Site icon Trickbd.com

আপনার কি পিসি আছে? তাহলে নিয়ে নিন অসাধারন Special কিছু Tips, Tricks, Hacks & Apps! (PC Users Don’t Miss)

আসসালামু আলাইকুম,

কি অবস্থা সবার? আপনার যদি একটি পিসি থাকে তবে এই পোস্টটি আপনারই জন্যে স্পেশালি লিখা হয়েছে। এই পোস্টে আমি আপনার সাথে আমার প্রতিদিনের ব্যবহার করা এমন কিছু টিপস, ট্রিকস, হ্যাকস শেয়ার করবো যা আমি বছর ধরে ব্যবহার করা আসছি। তাই এগুলো আপনাদেরও কাজে দিবে ইনশাল্লাহ। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আমাদের আজকের টপিক।

১. Windows Pc তে সবচেয়ে দ্রুততমভাবে ফাইল সার্চ করার উপায়!

SOFTWARE NAME : EVERYTHING

SOFTWARE DOWNLOAD LINK https://www.voidtools.com/downloads/

 

 

Everything উইন্ডোজের জন্য একটি fast এবং light weight সার্চ ইঞ্জিন সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের তাদের কম্পিউটারে কীওয়ার্ড এবং ফাইলের নাম Search করে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি Find করতে সক্ষম।

অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের (সফটওয়্যার) বিপরীতে যা আপনার সম্পূর্ণ হার্ড ড্রাইভকে ইন্ডেক্স করে, Everything কেবল ফাইল এবং ফোল্ডারের নামগুলিকে ইনডেক্স করে এবং তাদের কন্টেন্টগুলো নয়।

এটি ফলাফল পুনরুদ্ধারে এটিকে দ্রুত এবং আরও দক্ষ করে তোলে, বিশেষ করে যখন প্রচুর পরিমাণে ডেটা নিয়ে কাজ করা হয়।

Everything এর মূল ফিচারগুলো হচ্ছেঃ

1) Fast indexing: Everything ইনস্টলেশনের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার সমস্ত ফাইল এবং ফোল্ডারগুলিকে ইন্ডেক্স করে ফেলবে।

2) Small memory footprint : Everything খুব কম মেমরি এবং CPU রিসোর্স ব্যবহার করে, এটিকে পুরানো এবং স্লো কম্পিউটারের জন্য উপযুক্ত করে তোলে।

3) Customizable interface :
Everything ব্যবহারকারীদের সার্চের ফলাফল দেখানোর উপায় মানে সার্চ রেজাল্টগুলোকে কাস্টমাইজ করতে দেয়।

4) Network Support : Everything নেটওয়ার্কযুক্ত কম্পিউটার জুড়ে সার্চ করা Allow করে, যা অন্যান্য কানেক্টেড ডিভাইসে ফাইলগুলি সার্চ করা সহজ করে তোলে।

এর Easy Design থাকা সত্ত্বেও, সবকিছু আপনার কম্পিউটারে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।

এটির Fast Indexing, কম Cpu এর ব্যবহার এবং কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেস এটিকে উইন্ডোজের জন্য Light Weight সার্চ ইঞ্জিন সফটওয়্যার খুঁজছেন এমন প্রত্যেকের জন্য একটি চমৎকার সফটওয়্যার হিসেবে জায়গা গড়ে তুলতে পারে।

কেননা এই সফটওয়্যার আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরো অনেক সহজ করে তুলবে।

এর নেটওয়ার্ক Allowance অন্যান্য ডিভাইসে ফাইল সার্চ করা সহজ করে তোলে, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত এপ হতে পারে যাদের একাধিক কম্পিউটারে ফাইল সার্চ করতে হয়।

Everything একটি দ্রুত এবং দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিখুঁত যারা দ্রুত তাদের কম্পিউটারে ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি খুজতে চান।

এই এপটির Simple Interface, Low CPU usage যেকোনো কম্পিউটারে আপনার ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল জীবনে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারে।

এটি উইন্ডোজের জন্য একটি ফাইল সার্চিং ইউটিলিটি যা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করে। সফ্টওয়্যারটি ব্যবহারকারীদের তাদের ফাইলগুলি দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ফোল্ডারগুলির মাধ্যমে নেভিগেট করার প্রয়োজন ছাড়াই বা জটিল সার্চ করে ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই৷

এভরিথিং এর অন্যতম প্রধান ফিচার হল এর বিদ্যুত এর মতো দ্রুত সার্চ এর গতি। সফ্টওয়্যারটি একটি অসাধারণ ফাইল ইন্ডেক্সিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে যা এটিকে দ্রুত আপনার হার্ড ড্রাইভ স্ক্যান করতে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার ফাইলগুলি ফাইন্ড আউট করতে দেয়৷

এটি হাজার হাজার ফাইল সহ বড় হার্ড ড্রাইভে ব্যবহারের জন্য এবং সেইসাথে যাদের দ্রুত নির্দিষ্ট ফাইল খুঁজে বের করতে হবে তাদের জন্য এটি আদর্শ করে তোলে।

এর দ্রুত অনুসন্ধানের গতি ছাড়াও, এভরিথিং অন্যান্য অনেক দরকারী ফিচারও অফার করে।

উদাহরণস্বরূপ, ব্যবহারকারীরা সহজেই নাম, তারিখ, টাইপ বা এক্সটেনশন দ্বারা তাদের সার্চকৃত ফলাফলগুলি সাজাতে পারে৷

তারা ফাইলের ধরন, তৈরির তারিখ বা ফাইল সাইজ ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে ফাইলগুলি খুজে পেতে সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি ফাইলটির সঠিক নাম মনে না রাখলেও এটি আপনি যা খুঁজছেন তা খুঁজে পাওয়া সহজ করে তুলবে আপনার জন্য।

এভরিথিং এর আরেকটি মূল সুবিধা হল এর মিনিমালিস্টিক ডিজাইন। সফ্টওয়্যারটির একটি সহজ এবং সুন্দর ইন্টারফেস রয়েছে যা ব্যবহার করা সহজ, এমনকি যারা ফাইল সার্চিং ইউটিলিটিগুলির সাথে পরিচিত নয় তাদের জন্যও।

ইন্টারফেসটি অত্যন্ত কাস্টমাইজযোগ্য, ব্যবহারকারীদের তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী তাদের সার্চকৃত ফলাফল দেখাবে।

Everything সম্পর্কে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসগুলির মধ্যে আরো একটি হল এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ ফ্রি। এটি ব্যয়বহুল সফ্টওয়্যারে ইনভেস্ট এর প্রয়োজন ছাড়াই দ্রুত এবং দক্ষ ফাইল সার্চিং ইউটিলিটি খুঁজছেন এমন যে কেউ এটিকে একটি আদর্শ পছন্দ করে তোলবেন৷

ফ্রি থাকা সত্ত্বেও, Everything এর নতুন বৈশিষ্ট্য এবং ডেভেলপমেন্টের সাথে নিয়মিত আপডেট করা হয়, এটি নিশ্চিত করে যে এটি আপ-টু-ডেট এবং কার্যকর থাকে সম্পূর্ণভাবে।

আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্যবহারকারী হোন যে প্রচুর পরিমাণে ডেটা নিয়ে কাজ করে, তবে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্যে একটি আদর্শ সফটওয়্যার হতে যাচ্ছে।

এভরিথিং এর আরেকটি বড় ফিচার হল নেটওয়ার্ক কম্পিউটারে ফাইল সার্চ করার ক্ষমতা। এটি তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী যারা একটি নেটওয়ার্ক পরিবেশে কাজ করে এবং তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যে অন্যান্য কম্পিউটারে ফাইল সার্চ করতে হয়।

Everything এর সাথে, আপনি সহজেই যেকোনো কানেক্টেড কম্পিউটারে ফাইলগুলি সার্চ করতে পারেন, যা তাদের নেটওয়ার্কের মধ্যে ফাইলগুলিকে সার্চ করতে এবং ভাগ করতে চান তাদের জন্য এটি একটি সুবিধাজনক সমাধান করে তুলবে।

এভরিথিং এর আরেকটি দরকারী দিক হল একাধিক ভাষার ব্যবহার। সফ্টওয়্যারটি বিভিন্ন ভাষায় Available , এটি সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।

এর অর্থ এই যে ব্যবহারকারীরা তাদের স্থানীয় নিজেদের ভাষায় ফাইলগুলি সার্চ করতে পারে, যা সার্চ মেথডকে আরও সহজ এবং আরও দক্ষ করে তোলে।

Everything অনেকগুলি অপশন আর ফিচার অফার করে যা এটিকে একটি Versatile এবং powerful ফাইল search software করে তোলে।

এটি নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এমন ফাইলগুলি খুঁজে পাওয়া সহজ করে তোলে, এমনকি যদি আপনি ফাইলের সঠিক নামটি মনে না রাখেন তবুও।

ব্যবহারকারীরা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য তাদের সার্চকৃত লিখাগুলো সংরক্ষণ করতে পারে, যাতে তারা তাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ রেজাল্টগুলোতে দ্রুত অ্যাক্সেস করতে পারে।

Everything এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হল এর কম সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা সফ্টওয়্যারটি অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে লাইট ওয়েট এবং দক্ষ হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এর মানে হল যে এটি পুরানো কম্পিউটারেও স্মুথলি চলবে এবং একই সাথে অন্যান্য যেসব অ্যাপ্লিকেশন চলছে সেগুলোর কার্যকারিতাকে এফেক্ট করে না।

এভরিথিং হল একটি অত্যন্ত Versatile এবং Feature সমৃদ্ধ ফাইল Search Software যা আপনার কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কে ফাইলগুলি খোঁজার জন্য একটি দ্রুত, দক্ষ, এবং সহজেই ব্যবহারযোগ্য Solution ।

 

সফটওয়্যারটির কিছু স্ক্রিনশটস নিচে দেওয়া হলোঃ

 

২. আপনার Pc কে এবার আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে কন্ট্রোল করুন দুনিয়ার যেকোনো প্রান্ত থেকে!

Software Name : Anydesk

Software Link :

1) Pc – https://anydesk.com/en/downloads/windows

2) Android – https://play.google.com/store/apps/details?id=com.anydesk.anydeskandroid

 

 

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

১) শুরুতেই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে ওপেন করুন মোবাইল এবং পিসি দুই জায়গাতেই।

২) আপনার পিসিতে এবং আপনার মোবাইলের স্ক্রিনে দেখতে পাবেন লেখা আছে Your Address Is এরপর ৯ সংখ্যার কোড।

এই কোডটিই মূলত ব্যবহার করা হয় পিসি এক্সেস এর জন্যে। এই কোডটি ভুলেও কাউকে দিবেন না। তাহলে সে আপনার পিসিতে ঢুকে সবকিছুর এক্সেস নিয়ে নিতে পারে।

৩) পিসিতে থাকা কোডটি আপনার ফোনের এপের Remote Address এ লিখুন এবং Next Arrow button এ ক্লিক করুন।

৪) এরপর আপনার পিসিতে এক্সেস দেওয়ার জন্যে অনুমতি চাইবে। আপনি এখানে প্রোফাইলে ঢুকে Default, Screen Sharing, Full Access কিংবা unattended access এই ৪ টির ভিতরে যেটি চাই সেটি সিলেক্ট করুন।

৫) Default এ দিলে আপনি কিছু ফিচার এক্সেস করতে বাধা দিচ্ছেন বলে ধরে নেওয়া হবে। কারন Default এ কিছু জিনিসের এক্সেস এমনিতেই অফ থাকে। যেমন: Enable Privacy Mode, Create TCP Tunnels, Allow To Interact Forbidden Windows

৬) যদি Screen Sharing অপশনটি সিলেক্ট করেন তাহলে আপনি Manually যেসব জিনিসের Access দিতে চান সেগুলো সিলেক্ট করে Access দিতে পারবেন।

৭) Full Access এবং unattended access এর ক্ষেত্রে আপনার পিসি যাবতীয় সবকিছুর Access ই আপনি দিয়ে দিবেন। তাই একটু জেনে বুঝে পরে Accept Button এ ক্লিক করবেন।

৮) Accept করার পর আপনার পিসির সম্পূর্ণ Screen আপনার ফোনে দেখতে পাবেন। এবং সাথে মাউসটিও দেখতে পাবেন।

এখন আপনি চাইলে এই মাউসটির সাহায্যে সম্পূর্ণ পিসিতে যা খুশি করতে পারবেন। আপনি দেখতে পাবেন আপনার পিসির মাউসও সেখানেই যাচ্ছে যেখানে আপনি আপনার ফোন দিয়ে সেই মাউসটিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

৯) এবার আপনি চাইলে আরো অনেক কিছুই করতে পারবেন। যেমন: File Transfer, Printing, Use Clipboard, File Manager, Keyboard & Mouse, Use sound, Record Screen, Draw On Screen, Use Privacy Mode এবং আরো অন্যান্য অনেক কিছুই।

১০) Anydesk একটি অত্যন্ত Powerful একটি Tool। এটি সাবধানভাবে এবং বুঝে শুনে ব্যবহার না করলে Hacker বা কোনো Spammer এর হাতে আপনার সম্পুর্ন পিসি এবং এর যাবতীয় সকল ফাইল এর এক্সেস চলে যেতে পারে। তাই এটা সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।

১১) আপনি চাইলে আপনার ফোন থেকে পিসিতে এবং পিসি থেকে ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন।

যেহেতু এটি একটি End to end encrypted একটি সফটওয়্যার এর ফলে আপনার সিকিউরিটির কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়াও এখানে কোনো এডস এরও ঝামেলা নেই।

১২) আপনি চাইলে Password ও Set করে রাখতে পারবেন App টিতে। এটা করতে হলে আপনার পিসিতে Anydesk এপ্লিকেশনটি ওপেন করুন এবং উপরে ডান দিকে ৩ ডট মেনুতে ক্লিক করে “Set A Password” Button টিতে ক্লিক করে সেট করুন।

১৩) এছাড়াও আপনি Settings Option এ গিয়ে আরো Advanced ভাবে সবকিছু ব্যবহার করতে পাবেন।
এগুলো আপনি নিজে নিজে ব্যবহার করে দেখুন। ব্যাসিকগুলো সম্পর্কে ধারনা দিয়ে দিলাম আমি।

১৪) আপনি যদি আপনার ফোনের Anydesk App এ ঢুকেন তখন আরো অনেক কিছু দেখতে পারবেন। আরো একটি Fun Fact বলছি। এই App এর মাধ্যমে যখন আপনি আপনার পিসিতে কোনো অডিও প্লে করবেন সেটা আপনার ফোনেও Transmit হবে।

এর মানে হচ্ছে পিসিতে যে অডিও চলছে সেটা ফোনেও চলবে। আপনি চাইলে এটা বন্ধ করতে পারবেন। এর জন্যে Anydesk Mobile এর Settings এ ঢুকুন।

Anydesk Mobile App এ একটি ছোট্ট Icon দেখতে পাবেন। এটায় Hold করে ধরে রাখলে আপনি দেখতে পাবেন অনেকগুলো Floating Tools এর Options আছে।

প্রথম Icon টিই Settings Icon। এখানে ক্লিক করে Audio তে ঢুকে Transmit Audio Option টিতে Unmark করে দিন তাহলেই হবে।

১৫) এছাড়াও এখানে VPN থেকে শুরু করে Proxy, File Upload, Screenshot, Screen Video Capture এর বিভিন্ন Options আছে।

 

APP টির স্ক্রিনশটস নিচে দেওয়া হলোঃ

 

 

৩. আপনার ফোনকে Controller বানিয়ে Pc Games খেলুন আলাদা কোনো Controller ছাড়াই এবং সাথে আছে আরো অনেক অসাধারন ফিচারস!

 

কখনোকি ভেবেছিলেন যে আপনার হাতের মুঠোফোনকেই কন্ট্রোলার হিসেবে ব্যবহার করার কথা?

এখন প্রযুক্তি এতটাই এগিয়ে গিয়েছে যে এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল সাধ-ইচ্ছে মেটাতে পারি খুবই সহজেই।

শুধু তাই নয়, মোবাইলের সাথে পিসিকে একইসাথে কানেক্ট করে আমরা প্রযুক্তিকে আরো এডভান্সড ভাবে ব্যবহার করতে পারি।

প্রসঙ্গ যখন পিসিতে গেম খেলার তখন কন্ট্রোলারের প্রয়োজন এতটাই বেশি যে এর গুরুত্বপূর্ণ একেবারে আমাদের পরীক্ষার খাতার গ নম্বর উত্তরের মতো। উদ্দীপকের গুরুত্ব অপরিসীম।

হাহা, সে যাই হোক, মজার ছলেই বলি কিংবা কি একটু সিরিয়াস হয়ে, বাজারে যেসব নামি দামি কন্ট্রোলার পাওয়া যায় আপনি কি জানেন আপনার ফোন তার থেকেও আরো এডভান্সড ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে?

কি অবাক হচ্ছেন? আমি এর আগেও আপনার হাতের ফোনকে কিভাবে টিভির রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন সেটার টিউটোরিয়াল দিয়েছি।

যদি সেটা সম্ভব হয়, তাহলে এটা কেন সম্ভব নয়? আপনার ফোনের ভিতরে তো এমনিতেই Built In Vibration Technology রয়েছে যা কন্ট্রোলারের Button গুলোর সাথে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কযুক্ত।

কন্ট্রোলার বাটনের যে ভাইব্রেশন রয়েছে সেগুলো আপনার মোবাইল দিয়েই ফিল করতে পারবেন। তাছাড়া Wirelessly Controller কে Connect করার জন্যে আপনি একই Wireless Network এর ভিতরে থাকবেন তাহলেই হবে।

কোনো USB Cable Connect করার প্রয়োজন নেই। কেননা এখন Wireless Technology এতটাই Strong হয়ে দাড়িয়েছে যে এর মাধ্যমে এখন সবই সম্ভব।

আপনাকে যা যা করতে হবে তা হলো:

 

১) একটি Application Install করতে হবে আপনার ফোনে। App টি আপনি Playstore এই পেয়ে যাবেন। নাম – Pc Remote Controller

App Link – https://play.google.com/store/apps/details?id=com.monect.portable

 

২) আপনার পিসিতে App টি Install করতে হবে।

App Link – https://www.monect.com/

৩) এরপর আপনার ফোন থেকে App টি অপেন করুন।

৪) আপনার ডেস্কটপটির সাথে কানেক্ট করুন। একই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এর আওতায় থাকলে অটোমেটিক কানেক্ট হয়ে যাবে শুধুমাত্র এপটি ওপেন করলেই।

৫) App টি Open করার পর অনেক বড় ফাকা স্পেস দেখতে পাবেন প্রথম পাতায়। সেখানে আপনি সম্পূর্ণ জায়গাটুকুকে Mouse হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

জি আপনি ঠিকই শুনেছেন। সম্পূর্ণ জায়গাটায় আপনি হাতের আঙুল ঘুরালে সেটা আপনার কম্পিউটার এর স্ক্রিনে মাউসের মতো কাজ করবে। এবং সেটা দিয়ে যেখানে ইচ্ছা যা খুশি করতে পারবেন। মানে একটি সত্যিকার Wireless মাউসের মতো কাজ করবে।

উপরে নিচে স্ক্রল করার জন্যে মাউসের সাথেই স্ক্রল আইকন দেওয়া আছে। বড় লম্বা একটি লাইন দেখতে পাবেন। এটিই মূলত স্ক্রল করার অপশন।

৬) Mouse তো হলো। এবার Keyboard টাও যদি ব্যবহার করা যেতো তাহলে আরো ভালো হতো। তাই না?

এটাও পারবেন। এরজন্যে উপরে ডান দিকের ৩ ডট মেনুতে ক্লিক করুন এবং Keyboard Option পেয়ে যাবেন। এখানে সম্পূর্ণ Keyboard এর প্রত্যেকটি Option রয়েছে।

 

৭) সাথে আছে Calculator, Camera ও Function Key গুলোও। উপরে Camera Icon এ ক্লিক করলে আপনাকে আপনার ফোনের ক্যামেরা সেকশনে নিয়ে যাবে। সেখানে কোনো ছবি বা ভিডিও ক্যাপচার করলে তা আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে দেখাবে। কি দারুন না?

এরপর সেই ছবি বা ভিডিওকে আপনি যা খুশি তা করতে পারবেন। আপনি চাইলে মাউসটির Sensitivity ও Control করতে পারবেন।

৮) এছাড়াও Volume Control + Power Options (Sleep, Hibernation, Shutdown, Restart,Lock, Shut Off Display এবং Sign Out) সবকিছুই রয়েছে এখানে।

মানে এক কথায় সম্পূর্ণ পিসির রিমোট কন্ট্রোল আপনার হাতের মুঠোয়।

৯) এরপর নিচের দিকে দেখতে পাবেন বিভিন্ন অপশনস আছে। এগুলো ব্যবহার করে আপনি আরো অনেক কিছুই করতে পারবেন। মাঝখানের Tool টিতে গেলে দেখতে পাবেন Layout নামের একটি অপশন আছে।

এখানে গেলে আপনি মোট ১৬ টির উপরে Game Controller এর Layout পেয়ে যাবেন। এগুলো সম্পূর্ণভাবে আপনি Customize করতে পারবেন আপনার নিজের মতো করে।

এবং যেকোনো একটি Layout কে Customize করলে সেটি আবার নতুন Layout এ save হবে যা অসাধারন একটি ব্যাপার। অসাধারণ এই জন্য যে এর মাধ্যমে আপনি প্রত্যেকটি গেম এর জন্যে আলাদা আলাদা controller layout তৈরি করতে পারবেন।

এখানে আপনি সম্পূর্ণ Real Game Controller এর স্বাদ পাবেন। কেননা এখানে সম্পূর্ণ Mobile এর Vibration কে Use করা যায়। যা আসল কন্ট্রোলারের স্বাদ দেয়।

যেমন: আমি Dirt Rally 3 গেমটি যখন কন্ট্রোল করছিলাম তখন গেমের ভিতরে গাড়ি Wrong Side এ গেলে বা ভিন্ন Direction বা Wrong Bumpy ইত্যাদি Road দিয়ে গেলে পুরো Vibration এর Feel টা পাওয়া যায় যা এক কথায় অসাধারণ লাগে খেলতে গেলে।

১০) যেহেতু সবকিছুই এখানে Fully Customizable তাই আপনি চাইলে যেভাবে খুশি আপনার কন্ট্রোলারকে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারবেন যা আসল কন্ট্রোলারে করা যায় না। প্রায় যেকোনো গেমই সাপোর্ট করবে এবং গেমের ভিতরে থেকেও সবকিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন।

১১) এছাড়াও Anydesk এর মতো এই App টিকে ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্যে নিচে ৪ নং অপশনটিতে ক্লিক করুন যা আপনাকে Utility Tools এ নিয়ে যাবে।

এখানে গিয়ে Remote Desktop Icon এ ক্লিক করলে আপনার পিস্যার Screen + Audio দুটিই Show করবে যা আসলেই অসাধারণ একটা ব্যাপার। এটা সম্পূর্ণ Anydesk এর মতো কাজ করে।

১২) এছাড়াও আপনার পিসির সকল ড্রাইভ এর Access নিতে পারবেন। এর জন্যে Utility Tools এ গিয়ে File explorer এ ক্লিক করুন। এবং দেখতে পাবেন এখানে আপনার পিসির সমস্ত ড্রাইভ এর এক্সেস আপনি করতে পারছেন।

১৩) শুধু তাই নয়, হ্যাঁ আরো অনেক কিছুই বাকী আছে। আপনি চাইলে আপনার পিসির সকল Task গুলোকে Task Manager এ ক্লিক করলে দেখতে পাবেন।

১৪) শুধু তাই নয়, আপনি যদি Blackboard নামের Option টিতে ক্লিক করেন তাহলে দেখতে পারবেন আপনাকে anydesk এর মতো আবারো পিসির স্ক্রিন শেয়ার এ নিয়ে গিয়েছে।

এখানে গেলে আপনি যা যা ড্রাও করবেন সব আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখাবে। যারা YouTuber আছেন তাদের কাজে দিতে পারে।

১৫) এছাড়াও আপনি আপনার ফোনের মাইক্রোফোনকে পিসিতে Transmit করতে পারবেন। Microphone Option এ গেলেই আপনার মাইক্রোফোনের সামনে যা বলবেন তা পিসির স্পিকারে যাবে।

১৬) এছাড়াও আপনি আপনার ফোনের সকল Media (Video, Picture etc) আপনার পিসির স্ক্রিনে নিয়ে যেতে পারবেন এই এপটির সাহায্যে One Click এর মাধ্যমে।

১৭) আপনি চাইলে আপনার ফোন থেকে পিসিতে এবং পিসি থেকে ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন।

যেহেতু এটি একটি End to end encrypted একটি সফটওয়্যার এর ফলে আপনার সিকিউরিটির কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়াও এখানে কোনো এডস এরও ঝামেলা নেই।

১৮) আপনি চাইলে Password ও Set করে রাখতে পারবেন App টিতে। এটা করতে হলে আপনার পিসিতে Anydesk এপ্লিকেশনটি ওপেন করুন এবং উপরে ডান দিকে ৩ ডট মেনুতে ক্লিক করে “Set A Password” Button টিতে ক্লিক করে সেট করুন।

১৯) এছাড়াও আপনি Settings Option এ গিয়ে আরো Advanced ভাবে সবকিছু ব্যবহার করতে পাবেন।
এগুলো আপনি নিজে নিজে ব্যবহার করে দেখুন। ব্যাসিকগুলো সম্পর্কে ধারনা দিয়ে দিলাম আমি।

২০) আপনি যদি আপনার ফোনের Anydesk App এ ঢুকেন তখন আরো অনেক কিছু দেখতে পারবেন। আরো একটি Fun Fact বলছি। এই App এর মাধ্যমে যখন আপনি আপনার পিসিতে কোনো অডিও প্লে করবেন সেটা আপনার ফোনেও Transmit হবে।

এর মানে হচ্ছে পিসিতে যে অডিও চলছে সেটা ফোনেও চলবে। আপনি চাইলে এটা বন্ধ করতে পারবেন। এর জন্যে Anydesk Mobile এর Settings এ ঢুকুন।

Anydesk Mobile App এ একটি ছোট্ট Icon দেখতে পাবেন। এটায় Hold করে ধরে রাখলে আপনি দেখতে পাবেন অনেকগুলো Floating Tools এর Options আছে।

প্রথম Icon টিই Settings Icon। এখানে ক্লিক করে Audio তে ঢুকে Transmit Audio Option টিতে Unmark করে দিন তাহলেই হবে।

অসাধারন একটি এপ্লিকেশন। প্রত্যেক পিসির ইউজাদেরদেরই জন্যে Must Have একটি সফটওয়্যার। অবশ্যই Install করে দেখবেন।

 

 

APP টির কিছু স্ক্রিনশটস নিচে দেওয়া হলোঃ

 

 

 

৪. App Name – Unchecky

App Link – https://unchecky.com

আজকের বিশ্বে সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করা অনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য একটি দৈনন্দিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সফ্টওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার সময়, আমরা প্রায়ই অবাঞ্ছিত Third Party ইনস্টলেশন এবং লুকানো অ্যাড-অনগুলির সমস্যার সম্মুখীন হই।

এর ফলে আমাদের কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে, বিরক্তিকর পপ-আপ বিজ্ঞাপন এবং কখনও কখনও গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকিও হতে পারে। এখানেই মূলত আনচেকি আসে।

আনচেকির কিছু অসাধারন ফিচারগুলো হচ্ছে:

১) Unchecky হল এমন একটি এপ্লিকেশন যা Free, Light Weight এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি সফ্টওয়্যার যা সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশনের সময় অটোমেটিকালি সমস্ত অবাঞ্ছিত অফারগুলিকে আনচেক করে ফেলে।

২) আনচেকি ব্যবহার করার ফলে আপনাকে আর অবাঞ্ছিত থার্ড পার্টি ইনস্টলেশন সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না। কারণ অ্যাপটি অতিরিক্ত সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার চেষ্টা করছে এমন যেকোনো এবং সমস্ত বক্স অটোমেটিক আনচেক করে দিবে।

৩) আপনি সফ্টওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার সময় অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে এবং এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি আসলে যে সফ্টওয়্যারটি চান তা আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করা হচ্ছে।

৪) Unchecky ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি প্রদান করে Higher Security। অবাঞ্ছিত থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ইনস্টলেশনে প্রায়ই অ্যাডওয়্যার, স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য Harmful সফ্টওয়্যার Included থাকে যা আপনার গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে ভেঙে দিতে পারে।

৫) আনচেকির মাধ্যমে, আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি কোনো লুকানো অ্যাড-অন বা অবাঞ্ছিত সফ্টওয়্যার ছাড়াই শুধুমাত্র আপনার পছন্দসই সফ্টওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করছেন।

৬) Unchecky এর আরেকটি বড় বিষয় হল এর ব্যবহার অত্যন্ত সহজ। অ্যাপটি ইনস্টল করা সহজ, এবং একবার ইনস্টল হয়ে গেলে, এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে নিজে নিজেই চলে।

আপনাকে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে না, কারণ আনচেকি আপনার জন্য সবকিছু নিজে নিজেই করে দিবে।

আপনি সফ্টওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা চালিয়ে যেতে পারেন আপনার ইচ্ছামতো এবং অ্যাপটি আপনার জন্য অবাঞ্ছিত অফারগুলি অটোম্যাটিকালি আনচেক করবে৷ আপনাকে কিছুই করতে হবে না।

৭) Unchecky সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশনের সময় ম্যানুয়ালি চেক বক্সগুলি আনচেক করার সমস্যা দূর করে আপনার সময় এবং শ্রম দুটিই বাঁচাতে সহায়তা করবে।

৮) প্রতিটি ইনস্টলেশন স্ক্রীনের মাধ্যমে মনোযোগ সহকারে পড়ার সময় ব্যয় করার পরিবর্তে আনচেকি অটোম্যাটিক আপনার জন্য বক্সগুলি আনচেক করে দিবে। এর ফলে আপনি সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশনগুলি আরও দ্রুত এবং কোনো বিনা ঝামেলায় সম্পূর্ণ করতে পারবেন৷

৯) অ্যাপটি আপনাকে যেকোনো অবাঞ্ছিত ইনস্টলেশন সম্পর্কে জানানোর করার জন্য Real Time Notice দিবে। সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার দিক দিয়ে আনচেকি খুবই Light Weight একটি এপ্লিকেশন এবং ব্যবহারের জন্য খুবই কম পাওয়ারের প্রয়োজন পড়বে আপনার ।

১০) অ্যাপটি উইন্ডোজ 7, ​​8 এবং 10 এর সাথে Compaitable এবং এটির জন্য মাত্র কয়েক মেগাবাইট ডিস্ক স্পেস প্রয়োজন। যার ফলে যেকোনো কম্পিউটারেই এটি খুব সহজেই চলে যাবে।

 

APP টির কিছু স্ক্রিনশটস নিচে দেওয়া হলোঃ

 

 

 

৫. App Name – Ditto

App Link – https://ditto-cp.sourceforge.io/

 

 

কোনো কিছু কপি এবং পেস্ট করতে করতে আপনি কি ক্রমাগত বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে স্যুইচ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন?

বার বার টেক্সট কপি করে সেটাকে আবার নতুন ওইন্ডো বা এপ্লিকেশন খুলে সেটাতে পেস্ট করতে করতে বিরক্ত বোধ করছেন?

যদি তাই হয়, তাহলে ডিট্টো আপনার জন্য নিখুঁত সমাধান হতে পারে। ditto হল আপনার PC এর জন্য একটি পাওয়ারফুল ক্লিপবোর্ড ম্যানেজার যা আপনাকে আপনার ক্লিপবোর্ড ম্যানেজ করতে এবং আপনার কপি এবং পেস্ট এর কাজকে সহজ করতে সাহায্য করবে।

ডিট্টোর ফিচারগুলো নিচে দেওয়া হলো:

১) ডিট্টোর অন্যতম প্রধান ফিচার হল এর ক্লিপবোর্ড হিস্টোরিতে Limitless Items (Information, Text etc) Save করার ক্ষমতা। এর মানে হল যে আপনি যেকোন সময় আপনার ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি থেকে আইটেমগুলিকে সহজেই অ্যাক্সেস করতে এবং পেস্ট করতে পারবেন অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে পিছনে না গিয়েই৷

২) এটি আপনাকে প্রচুর পরিমাণ সময় এবং শ্রম থেকে বাঁচাতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ঘন ঘন একটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে অন্য অ্যাপ্লিকেশনে তথ্য কপি এবং পেস্ট করে থাকেন। এমন অভ্যাস আমার নিজেরও আছে এবং এই এপ্লিকেশনটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এই অভ্যাসটি দূর করতে।

৩) ডিট্টোর আরেকটি দুর্দান্ত ফিচার হল একাধিক কম্পিউটারে আপনার ক্লিপবোর্ডের হিস্টোরি সিঙ্ক্রোনাইজ করার ক্ষমতা।

আপনি যদি একাধিক কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি তাদের মধ্যে আপনার ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি সিঙ্ক্রোনাইজ করতে Ditto software টি ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনাকে আপনার যেকোনো কম্পিউটার থেকে আপনার কপি করা আইটেমগুলি অ্যাক্সেস করতে দিবে

৪) আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যতে আপনার অ্যাক্সেস রয়েছে তা নিশ্চিত করতে এই সফটওয়্যারটি আপনাকে সাহায্য করবে।

৫) এছাড়াও ditto অত্যন্ত কাস্টমাইজযোগ্য, যা আপনাকে আপনার ক্লিপবোর্ডের হিস্টোরিতে কোন আইটেমগুলি সেভ করা হবে সেইসাথে ম্যাক্সিমাম আইটেম সেভ করা হবে তা Choose করতে দেয়৷

৬) পাসওয়ার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যের মতো আপনার ক্লিপবোর্ড হিস্টোরি সেভ হওয়া থেকে নির্দিষ্ট ডেটা বাদ দেওয়ার জন্য আপনি ফিল্টারও সেট আপ করতে পারেন।

৮) এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ কারন এটিতে রয়েছে একটি User Friendly ইন্টারফেস যা আপনার ক্লিপবোর্ড ম্যানেজমেন্ট করা সহজ করে তুলবে।

অ্যাপটি উইন্ডোজ 7, ​​8 এবং 10 এর সাথে Compaitable এবং এটি চালানোর জন্য খুব কম জায়গার প্রয়োজন। এটি পুরানো বা কম পাওয়ারফুল সিস্টেমের জন্য একটি আদর্শ সফটওয়্যার বলা চলে।

৯) Ditto আপনার কপি করা ডেটার জন্য একটি secure space দিবে। অ্যাপটি সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে এবং আপনার কপি করা ডেটাকে Unauthorised Access থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন সিকিউরিটি ব্যবস্থা প্রদান করে।

আপনি আপনার সেভ করা আইটেমগুলিও এনক্রিপ্ট করতে পারবেন, তাই কেউ আপনার কম্পিউটার অ্যাক্সেস করলেও, তারা আপনার তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে না। এই ফিচারটি খুবই জরুরী একটি ফিচার বলে আমি মনে করি।

১০) এছাড়াও Ditto এর মাধ্যমে আপনি দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ অনেক দ্রুত করতে পারবেন যা আপনি আগে পারতেন না। আপনি Install করে নিজেই Try করে দেখুন। উপকারে আসলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

 

APP টির কিছু স্ক্রিনশটস নিচে দেওয়া হলোঃ

 

 

৬. আপনার পিসিতে Android Apps & Games Run করান খুব সহজেই এবং পিসিতে Android এর স্বাদ নিন!

App Name – Bluestacks

App Link – https://www.bluestacks.com/download.html

 

 

Bluestacks হল একটি জনপ্রিয় পিসি অ্যাপ এমুলেটর যা ব্যবহারকারীদের তাদের কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালানোতে সাহায্য করে।

এটি 2011 সালে প্রথম Published হয়েছিল এবং তখন থেকে এটি বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটরগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে৷

এই অ্যাপ এমুলেটর Windows এবং Mac অপারেটিং সিস্টেমের জন্য Available এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পিসিতে তাদের প্রিয় মোবাইল অ্যাপগুলি সহজেই পিসিতে চালাতে পারবেন এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে।

Bluestacks এর ফিচারগুলো হলো :

১) INTERFACE : Bluestacks-এর অন্যতম প্রধান ফিচার হল এর User-friendly Interface যা যেকোনও ব্যক্তির জন্য অ্যাপটি ব্যবহার করা অনেক সহজ করে তোলে।

এই এমুলেটর এপ্লিকেশনটি আপনার পিসিতে একটি ভার্চুয়াল অ্যান্ড্রয়েড এনভায়রনমেন্ট প্রদান করবে যাতে আপনি আপনার পছন্দের সব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানগুলিকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন এমনভাবে যেন আপনি সেগুলি একটি ফোন বা ট্যাবলেটে ব্যবহার করছেন৷

২) THIRD PARTY APPS INSTALLATION : আপনি Google Play Store থেকে অথবা APKPure বা Aptoide-এর মতো Third Party অ্যাপ স্টোর থেকে সহজেই যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।

৩) SUPPORTED APPS : এছাড়াও অনেকগুলি performance enhancement এবং অপ্টিমাইজেশনের সাথে আসে যা এটিকে সব এপস সাপোর্টেড, Available এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত Android এমুলেটরগুলির একটি করে তোলে৷

৪) APP SWITCHING CAPABILITY : এর মধ্যে রয়েছে Hardware acceleration, Multi-Instance এবং একই সাথে একাধিক অ্যাপ চালানোর ক্ষমতা।

Bluestacks এর মাধ্যমে, আপনি সহজেই একাধিক অ্যাপের মধ্যে স্যুইচ করতে পারবেন, একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন, এমনকি একটি মাউস, কীবোর্ড বা গেমপ্যাড ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড গেম খেলতে পারবেন।

৫) GOOGLE SERVICE : ব্লুস্ট্যাক্সের আরেকটি দুর্দান্ত ফিচার হল গুগল প্লে সার্ভিস এরসাথে এর ইন্টিগ্রেশন। এটি ইউজারদের Google এর অ্যাপস এবং সার্ভিসের সাথে স্যুট, যেমন Google Maps, Google ড্রাইভ এবং Google ফটোগুলি অ্যাক্সেস করতে দেয়৷

৬) PUSH NOTIFICATIONS : Bluestacks পুশ নোটিফিকেশন সাপোর্ট করে, যার মানে আপনি সরাসরি আপনার পিসিতে আপনার প্রিয় অ্যাপ থেকে নোটিফিকেশন পেতে পারেন।

৭) USEFUL FOR DEVELOPERS : Bluestacks Developer দের জন্যেও অনেক কার্যকরী একটি সফটওয়্যার। কেননা যারা সফটওয়্যার ডেভেলপার রয়েছেন তারা Multi Screen নিয়ে একসাথে দুই Operating Sustem (OS) এর মাঝখানে switch করতে পারবেন এবং একাধিক Window নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারবেন।

৮) PLAYING ANDROID GAMES : আপনি আপনার প্রিয় মোবাইল গেমটি খেলতে চাচ্ছেন? আপনার পছন্দের অ্যাপ ব্যবহার করতে চান? কিংবা Android অ্যাপ টেস্ট এবং ডিবাগ করার জন্য একটি সুবিধাজনক প্ল্যাটফর্ম চান? Bluestacks আপনার জন্যে সাহাযের হাত বাড়াতে প্রস্তুত।

তাই অপেক্ষা কেন? আজই Bluestacks ডাউনলোড করুন এবং আপনার পিসিতে অ্যান্ড্রয়েডের অভিজ্ঞতা নেওয়া শুরু করে দিন।

৯) UPDATES : এটিও উল্লেখ করার মতো যে ব্লুস্ট্যাক ক্রমাগত আপডেট করা হচ্ছে এবং এর ইউজার বা ব্যবহারকারীদের জন্য উন্নত করা হচ্ছে। ডেভেলপাররা সর্বদা নতুন ফিচার এবং অপ্টিমাইজেশান নিয়ে কাজ করে নিশ্চিত করছেয়া যে ব্লুস্ট্যাকস বাজারে টপ অ্যান্ড্রয়েড এমুলেটর হিসাবে যেন থাকতে পারে।

এবং এটা সত্য যে আপনি যদি একটি ভালো এন্ড্রয়েড এমুলেটর চান তবে যে কেউ আপনাকে সবার আগে ব্লুস্ট্যাকস এমুলেটরই সাজেস্ট করবে।

১০) SECURITY & PRIVACY : Bluestacks এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা মানে Privacy & Security Feature । এই সফটওয়্যার এমুলেটরটি তার ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং ডেটা সুরক্ষিত রাখে।

এতে ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য এনক্রিপশনের ব্যবহার, Secure Boot Process এবং Regular Software Update গুলোর ফলে System সবসময় Upto Date থাকে। যার ফলে Security ও Privacy নিয়ে আপনাকে কোনো চিন্তাই করতে হবে না।

১১) USING MULTIPLE OS : এখানে আপনি বিভিন্ন Android Os একসাথে চালাতে পারবেন। যেমন: Android 6.0, Android 7.1, Android 11 ইত্যাদি। যা আপনাকে একসাথে অনেকগুলো Android System ব্যবহার করার এক্সপেরিয়েন্স দিবে।

১২) MULTI INSTANCE FEATURE : এর সবচেয়ে ইউনিক ফিচারগুলোর মধ্যে একটি হল এর “মাল্টি-ইনস্ট্যান্স” পাওয়ার যা ব্যবহারকারীদের একই অ্যাপের একাধিক ইন্সট্যান্স বা একই সময়ে একাধিক অ্যাপ চালানোর পারফিশন দেয়।

এটি বিশেষ করে এমন গেমারদের জন্য Useful যারা একই সময়ে একাধিক গেম খেলতে চান বা যারা একই অ্যাপের একাধিক অ্যাকাউন্ট চালাতে চান তাদের জন্য।

মাল্টি-ইন্সট্যান্সের সাহায্যে আপনি ক্রমাগত অ্যাপ্লিকেশানগুলি বন্ধ এবং পুনরায় ওপেন করা ছাড়াই একাধিক অ্যাপ এবং অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে সহজেই স্যুইচ করতে পারবেন৷

 

এবার আসি কিভাবে App টি ব্যবহার করবেন। Step By Step Guide করার চেষ্টা করবো।

 

1) App টি Download করে Install করুন আপনার পিসিতে। Install এর সময় আপনি যে Os টি Install করতে চান এবং App টি কোন Drive এ Install করতে চান সেটি Select করুন।

২) Terms & Conditions ভালোমতো পরে Install করুন।

৩) আপনার Google Account দিয়ে Playstore থেকে শুরু করে অন্যান্য App এ Sign In করুন।

৪) এরপর আপনার প্রয়োজনমতো সব Apps Download করে নিন। আপনি চাইলে Download Location থেকে বিভিন্ন Hardware Settings, Display Settings সব পাল্টাতে পারবেন Settings Option এ গিয়ে।

Bluestacks এর Best Alternative হলো Ldplayer9. এটায় আমি যেকোনো গেমে 60fps পেয়েছি 8GB RAM নিয়ে। যাদের 16GB RAM + ভালো প্রসেসর রয়েছে তারা আরো Better Result পাবেন।

 

 

 

৭. কিভাবে আপনার Slow কম্পিউটারের Speed বাড়াবেন?

একটি Slow কম্পিউটার খুবই বিরক্তিকর কারন হতে পারে প্রতিটি মানুষের জন্যেই যারা Pc ব্যবহার করেন।

আপনি কাজ করার চেষ্টা করছেন, গেম খেলছেন বা শুধুমাত্র ওয়েব ব্রাউজ করছেন এমন সময় একটি Slow কম্পিউটার আপনাকে আটকে রাখবে এবং আপনার সময় নষ্ট করবে।

আপনাকে যা যা করতে হবে একটি Slow Pc কে Fast করার জন্যে তা এখানে আমি Explain করার চেষ্টা করবো। মনযোগ দিয়ে পড়ুন শেষ পর্যন্ত।

১) Uninstall Unused Programs :

একটি Slow কম্পিউটারের প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল অনেকগুলি প্রোগ্রাম ইনস্টল করা। সময়ের সাথে সাথে, আপনি এমন প্রোগ্রামগুলি ইনস্টল করতে পারেন যা আপনার আর ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

এই প্রোগ্রামগুলি শুধুমাত্র আপনার হার্ড ড্রাইভেই স্থান নেয় না বরং তারা Valuable Resources ব্যবহার করে এবং আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে দেয়।

আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য, কন্ট্রোল প্যানেলে যান এবং “Programs and features” সিলেক্ট করুন। প্রোগ্রামগুলির List Review করুন এবং আপনার আর ব্যবহার বা প্রয়োজন নেই এমন প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম Uninstall করুন।

 

২) Run a disk cleanup :

ডিস্ক ক্লিনআপ একটি সহজ Process যা আপনার হার্ড ড্রাইভ থেকে অস্থায়ী ফাইল, সিস্টেম ফাইল এবং অন্যান্য জাঙ্ক ফাইলগুলিকে সরিয়ে দেয়।

এই ফাইলগুলি Valuable Resource নিতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে দিতে পারে, তাই নিয়মিতভাবে সেগুলি পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ এর ভিতরে পড়ে৷

একটি ডিস্ক ক্লিনআপ চালানোর জন্য স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন এবং সার্চ বারে “Disk Cleanup” টাইপ করুন।

আপনি যে ড্রাইভটি ক্লিন করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং তারপরে “Clean System Files” Button টিতে ক্লিক করুন।

 

৩) Disable startup programs :

আপনার কম্পিউটার শুরু হলে কিছু প্রোগ্রাম automatically শুরু হয় এবং এগুলো আপনার কম্পিউটারকে Slow করে দিতে পারে।

আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আপনি সেই প্রোগ্রামগুলিকে Disable করতে পারেন যেগুলি আপনাকে automatically শুরু করতে হবে না।

এটি করতে, স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন। সার্চ বারে “Task Manager” টাইপ করুন এবং তারপরে “Task manager” অপশনটি সিলেক্ট করুন।

Task Manager এ “startup” ট্যাবে ক্লিক করুন, এবং তারপরে এমন কোনও প্রোগ্রাম Disable করুন যা আপনাকে automatically start করতে হবে না বা আপনি চান না।

 

৪) Defragment your hard drive :

আপনি যখন আপনার হার্ড ড্রাইভে ফাইলগুলি সেভ করেন তখন সেগুলি খণ্ডিত (fragmented এর বাংলা। কারন অনেকেই এর মানে বুঝবে না) হয়ে সমস্ত ড্রাইভে ছড়িয়ে পড়ে।

সময়ের সাথে সাথে এটি আপনার কম্পিউটারকে Slow করে দিতে পারে। তাই আপনার হার্ড ড্রাইভকে নিয়মিত ডিফ্র্যাগমেন্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার হার্ড ড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে হলে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন, সার্চ বারে “Defragment” টাইপ করুন এবং তারপর “Defragment and Optimize Drives” অপশনটি সিলেক্ট করুন।

আপনি যে ড্রাইভটি ডিফ্র্যাগমেন্ট করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং তারপরে “অপ্টিমাইজ” বাটনটিতে ক্লিক করুন।

 

৫) Upgrade your hardware :

উপরের ধাপগুলি অনুসরণ করার পরেও যদি আপনার কম্পিউটার ধীরগতির হয়, তাহলে আপনার হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করার সময় হতে পারে।

আপনার RAM, হার্ড ড্রাইভ, বা গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করা আপনার কম্পিউটারের performance কে উন্নত করতে পারে।

আপগ্রেড করার আগে, আপনার কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট components গুলো নিয়ে Research করুন এবং নিশ্চিত করুন যে সেগুলি আপনার সিস্টেমের সাথে Compaitable।

 

৬) Clear your browser cache :

আপনার ওয়েব ব্রাউজার ঘন ঘন visit করা সাইটগুলির জন্য loading time fast করার জন্য আপনার visit করা ওয়েবসাইটগুলি থেকে টেম্পোরারি ফাইল এবং তথ্য সেভ করে রাখে।

সময়ের সাথে সাথে, এই Cache বা Temporary file গুলো বিশৃঙ্খল হয়ে যেতে পারে এবং আপনার ব্রাউজারকে Slow করে দিতে পারে।

আপনার ব্রাউজারের গতি বাড়ানোর জন্য, আপনি নিয়মিত আপনার Cache বা Temporary file গুলোকে delete করতে পারেন। এটি করতে আপনার ওয়েব ব্রাউজার খুলুন এবং সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন এবং “Privacy, Search & Services” Option টি Search করুন।

সেখান থেকে, আপনি আপনার Cache, Search History, Cookies, Download History এবং অন্যান্য অস্থায়ী ডেটা Delete করতে পারবেন

 

৭) Run virus and malware scans :

ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার আপনার কম্পিউটারকে Slow করে দিতে পারে, Crash করাতে পারে এবং এমনকি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যান চালানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যেমন Windows Defender বা Avast ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারের জন্য আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করতে৷

আপনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনার কম্পিউটার Infected হয়েছে, ম্যালওয়্যার রিমুভ করতে একটি Deep Scan চালান।

 

৮) Keep your drivers up to date :

আপনার কম্পিউটারের ড্রাইভার এর বিভিন্ন Components যেমন আপনার কীবোর্ড, মাউস এবং গ্রাফিক্স কার্ড কন্ট্রোল করে।

পুরানো ড্রাইভারগুলি Compatibility issue তৈরি করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারকে Slow করে দিতে পারে। আপনার ড্রাইভারগুলিকে আপ টু ডেট রাখতে আপনার কম্পিউটার বা Components এর জন্য Manufacturer এর ওয়েবসাইটে যান এবং Latest ড্রাইভারগুলি ডাউনলোড করুন৷

আপনি Process টি Automatically করতে ড্রাইভার আপডেট সফ্টওয়্যার যেমন ড্রাইভার বুস্টার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: IObit Driver Booster

 

৯) Disable visual effects :

উইন্ডোসে বেশ কিছু Visual effects রয়েছে যা আপনার কম্পিউটারকে Slow করে দিতে পারে যেমন Arrow glass effect, shadow এবং animation। আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আপনি এই Visual effects গুলোকে disable করে দিতেপারেন৷

এটি করতে আপনার ডেস্কটপে ডান বাটনে ক্লিক করুন।”personalization” সিলেক্ট করুন এবং তারপরে “Windows color and appearance” এ ক্লিক করুন।

সেখান থেকে, আপনি Visual effects বন্ধ করতে পারবেন এবং আপনার ডেস্কটপের জন্য একটি basic theme select করতে পারেন। এর ফলে আপনার কম্পউটার আরো Fast কাজ করবে।

 

১০) Upgrade to an SSD :

একটি SSD, বা Solid-state drive, একটি traditional হার্ড ড্রাইভের তুলনায় খুবই Fast এবং আরো reliable হার্ড ড্রাইভ। একটি SSD-তে আপগ্রেড করা আপনার কম্পিউটারের Speed আরো Effectively বাড়াতে পারে।

বিশেষ করে যখন বুট আপ করা হয়, প্রোগ্রাম চালু করা হয় এবং ফাইল এ অ্যাক্সেস করা হয় তখন আপনি বিশাল আকারের পার্থক্য দেখতে পাবেন।

আপগ্রেড করার আগে, Sure হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটার একটি SSD Support করে এবং আপনার বাজেটের জন্য সেরা SSD Research করে বের করুন।

আপনাকে আপনার হার্ড ড্রাইভটি SSD-তে ক্লোন করতে হবে, তাই কিছু Technical Knowledge থাকা আবশ্যক। আপনাকে একজন প্রফেশনালের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিবো আমি যদি আপনি এ বিষয়ে তেমন কিছুই না জানেন।

এই টিপসগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার ধীর কম্পিউটারের Speed বাড়াতে পারবেন এবং এটিকে আবার smoothly চালাতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই কোনো Professional ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাকে আগে দেখাবেন। একা একা কোনো কিছু করে সম্পূর্ণ Pc কে একেবারে অকেজো করে ফেলার থেকে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

 

৮.  আপনার পিসিকে কিভাবে Fully Customize করে নতুন এক Look দিবেন?

১) Change the desktop background :

আপনি আপনার পছন্দের ছবি বা সলিড কালারে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারেন। ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন এবং Personalization Select করুন এবং তারপরে পরিবর্তন করতে Background select করুন।

এবার আপনি যেভাবে ইচ্ছা আপনার ডেস্কটপ এর ব্যাকগ্রাউন্ড পাল্টান।

 

২) Customize the Start Menu :

আপনি স্টার্ট মেনুর সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন। টাইলস add করতে বা remove করতে পারেন এবং সেগুলিকে গ্রুপে সাজাতে পারেন। স্টার্ট মেনুতে ডান-ক্লিক করুন। more select করুন এবং তারপরে একটি tile add করতে Pin to start select করুন।

 

৩) Change taskbar color :

আপনি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিলিয়ে টাস্কবারের রঙ পরিবর্তন করতে পারেন বা আপনার পছন্দ মতো একটি রঙ সিলেক্ট করতে পারেন। ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন। Personalization select করুন এবং তারপর পরিবর্তন করতে Colour Select করুন।

 

৪) Use the theme :

আপনি Background, colour এবং sound সহ আপনার ডেস্কটপের look and feel পরিবর্তন করতে বিভিন্ন থিম ইনস্টল এবং ব্যবহার করতে পারেন। মাইক্রোসফ্ট স্টোরে যান এবং আপনার পছন্দের একটি খুঁজে পেতে থিমগুলি সার্চ করুন৷

 

৫) Change the lock screen :

আপনি লক স্ক্রীনের ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার পছন্দের ছবি বা একটি সলিড কালারে পরিবর্তন করতে পারেন। ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন। Personalization select করুন এবং তারপরে পরিবর্তন করতে লক স্ক্রিন সিলেক্ট করুন।

 

৬) Change the font size :

আপনি আপনার ডেস্কটপে ফন্টের সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন যাতে যেকোনো টেক্সট পড়তে সহজ হয় আপনার কাছে। ডেস্কটপে রাইট-ক্লিক করুন। ডিসপ্লে সেটিংস সিলেক্ট করুন এবং তারপর পরিবর্তন করতে টেক্সট, অ্যাপস এবং অন্যান্য আইটেমের সাইজ পরিবর্তন করুন।

 

৭) Pin frequently used apps to the taskbar :

এটা আমি প্রায়ই করে থাকি। সহজে অ্যাক্সেসের জন্য আপনি আপনার প্রায়শই ব্যবহৃত অ্যাপগুলিকে টাস্কবারে পিন করতে পারেন। অ্যাপটিতে ডান-ক্লিক করুন এবং Pin to taskbar select করুন।

 

৮) Customize the Action Center :

আপনি Action Center এ দেখানো নোটিফিকেশনগুলো ও নিউজগুলোকে কাস্টমাইজ করতে পারেন এবং ফাস্ট অ্যাকশনগুলিকে Rearrange করতে পারেন। সেটিংসে যান। System Select করুন এবং তারপরে পরিবর্তন করতে Notifications and Actions Select করুন।

 

৯) Create a custom keyboard shortcut :

আপনি নির্দিষ্ট কিছু একশন বা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কাস্টম কীবোর্ড শর্টকাট তৈরি করতে পারেন। এর জন্যে আপনি সেটিংসে যান। Easy Access Select করুন এবং তারপরে একটি কাস্টম শর্টকাট তৈরি করতে কীবোর্ড সিলেক্ট করুন।

 

১০) Enable Dark Mode :

আপনি যদি গাঢ় রঙের স্কিম পছন্দ করেন তবে আপনি Windows 10-এ dark mode enable করতে পারেন। সেটিংসে যান। এরপর Personalization Select করুন এবং তারপরে Colour Select করুন। Choose your colour এর জায়গায় Dark Colour Select করুন।

 

১১) Customize File Explorer :

আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে ফাইল এক্সপ্লোরারের Appearance Customize করতে পারেন। টাস্কবারে ডান-ক্লিক করুন। Toolbar Select করুন এবং তারপরে টাস্কবারে এড করতে ফাইল এক্সপ্লোরার সিলেক্ট করুন।

টাস্কবারের ফাইল এক্সপ্লোরার আইকনে ডান-ক্লিক করুন। Features Select করুন এবং তারপর একটি কাস্টম শর্টকাট তৈরি করতে শর্টকাট ট্যাব সিলেক্ট করুন।

 

১২) Add a gadget to the desktop :

আপনি আপনার ডেস্কটপে Clock, Calender এবং Weather Forecast এর মতো গ্যাজেট এড করতে পারেন। ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন। Gadget select করুন এবং তারপরে আপনি যে গ্যাজেটটি add করতে চান সেটি select করুন।

 

১৩) Change the size of the icons :

আপনি ডেস্কটপে আইকনগুলির সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন যাতে তাদের দেখতে সহজ হয়৷ ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন। View select করুন এবং তারপরে Large icon, Medium Icon বা Small icon select করুন।

 

১৪) Use a third-party software :

অনেক third-party software প্রোগ্রাম available রয়েছে যা আপনাকে Windows 10 কে আরও কাস্টমাইজ করতে সাহায্য করতে পারে৷ কিছু জনপ্রিয় এর মধ্যে রয়েছে rainmeter, start 10 এবং fance।

 

১৫) Customize power options :

আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে পাওয়ার অপশনগুলি কাস্টমাইজ করতে পারেন। যেমন : আপনি আপনার ল্যাপটপের ঢাকনা বন্ধ করলে বা পাওয়ার বাটন টিপলে কী ঘটবে তা বেছে নেওয়া। সেটিংসে যান। সিস্টেম সিলেক্ট করুন এবং তারপরে পরিবর্তন করতে Power and sleep select করুন।

 

১৬) Create a custom sound scheme :

আপনি বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য নির্দিষ্ট সাউন্ড ইফেক্ট সিলেক্ট করে একটি কাস্টম সাউন্ড স্কিম তৈরি করতে পারেন। যেমন : আপনি যখন লগ ইন করেন বা একটি নোটিফিকেশন পান তখন অটোমেটিক একটি সাউন্ড হবে যা Customizable।

এই কাজটি করিতে সেটিংসে যান। এরপর personalization select করুন এবং তারপরে একটি কাস্টম সাউন্ড স্কিম তৈরি করতে সাউন্ড সিলেক্ট করুন।

 

১৭) Pin files to the Start menu :

দ্রুত অ্যাক্সেসের জন্য আপনি প্রায়শই ব্যবহৃত ফাইলগুলিকে স্টার্ট মেনুতে পিন করতে পারেন। ফাইলটিতে ডান-ক্লিক করুন, Pin to start সিলেক্ট করুন এবং তারপরে স্টার্ট মেনুতে পিন করতে ফাইলটি সিলেক্ট করুন।

 

১৮) Customize the context menu :

আপনি ডেস্কটপে বা ফাইল এক্সপ্লোরারে ডান-ক্লিক করলে যে Context Menu টি দেখায় সেটিকে কাস্টমাইজ করতে পারেন। আপনি items Add বা remove করতে পারেন এবং তাদের rearrange করতে পারেন।

 

১৯) Add a background image to the login screen :

আপনি লগইন স্ক্রিনে একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ এড করতে পারেন যাতে এটি personalized হয়। সেটিংসে যান। personalization select করুন এবং তারপরে একটি background image add করতে lock screen select করুন।

 

২০) Resize text, apps, and other items :

আপনি টেক্সট, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য আইটেমের সাইজ পরিবর্তন করতে পারেন যাতে সেগুলি সহজে দেখা যায়৷ সেটিংসে যান। System select করুন এবং তারপরে size পরিবর্তন করতে display select করুন।

 

২১) Disable notifications :

আপনি যদি notifications গুলোকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেন তবে আপনি সেগুলি disable করতে পারেন৷ এর জন্যে আপনি সেটিংসে যান। system select করুন এবং তারপরে notifications বন্ধ করতে Notification and action select করুন৷

 

২২) Use Live Wallpaper : আপনি আপনার ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ডে মুভমেন্ট এড করতে লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন Free & Paid Options Available রয়েছে।

 

২৩) Customize the taskbar :

আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে টাস্কবার কাস্টমাইজ করতে পারেন। যেমন ব্যবহার না করার সময় এটি Hide করে রাখা, সাইজ পরিবর্তন করা এবং নতুন আইটেম এড করা বা রিমুভ করা।

সেটিংসে যান। Personalization Select করুন এবং তারপরে পরিবর্তনগুলি করতে টাস্কবার সিলেক্ট করুন।

 

২৪) Add a slideshow to the lock screen : আপনি একটি সিরিজের ইমেজ দেখাতে লক স্ক্রিনে একটি স্লাইডশো এড করতে পারেন৷ এর জন্যে সেটিংসে যান। personalization select করুন এবং তারপরে একটি Slideshow Add করতে Lock Screen Select করুন।

 

২৫) Change the File Explorer background :

আপনি আপনার ডেস্কটপের ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিলে বা একটি কাস্টম ইমেজ ব্যবহার করতে ফাইল এক্সপ্লোরারের ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে পারেন। ডেস্কটপে ডান-ক্লিক করুন। এরপর personalization select করুন এবং তারপরে ফাইল এক্সপ্লোরারের background পরিবর্তন করতে colour select করুন।

 

২৬) Use Windows Ink Workspace :

আপনি নোট নিতে, আঁকতে এবং অন্যান্য pen-friendly অ্যাপ ব্যবহার করতে উইন্ডোজ ইঙ্ক ওয়ার্কস্পেস ব্যবহার করতে পারেন। উইন্ডোজ ইঙ্ক ওয়ার্কস্পেস অ্যাক্সেস করতে টাস্কবারের পেন আইকনে ক্লিক করুন।

 

২৭) Change the default browser :

আপনি ডিফল্ট ব্রাউজারটিকে আপনার পছন্দের ব্রাউজারে পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন : Google Chrome, Mozilla Firefox, বা Microsoft Edge। সেটিংসে যান। অ্যাপস সিলেক্ট করুন এবং তারপর ডিফল্ট ব্রাউজার পরিবর্তন করতে ডিফল্ট অ্যাপ সিলেক্ট করুন।

 

২৮) Customize the Action Center :

আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে অ্যাকশন সেন্টার কাস্টমাইজ করতে পারেন। যেমন আইটেম এড করা বা রিমুভ করা এবং কালার পরিবর্তন করা। সেটিংসে যান। Personalization Select করুন এবং তারপরে পরিবর্তন করতে Colour Select করুন।

 

 

৯. কিভাবে আপনার Slow কম্পিউটারের Speed বাড়াবেন?

 

১) Disable startup programs :

আপনি যখন আপনার কম্পিউটার চালু করেন তখন অনেক প্রোগ্রাম automatically চলে, যা বুট প্রসেসকে স্লো করে দিতে পারে।

আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আপনি অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলি disable করতে পারেন। এটি করার জন্য টাস্ক ম্যানেজার খুলতে Ctrl + Shift + Esc টিপুন “স্টার্টআপ” ট্যাবে ক্লিক করুন এবং আপনার automatically চালানোর প্রয়োজন নেই এমন সব প্রোগ্রাম disable করুন।

 

২) Use Disk Cleanup :

উইন্ডোজে একটি ডিস্ক ক্লিনআপ টুল রয়েছে যা অস্থায়ী ফাইল, সিস্টেম ফাইল এবং অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় ডেটা সরিয়ে আপনার হার্ড ড্রাইভের জায়গা খালি করতে পারে।

ডিস্ক ক্লিনআপ চালানোর জন্য উইন্ডোজ কী + এক্স টিপুন এবং “ডিস্ক ক্লিনআপ” এ ক্লিক করুন। সেখান থেকে আপনি যে ফাইলগুলি সরাতে চান তা নির্বাচন করুন এবং আরও জায়গা খালি করতে “Clean up system files” এ ক্লিক করুন।

 

৩) Disable unnecessary services :

Windows ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক সার্ভিস চালায় যার মধ্যে কিছু আপনার ব্যবহারের জন্য অপ্রয়োজনীয় হতে পারে। আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আপনার প্রয়োজন নেই এমন সার্ভিসগুলি ডিজেবল করে দিতে পারেন৷

এটি করার জন্য উইন্ডোজ কী + R টিপুন, “services.msc” টাইপ করুন এবং এন্টার টিপুন। সেখান থেকে আপনি সেগুলিতে ডান-ক্লিক করে “Properties” সিলেক্ট করে সার্ভিসগুলি ডিজেবল করতে পারেন। তারপর “Startup type” পরিবর্তন করে “Disable” করতে পারেন৷

 

৪) Add more RAM :

Random access memory (RAM) হল এক ধরনের মেমরি যা আপনার কম্পিউটারকে একই সময়ে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে সাহায্য করে । একাধিক প্রোগ্রাম চালানোর সময় যদি আপনার কম্পিউটার স্লো হয় তাহলে আরও RAM যোগ করলে তা গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

আরও RAM যোগ করার আগে আপনার কম্পিউটার দ্বারা Maximum Supported Amount of RAM Test করুন এবং আপনার সিস্টেমের জন্য Compaitable RAM কিনুন।

 

৫) Use a registry cleaner :

রেজিস্ট্রি হল একটি ডাটাবেস যা উইন্ডোজ এবং আপনার ইনস্টল করা প্রোগ্রামগুলির জন্য কনফিগারেশন সেটিংস সেভ করে।

সময়ের সাথে সাথে রেজিস্ট্রি Out of date এবং অপ্রয়োজনীয় ডেটা দিয়ে বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে যা আপনার কম্পিউটারকে স্লো করে দিতে পারে।

আপনার Registry Clean করতে, আপনি একটি রেজিস্ট্রি ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন, যেমন CCleaner। অপ্রয়োজনীয় ডেটা স্ক্যান করতে এবং রিমোভ করতে এমন টুল আপনাকে সাহায্য করবে।

 

৬) Disable background apps :

Windows এ অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে এমনকি যখন আপনি সেগুলি ব্যবহার করছেন না তখনও। যা আপনার কম্পিউটারকে স্লো করে দিতে পারে।

আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্য আপনি সেটিংস অ্যাপে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ডিজেবল করতে পারেন। এটি করতে, সেটিংস অ্যাপে যান, “Security” এ ক্লিক করুন এবং তারপরে “Let apps run in the background” এর জন্য Toggle Switch টি Off করুন৷

 

৭) Use sleep mode instead of turning off :

আপনি যখন আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ করে দেন তখন এটিকে স্লিপ মোডে রাখার চেয়ে আবার চালু হতে বেশি সময় লাগে। স্লিপ মোড কম পাওয়ার ব্যবহার করে এবং আপনি যখন আপনার কম্পিউটারে ফিরে আসেন তখন আপনাকে দ্রুত আপনার কাজ পুনরায় শুরু করতে দেয়।

আপনার কম্পিউটারকে স্লিপ মোডে রাখতে, Windows কী + X টিপুন এবং “Sleep” এ ক্লিক করুন।

 

৮) Install an anti-virus program :

আপনার কম্পিউটারে একটি reliable antivirus program insta থাকা এটিকে malware এবং virus থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে যা আপনার কম্পিউটারকে slow করে দিতে পারে।

আপনার অ্যান্টি-ভাইরাস প্রোগ্রাম আপ-টু-ডেট রাখুন এবং আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত আছে তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত স্ক্যান চালান।

 

৯) Keep your drivers up to date :

ড্রাইভার হল সেই সফ্টওয়্যার যা আপনার কম্পিউটারকে হার্ডওয়্যারের সাথে contact করতে দেয় যেমন প্রিন্টার এবং সাউন্ড কার্ড।

আপনার ড্রাইভারগুলিকে আপ-টু-ডেট রাখা আপনার হার্ডওয়্যারের পারফরম্যান্স ইমপ্রুভ করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারে।

আপনার ড্রাইভার আপডেট করতে আপনি ড্রাইভার বুস্টারের মতো একটি ড্রাইভার আপডেটার টুল ব্যবহার করতে পারেন অথবা লেটেস্ট ড্রাইভার ডাউনলোড করতে আপনার হার্ডওয়্যারের জন্য ম্যানুফেকচুরারের ওয়েবসাইটে যান।

১০) Use a gaming optimizer :

আপনি যদি একজন গেমার হন তবে একটি গেমিং অপ্টিমাইজার আপনার কম্পিউটারের স্পিড বাড়াতে এবং আপনার গেমিং পারফরম্যান্স উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

একটি গেমিং অপ্টিমাইজার যেমন : Razer Cortex আপনার কম্পিউটারের সেটিংস অপ্টিমাইজ করতে পারে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস বন্ধ করতে পারে এবং আপনার গেমিং এক্সপেরিয়েন্স ইমপ্রুভ করতে রিসোর্স খালি করতে পারে।

আপনার কম্পিউটার পরিষ্কার করুন
সময়ের সাথে সাথে ধুলো-বালি আপনার কম্পিউটারের ভিতরে জমা হতে পারে, যা আপনার Pc components গুলোর পারফরম্যান্স Slow করে দিতে পারে।

আপনার কম্পিউটার পরিষ্কার করা আপনার Pc components performance improvr করতে পারে এবং তাদের life expectancy বাড়াতে পারে।

১১) Run a disk check :

একটি ডিস্ক চেক আপনার হার্ড ড্রাইভে Error Scan এবং repair করতে পারে যা আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে উন্নত করতে পারে।

একটি ডিস্ক চেক চালানোর জন্য উইন্ডোজ কী + X টিপুন, “command prompt (admin)” এ ক্লিক করুন এবং তারপরে “chkdsk c: /f /r” টাইপ করুন। এটি error গুলির জন্য আপনার হার্ড ড্রাইভটি test করবে এবং পাওয়া যায় এমন কোনও সমস্যা থাকলে তা ঠিক করবে।

 

১২) Use a PC optimizer :

একটি পিসি অপ্টিমাইজার হল একটি সফ্টওয়্যার টুল যা আপনার সেটিংস অপ্টিমাইজ করে এবং রিসোর্স ফ্রি করে আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে৷

একটি পিসি অপ্টিমাইজার যেমন Advanced System Optimizer, আপনার রেজিস্ট্রি ক্লিন করে আপনার হার্ড ড্রাইভ অপ্টিমাইজ করে এবং অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসগুলোকে ডিজেবল করে আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে৷

 

১৩) Upgrade your graphics card :

আপনি যদি একটি পুরানো গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করেন একটি নতুন কার্ডে আপগ্রেড করা আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে ইম্প্রুভ করতে পারে বিশেষ করে যদি আপনি গ্রাফিক্স-নির্ভর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন, যেমন ভিডিও এডিটিং বা গেমিং।

আপগ্রেড করার আগে, জেনে নিন যে আপনার কম্পিউটার নতুন গ্রাফিক্স কার্ড সাপোর্ট করতে পারে কি না এবং এটি আপনার মাদারবোর্ডের সাথে সাপোর্টেড।

 

১৪) Use a faster internet connection :

একটি slow internet connection আপনার কম্পিউটারকে slow করে দিতে পারে এবং আপনার ব্রাউজিং experience কে effect করতে পারে। আপনার যদি একটি slow connection থাকে তাহলে আপনি একটি দ্রুততর একটিতে আপগ্রেড করার কথা চিন্তা করতে পারেন কেননা এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার নিজেই ঘোড়ার মতো দৌড়াবে।

 

১৫) Disable background apps :

ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ্লিকেশনগুলি Resource Consume করতে পারে এবং আপনার কম্পিউটারকে স্লো করে দিতে পারে। Resource খালি করতে আপনি টাস্ক ম্যানেজারে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্লিকেশন ডিজেবল করতে পারেন।

টাস্ক ম্যানেজার অ্যাক্সেস করতে Ctrl + Shift + Esc কী টিপুন, বা টাস্কবারে ডান-ক্লিক করুন এবং “টাস্ক ম্যানেজার” নির্বাচন করুন। সেখান থেকে আপনি যে অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডিজেবল করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং “end task” এ ক্লিক করুন।

 

১৬) Disable browser extensions :

ব্রাউজার এক্সটেনশন রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে এবং আপনার ব্রাউজিং এক্সপেরিয়েন্সকে স্লো করে দিতে পারে।

রিসোর্স খালি করতে আপনি ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলি ডিজেবল করতে পারেন যা আপনার আর প্রয়োজন নেই৷ এটি করার জন্য আপনার ব্রাউজারের উপরের-ডান কোণায় তিনটি ডটে ক্লিক করুন “More tools” সিলেক্ট করুন এবং তারপরে “extension” এ ক্লিক করুন।

সেখান থেকে আপনি যে এক্সটেনশনগুলি ডিজেবল করতে চান তা সিলেক্ট করুন এবং “রিমুভ” এ ক্লিক করুন।

কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই কোনো Professional ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাকে আগে দেখাবেন। একা একা কোনো কিছু করে সম্পূর্ণ Pc কে একেবারে অকেজো করে ফেলার থেকে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

 

তো আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
ইনশাল্লাহ দেখা হবে পরের কোনো পোস্টে।
ততক্ষনের জন্যে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
THIS IS 4HS4N
LOGGING OUT…..