মোবাইল এবং কম্পিউটার চালাতে গেলে অবশ্যই Ram এর প্রয়োজন। তাই আমরা Ram শব্দটির সাথে অনেক পরিচিত।
মোবাইল ও কম্পিউটার ছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোতে Ram ব্যবহৃত হয়। তাহলে চলুন আজকের রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই…
• Ram কি?
Ram এর পূর্ণরূপ হলো Random Access Memory। একটি ডিভাইসের সমস্ত তথ্য প্রসেসর সাময়িক সময়ের জন্য Ram এ জমা রাখে।
Ram থেকে যে কোন ক্রমে এবং দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করা যায় বলে একে Random Access Memory বলা হয়।
• Ram কে অস্থায়ী মেমোরি বলার কারণ:
আমরা যখন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করি তখন Ram সেগুলোর তথ্য অস্থায়ীভাবে জমা রাখে (যেমন: অপারেটিং সিস্টেম সাভিস, ব্রাউজার, গেইম ইত্যাদি)।
Ram কখনো কোন তথ্যকে স্থায়ীভাবে মনে রাখতে পারে না। আপনার ডিভাইসের যখন পাওয়ার অফ হবে, সাথে সাথে Ram এ থাকা সকল তথ্য গুলোও মুছে যাবে। মূলত এ কারণেই Ram কে অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়।
• Ram কিভাবে কাজ করে:
Ram এর মূল কাজ হচ্ছে, আপনি যে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান সেটা হার্ডডিস্ক থেকে এনে কমান্ড অনুযায়ী রান করবে। তবে আমরা সরাসরি Ram কে কোন নির্দেশনা দিতে পারিনা, সিপিইউর মাধ্যমে আমরা Ram কে কমান্ড দিয়ে থাকি।
ধরুন, আপনি ইউটিউব ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। যখন আপনি ইউটিউব অ্যাপ্লিকেশন এর উপরে ক্লিক করবেন, তখন সেটা প্রসেসর এর মধ্যে প্রসেস হয়ে Ram এর মাধ্যমে ওপেন হবে।
• Ram কত জিবি হলে ভালো হয়?
Ram কত জিবি হবে সেটা সম্পূর্ণ আপনার ডিভাইসের ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে।
ধরুন, আপনি যদি গেম খেলেন, তাহলে আপনার অবশ্যই বেশি পরিমাণ Ram এর প্রয়োজন হবে। আবার আপনি যদি সাধারন ইউজার হন, তাহলে আপনি কম Ram এই ডিভাইস সুন্দরভাবে চালাতে পারবেন।
• Ram এর প্রয়োজনীয়তা:
মোবাইল এবং কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে Ram এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। Ram ছাড়া এসব ডিভাইসগুলো অনেক স্লো কাজ করবে।
Ram থাকার কারণে এসব ডিভাইসগুলো তাদের সফটওয়্যার এর তথ্য গুলো সাময়িক সময়ের জন্য Ram এর মধ্যে জমা রাখে। যার ফলে আমরা যখন সেই সফটওয়্যার গুলো পুনরায় ওপেন করি, তারপর সেগুলো সাথে সাথেই ওপেন হয়ে যায়।
Ram না থাকলে সফটওয়্যার গুলো ওপেন হওয়ার সময় তথ্যগুলো Rom সংগ্রহ করবে, যার কারণে বারবার বেশিক্ষণ লোডিং নেবে। এতে করে আমাদের সময় নষ্ট হবে।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।