কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনেক সময়ই একটি কমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং তা হচ্ছে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ফেইলর সমস্যা। এই সমস্যাটির কারণে অনেকে অনেক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই জমিয়ে রাখা বিলুপ্ত প্রায় কালেকশন হারিয়ে ফেলেন। এটা মূলত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপর। আর সমস্যার গভীরতাও মূলত নির্ভর করে কম্পিউটারটি দিয়ে ঠিক কী কাজ করা হয় তার উপরে।
খেয়াল করুন, হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা যায় ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে, তাই এখানকার পয়েন্টগুলো বেশির ভাগই ডেস্কটপ কম্পিউটারকে ঘিরেই লেখা। যদিও, অনান্য পয়েন্টগুলো ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভের লাইফ এক্সপান্ডের ক্ষেত্রে সমান ভাবেই কাজে আসবে।
১। ভালো মানের সার্জ প্রোটেকশন সম্বলিত একটি ইউপিএস কিনতে চেষ্টা করবেন। সার্জ প্রোটেকশন মূলত বাড়তি পাওয়ারকে কনট্রোল করে এবং আপনার ডিভাইস পর্যন্ত সেই এক্সেসিভ পাওয়ারকে পৌছাতে দেয় না। এর ফলে ঝড়-বৃষ্টির দিনে বজ্রপাত বা খারাপ পাওয়ার সোর্স থেকে আপনার কম্পিউটার তথা হার্ড ড্রাইভকে সুরক্ষিত রাখবে। এক্সেসিভ পাওয়ার হার্ড ড্রাইভের ফাস্ট এবং কমপ্লিট ফেইলরের জন্য দায়ী। এছাড়াও, ইউপিএস থাকার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও আপনি ম্যানুয়ালি নিরাপদভাবে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ করতে পারবেন। ফলে শুধু হার্ড ড্রাইভই নয় বরং আপনার কম্পিউটারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্টগুলোও সুরক্ষিত থাকবে।
২। লং-টার্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার উচিৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আপনার কম্পিউটারটি রাখা। অন্তত এরকম যেন না হয় যেন হঠাৎ হঠাৎ আপনার সেই রুমটির তাপমাত্রা অস্বাভাবিক আকারে পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়া, খেয়াল রাখবেন এয়ার ভেন্টগুলোর সামনে যেন অবশ্যই কোন প্রকার অবস্টাকল না থাকে। ডেস্কটপের এয়ার কুলার সিস্টেম বেশ বড় এবং খোলামেলা হলেও ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ছোট্ট এয়ার ভেন্ট থাকায় ল্যাপটপের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিৎ।
৩। খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন আমাদের কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফিচার রয়েছে। এগুলো অনেকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, কিন্তু এগুলো মোটেও অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং এগুলোর মাধ্যমেই আপনার কম্পিউটারটি তথা হার্ড ড্রাইভটি স্লিপ মোডে যাবে বা হাইবারনেট হবে তা নির্ধারন করা হয়। তবে আপনি যদি কাজ শেষে সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার বন্ধ করে রাখতে পারেন তবে সবচাইতে ভালো হয়। আর রাতে কাজ শেষে সম্পূর্ণভাবে শাটডাউন করার অভ্যাসটা তৈরি করে নেয়াটাই শ্রেয়।
৫। মাঝে মধ্যেই ড্রাইভ মনিটর করা উচিৎ। ডিফ্র্যাগমেন্ট, ডিস্ক এরর চেকিং ইত্যাদি আপনার হার্ড ড্রাইভের লাইফ এক্সটেন্ড করতে সাহায্য করবে।
এই ছিল আজকের আয়োজন। উপরের পদ্ধতিগুলো সব ক্ষেত্রেই আপনার হার্ড ড্রাইভের লাইফ হয়তো এক্সটেন্ড করতে পারবেনা কিন্তু আপনার হার্ড ডিস্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে অবশ্যই
হার্ডডিস্ক ভালো রাখার ৫টি অনন্য উপায়… In কম্পিউটার টিপস