আপনি যদি একজন ইউটিউবার হোন তাহলে জেনে রাখুন এখন থেকে আপনি আর চাইলে আর আপনার YouTube চ্যানেলের Subscriber সংখ্যা লুকাতে পারবেন না। এই ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ ইউটিউব থেকে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা নতুন ইউটিউবার তারা নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে তা লুকিয়ে রাখে বা হাইড করে রাখে। যাতে করে কেউ বুঝতে না পারে যে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার কতজন। এরফলে যারা একদমই নতুন ইউটিউব প্লাটফর্মে তাদের জন্য এটা খুবই খারাপ খবর। বিশেষ করে এটি বন্ধ করার কারণ হচ্ছে কিছু কিছু স্প্যামারদের জন্য।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য স্প্যাম কোন নতুন সমস্যা না, তবে ইদানিং বা দিন দিন এটির অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে বা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর এই স্প্যামারদের রুখতে জনপ্রিয় ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব এক নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে।
মূলত ইউটিউব তার নিজস্ব স্প্যাম সমস্যাগুলি দূর করার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য বা ফাংশনের পরিবর্তন এনেছে। যা নকল অ্যাকাউন্টগুলিকে বাস্তবের ছদ্মবেশ ধারণ করা কঠিন করে তোলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে৷ অর্থাৎ অনেকেই আছে একটি জনপ্রিয় চ্যানেলের নকল আরেকটি চ্যানেল তৈরি করে যেটাকে সহজে সনাক্ত করার জন্য এই পদক্ষেপ।
গত ২৯ জুলাই থেকে YouTube চ্যানেলগুলি আর তাদের গ্রাহক সংখ্যা লুকাতে পারবে না৷ এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যা মূলত ইউটিউব চ্যানেলের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করার পর দেখা যায়। হয়তো অনেকেই বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। প্রতিষ্ঠিত বা জনপ্রিয় কোন চ্যানেলের নকল তৈরি কারক স্প্যামাররা সহজে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা লুকানোর মাধ্যমে সফল হতে পারতো। যা এখন আর সম্ভব হবে না।
যদিও ইউটিউব স্বয়ং নিজেই স্বীকার করে যে “কিছু ইউটিউবাররা তাদের সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন কারণ তারা তাদের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেন” কিন্তু ইদানিংকালে ইউটিউবে ছদ্মবেশীদের সংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে এর ব্যাপকতা কমাতে এই পদক্ষেপ। অবশ্যক এই পদক্ষেপটি নিশ্চিতভাবে কিছু লোককে বিরক্ত করবে। যেহেতু ইউটিউব এখানে নতুন কিছু যোগ করার পরিবর্তে একটি বিকল্প সরিয়ে দিচ্ছে, তবে সংস্থাটি তা সত্ত্বেও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
স্প্যামাদের রুখতে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা লুকানোর ফাংশন বাতিল করার পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেলের নামের উপরও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে এখন থেকে আর ইউটিউব চ্যানেলের নামের মধ্যে স্পেশাল ক্যারেক্টার বা বিশেষ চরিত্রের কোন সিম্বল বা সংকেত ব্যবহার করা যাবে না। এটিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ হচ্ছে ছদ্মবেশকারীদের সহজে দৃষ্টিতে লুকিয়ে রাখা কঠিন করে তোলার জন্য। মূলত, YouTube চায় না যে বিশেষ অক্ষর আর কেউ ব্যবহার করুক যেমন à la “¥ouⓉube” – এই ধরনের বিশেষ অক্ষর বা স্পেশাল ক্যারেক্টার স্প্যামাররা ব্যবহার করে আরকটি জনপ্রিয় বা প্রতিষ্ঠিত চ্যানেলের নকল তৈরি করে থাকে।
স্প্যাম অ্যাকাউন্টগুলি মূলত যে চ্যানেলের কপি তৈরি করতে চায় তার নাম অনুলিপি করে সূক্ষ্মভাবে অথবা সূক্ষ্মভাবে নয় এক বা দুটি অক্ষর পরিবর্তন করে। যার ফলে এক নজরে বা প্রথম নজরে একটি নকল চ্যানেলকে চিনতে মুশকিল হয়ে যায়। এতে করে সাধারণ ব্যবহারকারীরা নকল বা জাল চ্যানেলকে আসল মনে করে ব্যবহার করতে থাকে।
উপরোল্লিখিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ও নামের স্পেশাল ক্যারেক্টারের পাশাপাশি ইউটিউব আরেকটি বিষয়ে পরিবর্তন এনেছে, যেটি মূলত মন্তব্য মডারেশনের বিষয়ক। “increase strictness” বা কঠোরতা বৃদ্ধি নামে নতুন এই মন্তব্য মডারেশন সেটিং এনেছে। এটির কন্ট্রোল মূলত সকল ইউটিউবারের কাছে থাকবে। যার মাধ্যমে একজন ইউটিউবার আক্রমনাত্মক মন্তব্যগুলিকে ফিল্টার করতে পারবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে স্প্যামের কারণ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে অনেকে ইউটিউবার এই বিষয় অনেক অভিযোগ করেছেন। যার কারণেই মূলত ইউটিউব কর্তৃপক্ষ স্প্যাম ঠেকাতে এই পদক্ষেপগুলি নিতে বাধ্য হয়েছে। যদিও এর জন্য অনেকের কাছে খারাপ লাগতে পারে। আবার অনেকের কাছে ভালোও লাগতে পারে। এখন একমাত্র আপনিই বলতে পারেন আপনার জন্য কোনটা ভালো বা হয়েছে
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।