আসসালামুআলাইকুম ও আদাব
আমি Nabid NK।কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালোই আছেন।আমিও ভালোই আছি।আজ আর একটা টপিক নিয়ে কথা বলবো।হয়তো টাইটেল দেখে বুঝেই গেছেন কি নিয়ে কথা বলবো।হ্যাঁ,আজ ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু বা ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম নিয়ে কিছু কথা বলো।আগেই বলে রাখি এই পোষ্টটি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞা এবং বাস্তব ধারনার উপর ভিত্তি করে লিখা।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
আপনি প্রথমে সিউর হয়ে নিন যে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন।তারপর একটা টপিক বেছে নিন (টেক রিলেটেড,তথ্য প্রদান,খবর,রোস্টিং ইত্যাদি) আপনাকে এই হাজার হাজার টপিক থেকে একটা বেছে নিতে হবে।আর যদি ভাবেন একবারে হাজারো টপিক নিয়ে কাজ করবেন তাহলে আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিতেছি আপনার দ্বারা ইউটিউবিং হবে না আপনি ছেড়ে দিন।ধরুন আপনি একটি চ্যানেলেই একবার ইসলামি কিছু আবার গানও দিচ্ছেন এটা সবাই লাইক করবে না সবার রুচি এক না।কেউ এটা পছন্দ করে কেউ ওটা।পরে দেখবেন যে আপনি একুলও পাচ্ছেন ওকুলও পাচ্ছেন না।তারপর ঐ বিষয় সম্পর্কিত একটা নাম বেছে নিন।একটু আলাদা নেয়ার চেষ্টা করবেন যা পূর্বে ইউজ করে নি।আর হ্যাঁ ঐ বিষয় রিলেটেড হতে হবে।কারন যেমন ধরুন নাম দিয়েছেন ইসলামি সংগীত আর ভিতরে অন্য কিছু তাহলে কি হবে আপনিই ভেবে দেখেন।তারপর খোলা হয়ে গেলে লোগো বানান বা বানিয়ে নিন।অবশ্যই আপনার বিষয় রিলেটেড যেন হয়।আবার কারো লোগো স্টাইল কপি করবেন না তাহলে মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।সাধারন হলেও একটু ডিফারেন্ট করার চেষ্টা করবেন।কারন মানুষ আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখতেই আপনার চ্যানেলে আসবে।আর হ্যাঁ,লোগো,নাম,কভার পিক এসব যেন প্রোফেশনাল মানের হয়।নয়তো লাইট দিয়ে খুজেও ভিজিটর পাবেন না।আর এমন ভাবে কাজ করবেন যাতে সহজেই যেকারো দৃষ্টি অকর্ষন করতে পারেন।চ্যানেল এট্রাকটিভ না হলে আপনি ব্যর্থ হবেন।তাই কাজ টুকু প্রোফেশনাল ভাবে করার চেষ্টা করবেন।
কনটেন্ট বা ভিডিও আপলোড করা
আপনার পছন্দের বেছে ঐ বিষয়ের ভিডিও বানান।যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঐ টপিক নিয়ে বানানো কোনো পপুলার চ্যানেলের ভিডিও দেখে ধারনা নিন।তাদের কিছু কিছু বিষয় ফলো করুন।আবার পুরোটাই ফলো করিয়েন না।তাহলে আপনার ক্রিয়েটিভিই থাকলো না।আবার মানুষের আকর্ষন থাকবে এমন ভিডিও তৈরি করা।আবার আজগুবি যেগুলোর প্রতি কারো আকর্ষন নেই সেই টাইপের কনটেন্ট বানায়েন না।আর ভিডিওর মধ্যে যেন উদ্যেশ্যটা সম্পুর্ন টাইটেল এর মতো হয়।আবার টাইটেল দিছেন “কষ্টের গান” আর ভিতরে গিয়ে দেখি “ডিজে গান” তাহলে ভিজিটররা বিক্ষুব্ধ হবে।তাই যেন ভিডিওর উদ্দেশ্য এবং টাইটেলে যেন মিল থাকে।
কিভাবে ইউটিউব ভিডিও/থাম্বনেইল ইডিট করবো
একটা ভিডিও কতটা আকর্ষিত হবে তা নির্ভর করে কত ভালো ভাবে ইডিট করা হয়েছে।ভিডিওর ক্ষেত্রে ইডিটিং একটা বড় ফেক্টর।তাই এই কাজটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।যদি প্রোফেশনাল ভাবে কাজ করতে চান তাহলে এই বিষয়ের উপর একটা কোর্স করে নিতে পারেন।নেট থেকে একটা কাইনমাষ্টার নামালের আর এক দুই ব্যাকরাউন্ড মিউজিক লাগালেন আর ইডিট হয়ে গেল এই ধারনা ভুল।এডিটিং এতোটাও সহজ না।আর ইডিট করে এট্রাক্টিভ না করতে পারলে কেউ ভিডিও টা ওপেন করলেও দেখবে না।আর তাহলে আপনার সকল খাটনি সব পানি।তাই এই ইডিটিংটাকে এত সহজভাবে নিয়েন না।আবার থাম্বনেইল ভিডিওতে ভিজিটর বাড়াতে অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।এটা অনেকটা মেকাবের মতো যা আকর্ষন করে।তাই এই থাম্বনেইল টা অনেক গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে ভিউ বাড়াতে।
ভিডিও ভালোভাবে এসইও করা
যেন আপনার আপলোড করা বিষয় নিয়ে কেউ গুগলে সার্চ করে কিংবা ইউটিউবে সার্চ করলে সবার উপর যেন থাকে এবং ভিউ যেন বাড়ে এই বিষয়ে এসইও (Search Engine Optimization) গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে।তাই এই এসইও করাটা প্রয়োজন।আপনি টেগ কিংবা ডিসক্রিপশনের মাধ্যমে এসইও করতে পারেন।মনে রাখবেন এসইও ছাড়া ভিডিও আর মস্তিষ্ক ছাড়া মানুষ একই যতই সুন্দর হক না কেন মুল্য জিরো।এই এসইও নিয়ে ট্রিকবিডিতে অনেক পোষ্ট পাবেন কষ্ট করে খুজে নিবেন।
ভিডিও বা চ্যানেল প্রচার
অনেকে আছে মনে করেন যে বিভিন্ন যায়গায় চ্যানেল লিংক দেয়া ভিডিও দেয়া কে ভিউয়ার বাড়ানোর উপায় মনে করেন এটা সম্পুর্ন ভুল।কিছু পাগল কোয়ালিটির মানুষ আছে যারা ফেসবুক গ্রুপ/কমেন্ট,ইউটিউব ভিডিও কমেন্ট,ট্রিকবিডি কমেন্ট এরিয়া এই স্প্যাম করে নোংরা করছে।লক্ষ করবেন এরা একজনও সফল হতে পারে না।ভালো কোয়ালিটি ভিডিও , ইডিটিং , থাম্বনেইল এসব ঠিক রাখলে ভিডিওর ভিউয়ার অটোমেটিক আসবে।কারো কাছে গিয়ে এভাবে বারবার বললে আপনার এবং আপনার ভিডিও র মান কমে যাবে বাড়বে না।
কিছু কথাঃ আপনি ইউটিউবিং করে সফল হন এই প্রত্যাশাই থাকবে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন পারলে ভুলটা ধরিয়ে দিবেন।
যেকোনো সমস্যায় ফেসবুকে আমি