আসসালামু আলাইকুম
ওয়্যারলেস প্রযুক্তি আজকের নয়। নিকোলা টেসলা নামের একজন বিজ্ঞানী একশত বছর আগে এই ওয়্যারলেস বিষয় আবিষ্কার করেন। কিন্তু প্রায় ১০০ বছর আগে এটি তেমন ভালো প্রযুক্তি ছিল না। এটি কয়েকটি বৈদ্যুতিক টুথব্রাশ এর জন্য ব্যবহার করা হতো তখন। এমনকি তিন বা চার বছর আগে ওয়্যারলেস চার্জারের ক্ষেত্রে মাত্র ৫ ওয়াট, ১৫ ওয়াট, ২০ ওয়াট পাওয়া যেত কিন্তু এখন মানুষ ৬৫ বা ৮০ ওয়াট এমনকি ২০০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং তৈরি করছে।
ওয়্যারলেস চার্জিং কি?
ওয়্যারলেস চার্জিং সাধারনত ইন্ডাক্টিভ চার্জিং ডিভাইসের ঊর্ধ্বে নির্ভরশীল। এ প্রযুক্তিতে বৈদ্যুতিক শক্তি দুটি কয়েলের মাধ্যমে ইলেকক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী করে থাকে। যখন ম্যাগনেটিক ফিল্ডের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ফোন কিংবা ওয়্যারলেস চার্জিং ফিচারযুক্ত কোন ডিভাইস থাকে সেই সময় সেটি চার্জ হওয়া শুরু করে।
ওয়্যারলেস চার্জিং এর ইতিহাস:
ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি প্রায় 100 বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে, তবে অ্যাপলের নতুন আইফোন লাইনের মতো ডিভাইসগুলিতে এর অন্তর্ভুক্তি এটিকে নতুন জীবন দিয়েছে। এটি কীভাবে কাজ করে এবং কেন এটি শীঘ্রই বাড়ি থেকে রোবট পর্যন্ত সমস্ত কিছুতে এর প্রভাব থাকবে তা আলোচনা করা হলো।
ওয়্যারলেস চার্জিং কিভাবে কাজ করে:
আইএইচএস মার্কিট-এর গবেষণা ব্যবস্থাপক ডেভিড গ্রিনের মতে, তিন ধরনের ওয়্যারলেস চার্জিং রয়েছে। ১. চার্জিং প্যাড: যেগুলো শক্তভাবে জোড়া ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকটিভ বা নন-রেডিয়েটিভ চার্জিং ব্যবহার করে; ২. চার্জিং বাটি বা সারফেস টাইপ চার্জার যা ঢিলেঢালাভাবে জোড়া বা বিকিরণকারী ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেজোন্যান্ট চার্জিং ব্যবহার করে যা কয়েক সেন্টিমিটার চার্জ প্রেরণ করতে পারে; এবং ৩. অসংলগ্ন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) ওয়্যারলেস চার্জিং যা অনেক ফুট দূরত্বে থেকে একটি ট্রিকল চার্জ করার ক্ষমতা দেয়।
স্মার্টফোনের ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাডের ক্ষেত্রে, তামার কয়েলের ব্যাস মাত্র কয়েক ইঞ্চি হয়, তাই এর ক্ষমতা অনেক কম থাকে এবং এটি অতি দূরত্বে কাজ করে না।
কিন্তু কয়েলগুলো বড় হলে তারবিহীনভাবে আরও শক্তি স্থানান্তর করতে পারে। এক দশক আগে এমআইটি-তে গবেষণা থেকে গঠিত একটি কোম্পানি WiTricity এই কৌশলটিই অগ্রগামী হতে সাহায্য করেছে। এটি অটোমোবাইল এবং উইন্ড টারবাইন থেকে শুরু করে রোবোটিক্স পর্যন্ত সবকিছুর জন্য অনুরণিত প্রযুক্তির লাইসেন্স দেয়।