ব্যবহার হবে , যত বেশি সফটওয়্যার ও
বিভিন্ন ইউটিলিটি ইনস্টল হবে , তত
বেশি ধীর হতে থাকবে। বলা যায়,
এটিই স্বাভাবিক এক প্রক্রিয়া।
এছাড়া কমপিউটারের বিভিন্ন
সমস্যার আরো অনেক কারণ রয়েছে।
ওয়েব সার্ফ দ্রুততর করা, ল্যাপটপের
ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো,
প্রসেসরের
ক্ষমতা বাড়ানো, উইন্ডোজকে দ্রুততর
সময়ের মধ্যে চালু করা এবং পিসির
আয়ু বাড়ানোর লক্ষ্যে
ব্যবহারকারীর
পাতায় এবার উপস্থাপন করা হয়েছে
১০টি প্রয়োজনীয় ও সহায়ক টিপ বা
কৌশল।
০১ . সিলেক্ট করা প্রোগ্রামের গতি
বাড়ানো
উইন্ডোজ একসাথে কয়েকটি ভিন্ন
ভিন্ন প্রোগ্রাম চালু করতে পারে।
অনেক কাজ চালু থাকায় আপনার
কাজের গতি কমে যাবে এটাই
স্বাভাবিক। এ সমস্যা ফিক্স করার
জন্য উইন্ডোজ সুনির্দিষ্ট
প্রোগ্রামের জন্য আরো বেশি
প্রসেসিং পাওয়ারের কথা বলে।
এবার Taskbar- এ ডান ক্লিক করে Task
Manager বেছে নিতে হবে। এবার
Processes ট্যাব সিলেক্ট
করে প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্ট এন্ট্রি
খুঁজে বের করে ডান ক্লিক করুন। এরপর
Set Priority নির্দিষ্ট করে একটি
প্রায়োরিটি সেটিং সিলেক্ট
করতে
হবে। তবে Realtime বেছে নেয়া ঠিক
হবে না , যদি না আপনার কাজ
সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হতে
পারছেন।
আপনার বেছে নেয়া প্রায়োরিটি
স্থায়ী নয় , তাই যখন পিসি রিস্টার্ট
করা হয় তখন ওই সেট করা
প্রায়োরিটি ভুলে যায়। তবে
প্রায়োরিটি স্থায়ীভাবে সেট
পারবেন বাড়তি সফটওয়্যার ব্যবহার
করে।
০২ . হয়ে উঠুন বেনামী এবং
অনুসরণসাধ্য
বিদ্যমান বিভিন্ন ওয়েব
ব্রাউজারে
আছে প্রাইভেট ব্রাউজিং মোড ,
যা
ব্যবহার করে আপনি সীমিত করতে
পারবেন আপনার ভিজিট করা
ওয়েবসাইটের রেকর্ড হওয়া তথ্য।
তবে
অনলাইনে আপনার কার্যকলাপের
চিহ্ন থেকেই যাবে। প্রকৃত
বেনামীদের জন্য প্রোটেকশনের
অনেক অফার রয়েছে। এগুলো
ডাউনলোড করে নিন। যেকেউ
এগুলো
ব্যবহার করে অ্যানালাইসিস করতে
পারবেন আপনার ব্রাউজিংকে।
আপনাকে ট্র্যাকের জন্য এটি অবশ্য
যথাযথ উপায় নয় , কেননা আপনাকে
ট্র্যাক করার জন্য আরো কিছু
অ্যাডভান্স উপায় রয়েছে।
০৩ . দূর থেকে কমপিউটারে
অ্যাক্সেস
করা
এমন এক সময় আসবে, যখন এক
কমপিউটার থেকে আরেক
কমপিউটারে অ্যাক্সেস করা
প্রয়োজন হবে , আবার অন্যরা সম্ভবত
তার সহায়তা অফার করবে বা গ্রহণ
করবে। দূর থেকে কমপিউটারে
অ্যাক্সেস পরীক্ষা করার জন্য
সবচেয়ে ভালো হয় সমস্যাযুক্ত
কমপিউটার নিয়ে বসা , তারপর
ভালো
হয় রিমোট অ্যাক্সেসে চেষ্টা
করা।
এক্ষেত্রে টিমভিউয়ার এক চমৎকার
টুল। এই টুলের জন্য উইন্ডোজ,
আইপ্যাডের ভার্সন যেমন রয়েছে
তেমনি রয়েছে ম্যাক , লিনআক্স
এবং
অ্যান্ড্রয়িড ডিভাইসের ভার্সন।
উইন্ডোজ ভার্সনকে নিয়মিতভাবে
ব্যবহারের জন্য ইনস্টল করা যায় অথবা
ব্যবহার করা যায়। এর অর্থ হচ্ছে এটি
কোনো চিহ্ন পেছনে রেখে যায়
না।
এটি আপনার বিশ্বস্ত লোকদেরকে
রিমোট অ্যাক্সেসের সুবিধা অফার
করেন। তাই এটি আপনার কমপিউটার
এবং ডকুমেন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণের
সুবিধাও অফার করে।
০৪ . ব্যাটারির আয়ু উন্নত করা
উইন্ডোজ ৭ ও ভিস্তার Power Scheme
ব্যবহার করে ল্যাপটপের আয়ু
বাড়ালো যায়। এই মোড পাওয়ার
সেভ
করার জন্য প্রসেসরকে ধীর করে এবং
যখন দরকার হয় তখনই দ্রুততম গতিতে
রান করতে দেয়। এ কাজটি
মোটামুটিভাবে তাৎক্ষণিকভাবে
করে। সুতরাং এ কর্মকান্ড খুব কমই
বুঝা যাবে।
স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে Power টাইপ
করুন এবং Power Options – এ ক্লিক করুন।
এবার ‘ Balanced ( recommended)’ রেডিও
বাটন সিলেক্ট করে উইন্ডো বন্ধ করুন।
ল্যাপটপ ব্যবহার করে ভিন্ন সেটিং ,
যেহেতু ল্যাপটপে পাওয়ার যুক্ত
থাকতে পারে , আবার নাও থাকতে
পারে। সুতরাং এই টিপ বা কৌশলটি
দু ’ বার কার্যকর করতে হবে। একবার
বিদ্যুৎ সংযুক্ত অবস্থায় , আরেকবার
বিদ্যুৎবিহীন তথা বিদ্যুৎ
সংযোগবিহীন অবস্থায় কার্যকর
করতে হবে। আপনি Power Saver অপশন
বেছে নিয়ে খুব সামান্যই
ব্যাটারির
আয়ু সেভ করতে পারেন। যদিও এতে
পারফরম্যান্স কিছুটা কমে যায়।