আসসালামু আলাইকুম কি অবস্থা সবার আজকে আবার নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি উপভোগ করবেন এবং আরো একটি অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন তো কথা না বলে চলুন শুরু করি।
মধ্যরাতে হঠাৎ করে আপনার ঘুম ভেঙে গেল এবং আপনি বিছানায় শুয়ে আছেন এমন অবস্থায় আপনার নিজের পা নাড়ানোর মত শক্তি নেই মুখে আওয়াজ করার মতো সামান্য শক্তি টুকু আপনি পাচ্ছেন না অনেক কষ্ট করার পর গোঙানির মত মতো শব্দ হচ্ছে।
আপনার সাথে কখনো কি এমনটি হয়েছে আজকে আলোচনা করতে যাচ্ছি বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস নিয়ে আশা করি এই বিষয়টি আপনারা উপভোগ করবেন।
বোবায় ধরা কী?
চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় স্লিপ প্যারালাইসিস, বা ঘুমের মধ্যে পক্ষাঘাত। স্লিপ প্যারালাইসিস হলে একজন ব্যক্তি কিছু সময়ের জন্য কথা বলা বা নাড়াচাড়া করার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এটি সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে ওই সময়টায় রোগী ভীষণ ঘাবড়ে যান, ভয় পেয়ে যান। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সামান্থা আফরিনের মতে, বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস হল গভীর ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি একটি স্নায়ুজনিত সমস্যা।
বোবায় ধরা কেন হয়?
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা বা এনএইএস স্লিপ প্যারালাইসিস এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করেছে যার জন্য একটি মানুষের স্লিপ প্যারালাইসিস হতে পারে।
সর্বপ্রথম কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া একটি মানুষের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে তার স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা প্রায় এরকম স্লিপ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু মানুষের মানসিক সমস্যার কারণে এরকম প্যারালাইসিস হতে পারে।
বোবায় ধরার কি কোনো বয়স আছে?
বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস এর নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই যেকোনো বয়সের যেকোন মানুষের সাথে এটি হতে পারে।
তবে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা বা এনএইএস-এর তথ্য মতে তরুণ-তরুণী এবং কিশোর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
বোবায় ধরার চিকিৎসা
ইতিমধ্যে আমরা বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং আপনাদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি এটি কি এখন আমরা এর চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা আপনার জ্ঞাতার্থে দিয়ে রাখবো।
যেহেতু এটি ঘুম সম্পর্কিত একটি রোগ সেহেতু আপনাকে ঘুমের ক্ষেত্রে খুব বেশি সিরিয়াস থাকতে হবে। যখন আপনি ঘুমাবেন তখন ভারী খাবার ত্যাগ করুন এবং আপনি যদি মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অন্ততপক্ষে ঘুমানোর আগে মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকুন।
দিনে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন প্রতিনিয়ত দিনের বেলায় দীর্ঘ সময় ঘুম এড়াতে থাকুন। নিজের মন মানসিকতাকে সব সময় পজিটিভ রাখুন।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম তা আমরা ঘুমের প্রতি যত্নশীল হওয়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তো এরকম যদি কারো হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে এইচএসসি ভর্তি আবেদন করার নিয়ম
নিয়মিত সকল আপডেট চাকরির খবর, টেকনোলজি ও শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে ভিজিট করুন wbcz
দেখা হচ্ছে নতুন কোনো আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ট্রিকবিডি সঙ্গেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।