Site icon Trickbd.com

AMP কি? কিভাবে AMP ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ায় 

ওয়েবসাইটের স্পিড জনিত সমস্যা অনেক রেই আছে। আর এই স্পিড ওয়েবসাইটের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য একটি অন্যরকম প্রক্রিয়া রয়েছে। যে প্রক্রিয়া য় ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি পাবে ১০০% । এখন যে পরিমাণ স্পিড রয়েছে তার থেকে চার গুণ কম হবে।

বর্তমানে ওয়েবসাইটের নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে AMP । এই ফিচারের যেরকম রয়েছে সুবিধা ঠিক সেই রকম রয়েছে আবার অসুবিধা। এই পোস্টে এএমপি এর সুবিধা, অসুবিধা এবং ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে জানব।

AMP কি?

এই এমপি হলো গুগল কোম্পানির সমর্থিত একটি ওপেন সোর্স প্রজেক্ট। এর পূর্ণরূপ হল Accelerated Mobile Pages(ত্বরিত মোবাইল পৃষ্ঠা)। অর্থাৎ বুঝেই যাচ্ছেন, একটি ওয়েবসাইটের পেজ দ্রুত ওপেন হওয়ার মাধ্যমে হচ্ছে এএমপি। এএমটি শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য।

মনে করুন, আপনার ওয়েব সাইটের প্রতিটি পেজ/পোস্ট 4s ওপেন হয়। আর এই স্পিড ইনডেক্স বেশি থাকার কারণে প্রথমত আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকতে ভিজিটর বিরক্ত হবে। আর এখান থেকেই আপনার বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হবে। যেমন- অতিরিক্ত লোডিং সময়ের কারণে গুগল পোস্ট থেকে গুগল থেকে সরিয়ে নেবে। সার্চ কন্ট্রোলে কোর ওয়েব ভাইটালে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হবে। এবং এগুলোর ফলাফল হিসেবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর কমতে থাকবে এবং এক সময় ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাবে।

AMP এর সুবিধা

একটি সাধারণ ওয়েবসাইট থেকে একটি ই এএমপি ওয়েবসাইটে চার গুণ দ্রুত লোড হবে। বলতে গেলে চার গুণেরও বেশি দ্রুত লোড হবে।

এতে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। ওয়েব সাইটে খুব তাড়াতাড়ি রেংক করবে।

AMP এর অসুবিধা

এক কথায় বলতে গেলে একটু ওয়েবসাইটের যে একটি অসাধারণ ডিজাইন সেটা গুগল থেকে ভিজিটর দেখতে পাবে না।

AMP ব্যবহার করার নিয়ম।

কিভাবে এএমপি ব্যবহার করে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়াবেন তা দেখাবো।

AMP একটি প্লাগইন। যেটা ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে স্পিড বৃদ্ধি করা যায়। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

প্রথমে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট একটি প্ল্যাগিন ইন্সটল করতে হবে। প্লাগিন ইন্সটল করার জন্য Plugins > Add New Plugin অপশনে ক্লিক করুন।

AMP লিখে সার্চ করলে উপরের স্ক্রিনশটের প্লাগইনটি রেজাল্ট আসবে। প্লাগইন টিকে Install > Active করে নিন।

প্লাগইনটি একটিভ করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মত open the on boarding wizard আফসানে ক্লিক করুন।

Next অপশনে ক্লিক করুন।

Non-technical অপশনটি সিলেক্ট করে Next এ ক্লিক করুন।

এখানে আপনার ওয়েবসাইটের একটিভ প্লাগিন গুলো দেখতে পাবেন। Next অপশনে ক্লিক করুন।

Reader মুডে সিলেক্ট করে Next অপশনে ক্লিক করুন।

AMP Legacy সিলেক্ট করে Next অপশনে ক্লিক করুন

এবার Customize অপশনে ক্লিক করে এএমপি টেমপ্লের কালার পরিবর্তন করতে পারবেন।

এবার আমরা AMP Settings থেকে Paired url structure অপশনে যাব।

আপনার এএমপি লিংক কেমন দিতে চান তা সিলেক্ট করুন। আমার মনে হয় দ্বিতীয়টি (/amp) ভালো হবে। সিলেক্ট করার পর Save করুন।

ব্যাস হয়ে গেল ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য এএমপি এর ব্যবহার। এখন কিভাবে বুঝবেন যে আপনার ওয়েবসাইট এএমপি যুক্ত হয়েছে।

এজন্য আপনার ওয়েবসাইটের একটি পপুলার কীওয়ার্ড লিখে গুগল সার্চ করুন। তারপর google search এর রেজাল্ট আপনার ওয়েবসাইট লিংকটিতে প্রবেশ করুন। দেখবেন খুব দ্রুত এবং চোখের পলকেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছে। এবং পোস্ট লিংক এর সাথে amp যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে এএমপি যুক্ত হয়েছে।

এএমপি এর ব্যবহারের পর সাধারণত নিচের টেমপ্লেট এর মত ওয়েবসাইট হবে।

AMP ওয়েব পেজ

AMP ওয়েব পেজ

শেষ কথা: AMP ব্যবহার করা উচিত?

আপনার ওয়েবসাইটে এএমপি ব্যবহার করা উচিত কিনা তা নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইটের চাহিদার উপর। আপনি কি ওয়েবসাইটের প্রচুর ভিজিটর চাচ্ছেন। অথবা আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড কি কম, ওয়েবসাইটে স্পীড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাহলে অবশ্যই আপনার এএমপি ব্যবহার করা উচিত। তবে মনে রাখবেন এএমপি ব্যবহারের ফলে আপনার আর্নিং কমে যাবে। তাছাড়া গুগল এডসেন্স ছাড়া কাজই করবে না। তাই আপনার ওয়েবসাইটে এএমপি ব্যবহার করবেন কিনা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা।