কি??? ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অনেক ভয় পান?? আবার একজন সফল ইউটিউবারও হতে চান? রাইট? তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই।
ইদানিং অনেক আমাকে মেসেজ দিয়ে বলে-আমি একজন ভালো ইউটিউবার হতে চাই কিন্তু আমি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারি না, আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইতে খুবই ভয় পাই, এবং আমার বন্ধুবান্ধব নানা ধরনের কথা বলে যে তুমি ইউটিউবার হতে পারবা না ইত্যাদি ইত্যাদ।
আর ফ্যামিলি থেকে সাপোর্ট এটা তো আমার আমাবস্যা চাঁদের মত একটা অবস্থা। তো এই সব বিষয়ে বাদ দিয়ে আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করব এমন বেশ কয়েকটা youtube চ্যানেল এবং প্র্যাকটিকাল কিছু মেথড যার কারনে আপনি খুব ইজিলি বুঝতে পারবেন-
উইদাউট ফেস মানে কোনরকম মুখ না দেখিয়ে বা ভয়েস না দিয়ে আপনি কিভাবে একজন সফল ইউটিউবার হতে পারেন। এবং কোন কোনটা পিক আপনি কাজ করে ভালো একটা ইনকাম আপনি করতে পারেন।
১। গেমিং চ্যানেল
আমাদের সবার পছন্দের টপিক হল গেমিং ইভেন আমি নিজেও কিন্তু প্রতিদিন এটলিস্ট ২ ঘন্টা গেমিং করে থাকি। তাই আপনি কম বেশি হলেও কিন্তু এক ঘণ্টার একটা গেম খেলে থাকেন সাধারণত?
আবার এমনও মানুষ আছে আমাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা শুধু গেমিং এ করে? ইভেন এমনও মানুষ আছে যারা ঘুমের মধ্যেও গেম খেলার একটা চেষ্টা করে ?
তো আপনি চাইলে কিন্তু এই গেমিংটা আপনার পেশা হিসেবে নিতে পারেন বা ইউটিবিং হিসেবে নিতে পারেন, আপনি খেয়াল করলেই দেখবেন ইউটিউবে কিন্তু অনেক চ্যানেল আছে তারা শুধুমাত্র pubg কিংবা ফ্রী ফায়ার এগুলোকে লাইভ স্ট্রিম করে ছোট থেকে কত উপরে চলে গেছে?
আর এখানে আপনার ইনভেস্টমেন্টটি কিন্তু খুবই কম, শুধুমাত্র আপনার একটা ভালো স্মার্টফোন দরকার যেটা অধিকাংশ মানুষেরই পকেটে থাকে এখন আর দরকার একটি ভালো মানের হেডফোন যেটাও আপনাদের কাছে এখন আছে আমি জানি।
তো এই দুইটা জিনিস দিয়ে আপনি আজকে থেকে কিন্তু যে কোন একটা গেম খুব সুন্দর ভাবে লাইভ স্ট্রিম করলেন এবং সেটি ইউটিউব এ কন্টিনিউ আপলোড করলেন। তাহলে যেটা হচ্ছে দেখেন যে অলরেডি আপনার গেমিংটা খুবই পপুলার একটা কনটেন্ট ইউটিউবে তো এখানে যখন আপনি পার্টিসিপেন্ট করবেন ডে বাই ডে কিন্তু আপনার চ্যানেলটা গ্রো করতে থাকবে।
এবং আল্লাহর রহমত থাকলে আপনি খুব শীগ্রই ভালো একটা পজিশনে চলে যেতে পারেন, ইভেন এরকম ধরনের কন্টেন্ট বানাতে আপনার ফেস কেম করা দরকার নেই।
এবার যদি আমি আপনার গেমিং কনটেন্টেড ইনকামের একটা ধারণা দেই তাহলে আমাদেরই বাংলাদেশর ইউটিউবাররা যারা গেম খেলে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার কামাচ্ছে।
২। স্টেট ফুড রিভিউ
এই বিষয়ে কথা বলার আগে আমি একটা কথা বলতে চাই যে এই পোস্টের একবারে শেষে আমি এমন একটা সিক্রেট বা এমন একটা ফর্মুলা শেয়ার করব যে একটা ফর্মুলার জন্য আপনি সবগুলো টপিকে আপনি ওভার নাইট গ্রো করতে পারেন।
আর সেটি জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করেন ইস্টেট ফুড রিভিউ বাংলা তাহলে দেখবেন যে বাংলাদেশে অনেক ব্লগার আছে যারা রাস্তায় সামনে যে বিভিন্ন ভাজি বিভিন্ন ধরনের পরোটা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট খাবার তৈরি করে এগুলোর ভিডিও করে তারা youtube-এ আপলোড করে দেয়।
না আছে ওই ভিডিওগুলোতে সেই মানের কোয়ালিটি না আছে ভালো মানের এডিট কোন কিছুই মানসম্মত না তারপরও আপনি এমন ভিডিও দেখবেন যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ, বাট ভিডিওটা দেখবেন শুধুমাত্র ডিম ভাজি করেই শেষ করে ফেলেছে।
তো দেখেন আপনার হাতেও কিন্তু অনেক ফ্রী সময় থাকে? আপনিও কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় যান? তো আপনিও চাইলে কিন্তু এই কনটেন্ট টাকে কাজে লাগাতে পারেন।
কোথাও একটা গেছেন ভালো কিছু একটা রান্না হচ্ছে আপনি আপনার হাতের স্মার্ট ফোন দিয়ে সেটি সুন্দর করে একটা ভিডিও করলেন। বাসায় এসে হালকা একটু কাটসাট করে youtube এ আপলোড করলেন, এবং কন্টিনিউয়াসলি রেগুলার এটা আপলোড করতে থাকলেন।
বিলিভ মি আপনি সেটা তিন মাস এই কাজটি করেন দেখেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল রেঙ্ক করে নাকি, কারণ ইস্টেট ফুড বা ফুড রিভিউ এই জিনিসটা একটা এভার গ্রিন নিস, মানে সারা জীবন চলতে থাকে।
এর মানে হলো আপনি যদি এখনো ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন কিভাবে ডিম ভাজতে হয় তাহলে দেখবেন আপনার সামনের নতুন পুরনো সব ভিডিও হাজির। এর অর্থ হলো এটা সারা জীবন চলার মত একটা ভিডিও।
এটি কোন নিউজ না যেটা আজকে ট্রেন্ডিং কিন্তু কালকে ডেট হয়ে যাবে, সো স্টেট ফুড এটা অসাধারণ একটি কনটেন্ট এবং যদি আমরা ইনভেস্টমেন্ট এর কথা বলি তাহলে বলবো এখানেও কিছু লাগছে না শুধুমাত্র লাগবে আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন।
আর যদি কিছু লাগাতে চান তাহলে ১০০০ টাকা একটা বয়া কিনে নিতে পারেন। বাট এটারও আমি রেকমেন্ড করছি না।
কারণ এই টাইপের ভিডিও এটা ছাড়াও করা পসিবল।
এবার যদি আমি ইনকামের কথা বলি তো আপনি এই টপিকে মোটামুটি ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার ইঞ্জিলি ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনার চ্যানেলটি রেংকিং এ নিয়ে যেতে পারেন।
তো আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে ফুড রিভিউ ভিডিও তৈরি করেন এবং প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে চাকরি করার কি দরকার ভাই?
৩। কার্টুন ভিডিও
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ভাই কার্টুন ভিডিও বানাবো কিভাবে?
একটা সময় ছিল কার্টুন ভিডিও বানানোর জন্য বিশাল বড় প্যানেল লাগতো, অনেক হাই কনফিগারের কম্পিউটার লাগতো। কিন্তু সেইদিন চলে গেছে ভাই।
এখন আপনি চাইলেই আপনার হাতে থাকে স্মার্টফোন দিয়েই ছোট্ট ছোট্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি অসাধারণ কার্টুন ভিডিও বা এনিমেশন ভিডিও তৈরি করে ফেলতে পারেন।
এবং আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ করে দেখেন তাহলে এগুলোর অনেক ডিমান্ড আপনি দেখতে পারবেন, মানে এত পরিমান ডিমান্ড কার্টুন ভিডিওর মধ্যে যেটা অন্য কোন কনটেন্ট এ সাধারণত আমরা লক্ষ্য করি না।
ইভেন বাংলাদেশে অনেকে আছে যারা ফানি ফানি ভয়েস দিয়ে, অনেক সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট কার্টুন ভিডিও তৈরি করেন তাও আবার সেটি করেন মোবাইলের দ্বারা।
তো আপনি যদি ডেডিকেটেড ভাবে শিখতে চান কিভাবে মোবাইল দিয়ে কার্টুন ভিডিও তৈরি করা যায় তাহলে আপনি এই আর্টিকেলের নিচে একটা কমেন্ট করতে পারেন।
আমি প্রাকটিক্যাল দু-একটা আর্টিকেল লিখে একটা সিরিজ আপনাদেরকে দিতে পারি, যেই সিরিজের মধ্যে আমি দেখাবো সিম্পলি কিভাবে আপনি কার্টুন ভিডিও মোবাইল দিয়ে মেক করতে পারেন।
এবং এটা খুব সহজ সে ক্ষেত্রে আপনার ইনভেসমেন্ট তেমন কিছুই লাগছে না, শুধুমাত্র আপনার হাতে যে স্মার্টফোন আছে সেটিই লাগছে। আর ভয়েজ ওভারের জন্য ওই যে বললাম ভাই বয়া মাইক্রোফোন জাস্ট এটুকুই।
আপনি যদি একটু দেখেন বাংলাদেশের আমাদের ভাই ব্রাদাররাই শুধুমাত্র কার্টুন ভিডিও তৈরি করে এক হাজার দুই হাজার কিংবা ৩০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকছেন।
এবং আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন দিতে চাই সেটি হচ্ছে, এটাও কিন্তু একটা এভারগ্রিন নিস মানে সারা জীবন চলে।
৪। এ এস এম আর ভিডিও
নরমালি এই ভিডিও সিস্টেমটাকেই এ এস এম আর বলা হয়ে থাকে এটার নাম টা খুবই অদ্ভুত, কারণটা হলো বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর সাউন্ড রেকর্ড করার জন্য আসলে এই ভিডিওর নাম দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি ইউটিউবে সরাসরি সার্চ করেন এ এস এম আর ভিডিও তাহলে দেখবেন আপনি বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার সেটা সাউন্ড রেকর্ড করা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেটাতে হাত দিলে যে ফিলটা হয় সেই সাউন্ডটা রেকর্ড করা।
শুধুমাত্র সাউন্ড এর জন্যই এই ধরনের ভিডিও অনেক পপুলার ইভেন জাপানে এটা নিয়ে competition পর্যন্ত হয় কে কত ভালো সাউন্ড রেকর্ডিং কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
জিনিসটা খুবই অদ্ভুত লাগবে বাট আপনি একটা বার অবশ্যই এ এস এম আর ভিডিও দিয়ে সার্চ করে দেখেন তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এই জিনিসটি তৈরি করতে আপনার দুইটা টাকাও খরচ হবে না।
আর যদি খরচ হয়েই থাকে তাহলে ওই যে আগের জিনিসই বয়া মাইক্রোফোন। শুধু এটুকুই হলো আপনার ইনভেসমেন্ট আর বাকি সব কাজ হয়ে যাবে আপনার মোবাইল দিয়ে।
আর ইনকামের কথা সেটা বলতে চাই না কারণ আপনি যদি শুয়ে থাকেন তাহলে উঠে বসবেন আর যদি আপনি উঠে বসে থাকেন তাহলে আপনি শুয়ে পড়তে পারেন।
৫। আর্ট ভিডিও বাট ড্রয়িং ভিডিও
ইভেন আমি প্রথমে বলতে চাই বাংলাদেশে আমাদের মধ্যে অনেকে আছে অনেক সুন্দর সুন্দর ড্রইং করে ইভেন আমার ছোট ভাই আছে ও অনেক সুন্দর ড্রয়িং করে, কিন্তু দেখেন ওর প্রতিভাটা কিন্তু বাসাতেই সীমাবদ্ধ ও যদি এই ড্রয়িং ভিডিও গুলো মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করতো কোথাও না কোথাও পপুলারিটি কিন্তু চলে আসতো।
তো এই জিনিসটা কিন্তু আপনিও পারেন যেমন আমিও কাগজের নৌকা তৈরি করতে পারি, তো আমার মনে হয় আমার মত আপনিও অনেক কিছু তৈরি করতে পারেন।
এবং অনেক কিছু আপনি আঁকতে পারেন আমি আম জাম কলা কিংবা পাখি খুব ভালোভাবে আঁকতে পারি তো এরকম আপনিও যখন প্রতিদিন আঁকার কোন ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করবেন। তখন দেখবেন একটা সময় এটা কিন্তু ভালো একটা পজিশনে চলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
ইভেন আমাদের বাংলাদেশি অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে তারা শুধুমাত্র ড্রয়িং ভিডিও দিয়ে অনেক ভালো মানের একটা ইনকাম করে নিচ্ছেন।
এবং এই ভিডিওতে যদি ইনভেস্টমেন্টের কথা বলি তাহলে ইনভেসমেন্ট তেমন কিছুই লাগছে না আপনার হাতে যে স্মার্টফোন আছে সেটি দিয়েই চলছে। কোন মাইক্রোফোনের ও প্রয়োজন হচ্ছে না।
আর হচ্ছে কি ভিডিও এডিটিং এ আপনি অ্যাড করে দিবেন যে আপনি কোন কোন টুলস ব্যবহার করছেন ড্রয়িং করার জন্য শুধু এটুকুই।
এবার যদি আপনার ইনকামের কথা বলি তাহলে একটা স্ক্রিনশট দেখলেই বুঝতে পারবেন। যে আমাদের বাংলাদেশী পোলাপাইন এই ড্রয়িং ভিডিও কে কাজে লাগিয়ে প্রতিমাসের ৭০০- ৮০০ ডলার কামাচ্ছে।
তোর চলুন নিচের স্ক্রিনশট দেখে ধারণা নেয়া যাক কোন চ্যানেল কিরকম ইনকাম করছে।
1। Gaming channel earning screenshot
2। State food review channel earning screenshot
3। Asmr channel earning screenshot
4। Drawing video channel earning screenshot
এবার একটা শেষ সিক্রেট ফর্মুলা যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছিলাম সেটা হলো- এই যে পাঁচটা টপিক আপনাদের কাছে যে আমি শেয়ার করলাম।
৫ ধরনের আইডিয়া শেয়ার করলাম এই পাঁচ ধরনের আইডিয়াতেই আপনি রাতারাত মানে অভার নাইট কিভাবে গ্রো করতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে??
এটি খুবই সহজ মনে করেন আপনি গেমিং করেন, আপনি যদি গেমিং করতে চান তাহলে প্রথমে একটা ভালো ইউটিউবার কে আপনি খুঁজে বের করুন। যে কিনা গেমিং করে অনেক ভালো একটা পজিশনে রয়েছে।
আপনি তাকে একটু রিকুয়েস্ট করেন তার সাথে একটু কথা বলেন, মিট করেন এবং তাকে আপনি এগ্রি করান যে আপনার সাথে বসে মিলে একটা ভিডিও তৈরি করার জন্য।
এটা কিন্তু সম্ভব অনেক সময় এটা করার জন্য কিছু টাকা পয়সা হয়তো নিয়ে থাকতে পারে, বাট এই একটা কলাভ্রেশনের জন্য আপনার পুরা চ্যানেলটা কিন্তু দাঁড়িয়ে যেতে পারে। ঠিক এই ফর্মুলাটা আপনি ব্যবহার করবেন এই পাঁচটা টপিকের মধ্যে যে কোন একটাতে যদি আপনি রাতারাত ভালো একটা পজিশনে যেতে চান তাহলে বলবো যে যে কোন একটা সেম ক্যাটাগরি ইউটিউবার এর সাথে কন্টাক করুন।
এবং সেই ইউটিউবার কে বলুন যে আসেন আমরা দুজন মিলে একটা ভিডিও তৈরি করি, এবং আমার ভিডিওটা আপনি একটু শেয়ার করে দিয়েন দ্যাট সিট আপনার আর কিছু ভাবা লাগবে না।
অটোমেটিক তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বেশ কিছু ভিউয়ার সাবস্ক্রাইবার আপনার ইউটিউব চ্যানেলে চলে আসবে আর সেম কন্টেন্ট হওয়ার ফলে আপনি যখনই নেক্সট ভিডিও আপলোড সেখানে অটোমেটিক ভিউ হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন-
Runner Dayang 50 বাইক কিনুন মাত্র ২০ হাজার টাকায়