কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনেক সময়ই একটি কমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং তা হচ্ছে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ফেইলর সমস্যা। এই সমস্যাটির কারণে অনেকে অনেক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অনেক ক্ষেত্রেই জমিয়ে রাখা বিলুপ্ত প্রায় কালেকশন হারিয়ে ফেলেন। এটা মূলত নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপর। আর সমস্যার গভীরতাও মূলত নির্ভর করে কম্পিউটারটি দিয়ে ঠিক কী কাজ করা হয় তার উপরে।
এখন ধরুন, একটি অফিশিয়াল কম্পিউটারে এক রকমের তথ্য সংরক্ষিত থাকে এবং পার্সোনাল কম্পিউটারে ভিন্ন রকম তথ্য। তবে দুই ক্ষেত্রেই কমন ফ্যাক্ট হচ্ছে সমস্যা! ইলেকট্রিক ডিভাইস মানেই একটা সময় এসে এর লাইফ স্প্যান শেষ হয়ে যাবেই। যদিও, একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের ক্ষেত্রে গড়ে ৩ লাখ ঘন্টা ধরে নেয়া হয় তবে এই লাইফ স্প্যান সব ক্ষেত্রেই খাতা কলমের হিসেবেই থাকবে সেটা ভেবে নেয়া ভুল। যাই হোক, আমরা এই সমস্যা এড়াতে বা হার্ড ড্রাইভের লাইফ কিছুটা এক্সটেন্ড করতে সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারি। আজকে সেই সহজ পদ্ধতিগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। চলুন, শুরু করা যাক।
খেয়াল করুন, হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা যায় ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে, তাই এখানকার পয়েন্টগুলো বেশির ভাগই ডেস্কটপ কম্পিউটারকে ঘিরেই লেখা। যদিও, অনান্য পয়েন্টগুলো ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভের লাইফ এক্সপান্ডের ক্ষেত্রে সমান ভাবেই কাজে আসবে।
১। ভালো মানের সার্জ প্রোটেকশন সম্বলিত একটি ইউপিএস কিনতে চেষ্টা করবেন। সার্জ প্রোটেকশন মূলত বাড়তি পাওয়ারকে কনট্রোল করে এবং আপনার ডিভাইস পর্যন্ত সেই এক্সেসিভ পাওয়ারকে পৌছাতে দেয় না। এর ফলে ঝড়-বৃষ্টির দিনে বজ্রপাত বা খারাপ পাওয়ার সোর্স থেকে আপনার কম্পিউটার তথা হার্ড ড্রাইভকে সুরক্ষিত রাখবে। এক্সেসিভ পাওয়ার হার্ড ড্রাইভের ফাস্ট এবং কমপ্লিট ফেইলরের জন্য দায়ী। এছাড়াও, ইউপিএস থাকার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও আপনি ম্যানুয়ালি নিরাপদভাবে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ করতে পারবেন। ফলে শুধু হার্ড ড্রাইভই নয় বরং আপনার কম্পিউটারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্টগুলোও সুরক্ষিত থাকবে।
২। লং-টার্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার উচিৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আপনার কম্পিউটারটি রাখা। অন্তত এরকম যেন না হয় যেন হঠাৎ হঠাৎ আপনার সেই রুমটির তাপমাত্রা অস্বাভাবিক আকারে পরিবর্তন হচ্ছে। এছাড়া, খেয়াল রাখবেন এয়ার ভেন্টগুলোর সামনে যেন অবশ্যই কোন প্রকার অবস্টাকল না থাকে। ডেস্কটপের এয়ার কুলার সিস্টেম বেশ বড় এবং খোলামেলা হলেও ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ছোট্ট এয়ার ভেন্ট থাকায় ল্যাপটপের ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিৎ।
৩। খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন আমাদের কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফিচার রয়েছে। এগুলো অনেকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করেন, কিন্তু এগুলো মোটেও অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং এগুলোর মাধ্যমেই আপনার কম্পিউটারটি তথা হার্ড ড্রাইভটি স্লিপ মোডে যাবে বা হাইবারনেট হবে তা নির্ধারন করা হয়। তবে আপনি যদি কাজ শেষে সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার বন্ধ করে রাখতে পারেন তবে সবচাইতে ভালো হয়। আর রাতে কাজ শেষে সম্পূর্ণভাবে শাটডাউন করার অভ্যাসটা তৈরি করে নেয়াটাই শ্রেয়।
৪। এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেয়াল রাখা উচিৎ। কম্পিউটারে কানেক্ট করার সময় অতিরিক্ত সাবধানতা বজায় রাখা, সেইফলি হার্ড ড্রাইভটি রিমুভ করা – ইত্যাদি সহজ কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভের লাইফ কিছুটা হলেও এক্সটেন্ড করতে পারবেন।
৫। মাঝে মধ্যেই ড্রাইভ মনিটর করা উচিৎ। ডিফ্র্যাগমেন্ট, ডিস্ক এরর চেকিং ইত্যাদি আপনার হার্ড ড্রাইভের লাইফ এক্সটেন্ড করতে সাহায্য করবে।
এই ছিল আজকের আয়োজন। উপরের পদ্ধতিগুলো সব ক্ষেত্রেই আপনার হার্ড ড্রাইভের লাইফ হয়তো এক্সটেন্ড করতে পারবেনা কিন্তু আপনার হার্ড ডিস্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে অবশ্যই।
You must be logged in to post a comment.
vaia onlink earn 1ta post dan plzc
Vi amar exam colteche ti post korte pari na. ……
Amin,vi namaz porben plz…
Mobil ar mage sms o kiso lakte keyboard deri te ote keno plz kono somadan ase
vaia ssc desan
Zi vi dowa korben..!
keno bi
Bro exam sesh hole pls free net er post diyen
OK vi.
কেউ কি সমাধান দিতে পারবেন আমার note 3 automatic restart হয় কেন আর কি করলে হবে না
Plz সবার কাছে সাহায্য চাইছি এটার জন্যে আর আমার মোবাইল root করা আছে
Akto wait koren
কই ভাইয়া আপনি???
কতো জায়গায় বললাম কিন্তু কোনো ভাই বলতে চায় না
Plz একটু সাহায্য করুন
help….Android simulator for PC…konta deye coc games khelte parbo plz keu help koro
Ok vaiya
vaia ame o Ssc xm dece ar dowya korbo
Apne kon bord theke jichen
Rajshahi…. kano..
Emnei
apne keearn koran
hmmmmmmmmmmmmmmmm tnx