আসসাামুআলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলে বেশ ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হলাম উইন্ডোজ 10 বা 11 এর যে 4টি ভার্সন রয়েছে home, pro, enterprise, education. এই চারটি ভার্সন এর মধ্যে পার্থক্য কি? এই বিষয় টি অলরেডি অনেকই জানেন। আবার অনেকই আছেন যারা হয়ত এখনও এই ভার্সন গুলোর পার্থক্য টি জানেন না। যাঁরা জানেন না তারা এই পোষ্টে জেনে নিন। আমি সিরিয়াল অনুযায়ী এক এক করে সবগুলো পার্থকের বিষয় উল্লেখ করছি।
১. Ram
এই চারটি ভার্সনের মধ্য সর্ব প্রথম যেই পার্থক্য টি রয়েছে সেটি হচ্ছে ram. আপনি একটি হোম ভার্সন এর সর্বোচ্চ 128 জিবি ram ব্যাবহার করতে পারবেন। এর বেশী করতে পারবেন না।
আপনার মাদারবোর্ড এ সাপোর্ট করলেও আপনি পারবেন না। এবং হোম ছাড়া বাকি যেই তিনটি ভার্সন রয়েছে pro, enterprise, education ভার্সন গুলোতে সর্বোচ্চ ২ টেরাবাইট ram ব্যাবহার করতে পারবেন। যদিও এত পরিমাণ ram এখোন কোনো পিসিতে দরকার হয়না।
২. ডোমেইন জয়েন
ডোমেইন জয়েন সিস্টেম টি হচ্ছে যারা ইন্টার প্রাইজ ইউজার তারা তাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন(ডোমেইন হচ্ছে ওয়েব সাইট এর নাম। Trickbd হচ্ছে একটি ওয়েসাইট। আর trickbd.com নাম টি হচ্ছে এই ওয়েব সাইট এর ডোমেইন।) কে আপনার পিসির সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন।
এই ফিচার টি শুধুমাত্র pro, enterprise, ও এডুকেশন ভার্সন এ রয়েছে।
৩. Group policy management
তৃতীয় বিষয় টি হচ্ছে গ্রুপ পলিসি ম্যানেজমেন্ট। মনে করুণ কোনো এক রুমে বা প্রতিষ্ঠান এ অনেকে গুলো পিসি রাখা আছে। এবং চাচ্ছেন একটি সেটিং পরিবর্তন করতে। এক্ষেত্রে আপনাকে করতে হবে কি প্রত্যেকটা পিসি ওপেন করে সেটিং টি পরিবর্তন করা। কিন্ত এমন টা আসলে করতে হবে না।
আপনি চাইলে একটি পিসি তেই আপনার পছন্দের সেটিং টি পরিবর্তন করে করে। অন্য সমস্ত পিসির সাথে সংযোগ করে সমস্ত পিসিতে এক সাথে সেটিং টি পরিবর্তন করতে পারবেন এই Group policy management এর মাধ্যমে। এই ফিচার টিও শুধুমাএ pro, enterprise ও education ভার্সন এ রয়েছে।
৪. Bitlocker
৪থ পার্থক্য টি হচ্ছে Bitlocker. ইহার মাধ্যম এ আপনি কোনো অ্যাপস কে বা ডেটা কে lock করে রাখতে পারবেন। এটাও শুধুমাত্র pro, enterprise ও education ভার্সন এ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
৫. Enterprise mode explorer
এই ফীচার টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। আপনারা অনেকেই আছেন যাঁরা old version এর ব্রাউজার ও software ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন।
তাদের জন্য জন্যই রয়েছে এই enterprise mode internet explorer. ইহা সম্পুর্ন ওল্ড version। এই ফিচার টিও pro, enterprise ও education মোড এর জন্য।
৬. Assigned Access
আপনি যদি চান কোনো একটি specific অ্যাপ আপনার পিসিতে রান করবে বাকি সমস্ত অ্যাপ বন্ধ থাকবে। এবং রান হাওয়া অ্যাপ থেকে বের হতে পারবেন না। তাহলে আপনি এই ফীচার টি ইউজ করতে পারেন।
৭. Remote Dextop Connection
এটা মূলত TeamViewer(TeamViewer হচ্ছে এমন একটি software যার মাধ্যমে একটি পিসি থেকে অন্য পিসি তে অ্যাকসেস নেওয়া যায়। অর্থাৎ মনে করুণ আপনার পিসিতে একটি সমস্যা হয়েছে যা আপনি ঠিক করতে পারছেন না। আপনি ব্যাপার টি আমাকে জানালেন। আমি আপনাকে TeamViewer অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বললাম। আপনি বাসায় যেয়ে অ্যাপ টি আপনার পিসিতে download করলেন ইন্সটল করলেন। এরপর সেই অ্যাপ এ আপনার একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেখাবে সেটি আপনি আমাকে জানিয়ে দিবেন ফোন কল বা মেসেজ এর মাধ্যমে। তারপর আমি পিসিতে বসে ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে আপনার পিসি চালাতে পারবো। আর যেই সেটিং টি তে আপনার সমস্যা হচ্ছে সেটি আমি আমার ঘরে বসেই সমাধান করে দিতে পারব। ইহা মোটেই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। লিগ্যাল process. আপনি দেখতে পারবেন আমি কিভাবে আপনার পিসি চালাচ্ছি। ) সটওয়্যারটির মত।
Remote Dextop Connection এও TeamViewer এর মতো একজন আর একজন এর পিসি চালাতে পারে ঘরে বসে ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে। এই ফিচার টি home ভার্শন এ মাত্র একপাশ আছে। বাকী ভার্সন গুলোতে দুইপাশ আছে। অর্থাৎ আপনি অন্য ভার্সন থেকে হোম ভার্সন কে কন্ট্রোল করতে পারেন। কিন্তু হোম ভার্সন দিয়ে কোনো পিসি কে কন্ট্রোল করতে পারবেন না।
৮. Windows to go
মনে করুণ আপনার পিসি তে আপনি অনেক গুলো সেটিং নিজের মত করে রেখেছেন। এবং অনেক গুলো সটওয়্যার ইন্সটল করে রেখেছেন মানে আপনার নিজের মত করে সাজিয়ে রেখেছেন। ফলে আপনার পিসি আপনি সুবিধা মত ব্যাবহার করতে পারছেন। কিন্তু আপনি শুধুমাত্র এই সুবিধা টি আপনার পিসি তেই ব্যাবহার করছেন। আপনি তো সেটা অন্য কারো পিসিতে ব্যাবহার করতে পারছেন না।
Windows to go এর মাধ্যমে আপনি আপনার উইন্ডোজ কে পেনড্রাইভ এর ভিতর লাইভে বুট করে পরে সেটা যে কারো পিসিতে ব্যাবহার করতে পারবেন। এবং তখন অন্য পিসিতেও আপনার উইন্ডোজের মত করে রাখা সমস্ত সেটিং ও সটওয়্যার দেখতে পাবেন। এই ট্রিক টি pro ভার্সন এও ব্যাবহার করা যায়না। শুধুমাত্র enterprise ও education ভার্সন এ ব্যাবহার করা যায়।
৯. Applock
পরবর্তি ফীচার টি হচ্ছে অ্যাপ লক। আপনারা সকলেই জানেন অ্যাপ লক এর কাজ কি। তাই এটা আমি আর বলছি না। এই ফিচার টি ও শুধুমাত্র enterprise ও education Mode এ রয়েছে।
তাছারা আমি নীচে যেই পিক টি দিয়েছি সেটির মাধ্যমে আপনি আরো ভালোমত বুঝতে পারবেন এই তিনটি ভার্শন এর পার্থক্য। আর হ্যা। উইন্ডোজ 10 ও 11 এ enterprise ও education Mode এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই enterprise হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান এর জন্য। Education ভার্সন ব্যাবহার করা হয় শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ব্যাবহার করার জন্য।
আজকের পোস্ট টি তাহলে এই পর্যন্তই থাক। আপনারা সকলেই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানান। আর আমার পরবর্তী পোস্ট টি কিসের উপর চান সেটি আমাকে জনিয়ে দিন কমেন্টে, জিমেইল এ, অথবা টুইটারে।
জিমেইল: marufkhan1215@gmail.com
Twitter: 1215maruf