1st part = ★ রাসূল সাঃ কি গায়েব জানেন?? বা পীর বা ওলি বা অন্য কেউ? কেউ ই জানতেন না [পর্ব – ১]
★মতভেদকারীদের ব্যাপারে পবিত্র ক্বোরআন যা বলেঃ
_________________________________________
উপরের আয়াতগুলো দ্বারা আল্লাহ তায়ালা গায়েব সম্পর্কে
স্পষ্ট করে দিয়েছেন যাতে তার বান্দাদের
কোন সন্দেহ না থাকে। কিন্তু কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা
পেয়েও যারা তা অবিশ্বাস করে, এর বিপক্ষে অন্য প্রমান
খোঁজ করে এবং মানুষের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করার চেষ্টা
করে তাদের জন্য কোরআন কি বলে সেটা একটু দেখি।
→( 1 ) আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট
প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু
পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।
তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, আপনার পালনকর্তা
কেয়ামতের দিন তার ফয়সালা করে দেবেন।
( Al-Jaathiya: 17 )
→ ( 2 ) অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ
সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে
যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ।
( Az-Zukhruf: 65 )
َ
→ ( 3 ) তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ করে তার ফয়সালা
আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ, আমার
পালনকর্তা, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই
অভিমুখী হই। ( Ash-Shura: 10 )
ْ
→ ( 4 ) আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর তাতে
মতভেদ সৃষ্টি হয়। আপনার পালনকর্তার পক্ষ
থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের মধ্যে ফয়সালা
হয়ে যেত। তারা কোরআন সমন্ধে এক অস্বস্তিকর
সন্দেহে লিপ্ত। ( Fussilat: 45 )
→ ( 5 ) তোমার পালনকর্তা যাদের উপর রহমত করেছেন,
তারা ব্যতীত সবাই চিরদিন মতভেদ করতেই থাকবে
এবং এজন্যই তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তোমার
আল্লাহর কথাই পূর্ণ হল যে, অবশ্যই আমি জাহান্নামকে
জ্বিন ও মানুষ দ্বারা একযোগে ভর্তি করব।
( Hud: 119 )
→ ( 6 ) আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস
করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ
তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।
( Yunus: 40 )
→ ( 7 ) যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস
করত। ( Al-Mutaffifin: 29 )
َ
→ ( 8 ) আপনি যতই চান, অধিকাংশ লোক বিশ্বাসকারী নয়।
( Yusuf: 103 )
★ ওহী আর গায়েবঃ
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
কোরআনের বাণীগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে রাসূল (সাঃ)
গায়েব জানেন না। রাসূল (সাঃ) নবুয়্যাতের
আগে মক্কাবাসীর নিকট খুব প্রিয় এবং বিশ্বস্থ একজন
ব্যক্তি হিসেবে সুনাম থাকলেও নবুয়্যাতের পর অধিকাংশ
লোক মুহাম্মদ (সাঃ) কে ঘৃণা করতে শুরু করে। অনেকে তাঁকে
হত্যা করার চেষ্টাও করেছিল। এ সব কারণে মুহাম্মদ
(সাঃ) কে প্রায় সময় বিপদের মোকাবেলা করতে হত। কিন্তু
তাঁকে নিয়ে কে কী ষড়যন্ত্র করছে তা তিনি
জানবেন কি করে? আল্লাহই ছিলেন তাঁর সাহায্যকারী।
কাফেরদের সব ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা আল্লাহপাক হযরত
জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে তাঁর প্রিয় রাসূল (সাঃ) কে
জানিয়ে দিতেন। যেমন ইসলামের প্রথম দিকের যুদ্ধগুলোতে
মুসলিমদের সংখ্যা ছিল কাফেরদের
তুলনায় অনেক কম। তাই মুসলিমদের মনে একটা ভয় থেকেই
যেত যে তাঁরা এতগুলো কাফেরদের বিরুদ্ধে জিতবে কিনা। এ
অবস্থায় আল্লাহপাক জিব্রাইলকে দিয়ে
জয়ের সুসংবাদ জানিয়ে দিতেন তাঁর প্রিয় হাবিবকে যাতে
মুসলিমদের মনে সাহস আসে।
→সূরা আনফালে তার সম্পর্কে আয়াত রয়েছে নিম্নরূপঃ
“হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের
জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ
ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি
তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী
হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা
জ্ঞানহীন। এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ
তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে,
তোমাদের মধ্য দূর্বলতা রয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে
যদি দৃঢ়চিত্ত একশ লোক বিদ্যমান থাকে, তবে জয়ী হবে
দু’শর উপর। আর যদি তোমরা এক হাজার হও তবে আল্লাহর
হুকুম অনুযায়ী জয়ী হবে দু’হাজারের উপর আর আল্লাহ
রয়েছেন দৃঢ়চিত্ত লোকদের সাথে।
( Sura Anfaal: 65,66 )
এছাড়া সূরা ইউসূফের শেষের দিকে ১০২ নং আয়াতে
আল্লাহপাক বলেছেন- “এগুলো অদৃশ্যের খবর, আমি
আপনার কাছে প্রেরণ করি। আপনি তাদের কাছে
ছিলেন না, যখন তারা স্বীয় কাজ সাব্যস্ত করছিল এবং
চক্রান্ত করছিল”। ( Yusuf: 102 )
মক্কার ইহুদীরা রাসূল (সাঃ) কে বিপদে ফেলার জন্য অনেক
জটিল জটিল প্রশ্ন করতো। তারা একবার প্রশ্ন
করেছিল- “আপনি যদি সত্যিই আল্লাহর নবী হন, তবে বলুন
ইয়াকুব পরিবার সিরিয়া থেকে মিসরে কেন
স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং ইউসুফ (সাঃ) এর ঘটনা কি
ছিল?” এসব ঘটনা তাওরাতে বর্ণিত ছিল। আর ইহুদীরা
ভাবতো মুহাম্মদ (সাঃ) নিরক্ষর। তাই তাওরাত থেকে এসব
জিনীস জেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।
এরকম হাজারো ঘটনা আছে যেখানে আল্লাহ তায়ালা ওহীর
মাধ্যমে তাঁর প্রিয় হাবিবকে সাহায্য করেছেন।
এসব বিষয় দুনিয়ার কেউ জানতেন না, জানতেন শুধু মুহাম্মদ
(সাঃ) একজন। মূলত প্রিয় রাসূল (সাঃ) যে আল্লাহর নবী
তা কফেরদের বিশ্বাস করানোর জন্য এটা ছিলো আল্লাহ
তায়ালার কৌশল। এটাকেই অনেকে গায়েব হিসেবে জানে।
কিন্তু এটা কি আসলে গায়েব? এটা গায়েব হলে ওহী
কোনটা? তাছাড়া এসব বিষয় গায়েব হয়ে থাকলে সেই
গায়েবতো রাসূল (সাঃ) এর আগে হযরত জিব্রাইল (আঃ)
জানতেন। মূলত এসব বিষয় রাসুল (সাঃ) ওহীর মাধ্যমে
জানতেন। আর নবী রাসূলের কাছে আল্লাহ তায়ালা ওহী
পাঠাবেন তাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ ওহী ছাড়া
নবী হয় না।
সুতরাং এ বিষয়ে বিতর্ক না করে বরং কোরআনের
আয়াতগুলোর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাই হবে মু’মিনদের
ঈমানি দায়িত্ব।
আল্লাহ্ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন। আমীন।
Collected from : Sharifkhanbd blog
You must be logged in to post a comment.
nice
সুন্দর, কিন্তু বেয়াদবি মুলক শব্দ ব্যবহার করা টিক না। যেমন, জানুক, জানত।
ধন্যবাদ। লেখার ভুল বলে ঠিক করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
নবী রাসূল এবং খাচ পীরেরা গায়েব জানে। 100 % true
আর আল্লহ যা বলছেন, হাদিস এ নবী (সা) যা বলছে তা ১০০ ভুল? মাথা ঠিক আছে তোমার? ভ
111111
তোমাকে যেটা বলছি এটার উওর দাও। বলছি তুমি কি কোরআন -হাদীস দুইটি কেই মানো? নাকি সুধুই কোরআন কে মানো? আমি কোরআন হাদীস দুইটি কেই সমানভাবে মানি। বুঝছো। তুমি আর এই রকম পোস্ট করে লোকজনকে হয়রানির করবে না।
তুই মুনাফিক। আমার নবীজীও তো গায়েব এর খবর জানেন।
Hadith gulo Quran er bekkha, ami part 2 te hadith o bolechi. …. gali musolmane deyna, kauke opbad dewa kufuri, haram. mind it….
কোনটা মানো? একটি কে নাকি দুইটি কেই? উওর দেন না কেন,?
আমি পর্ব ১ এ কুরআন, আর পর্ব ২ এ হাদিস এর উল্লেখ করার পরেও এই প্রশ্ন অর্থহীন।
তবে কি তুমি হাদীস গুলো মানলে না!!! তাহলে তো তোমার ঈমান না থাকা নিয়ে প্রশ্ন আসে! তুমি কি নবীজেকে নুর মানো?
হাদীস মানলোনা কে বলছে? বললাম তো হাদীসে স্পস্ট লেখা আছে কোথায়? যে তিনি গায়েব জানেন, যেভাবে স্পস্ট লেখা দেখালাম যে তিনি গায়েব জানেন না। তাছাড়া যে আয়াতে বলা আছে ” নবি গায়েব জানেন না” সেই আয়াতের হাদীস দরকার। এক অধ্যায় এর আয়াত অন্য অধ্যায় এর হাদীস কেন?
আর আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না যে,
———
১। আল্লাহ গায়েব এর জ্ঞান জানেন।
২। ওলিরা গায়েব এর জ্ঞান জানেন।
৩। নবী গায়েব এর জ্ঞান জানেন।
——————-
এখন ২ ও ৩ এর ওলি ও নবী কে কি আল্লাহর সাথে শরীক করা হলো? নাকি হলোনা?
————-
আপনি কোরআন হাদীস পড়তে পারেন। তার. bakha জানেন না! জানলে আপনি আমার সাথে একমত হতেন। আর যে লোক নবিজী নুর মানলো না সে যেন পবিত্র কোরআন -হাদীস. কে সরাসরি অমান্য করলো! এবং তার ঈমান নাই!
নবীজী (সঃ) নুর ভাবা এটা আরেকটা শিরক। তিনি মানুষ একথা আল্লাহ বার বার বলেছেন, আর মানুষ মাটির তৈরী। আবার একটা জাল হাদিস নিয়ে এস আর বলো হাদীসে আছে তিনি নূর। যতসব
হুহাহা হাহা হাহা! আমি এখন আবু বকর রাঃ, ওমর রা, উসমান রাঃ, আলী রাঃ, আবু হানিফা রঃ, ইমাম শাফেয়ী রহঃ, ইমাম মালিক রহঃ, ইমাম আহ্মদ ইবন হাম্বল রহঃ, ইবনে ক্কাসির , ইবনে হাজার, বুখারী রহঃ, মুসলি রহঃ, হাজার সাহাবী, আয়েশা রাঃ, কুরতুবী ——– এনাদের তাফসীর নিবো নাকি এনাদের টা বাদ দিয়ে আপনার টা নিবো? আমি পাগল হইলে পরে এনাদের টা বাদ দিয়ে আপনার টা নিতাম। আর অন্যদের নাম বললাম না। এনারা কোথায় বলেছেন যে “কানা আন্নাবিয়া নুরান? নবী নূর ” কোথায় আছে? গেট আউট
কোরআনেও আছে আমার নবীজী নুর। তুই ভন্ড
আর কখ্খনো কাউকে (মুনাফিক+কাফির+মুশরিক) বলে ফতোয়া দিবেন না । এগুলা যে দেয় তার নিজের ঈমানের মধ্যে ভেজাল আছে । একজন বিজ্ঞ আলেম (মুফতি) পর্যন্তও মিয়া (মুনাফিক+কাফির+মুশরিক) সরাসরি বলেনা । ইসলাম আর দ্বিন কে ফাজলামো মনে করছেন হা হা মিয়া ।।।।। ভন্ডামি বাদ দিয়ে কোনটা সহীহ কোন টা ভুল এই এলেম জানার জন্য বাবাদের দরবারে না গিয়ে আল্লাহর ঘরে য়াও
নাম না বললে এখানে বুঝা কস্ট যে কাকে বললেন kawsar
Oshombhob…kenona jodi nobira gayeb janto tobe Rani Bilkiser Khobor Hud pakhi ke niashte hoto na….shoyong Sulaiman Alaihissalam ee janten… Jehetu tara gayeber khobor jantenna tai hud pakhi khobor niash silo.bujlen
সে মানবেন না এটা ধরে নিয়েই যা বলার বলতে হবে ভাই kawsar
(111111) soi one …apnar nam ta jemon soi one apnar Akida+Bhondami+Shirki shob dik diay apne soi nambari… Ak namber eet dekhsen kokhon ar 3 namber eet…3 namber eet hooise shob bhondo der protik
হায়হায়
পেন্ডিং কমেন্ট Sayed Ahmad
ভাই, আরবিতে আয়াত না লিখে তার অর্থ লিখুন। আরবি কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা। সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে!! # থ্যাংক ইউ।
তুমি যেই আয়াতের কথা বলছো এটা দিয়ে আল্লাহ তা,আলা কি বুঝায়ছে জানো? যেমন আমরা কেউ একটা সাহসিক কাজ করলে তাকে আমরা বলি বেটা বাঘের বাচ্চা। সত্যিকারে কি সেই বাঘের বাচ্চা হয়ে গেছে? অর্থাৎ নবীজীর শরীরের উপরাংশ মানুষের মতো হলেও, বস্তুুত তিনি নুরের। নুরুন আলা নুর। কোরআনেও আছে যে আমার নবীজী নুর।। আশা করি আপনি একমত হবেন। যদি না হন তাহলে বুঝলাম আল্লাহ মনে হয় আপনার অন্তরে মহর মেরে দিছেন! ওকে বিদায়।
সুরাহ ত্বাহা এর ৫৫ নং আয়াত এ কি আছে দেখে বলুন তো ভাই 111111