#নতুন_ইউটিউবারদের_৯টি_ভুল_দেখুন_আপনি_কোন_ভুলটি_করছেন
#১টি_চ্যানেল_নিয়ে_কাজ_করাঃ ওয়ারেন বাফেটের একটি উক্তি আছে “আয়ের জন্য একটি উৎসের উপর নির্ভর না করা” ধরুন আপনার একটা চ্যানেল আছে এবং আপনার সব ফোকাস সেই চ্যানেলের প্রতি কারণ আপনি সেই চ্যানেল থেকে মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করেন, কোনভাবে যদি আপনার চ্যানেলেটির মনিটাইজেশন সাস্পেন্ড হয় বা একাউন্ট ডিজেবল বা একাউন্ট হ্যাক হয়ে যায় তখন আপনার কি হবে? আপনার আয় তখন শূন্য, সুতরাং আপনাকে ইউটিউবিং শুরু করতে হলে বিকল্প আয়ের আরেকটি রাস্তা মাথায় রাখতে হবে, তাই একটি চ্যানেল দাড়িয়ে গেলে আরেকটি চ্যানেলের দিকে ফোকাস করুন যেন প্রথম চ্যানেলের কোন ক্ষতি হলেও আপনার আয় বন্ধ না হয়।
#চ্যানেলে_সাবস্ক্রাইব_কমেন্ট_শেয়ার_করতে_না_বলাঃ অনেকেই শুধু ভিডিও আপলোড করে যায় কিন্তু ভিডিওতে তার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করার জন্য বলে না, প্রত্যেক ভিডিওর শেষে আপনার চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করার জন্য, কমেন্ট করার জন্য, শেয়ার করার জন্য অডিয়েন্সকে অনুরোধ করা উচিত। ভিডিও র্যাক করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে অডিয়েন্সের সাথে আপনার এনগেজমেন্ট, তাই ভিডিওর শেষে চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব, কমেন্ট, শেয়ার করতে বলা উচিত।
#ভিডিওর_লেন্থ_সম্পর্কে_সচেতন_না_হওয়াঃ অনেকে আছে খুব ছোট লেন্থের ভিডিও আপলোড করে। শর্ট লেন্থের ভিডিও আপলোড কখনো গুড প্র্যাকটিস না। আবার অনেকে ভিডিওর লেন্থ অনেক বড় করে ফেলে। ইউটিউবের ডিফল্ট ভিডিও আপলোড লেন্থ থাকে ১৫ মিনিট সুতরাং খুব শর্ট লেন্থ বা খুব দীর্ঘ ভিডিও আপলোড না করে এভারেজ লেন্থের ভিডিওতে ফোকাস করা ভালো।
#সোশ্যাল_নেটওয়ার্কে_ভিডিও_শেয়ার_না_করাঃ অনেক নতুন ইউটিউবার নিজের বানানো ভিডিওগুলি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করে না। আপনাকে যদি আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়াতে হয় তবে আপনাকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার ভিডিও শেয়ার করতে হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার ভিডিও যত শেয়ার হবে আপনি ততই নতুন ভিউয়ার পাবেন। ইউটিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাবেন তাই নিজেকে লুকিয়ে না রেখে নিজের ক্রিয়েটিভিটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষকে জানান।
#রিসার্চ_প্ল্যান_না_করে_শুধু_একের_পর_এক_ভিডিও_আপলোড_করে_যাওয়াঃ অনেক নতুন ইউটিউবার আছে তারা তাদের নিশ নিয়ে রিসার্চ না করেই, প্ল্যান না করেই কোয়ালিটিহীন ভিডিও আপলোড করে যায়, যার ফলে দেখা যায় তাদের ভিডিওগুলিতে মাত্র ৫০০ বা ১০০০ এর মত ভিউ পায়। যদি আপনি আপনার নিশ নিয়ে রিসার্চ করে প্ল্যান মাফিক ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর ভিউ পেতে পারেন। ধরুন আপনি টেকনোলজি নিশ নিয়ে কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে রিসার্চ করে বের করতে হবে আপকামিং কোন কোন নতুন ফোন বা টেকনোলজিকাল প্রোডাক্ট রিলিজ হবে এবং সেই সব প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও বানাতে চেস্টা করবেন এর ফলে আপনি বেশ ভালো ভিউয়ার পেতে পারেন।
#অডিয়েন্সের_সাথে_ইন্টারেক্ট_না_করাঃ অনেক ইউটিউবার আছে তারা শুধু ভিডিও আপলোড করেই যায়, কিন্তু সেইসব ভিডিওতে অডিয়েন্সেরা যখন কমেন্ট করে অনেকেই সেই সব কমেন্টের কোন রিপ্লাই দেয় না। আপনার উচিত অডিয়েন্সের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া।
#নিয়মিত_ভিডিও_আপলোড_না_করাঃ ইউটিউবের এলগরিদমে একটি বিষয়ে ফোকাস করা হয় সেটা হচ্ছে চ্যানেল গ্রোথ, প্রথম প্রথম সব ইউটিউবাররা বেশভালো উদ্যমে নিয়মিত কাজ শুরু করে কিন্তু যখন তারা ভিডিওতে ভিউ পায়না তখনই হতাশ হয়ে কাজে গাফিলতি করা শুরু করে আর এর ফলেই চ্যানেলের গ্রোথ বন্ধ হয়ে যায় এবং ইউটিউব থেকে আপনার বিদায় ঘণ্টা বাজে। আপনি যখন নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার চ্যানেলের গ্রোথ আব্যাহত থাকবে, তাই আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ভাবে ভিডিও আপলোড করে যেতে হবে।
#ইউটিউবের_গাইডলাইন_না_পড়েই_কাজ_শুরু_করাঃ নতুন ইউটিউবারদের কিছু কমন অভিযোগ আছে সেগুলো হচ্ছে: আমার চ্যানেলে কমিউনিটি রুলস ভায়োলেশন হয়েছে কেন, আমার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক হয়েছে কেন, আমি মনিটাইজেশন পাচ্ছি না কেন ইত্যাদি। নতুন ইউটিউবাররা যদি কষ্ট করে ইউটিউবের গাইডলাইন গুলো পড়ে তাহলে তারা খুব সহজেই ইউটিউবের রুলসগুলো জানতে পারে কিন্তু বেশিরভাগ নতুন ইউটিউবার ইউটিউবের গাইডলাইন না পড়েই কাজ শুরু করে আর পরবর্তীতে বিভিন্ন রুলস ভায়োলেশনের কারনে চ্যানেল পর্যন্ত হারায়।
#ইউটিউবে_কোন_কাজ_নিষিদ্ধ_সেগুলো_না_জানাঃ নতুন ইউটিউবাররা অনেকেই জানে না ইউটিউবে কি কি কাজ করা বারণ, আপনাদের জানার সুবিধার জন্য বলছি ইউটিউবে স্প্যাম, মিসলিডিং কন্টেন্ট, হেটফুল কন্টেন্ট, হারম্ফুল কন্টেন্ট, হ্যারেসমেন্ট, ভায়োলেন্ট কন্টেন্ট, মিসলিডিং ডাটা এই সব বিষয় ইউটিউবে নিষিদ্ধ। অনেকে এই বিষয় গুলো না জেনেই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা শুরু করে ফলাফল চ্যানেলে স্ট্রাইক বা চ্যানেলে ডিজেবল। সুতরাং ইউটিউবে কি করা যায় আর কি করা যায় না সেটা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।