Site icon Trickbd.com

বাংলায় WordPress Plugin Development – পর্ব ০১

Unnamed

আসালামু ওয়ালাইকুম,
আমি তানভীর হোসেন
আপনাদের মাঝে প্লাগিন ডেভোলপমেন্ট এর টিউটোরিয়াল নিয়ে এসেছি। আপনারা অনেকেই এই বিষয় শিখতে আগ্রহী আমি বিগত সিরিজে একটি থিম ডেভেলপমেন্ট করেছি এবং সেটিকে একটি পূর্নাঙ্গ ব্যবহারের জন্য ডিজাইন
করেছি। তবে কিছু কাজ সম্পাদনা করা বাকি রয়েছে সেগুলো হলেই আমি থিম ডেভেলপমেন্ট এর ২য় সিরিজটি লঞ্চ করবো। এর মধ্যে দিয়ে যে সময়টুকু পাচ্ছি তাতে আপনাদের ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাগিন ডেভোলপ করা শিখাব। যা ওয়েব সাইটের স্পিড এসইও ও অন্যান্য কাজে সাহায্য করবে।
প্লাগিনটা কিছুটা WP Optimizer এর মতো।
এই বলে আমি আমার উদ্দেশ্য প্রনোদিত করেছি।
কোড কপি করতে সমস্যা হলে

সরাসরি কোড গুলো এখান থেকে কপি করে নিন।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট: ভূমিকা ও বেসিক স্ট্রাকচার তৈরি (পর্ব ১)

জন্মলগান: ধরেন, আপনি একটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট চালান, আর ভাবতাছেন, "ইশ! যদি এমন একটা ফিচার থাকতো, যেটা আমার কাজটারে আরও সহজ করে দিত!" ঠিক এইখানেই আসে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট। প্লাগিন আপনার সাইটে নতুন নতুন ফিচার যোগ করতে পারে, সেটাও কোডের ভেতরে না ঢুইকা! এই পর্বে আমরা জানবো প্লাগিন ডেভেলপমেন্টের বেসিক স্ট্রাকচার তৈরি করতে কেমনে শুরু করতে হয়।


প্লাগিন কী?

সোজা কথায়, প্লাগিন হইলো একধরনের কোড যেটা ওয়ার্ডপ্রেসের মূল ফাইলগুলারে না বদলাই আপনার সাইটে নতুন ফিচার যোগ করে। প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখলে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সাইট কাস্টমাইজ করতে পারবেন, আর এমনকি আপনার তৈরি প্লাগিন বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন।

কেন প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখবেন?


প্রাথমিক প্রস্তুতি

প্লাগিন বানানোর জন্য আগে কিছু টুলস আর জিনিসপত্র ঠিকঠাক থাকতে হবে। আপনার হাতের কাছে নিচেরগুলো রাইখেন:

টুলসের লিস্ট:

  1. ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটলড লোকালহোস্টে: লোকালহোস্টে একটা ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট সেটআপ করতে হবে। এর জন্য XAMPP বা Laragon ইউজ করতে পারেন।
  2. কোড এডিটর: ভিজুয়াল স্টুডিও কোড বা সাবলিম টেক্সট বেশ ভালো চয়েস।
  3. ওয়ার্ডপ্রেসের কোডেক্স ডকুমেন্টেশন: ডকুমেন্টেশন হাতের কাছে থাকলে ঝামেলায় ফাইসা গেলেও উত্তর পাবেন।

নির্ধারিত ফোল্ডার স্ট্রাকচার:

আপনার প্লাগিনটা /wp-content/plugins/ ফোল্ডারের ভিতরে থাকতে হবে। ধরেন, আপনি একটা speed-optimizer নামে প্লাগিন বানাইতাছেন। তখন এই ফোল্ডারে একটা নতুন ফোল্ডার বানান:

/wp-content/plugins/speed-optimizer

প্লাগিন ফাইল তৈরি করা

প্রথমে একটা মেইন পিএইচপি ফাইল বানান। ফাইলের নাম দিন speed-optimizer.php। এই ফাইলটা আপনার প্লাগিনের মেইন ফাইল হবে।

স্টেপ ১: প্লাগিনের নাম লিখুন

প্রথমেই প্লাগিনের মেটাডাটা যোগ করতে হবে। নিচের কোডটা কপি করে ফাইলের শুরুতে পেস্ট করেন:

<?php
/**
 * Plugin Name: Speed Optimizer
 * Plugin URI: https://www.facebook.com/Tanver247
 * Description: A plugin to optimize website speed by compressing images and minifying CSS/JS files.
 * Version: 1.0
 * Author: Tanver Hossain
 * Author URI: https://www.facebook.com/Tanver247
 * License: GPL2
 */

এইখানে:


স্টেপ ২: প্লাগিন অ্যাকটিভেট করা

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন অ্যাকটিভেশন করার সময় কিছু কোড রান করে। এজন্য নিচের কোড যোগ করেন:

register_activation_hook(__FILE__, 'speed_optimizer_activate');
function speed_optimizer_activate() {
    // Activation related tasks
}

স্টেপ ৩: প্লাগিন ডিএকটিভেট করা

ডিএকটিভেট করার সময়ও কিছু কোড রান করতে পারেন:

register_deactivation_hook(__FILE__, 'speed_optimizer_deactivate');
function speed_optimizer_deactivate() {
    // Deactivation related tasks
}

বেসিক ফাংশন যোগ করা

এখন আমরা একটা ছোট্ট ফাংশন যোগ করবো যেটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে একটা মেসেজ দেখাবে।

স্টেপ ৪: অ্যাকশন হুক ব্যবহার করা

ওয়ার্ডপ্রেসের অ্যাকশন হুক ব্যবহার করে মেসেজ দেখাইতে পারেন:

add_action('wp_footer', 'show_custom_message');
function show_custom_message() {
    echo '<p style="text-align:center;color:green;">This is a custom message from Speed Optimizer Plugin!</p>';
}

এই কোডটা সাইটের ফুটারে একটা মেসেজ দেখাবে।


ফাইল অর্গানাইজেশন

বড় প্লাগিন বানাইতে গেলে সব কোড এক ফাইলের ভিতরে রাখলে গুবলেট হয়ে যাবে। সেজন্য ফাইল ভাগ কইরা কাজ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ:

/speed-optimizer/
    |-- speed-optimizer.php
    |-- includes/
        |-- functions.php
    |-- assets/
        |-- css/
        |-- js/

পরীক্ষা করা

১. লোকালহোস্টে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে প্লাগিনটা /wp-content/plugins/ ফোল্ডারে রাখেন।
২. ড্যাশবোর্ডে যান, "Plugins" এ ক্লিক করেন, আর "Speed Optimizer" নামে প্লাগিনটা অ্যাকটিভ করেন।
৩. সাইটের ফুটারে যান আর চেক করেন যে, আপনার মেসেজটা ঠিকমতো আসতেছে কিনা।


শেষ কথা

এই পর্বে আমরা শিখলাম কীভাবে প্লাগিন বানানোর প্রাথমিক স্ট্রাকচার তৈরি করতে হয়। পরবর্তী পর্বে আমরা দেখবো অ্যাডমিন মেনু যোগ করা আর ডাইনামিক ফিচার কীভাবে বানানো যায়। আপনি যদি প্লাগিন বানাইতে আগ্রহী থাকেন, তবে এই সিরিজ আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

আপনার প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট জার্নি শুরু করতে প্রস্তুত তো? মন্তব্যে জানাইয়েন। পর্ব ২ এ দেখা হবে!

My Telegram