Hello বন্ধুরা। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি Al Imran। আমি TrickBD তে Youtube নিয়ে পোস্ট করে থাকি। আজকে আবারও আরও একটি সুন্দর একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। পোস্টটা সম্পূর্ণ পড়বেন। এটা অবশ্যয় আপনার কাজে আসবে।
পোস্টটির করেছি যারা Youtube এ খুটিনাটি তথ্য জানতে চায় বা,,,,, যারা নতুন তাদের জন্য Youtube A-Z সকল পর্ব নিয়ে আসলাম। যা পড়ে আপনারা সহজেই Youtube এ কাজ করতে পারবেন।
তো সম্পর্ণ পোস্ট পড়ুন না হলে বুঝবেন না। আমি সংক্ষেপ এ সব কিছু লিখে দিলাম। কোন Screen Short দিলাম না,,,, কার এগুলো নিয়ে আমার পোস্ট করা আছে,,,,এবং আরও করব।
বক্তব্যঃ আমরা প্রায় সবাই এটা জানি যে ইউটিউব হতে টাকা আয় করা যায়। তাই হয়ত শখের বশে অনেকেই আমরা ইউটিউব চ্যানেল খুলে বসি। শখের বশেই হোক আর ইউটিউবকে নিজের আয়ের অন্যতম উৎস বানানোর উদ্দেশ্যেই হোক কিছু বিষয় না জানলে এবং সেগুলো মেনে না চললে আপনি কখনই টাকা আয় করতে পারবেন না।
ইউটিউব বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তরুন ইউটিউবারদের জন্য গাইডলাইন বিষয়ক এই অ্যাপটিতে রয়েছে ইউটিউব মার্কেটিং এর সব খুঁটিনাটি। এখন সহজেই হয়ে যান একজন সফল ও দক্ষ ইউটিউবার.
প্রশ্নঃ ইউটিউব কি?উত্তরঃ ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে আলোচনার আগে ইউটিউব সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ইউটিউব হচ্ছে একটা ভিডিও শেয়ারিং সার্ভিস যেখানে ব্যবহারকারীরা নিজের প্রোফাইল বানানো, ভিডিও আপলোড, ভিডিও দেখাসহ ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে পারেন। আর নিজের আপলোড করা ভিডিওগুলিতে অ্যাডস্ (Ads) বসিয়ে ডলার ইনকাম করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ইউটিউব হতে কিভাবে আয় করা যায়?উত্তরঃ ইউটিউব হতে ইনকাম হয় বিজ্ঞাপন (Ads) দেখানোর মাধ্যমে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে অ্যাডসেন্স্ (Adsense) একাউন্ট যোগ করে দিলেই কাজ শেষ। আমরা পর্যায়ক্রমে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রশ্নঃ ইউটিউব হতে কত টাকা আয় করা সম্ভব?উত্তরঃ এটার কোন ধরাবাঁধা সংখ্যা নেই। আপনি ভালো কন্টেন্টের ভিডিও বানালে মানুষ আপনার ভিডিও বেশি দেখবে। আর বেশি বেশি ভিউ (View) মানে বেশি বেশি ডলার।
বলা হয়ে থাকে যে, প্রতি ১০০০ ভিউয়ের জন্য ১ডলার পাওয়া যায়। এটা কিছুটা কম-বেশি হতে পারে। আসলে টাকাটা আসে ভিডিওর উপর দেখানো অ্যাডস্ (Ads) গুলোতে ক্লিকের উপর। সুতরাং, ১০০০ ভিঊ কিন্ত ০ ক্লিকের মানে হচ্ছে ০ ডলার। তবে ভিঊ বেশি হলে ক্লিক বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
ধাপ-১ ইউটিউব চ্যানেল খোলা[b]
সমাধান-১
১। প্রথমে আপনার জিমেইল (Gmail) একাউন্টে লগইন করুন। জিমেইল একাউন্ট না থাকলে ব্রাউজারে gmail.com লিখে সার্চ করুন। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন – নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি) প্রদান করে একাউন্ট খুলে ফেলুন।
সর্তকতাঃ আপনার জন্মতারিখ অনুযায়ী আপনার বয়স যেনো কমপক্ষে ১৮ হয়। তা না হলে আপনি ভিডিওতে অ্যাডস্ বসাতে পারবেন না।
২। আপনার জিমেইল একাউন্ট খোলা হয়ে গেছে। জিমেইলে লগইন থাকা অবস্থায় আপনি সরাসরি youtube.com এ চলে যান। ডানপাশের উপরের Sign in বাটনে ক্লিক করলে এটি আপনাকে নিজে থেকেই সাইন ইন / লগইন করে নিবে।
[b]ধাপ-২ ভিডিও আপলোড
সমাধান-২ ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে আপলোড (Upload) বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর সেটি আছে লগইন বাটনের পাশেই।
Upload বাটনে ক্লিক করলে Upload As নামে একটা Pop up আসবে যেখানে আপনার কাছে আপনার চ্যানেলের নাম চাইবে। ফাস্ট এবং লাস্ট নেম দেবার পর Create Channel বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনাকে সরাসরি আপলোড পেজে নিয়ে যাবে। আপনি এখান থেকে আপলোড বাটনে ক্লিক করলে একটা উইন্ডো ওপেন হবে যেখানে আপনি আপলোড করার জন্য ফাইল দেখিয়ে দিবেন।
ধাপ-৩ ভিডিওর ইনফরমেশন প্রদানসমাধান-৩ ফাইল সিলেক্ট করে দেবার সাথে সাথেই আপনার ভিডিও আপলোড শুরু হয়ে যাবে। তারপর কিছু তথ্য আপনাকে প্রদান করতে হবে। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ –
১। Basic Info Tab:
– Title: ভিডিওর নাম
– Description: ভিডিওর বর্ণনা
– Tag: ভিডিও সার্চ দিয়ে খুঁজে পাবার জন্য প্রয়োজনীয় Keywords
২। Advanced Settings:
– Video Category
– License (Youtube Standard Lincense)
সমাধান-৪ আপনার চ্যানেল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাবেন Creator Studio তে। আর Creator Studio তে যাবার জন্য প্রথমে youtube.com এ লগইন করুন। তারপর ডানে উপরের দিকে আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন। পিকচারের পাশে Ctreator Studio অপশন দেখতে পাবেন। এতে ক্লিক করুন।
ধাপ-৫ ভিডিওতে অ্যাডস্ বসানোসমাধান-৫ ভিডিওতে অ্যাডস্ দেখাতে হলে আপনাকে আপনার চ্যানেল এবং ভিডিও মানিটাইজেশন (Monetization) এনাবল করতে হবে।
আপনি Creator Studio তে গিয়ে Channel ট্যাবে গিয়ে Status and Features অপশনে গেলে মানিটাইজেশন অপশন দেখতে পাবেন। তবে শুরুতে এটা ডিসাবল (Disable) থাকবে।
ধাপ-৫.১ চ্যানেল মানিটাইজেশন করাসমাধান-৫.১ চানেল মানিটাইজেশন করার জন্য আপনাকে প্রথমে Creator Studio র Channel ট্যাবে যেতে হবে। তারপর Advanced অপশনে ক্লিক করুন। প্রথমে আপনার ইউটিউব পার্টনারশিপ যাচাই (Verify) করুন। তারপর দেশ (Country) United States করে দিন। কারণ বাংলাদেশে ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম এখনও চালু হয় নি। তারপর আপনার চ্যানেলে যে জাতীয় ভিডিও থাকবে সেগুলো কী-ওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে দিন। শেষে সেভ (Save) বাটনে প্রেস করুন। এখন Channel ট্যাবে গিয়ে Status and Features অপশনে গিয়ে দেখুন মানিটাইজেশন এলিজাবল (Eligible) হয়ে গেছে। এটাকে এনাবল (Enable) করতে ক্লিক করুন।
পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করলে দেখা যাবে আপনাকে অ্যাডসেন্স (Adsense) এ একাউন্ট খুলতে বলা হচ্ছে। অ্যাডসেন্সে একাউন্ট খোলার সময় আপনার সঠিক ঠিকানা (দেশ, জেলা, উপজেলা, পোষ্ট কোড) প্রদান করুন। কারণ, আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার জমা হয়ে গেলে গুগল (Google) থেকে আপনার দেওয়া ঠিকানায় Address Verification Pin সহ চিঠি আসবে। সাধারণত ৪ সপ্তাহের মধ্যেই ডাকঘরে চিঠি চলে আসে।
চ্যানেল মাইনিটাইজেশন সফল হলে Channel ট্যাবে Status and Features অপশনের নিচে Monetization অপশন দেখতে পাবেন।
ধাপ-৫.২ ভিডিও মানিটাইজেশন করাসমাধান-৫.২ ভিডিও মানিটাইজ করার জন্য Creator Studio তে Video Manager ট্যাবে ক্লিক করুন। তারপর Video অপশনে গেলে আপনার ভিডিও লিস্ট দেখতে পাবেন। প্রতিটি ভিডিওর পাশে ডলার ($) চিহ্ন দেখতে পাবেন। সেটা কালো থাকলে সেটাতে ক্লিক করুন। তারপর Monetization with Ads এ গিয়ে সব অ্যাডস্ সিলেক্ট করে সেভ বাটনে ক্লিক করুন। যদি ডলার ($) চিহ্ন সবুজ হয় তবে মানিটাইজেশন সফল হয়েছে।
আর কোনো ডলার ($) চিহ্ন না থাকা মানে হচ্ছে আপনার এখনও ১০০০০ (দশ হাজার) ভিউ পুরো হয়নি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১০০০০ ভিউ পূর্ণ হলে ইউটিউব আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দিবে এবং তারপর আপনি ডলার ($) চিহ্ন দেখতে পাবেন।
ধাপ-৬ টাকা উত্তোলন পদ্ধতিসমাধান-৬ শুরুতে ধরে নিচ্ছি যে আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট পিন ভেরিফিকেশন করা হয়ে গেছে এবং আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার জমা হয়েছে (এটা Default Threshold। তার মানে ১০০ ডলার হলে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে অটোমেটিক টাকা চলে যাবে। আপনি Threshold ইচ্ছেমত নির্ধারণ করে দিতে পারেন তবে সর্বনিম্ন হচ্ছে ১০০ ডলার)। সবকিছু ঠিক থাকলে ব্যাঙ্ক একাউন্ট যোগ করার জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন –
১। AdSense এ লগইন করে Settings ট্যাবের Payment অপশনে ক্লিক করুন। তারপর Add a payment Method অপশনে যান।
২। Wire Transfer সিলেক্ট করুন।
৩। Bank Account Name (আপনার যে নামে ব্যাঙ্কে একাউন্ট খোলা আছে)
৪। Bank Name
৫। SWIFT CODE (ব্যাঙ্কের SWIFT CODE জানতে বাঙ্কে গিয়ে / গুগলে খোঁজ করুন)
৬। Account number
৭। Re-type Account number
৮। Intermediary Bank (আপনারা Set this method as primary সিলেক্ট করুন)
৯। সেভ করুন।
১৫ দিনের মাঝেই আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা চলে যাবে।
শেষ কথা
বক্তব্যঃ এই পর্যন্ত আমরা ইউটিউবে কিভাবে চ্যানেল তৈরি এবং অ্যাডস্ কিভাবে দেখানো যায় তা জানলাম। পরের পর্ব আমরা Advanced টপিক নিয়ে আলোচনা করবো।
আর পর্বটা একটু দিয়ে দিব কারণ আমি লিখে রেখেছি। বেশী বড় হয়ে যায় এইজন্য আমি Part করে দিচ্ছি।
আপনাদের যদি বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।