কম্পিউটারের এখন প্রসেরের গতি ও অন্যান্য
হার্ডওয়্যারের খুব একটা পার্থক্য থাকছে না।
আর এ কারণে পুরনো কম্পিউটার না ফেলে
দিয়ে সামান্য কয়েকটি পরিবর্তনেই তাকে নতুন
জীবন দেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে যে
পরিবর্তনগুলো আনতে পারেন তার মধ্যে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো র্যাম ও হার্ড ডিস্ক।
.
.
.
▶সলিড স্টেট হার্ড ডিস্ক
.
কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের মধ্যে নতুন
মডেলটি হলো সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি)।
এটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরে সংরক্ষিত
তথ্যকে আগের তুলনায় অনেক দ্রুত আপনার
সামনে নিয়ে আসতে পারে। আর এ কারণে
কম্পিউটারের গতিও ব্যবহারকারীর কাছে
অনেক বেশি বলে মনে হয়।
অনেকটা স্মার্টফোনের ফ্ল্যাশ স্টোরেজের
মতো কাজ করে এ এসএসডি। আর এর মূল কারণ
পুরনো হার্ড ডিস্কে রয়েছে।
পুরনো কম্পিউটারে আপনি যদি ভালো
পারফর্মেন্স চান তাহলে পুরনো হার্ড ডিস্ক
ফেলে দিয়ে তার বদলে লাগান এসএসডি। আর
এতে পার্থক্যটা নজর কাড়বে সহজেই।
বাজারে বেশি বড় আকারের এসএসডি পাওয়া
যায় না। কিংবা বেশি ধারণক্ষমতার এসএসডির
দাম অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে খরচ বাঁচাতে
চাইলে ১২০ জিবি থেকে শুরু করতে পারেন, যার
মূল্য বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা।
পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণের জন্য পুরনো হার্ড
ড্রাইভটিও রাখতে পারবেন।
.
.
.
▶র্যাম আপগ্রেড
.
কম্পিউটার সঠিকভাবে চালানোর জন্য ভালো
র্যামও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর এ কারণে
আপনি যদি বড় আকারের ফাইল নিয়ে কিংবা
একাধিক ফাইল নিয়ে কাজ করেন তাহলে
প্রায়ই কম্পিউটারের কাজ একরকম থেমে যেতে
পারে। এ সমস্যার সমাধান দিতে পারে র্যাম
আপগ্রেড।
আপনার পুরনো কম্পিউটারকে নতুন জীবন দিতে
যথাসম্ভব র্যাম বাড়িয়ে নেন তাহলে
পারফর্মেন্স বাড়বে নজর কাড়ার মতো।
কিন্তু আপনার কম্পিউটার কতখানি র্যাম
সাপোর্ট করে এটি জানার জন্য মাদারবোর্ডের
ম্যানুয়াল দেখতে হবে। এছাড়া কোন ধরনের
র্যাম সাপোর্ট করে এটিও জেনে নিতে হবে।
সম্ভব হলে বর্তমানে যে র্যাম ব্যবহার করছেন
তার দ্বিগুণ পরিমাণ র্যাম ব্যবহার করুন। এতে
আপনার নতুন কম্পিউটার কেনার প্রয়োজনীয়তা
অনেকাংশে কমে যাবে।
সকল সিমে ফ্রি নেট চালাতে
এখানে ক্লিক করুন