আমরা আজকে টরেন্ট নিয়ে কথা বলব । টরেন্ট কি ? কিভাবে কাজ করে ? কিভাবে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন ? এবং কয়েকটি জনপ্রিয় টরেন্ট সাইট নিয়ে আলোচনা করব ।
প্রথমেই জানব টরেন্ট কি?
আমরা সাধারণত যখন ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করি অথবা ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করি তখন কি কি কাজ হয় একটু খেয়াল করুন । আমরা যে ওয়েবসাইট ভিজিট করি বা কোন কিছু ডাউনলোড করি তা সাধারণত কোন একটা নির্দিস্ট সার্ভার কম্পিউটারে আপলোড করা থাকে এবং আমাদের ব্রাউজার সফটওয়্যার এর রিকুয়েস্টে ঐ সার্ভার সাড়া দেয় এবং আমরা ডাউনলোড করতে পারি । কিন্তু টরেন্টের বেলায় কোন নির্দিস্ট সার্ভার থাকে না । কোন নির্দিস্ট সার্ভারে কোন কিছু নির্দিস্টভাবে আপলোডও করা হয় না । তাহলে প্রশ্ন আসতে পারি ডাউনলোড করা যায় কিভাবে ? আপনি যদি কোন ফাইল টরেন্টে আপলোড করতে চান সেটা বিটটরেন্ট হোক আর ইউটরেন্টেই হোক আপনাকে ঐ ফাইলটার একটা টরেন্ট তৈরি করে রাখতে হবে । তারপর এই টরেন্ট ফাইলটা যদি কেউ ডাউনলোড করতে চায় তাহলে ফাইলটা ধীরে ধীরে আপনার কম্পিউটার থেকে ঐ ইউজারের কম্পিউটারে ট্রান্সফার হতে থাকবে । এখানে আপনার কম্পিউটারটি সার্ভার হিসেবে কাজ করল ।
টরেন্ট কিভাবে কাজ করে আরেকটু গভীরভাবে জানা যাক …
যখন আপনার তৈরি করা টরেন্ট ফাইলটি কেউ ডাউনলোড করবে থখন তার ডাউনলোড স্পীড নির্ভর করবে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের উপর । আপনার ইন্টারনেট স্পীড এবং ঐ ইউজারের ইন্তারনেট স্পীড যত ভালো হবে ফাইলটি তত দ্রুত ডাউনলোড হবে । এখন অন্য আরেকজন যদি এই ফাইলটি ডাউনলোড করে তাহলে তাহলে সে প্রথম জনের চেয়ে বেশি স্পীড পাবে । কারণ ফাইলটি সে দুইটি সার্ভার থেকে একত্রে ডাউনলোড করার সুযোগ পাচ্ছে । এক হচ্ছে আপনার কম্পিউটার আরেক হচ্ছে প্রথম যে ডাউনলোড করেছিল তার কম্পিউটার । তাহলে বুঝতেই পারছেন একটি টরেন্ট ফাইল জতজন ডাউনলোড করবে ততজনের কম্পিউটার সার্ভার হিসেবে কাজ করবে এবং ডাউনলোড স্পীডও অনেক বেশি পাওয়া যাবে । টরেন্ট নামটির সাথে আপনি সীডার্স এবং লীচার্স নামগুলোও শুনে থাকবেন । যখন আপনি কোন টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন তখন আপনাকে দেখানো হবে যে সেখানে কতগুলো সীডার্স বা লীচার্স রয়েছে । সীডার্স হচ্ছে তারা যারা ঐ ফাইলটি ডাউনলোড করে একই সাথে আপলোডও করেছে সীডার্স বেশি থাকলে আপনি বেশি স্পীডে টরেন্ট ডাউনলোড করতে পারবেন । আর লীচার্স বা পীরস (Peers) হচ্ছে ঐ সমস্ত ইউজাররা যারা এই মুহুর্তে টরেন্টটি ডাউনলোড করছে । ধরুন আপনি একটি টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন যেটির সীডার্স বার হাজার এবং পীরস পনেরো হাজার তার মানে এই ফাইলটি বার হাজার জনে আপলোড করছে এবং পনেরো হাজার জনে ডাউনলোড করছে ।
**আপনার যদি কোন টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করার প্রয়োজন পরে তাহলে সীডার্স এবং পীরস বেশি দেখে ডাউনলোড করবেন তাহলে ভালো স্পীড পাবেন ।
**শুধুমাত্র সীডার্স বা শুধুমাত্র পীরস বেশি থাকলে ভালো স্পীড নাও পেতে পারেন তাই দুইটির অনুপাত বুঝে ডাউনলোড করবেন ।
**টরেন্টে আপনি পাইরেটেড মুভি, গেমস, সফটওয়্যার এই ধরণের ফাইল বেশি পাবেন । তবে টরেন্টে যে শুধু পাইরেটেড বা ক্র্যাক কন্টেন্ট থাকে তা না । সবধরনের ফাইল আপনি টরেন্টে পাবেন ।
কিভাবে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন ?
যেকোন টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে যেকোন একটি টরেন্ট ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হবে । দুইটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হল uTorrent বা মাইক্রোটরেন্ট এবং BitTorrent. যেকোন একটা ইউজ করতে পারেন । যেকোন টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করার জন্য উপরের যেকোন একটা সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন । তারপর আপনার ব্রাউজার দিয়ে যেকোন একটা টরেন্ট ওয়েবসাইটে যাবেন । সেখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন একটা টরেন্ট ফাইল সিলেক্ট করে Get Torrent এ ক্লিক করলে ফাইলটি uTorrent বা BitTorrent দিয়ে ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে ।
কয়েকটি জনপ্রিয় টরেন্ট ওয়েবসাইট ।
এখানে পর্জায়ক্রমিকভাবে কয়েকটি জনপ্রিয় টরেন্ট ওয়েবসাইটের নাম ও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম । যেগুলো থেকে আপনারা টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন …
সতর্কতা !!
আমি আপনাকে কখনই সাজেস্ট করব না আপনি টরেন্ট থেকে পাইরেটেড ফাইল ডাউনলোড করুন । কারণ প্রথমত পাইরেসি আইনত দন্ডনীয় এবং পাইরেটেড ফাইলগুলোতে ভাইরাস থাকতে পারে যা আপনার ডিভাইসের ক্ষতি করতে পারে । আপনার ডিভাইসের কোন ক্ষতি হলে আমি কিংবা ট্রিকবিডি কখনই দায়ী থাকবেো না । তাই নিজ দায়িত্বে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন ।
সকলেই অনেক অনেক ভালো থাকবেন । J
আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে ।
ফেসবুকে আমি ঃ- Rakib
-আল্লাহ্ হাফেজ-