Hello ট্রিক বিডি বাসি কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন আমিও ভাল আছি তো আবারো আজকে একটি নতুন আটিকে নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আশা করি আপনারা আজকের আর্টিকেলটিও প্রতিবারের ন্যায় উপভোগ করবেন তাহলে চলুন কথা না বাড়ি আজকে আর্টিকেলটি শুরু করি।
সময়! আমাদের যত সম্পদ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সীমিত সম্পদ সময়। কেননা কেউ চাইলেই এক দিনকে ২৪ ঘণ্টার চেয়ে বড় করতে পারবে না। এই সময় কারো কাছ থেকে কেনা বা ধার করা সম্ভব না। এ সম্পর্কে আমরা আগে থেকেই অবগত আছি।
তবে মজার বিষয় সফল মানুষের জন্য যেই সময়, একজন ব্যর্থ মানুষের জন্য এই একই সময়। আপনি যদি সফল হতে চান তবে সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনার বিকল্প আর কিছুই নেই।
তবে আমরা যদি পরিকল্পনা করতে ভুল করি, তাহলে আমরা একটি ভুল পরিকল্পনা করলাম যা আমাদের ব্যর্থ বানাবে। তাই সফল হওয়ার জন্য আমাদের দরকার সময় ব্যবস্থাপনার একটি সুন্দর পরিকল্পনা।
আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনারা আপনাদের সময়কে সুস্পষ্টভাবে ব্যবস্থাপনা করবেন অর্থাৎ টাইম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে এছাড়া আপনাদের কি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টাইম ম্যানেজমেন্ট এর টিপস দেব যা আপনার সময় ব্যবস্থাপনা কাজে লাগাতে সাহায্য করবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
টাইম ম্যানেজমেন্ট কি?
Time management এর বাংলা অর্থ সময় ব্যবস্থাপনা। ব্যবস্থাপনা মানে হলো আপনার কোন কাজের সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা মোতাবেক তা বাস্তবায়ন করা এটাকে আমরা ব্যবস্থাপনা হিসেবে জানি আর টাইম ম্যানেজমেন্ট মানে আপনার সময়কে বিভিন্ন কাজের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া এবং সেই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করা। গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আগে শেষ করা এবং তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি পরে শেষ করা। এটাকেই আমরা সহজ ভাষায় টাইপ ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা বলতে পারি।
সময়কে যথাযথ ভাবে ব্যবহারের জন্য পরিকল্পনা করা এবং তা মোতাবেক সময়কে ব্যবহার করাকে সবাই ব্যবস্থাপনা বলা যায় এবং এটিই সময় ব্যবস্থা করার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। তো এখনো আলোচনা করবো সময় ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে কার্যকর করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তাহলে চলুন কয়েকটি টিপস দেখে নেওয়া যাক।
পরিকল্পনা
প্রতিদিন রাত্রে আগামী দিনে অর্থাৎ পরের দিন কি কি কাজ করবেন সে গুলির একটি লিস্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাখবেন। চাইলে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাজগুলো রাখতে পারেন। তবে শুধুমাত্র যে গুলি আপনার লক্ষ্য পূরন করতে সক্ষম শুধুমাত্র সেগুলোকেই রাখলে ভালো হয়। এবং আপনি চেষ্টা করবেন পরের দিন এই লিস্ট অনুযায়ী প্রত্যেকটি কাজ সম্পন্ন করা আর আমরা এটা জানি যে একটি কাজের পরিকল্পনা সেই কাজটিকে প্রায় অনেকাংশে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
ভোরে ঘুম থেকে ওঠা
রাত দশটার পরে এবং ১১ঃ০০ টার আগেই ঘুমিয়ে যাওয়া এবং ভোরে পাঁচটা থেকে ছয়টায় ঘুম থেকে ওঠা এই প্রসেসটি ফলো করার মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্ক একটি ভালো মানের ঘুম পাবে এবং আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন যা আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট খুব ইফেক্ট ফেলবে।
সময় নষ্ট না করা
বেশি সময় নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত বিনোদনের জন্য আমরা নানা রকম কাজ করে থাকি তবে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে এই বিনোদনের মাধ্যমে যেন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো অপচয় না হয় এজন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে এবং সময় নষ্ট হয় এবং কাজ থেকে থেকে বিরত থাকতে।
স্টপ ওয়াচ ব্যবহার করা
সময়কে নির্দিষ্ট ভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনার সময় প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু এটি প্রবাহমান তাই আপনি কাজ করার সময় আপনার কাজটি কতক্ষণ চলছে এ বিষয়ে লক্ষ রাখতে অবশ্যই স্টপ ওয়াজ ব্যবহার করতে পারেন এতে করে প্রত্যেকটি কাজে কত সময় লাগছে তা আপনি জেনে যাচ্ছেন এবং আপনার সময়ের প্রতি একটি খেয়াল থাকছে।
Read more: A Guide to Using RFL Web Do Bd ( Direct login Link)
উপরের প্রত্যেকটি টিপস আপনাকে টাইম ম্যানেজমেন্টে অনেক সাহায্য করবে আশা করি আপনি প্রত্যেকটি টিপস ফলো করবেন তাহলে আপনি টাইম ম্যানেজমেন্ট সুষ্ঠুভাবে করতে পারবেন।
দেখা হচ্ছে নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে এসে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের সঙ্গে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।