আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করি সকলে অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন। আজকের আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, টাইটেল দেখেই বুঝতে পারছেন আজকের টপিকটা কি!
আমরা আজকে একটি লেবুর জাত নিয়ে আলোচনা করবো, যেটা উচ্চ ফলনশীল এবং বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে। এটি হচ্ছে আমদের দেশে উদ্ভাবিত “বারি” জাতের লেবু। প্রথমেই আমরা জানবো “বারি” মানে কি? এই নামটি কেন দেওয়া হয়েছে? প্রিয় পাঠকবৃন্দ,”বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট_ নামকে সংক্ষেপে ‘বারি’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে”, অর্থাৎ ইংরেজি নামটি হচ্ছে,”Bangladesh Agricultural Research Institute”,,
আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা হতাশ হবেন না, এখান থেকে শুধুমাত্র একটা ধারণা নেবেন। তাছাড়া লেবু চাষ করা অত্যন্ত সহজ,খাটুনিও কম লাগে, উৎসাহ পেলে আপনিও লেবু চাষে আগ্রহী হবেন। বারি জাতের একটা লেবু গাছ যদি আপনার বাড়ির আঙিনায় লাগান,তাহলেই এই একটাই যথেষ্ট হবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন আর্টিকেল পড়া শুরু করি।
বারি লেবু-১,,
অনেক এমন হাইব্রিড জাত আছে যেগুলো ২-৩ বছরের মধ্যে মারা যায়,টিকতে পারেনা বেশীদিন,, তবে এই জাতের লেবু গাছের স্থায়ীত্বকাল বেশি,
বারি লেবু-১ চাষ করার সময় ও পদ্ধতিঃ
সেচ দেওয়ার ব্যবস্হা করা থাকলে সারা বছর অর্থাৎ বছরের যেকোনো সময়,যেকোনো ঋতুতে এই লেবু চাষ করা সম্ভব। তবে মে মাস হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই সময়টা লেবুর চারা রোপনের জন্য উপর্যুক্ত সময়। উঁচু এবং মাঝাটি জায়গা বাছাই করবেন, পানি জমে এমন জায়গায় চারা রোপন করা যাবেনা। সহজে বৃষ্টির পানি নেমে যেতে পারবে এরকম জায়গা লেবু চারা রোপনের জন্য আদর্শ জায়গা। গাছ তলায় বা অন্য গাছের ছায়ায় চারা রোপন না করাই ভালো তাছাড়া ছায়ার মধ্যেও গাছ টিকে থাকবে কিন্তু গাছ বাড়বে না,ফল দেবেনা। সেজন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রোদ পাওয়া যাবে এমন স্হান নির্বাচন করুন। জমির মাটি নরম ও ঝুরঝুরা করে দিতে হবে,আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। মাটি নরম না হলে গাছ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে এবং ফলন কম হবে। মাটির সাথে সার ফসফেট মিশিয়ে দিন সম্ভব হলে শুকনো গোবরের গুঁড়ো মিশিয়ে দেবেন এতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। চারাগাছ রোপন করে নিয়ম করে প্রতিদিন বিকেল বেলা পানি দিতে থাকুন। সঠিক যত্ন করতে পারলে সঠিক সময়ে ফলন পাওয়া সম্ভব হবে।
পরিচর্যাঃ
১. ছোট চারা অবস্হায় প্রতিদিন লেবু গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দেবেন।
২. প্রতিদিন বিকেলে গাছের গোড়ায় পানি দেবেন।
৩. ডালপালা বেশি হয়ে গেলে কিছু কেটে ফেলে দেন।
৪. গাছের পাতা বা ডালে কোনো রোগ দেখা দিলে, পুরো গাছে ছড়িয়ে যাওয়ার আছেই সেই ডাল’টা কেটে ফেলুন।
৫. গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৬. লেবু গাছের কাছে কোনো আগাছা/লতাপাতা থাকলে সেটা পরিষ্কার করে ফেলুন।
লেবুর বৈশিষ্ট্যঃ
১. বছরে ২বার ফল দেয়, এককথায় অল্প অল্প করে সারাবছরই লেবু পেতে থাকবেন,
২. এই লেবুর আঁশ স্বাভাবিক সাদা ও খুব রসালো হয়, টক অনেক বেশি,
৩. লেবু দেখতে প্রায় কিছুটা ডিমের মতো, লেবুর বাইরে খসখসে অমসৃন ত্বক,,
আপনারা যে’কেও এই গাছটা বাড়ির আঙিনায় লাগাতে পারবেন। যাদের বাগান করার শখ আছে তারাও চাইলে বানিজ্যিক ভাবে এই লেবুর চাষ করতে পারেন_কারণ লেবু চাষে খরচ কম হবে ও বাজারমূল্য ভালো পাওয়া যাবে।
শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান মন্তব্য’টি দিয়ে যাবে। আল্লাহ_হাফেজ..@ √