বর্তমানে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা প্রদানকৃত সফটয়্যারটি হলো কণ্ঠ কীবোর্ড, এই কীবোর্ড এর মাধ্যমে অভ্র এর মত করে ফোনেটিকের মত বাংলা লেখা যাবে+গুগলের জিবোর্ড এর মতো একটি শব্দ লেখার পর আরেকটি শব্দ সাজেস্ট করবে, অর্থাৎ নেক্সট ওয়ার্ড প্রেডিকশন দেখাবে+ কণ্ঠ কীবোড এর মাধ্যমে ভয়েজ টাইপিংও করা যাবে+ বিজয়ের মত লেআউটে sutonnymj ফন্টে লেখা যাবে, কনভার্টারের মাধ্যমে লেখা কনভার্টও করা যাবে। এমনকি এই কীবোর্ড দিয়ে ইমোজীও ব্যবহার করা যাবে! সেই সাথে চাইলে নতুন লেআউট বানিয়ে নেয়ার সুযোগও থাকছে এবং নতুন এনকোডিংও বানিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। জেমিনি এ.আই ব্যবহার করে বাংলা লেখা ট্রান্সলেট করে ইংলিশে রুপান্তর করা যায়, ইংলিশ থেকে বাংলাতেও রুপান্তর করা যায়, যেকোনো লেখা সিলেক্ট করে সামারাইজও করা যায়। বর্তমানে এটি একটি ফিচার প্যাক্ট কীবোর্ড, অটোমেশন সহ প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে আসছে এই কীবোর্ডে। নিচে এক নজরে দেখে নেয়া যাক কণ্ঠ কীবোর্ডের ফিচার সমূহ:

কণ্ঠ কীবোর্ড এর সুবিধা সমূহ:

 

    • লেখার সময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে শব্দ সাজেস্ট করে (বাংলা ও ইংরেজি উভয়ই)।
    • বাংলা ফনেটিকের সাহায্যে, সহজেই বাংলা টাইপ করা যায় অভ্রের মত। এছাড়াও, ইউনিবিজয়ের মতো নিরালা ইউনি লেআউট এবং বিজয়ের মতো নিরালা লেআউটেও টাইপ করা সম্ভব।
    • আউটপুট হিসেবে Unicode, ANSI 1 (Kalpurush ANSI) ও ANSI 2 (SutonnyMJ) তিন রকম এনকোডিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
    • লেখার সময় বানান ভুল হলে সম্ভাব্য সঠিক শব্দ সাজেস্ট করে।
    • প্রো ভার্সন-এ গুগল এপিআই ব্যবহার করায়, কোন একটি শব্দ ডিকশনারিতে সেভ না করা থাকলেও তা সাজেস্ট করবে।
    • মাত্র তিন ক্লিকেই নতুন কোনো শব্দ যুক্ত করা বা এডিট করা যায়।
    • একটি শব্দ চারটি ভিন্ন ভাবে লেখা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারেন।
    •  Speech to Text এর মাধ্যেমে ভয়েস টাইপিং করা সম্ভব যে কোন জায়গায়। (বাংলা এবং ইংলিশ উভয়ই) (প্রো ফিচার)
    •  ভয়েস টাইপিং এর সময় বাংলা Bangla Output as, ANSI সেট করা থাকলে লেখা সরাসরি সে অনুযায়ী কনভার্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ ভয়েজ দিয়েও বিজয় আন্সি এনকোডিংয়ে Sutonnymj ফন্টে লেখা যাবে (প্রো ফিচার)
    • Gemini AI এর সাহায্যে লেখাকে বিভিন্ন ভাবে মোডিফাই করা যায়। বানান ভুল থাকলে কারেকশন করা যায়, ট্রান্সলেট করা যায় ইংরেজী থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজীতে, এছাড়া লেখা সামারাইজও করা যায় (প্রো ফিচার)
    • Shift প্রেস করে কণ্ঠ টপ বার Hover করে Cloud Mode on করা যায়। যা ব্যবহারে কন্ঠের মেমোরি কনজামশন অনেকাংশে কমে যায়। (প্রো ফিচার)
    • একটি শব্দ লিখলে সম্ভাব্য পরের শব্দ সাজেস্ট করে সাজেশনে, ফলে অল্প সময়ে শুদ্ধতাও নিশ্চিত করে লেখা যায় সহজেই (প্রো ফিচার)
    • প্রয়োজনে ইউনিকোড থেকে বিজয়ে কনভার্ট করে নেওয়া যায় কণ্ঠের অফলাইন কনভার্টারের মাধ্যমে।
    • বাংলা মোড থাকা অবস্থাতেই লেখার মাঝে খুব সহজেই শব্দ কে ইংলিশে কনভার্ট করা যায় (F1 press করে)।
    • ওয়ার্ড ম্যানেজার এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেরকে অভিধানে উপস্থিত লক্ষ লক্ষ বাংলা ও ইংরেজি শব্দ সহজে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
    • Abbreviation এর মাধ্যমে ছোট শব্দকে সম্পূর্ণ লেখায় কনভার্ট করা সম্ভব। যেমন: brb: Be right back, atm: At the moment. এরকমভাবে বড় প্যারাগ্রাফও অল্প শব্দ দিয়ে সেভ করে ব্যবহার করা যাবে।
    • এই অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন ফাংশন এর শর্টকাট নিজের ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করে নেওয়া যায়।
    • এছাড়াও কাস্টমাইজ করা যায় ওয়ার্ড সাজেশন উইন্ডোর ফন্ট ফ্যামিলি, সাইজ, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, বর্ডার রেডিয়াস ইত্যাদি।
    • এতে রয়েছে অ্যাডভান্স On screen keyboard, যেখানে বাংলা এবং ইংরেজি কিবোর্ড এর পাশাপাশি স্পেশাল ক্যারেক্টার ও ইমোজি কালেকশন রয়েছে।
    • এছাড়াও লেখার গতি বাড়াতে রয়েছে অসংখ্য টুল।

 

তবে জেনে রাখা প্রয়োজন, মাইক্রোসফট স্টোরে আপডেট আসতে বিলম্ব হতে পারে, তাই ওয়েবসাইট থেকে লেটেস্ট ভার্সন ডাউনলোড করা যাবে। তবে ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোডকৃত সফটওয়্যার ইন্সটলের সময় এন্টিভাইরাস ফলস পজেটিভ হিসেবে ডিটেক্ট করতে পারে। এক্ষেত্রে সমস্যা হলে মাইক্রোসফট স্টোর থেকে ইন্সটল করলে এন্টিভাইরাস সমস্যা করবেনা।

Happy Typing…

4 thoughts on "চলে এলো অসাধারণ বাংলা কীবোর্ড (Kontho Keyboard)! জিবোর্ড, অভ্র এবং বিজয়ের সব সুবিধা একত্রে!"

  1. Rafi Anan Shaon Contributor says:
    Is it possible to premium????
    1. SIFATBOY Author Post Creator says:
      Yes, it is possible.
  2. Saimum Raihan Author says:
    টাইটেল এ লিখেছেন Gboard এর ও সুবিধা পাওয়া যাবে, আপনি কী আদৌ এটা জানেন যে Gboard পিসি এর কোনো কি-বোর্ড সফটওয়্যার নয়! তা শুধুমাত্র মোবাইল ওএস এ উপলব্দ!!
    1. SIFATBOY Author Post Creator says:
      ভাই বোধহয় পোস্ট ভালোভাবে পড়েন নি, জীবোর্ড এর মত ভয়েজ ইনপুট এর মাধ্যমেও লেখা যাবে এবং ওয়ার্ড প্রেডিকশন ফিচারও ব্যবহার করা যাবে এমনকি ইমোজী ব্যবহার করা যাবে। যাহা জীবোর্ডের ফিচারের সাথে মেলে এবং অন্য আর কোনো উইন্ডোজ কীবোর্ডে এসব ফিচার আপাতত নেই। ধন্যবাদ।

Leave a Reply