলাদা জায়গা দখল করে থাকবে।
Jersey
ন্যাচারাল স্টার ন্যানির মুভি মানেই অন্য কিছু। শুধু নামটার জন্যেই যেকোনো মুভি অনায়াসে দেখা যেতে পারে। আর এই মুভি নিয়ে কি বলব। কেও না দেখে থাকলে আরামসে দেখতে পারেন। বোরিং লাগার কোনো চান্সই নেই।
Paan Singh Tomar
এই মুভিটাও সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত।এক্টর হিসেবে ছিলেন বলিউডের ওয়ান অফ দি ফাইনেস্ট এক্টর ইরফান খান।এই মুভিটাও আন্ডাররেটেড একটা মুভি।দেখে ফেলুন ভাল লাগবে।আর দেখার পর আপনি সবচেয়ে বেশি তারিফ করবেন ইরফান খান এর এক্টিং।তার অসধারন এক্টিং মুভিটাকে অন্য লেভেল এ নিয়ে গেছে।
তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ।