নিজের একটা website থাকা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। কারন আমরা যা জানি তা অন্যকে জানাতে চাই। আরও বড় কথা একটা ভাল ট্রাফিকের ওয়েবসাইট থেকে আমরা সহজেই আমাদের হাতখরচের টাকা ইনকাম করতে পারি। কিন্তু সবকিছুর মত এখানেও কি দিয়ে বা কোথা থেকে শুরু করব তা নিয়ে আমাদের সবারই বিভ্রান্ত বোধ হয়। কারন আমাদের কাছে নতুন একটা সাইট খুলতে গেলে অনেকগুলু অপশন আছে। যেমন Worpress, Blogger, Tumblr, Webs ইত্যাদি। এজন্য সার্বিক কথা বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশের পরিপেক্ষেতে আমি প্রধান দুটি (WP & Blogger এর) ওয়েবসাইট বিল্ডিং/ ব্লগিং প্লাটফর্মের পার্থক্য, মিল এবং সুবিধা কথা বর্ননা করছি।
কেনই বা Blogger বেচে নিবেন বা নিবেন নাঃ
blogger(Aka Blogger) সম্পর্কে কিছু জেনে নিন
- এটা গুগলের প্রুডাক্ট।
- সাইটির URL : blogger.com
এখন দেখে নিন Blogger এর সুবিধা সমুহঃ (H)
- আমরা আগেই জেনেছি যে Blogger google-এর প্রোডাক্ট তাই এটি ব্যবহার করতে আপনার কোন আলাদা একাউন্টের দরকার হবে না। আপনার গুগল/জিমেইল A/C দিয়েই আপনি Blogger ইউজ করতে পারবেন এবং একাধিক ব্লগ খুলতে পারবেন। সাথে একটি সাব-ডোমেইন পাবেন।
- Blogger চালাতে কোন টাকা খরচ করতে হয় না। এটা সেটাপ করতে ৫ মিনিট সময় ও লাগে না
- সার্বিকভাবে Blogger এর সেটিংসগুলো ছিমছাম এবং সহজ।
- ব্লগার Theme সাপোর্ট করে। Theme ইডিট করার, Theme ডাউনলোড/আপলোড করার ব্যবস্তা আছে। মোবাইল ভিউ/রেস্পন্সিভ থাকে। যা theme দিয়ে পরিবর্তন করা যায়।
- ব্লগারের সিকিউরিটি খুব ভাল। হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- আপনি ইচ্ছে করলে freenom বা অন্য কোন ফ্রি-ডোমেইন প্রবাইডার থেকে আনা ডোমেইন এড করতে পারবেন।
- ব্লগারে গঠিত ব্লগ Erase, Delete বা ban হয় না (যদি আপনি না করেন)।
- Multi-Author/বহু লেখকের ব্লগ তৈরি যায়।
- Blogger এ গঠিত ব্লগ আটোমেটিক্যালি গুগল সার্চ Engine এ চলে যায়।
এখন দেখে নিন Blogger এর অসুবিধা সমুহঃ(i)
- Blogger দিয়ে Blog বা কিছু পেজ ভিত্তিক সাইট ছাড়া আন্য কোন Advanced website তৈরি করা যায় না। Blogger এর জন্য অনলাইনে Templete খুব কমই পাওয়া যায়।
- Blogger এ ফাইল (সব ধরনের/FTP দিয়ে) আপলোড করা যায়না। Blogger এ কোন নতুন প্লাগ-ইন ইনস্টল দেয়া যায় না।
- Blogger দিয়ে গঠিত ব্লগে আনেক পেজ/টিউন/টিউমেন্ট সম্পুর্ন Edit করা যায় না।
কেনই বা WordPress বেচে নিবেন বা নিবেন নাঃ
WordPress(Aka WP) সম্পর্কে কিছু জেনে নিন(M)
- এটার মালিক WordPress foundation।
- সাইটের URL wordpress.com (এখানে WP হুস্ট করা যায়) এবং www.wordpress.org (এখান থেকে WP download দিয়ে অন্য সাইটে হুস্ট করতে হয়)
এখন দেখে নিন WordPress এর সুবিধা সমুহঃ(E)
- (com) আপনার সাইটটি আপনি চাইলে ফ্রিতে আজীবন রাখতে পারবেন। (org) আপনার হুস্টিং এর উপর সাইটের মেয়াদ ও খরচ নির্ভর করে।
- (com) Security ভাল থাকে এবং সাইটটি নিরাপদ থাকে। (org) সাইটটির নিরাপত্তার জন্য আপনাকে প্লাগ-ইন বা বিভিন্ন নিরাপত্তা সেটিংস করে রাখতে হবে
- (com) search engine এ অটোমেটিক্যালি আপটেড হয়।
- (org) এ ব্লগটি শুধুই আপনার এবং কন্টেন্টের জন্য দায়ী আপনেই। Blog এর সব কিছু আপনি Edit/Modify করতে পারবেন। এবং আপনি হাজার theme এর মধ্যে একটি থিম এড করে নিতা পারবেন মহুর্তেই। আপনি চাইলে একে যেকোন website এ রুপান্তর করতে পারবেন। FTP access আছে। যেকোন WP Plag-in এড করা যায়।
- (org)এখানে কোন এড আসে না। আপনি ইচ্ছে করলে এড বসাতে পারবেন বা যেকোন স্ক্রিপ্ট এড করতে পারবেন। আপনি SEO তে Expert হলে Blogger বা WP(com) থেকে বেশি এনগেজ এই ব্লগে করতে পারবেন।
- (org) ভাল মানের নিউজ সাইট, ব্লগ, ফোরাম তৈরির জন্য এটাই সেরা।
এখন দেখে নিন WordPress এর অসুবিধা সমুহঃ(L)
- (com,org)WP এ নতুন করে একাউন্ট খুলতে হয় প্রতিটি সাইটের জন্য একেকটি করে।
- (com) WP যদি Self-hosted হয় তাহলে Hosting (ফ্রি না হলে) টাকা দিয়ে কিনতে হয়।(org) WP ব্লগ যদি com থেকে খুলা হয় তাহলেও ফুল ফিচার পেতে টাকা লাগে।
- (org)ফ্রি হোস্টিঙ্গে WP প্রায়ই ব্যান, ডিলিট হয়ে যায়।
- (com) Ad দেখাতে পারে, আনেক কিছু পেতে টাকা দিয়ে আপগ্রেড করতে হয়। 3rd-party প্লাগ-ইন ইনস্টল দেয়া যায় না। কোড পরিবর্তন করতে পারবেন না। FTP নেই। Domain যোগ করতে টাকা লাগে (Domain Price+ Mapping Price).৩জিবি লিমিটেড স্পেস।
- (org) ডোমেইন এবং হুস্টিং-এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে। নিজ থেকে অনেক কিছু (সিকিউরিটি, স্পাম, ব্যাকআপ) সামলাতে হবে।
লেখায় কোন ভুল থাকলে বা আছে বলে মনে হলে Comment এ জানাবার চেষ্টা করবেন।
এখন আপনিই বুঝে নেন কোনটি আপনার জন্য ভাল হবে। ফেসবুকে আমি