অনেকদিন পর লিখতে বসলাম। এইচএসসি পরীক্ষা, এডমিশন সবকিছু নিয়ে বিজি ছিলাম অনেকদিন। এখন ফ্রি, তো ভাবলাম নতুন কিছু শেয়ার করি।
তো চলুন শুরু করা যাক……
(নোটঃ পোস্টটা বিশেষভাবে যারা আমার মত ডাটা প্যাক কিনে পিসিতে নেট চালান তাদের জন্য। ব্রডব্যান্ড ভাইয়েরা স্কিপ করে যেতে পারেন)
আজকে যা নিয়ে লিখব তা হল Windows PC এর ডাটা ট্রাফিক(ডাটা ইউজ) কিভাবে কন্ট্রোল করবেন তা নিয়ে। মোটামুটি আমরা সবাই Android এ রুট থাকলে ফায়ারওয়াল, নো রুটে ভিপিএন, কিংবা সেটিং থেকে Background Data Restriction এসব ব্যবহার করে ডাটা কন্ট্রোল করে থাকি।
পিসিতে ভালো ভালো ফায়ারওয়াল সফটওয়ার থাকা সত্তেও আমরা পিসির ডাটা কন্ট্রোল নিয়ে তেমন সচেতন না। যেকারণে পিসিতে যদি ১ জিবি ডাটা নিয়ে ২০০ মেগাবাইটের কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে বসি তো ২০০ মেগাবাইট ডাউনলোড হয় না, কিন্তু আমার ১ জিবি পুরোই শেষ হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্যই আজকের এই পোস্ট।
সে সফটওয়ারকে নিয়ে আজকের পোস্ট তো প্রথমেই দেখে নেই তার ফিচার গুলো-
আশা করি এই দশগুণেই আপনি মুগ্ধ…..
সফটওয়ারের নামঃ NetBalancer
সাইজঃ ৭ মেগাবাইট
এখন ডাউনলোডের পালা। সফটওয়ারটি পেইড। ফ্রি ভার্সনে ১৫ দিনের ট্রায়াল পাবেন। আমি আপনাদের জন্য ক্র্যাক সহ সফটওয়ারটি দিচ্ছি।
(ফাইলটি সরাসরি ট্রিকবিডি‘তে সরাসরি আপলোড করা হয়েছে)
১। NetBalancer-9.10.3.1297-Setup-Crack.rar ফাইলটি Extract করুন
২। দুটি ফোল্ডার পাবেন- Setup আর Crack
৩। Setup ফোল্ডারে গিয়ে ফাইলটি ইন্সটল করে নিন
৪। Install শেষ হলে সফটওয়ারটি চালু করুন। দেখুন ট্রায়াল চালু হয়েছে।
ট্রায়াল তো হল, এবার ক্র্যাক করে প্রিমিয়াম করার পালা।
১। এবার সফটওয়ার টিকে ক্লোজ করে দিন। যদি এটি সিস্টেম ট্রে তে আসে তো সেখান থেকেও Exit করে দিন
২। এবারে Crack ফোল্ডারে গিয়ে SeriousBit.NetBalancer.Core.cracked.dll ফাইলটি কপি করুন
৩। C:\Program Files\NetBalancer এখানে গিয়ে ফাইলটি পেস্ট করুন।
৪। Replace/Overwrite করতে বললে করুন।
ব্যাস ক্র্যাক হয়ে গেল।
এবার NetBalancer চালু করুন। দেখুন ট্রায়াল চলে গেছে।
১। প্রথমে NetBalancer Tray তে ক্লিক করুন। টুলবার উইন্ডো আসলে Yes করুন।
২। দেখুন ট্রে এর কাছে স্পিড মিটার চলে আসছে।এবার Wifi/Modem কানেক্ট করুন। দেখবেন স্পিড শো করবে।
এবার আসা যাক ডাটা কন্ট্রোলে।
১। NetBalancer চালু করুন। এবং শটে(Only Active) দেখানো আইকনে(ডান পাশে, একদম শেষ) ক্লিক করে Show Online Process চালু করে নিন। এখন শুধু যেগুলো নেট ইউজ করছে তাদের দেখাবে।
২। এবার যে সফটওয়ারকে আপনি ডাটা ইউজ করতে দেবেন না তার উপর রাইট ক্লিক করুন এবং সেখানে Download Priority > Block এবং Upload Priority > Block এ ক্লিক করে ব্লক করে দিন। কিংবা সফটওয়ারটি সিলেক্ট করে উপরের আইকন গুলো(সবুজ এবং লাল) তে ক্লিক করেও তা করতে পারেন। যদি কোনো সফটওয়ারকে সবচেয়ে বেশি স্পিড দিতে চান তো তার Download Priority > High এবং Upload Priority > High করে দিন।
৩। Windows এ যে সফটওয়ারটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা টানে তা হল svchost.exe । এটি উইন্ডোজের সিস্টেমের Application গুলোয় ডাটা সরবরাহ করে। এটিকে ধরে ব্লক করে দিন। এখন আর ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ইউজ করবে না। তবে এটিকে ব্লক করলে আপনি Windows Update, Store এগুলো চালাতে পারবেন না। এগুলোর চালানোর জন্য আগে এটিকে আনব্লক করতে হবে।
৪। যদি কোনো সফটওয়ারকে আনব্লক করতে চান তো সেটিকে Download Priority > Normal এবং Upload Priority > Normal করে দিন। তাহলেই ব্লক চলে যাবে।
আপনি চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে মনিটর করতে পারেন ডাটা ইউজ। এজন্য স্পিড মিটারের ওপর শুধু পয়েন্টার নিয়ে যাবেন। তাতেই একটা উইন্ডো আসবে, যেখানে দেখতে পাবেন কি কি সফটওয়ার ডাটা ইউজ করছে।
আশা করি কারও বুঝতে কোনো সমস্যা হয় নি। কোনো সমস্যায় কমেন্ট করবেন। যতটা পারি হেল্প করব। রিপলাই এ একটু লেট হতে পারে। সেজন্য আগাম সরি।
লেখাটা লিখতে অনেক সময় লাগল। প্রায় দুদিন ধরে সব গুছায়ে তারপর পোস্টটা করা। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট করে। আর আমি কোনো পোস্ট কপি করি না । নিজে যা পারি সেটাই জানাই। শেয়ার করতে চাইলে ক্রেডিট দিয়ে শেয়ার করুন।
কোনো কিছু নিয়ে পোস্ট চাওয়ার থাকলে বলবেন। সম্ভব হলে লিখব।
You must be logged in to post a comment.
ভাই আপনি যে windows এ ঘড়ি use করাছেন সেটি কথাই পাব ?