আসসালামু অলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন?এবং ট্রিকবিডি এর সাথে আছেন।গুগোল অতিশীঘ্রই Android P রিলিজ করবে।তাই এই পোস্টে Android P এর আগে সর্বশেষ তিনটি ভার্শন নিয়ে কিছু তথ্য ও পার্থক্য দেওয়া হল, যেন আপনি আপনার কার্জ অনুযায়ী সহজেই আপনার অ্যান্ড্রোয়েড ফোন কিনতে পারেন।
গুগোল দ্বারা এ পর্যন্ত প্রধান মোট ৬ টির মত ভার্শন রিলিজ করা হয়েছে।এর মধ্যে Marshmallow, Nougat এবং Oreo ভার্শনে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে।গুগোল যেহেতু এই তিনটি ভার্শনে সবচেয়ে পরিবর্তন এবং স্টাইলিশ সব ফিচার যুক্ত করেছে তাই খুব কঠিন হয়ে পরে এর ফিচার গুলো বুঝতে।Marshmallow, Nauget এবং Oreo ভার্শনগুলোতে অনেক ফিচার রয়েছে যা অন্য ভার্শনে নেই, আবার অনেক অপ্রয়োজনীয় ফিচার সমূহ বাদ পরেছে।তাই আমার আজকের এই পোস্টে Android Marshmallow, Nougat এবং Oreio সম্পর্কে অালোচনা করা হল।
Android version 6 এবং Android version 6.0.1 কে Android Marshmallow হিসেবে ৫ অক্টোবর ২০১৫ সালে গুগোল টিম দ্বারা রিলিজ প্রাপ্ত হয়।গুগোল Nexus 5X এবং Nexus 6p সহ কিছু সংখ্যক Android ফোনে সর্ব প্রথম Marshmallow আপডেট পাওয়া যায়। একে Android M ও বলা হয়।এর প্রায় সকল ফিচার এর আগের ভার্সন ৫ এবং ৫.০.১ এর থেকে সব দিক দিয়ে উন্নত।এবং বর্তমানে প্রায় ২৮% ফোনে Android Marshmallow ভার্শন আপডেট ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
Android Nougat বা Android version 7 থেকে 7.1.2 ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে রিলিজ প্রাপ্ত হয়। এর দ্বিতীয় ভার্সন 7.1 অক্টোবর এবং তৃতীয় ভার্সন 7.1.1 ডিসেম্বরে রিলিজ হওয়ার এক বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে 7.1.2 গুগোল রিলিজ করে।সর্ব প্রথম Nexus Player এবং Pixel C ফোনে রিলিজ পায় হয় Android version 7।একে Android N ও বলা হয়ে থাকে।গুগোল তথ্য মতে ২৮.৫% এর ২২.৩% 7.0 version এবং 7.1 version ৬.২% ব্যবহিত হচ্ছে।
Android ভার্শন 8 এবং 8.1 মার্চ ২০১৭ সালে রিলিজ প্রাপ্ত হয়।এর দুটি ভার্শন এর প্রথমটি সর্ব প্রথম Nexus 5X এবং Pixel C ফোন গুলোতে রিলিজ হয়।একে Android O হিসেবে অভিহিত করা হয়।খুব কম সংখ্যক ফোনে এই ভার্শন ব্যবহার করা হয়।আর Android Oreo এর পর গুগোল কন আপডেট ভার্শন রিলিজ করবে না এমন কোথাও শোনা যায় কিন্তু তবুও গুগোল Android version আপডেটে কাজ করে যাচ্ছে।ফলশ্রুতিতে Android P কয়েক মাস পরেই রিলিজ পেতে পারে।একারনে এই ভার্শনে অনেক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
Android Marshmallow to Nougat
- Battery Life:
মোবাইল ফোন বা যেকোনো ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী প্রয়োজনের সময় চার্জ শেষ হয়ে গেলে প্রত্যেক এর কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।কিন্তু Marshmallow ভার্শনের তুলনাই Nougat ভার্শন প্রায় ৩০% ফোনের চার্জ সংরক্ষণ করতে সক্ষম।তবে Oreo ভার্শনটি প্রায় Nougat এর মত ব্যাটারি লাইফ টাইম দিয়ে থাকে।
- Notifications:
Marshmallow থেকে নোটিফিকেশন থেকে Wifi,Bluetooth,Data ইচ্ছে অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।এবং নোটিফিকেশন প্যানেল কাস্টোমাইজ ফিচারও রয়েছে।তবে Nougat এর মত মেসেজে mark as read ফিচার, সিম এর ডাটা পরিবর্তন ফিচার এবং কিছু ফিচার নেই Marshmallow ভার্শনে।Oreo ভার্শনে প্রায় Nougat এর মত নোটিফিকেশন প্যানেল দেখা যায় সাথে কিছু নতুন ফিচার Oreo ভার্শনে দেখা যায়।
- Multi-Windows:
Nougat ভার্শনে multi windows ব্যবহার করে এক সাথে দুটি অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, এই ফিচার ব্যবহার করে একসাথে YouTube এবং Facebook ব্যবহার করতে সম্ভব হয়।কিন্তু Marshmallow ভার্শনে এই ফিচার নেই।আপনি এই ফিচারটি Oreo ভার্শনেও পাবেন।যা Multi-tasking কে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।
- Settings Menu:
Nougat ভার্শন এবং Oreo ভার্শনে Protect App ফিচার এবং ফোন ইউজার ফিচার থাকলেও Marshmallow ভার্শনে নেই।ফোন ইউজার ফিচারটির মাধ্যমে একসাথে একাধিক কাস্টমাইজড সেটিং করে রাখা সম্ভব।আবার সেটিং ক্যাটাগরি অনুযায়ী থাকায় ইউজার দের জন্য সহজতর হয়েছে।আবার সেটিং মেনু ব্যবহার এর জন্য কিছু আলাদা ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
- Notification Direct Reply:
Nougat ভার্শন থেকে এখন নোটিফিকেশন প্যানেল থেকেই মেসেজ রিপলে করা যায়।ইউটিউব কিংবা কোন মুভি দেখার সময় কোন মেসেজ আসলে নোটিফিকেশন প্যানেল থেকে সহজেই মেসেজের রিপলে করা সম্ভব হয়।
- Android TV:
গুগোল সিকিউরিটি কারনে অ্যান্ড্রোয়েড ইন্টারনাল সাউন্ড রেকর্ড অফ করে দিয়েছে অনেক আগেই।কিন্তু Google Android TV ব্যবহার করার সময় সহজেই অ্যাপ থেকে রেকর্ড করা যায় ইন্টারনাল সাউন্ড সহ সকল টিভি আইটেম।এই ফিচার Naugat ভার্শনে থাকলেও Marshmallow ভার্শনে এই ফিচার নেই।
- Android Instant Apps:
Nougat ভার্শন থেকে Android instant app ফিচার এর মধ্যমে কিছু কিছু অ্যাপ ডাউনলোড বা ইন্সটল ছাড়ায় অ্যাপ ব্যবহার করা সম্ভব হয়।এই ফিচার এর মধ্যেমে ছোট খাট অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, যার ফোলে ফোন ম্যামোরিতে জায়গা না থাকলেও অ্যাপ ব্যবহারে কোন সমস্যায় দেখা দেয় না।
- Emergencies:
Nougat ভার্শন থেকে এই ফিচারটি রয়েছে।এই ফিচার ব্যবহার করে দূর্ঘটনাকালীন সময়ে ইউজারের তথ্য সমূহ জানা যায়।অ্যাপটি লক থাকা অবস্থায় ইউজার আগে থেকে সেট করা ঠিকানা,নাম্বার, রক্তের গ্রুপ,ইউজারের নির্দিষ্ট রোগ সম্পর্কে জানা যায়।এই ফিচার ব্যবহার করে ইউজার কোন দূর্ঘটনার শিকার হলে দ্রুত ফোন থেকে তথ্য বের করা সম্ভব হয়, এবং পরিবারকে জানান দিতে সহয়তা করবে এই ফিচার।
- Gaming:
Marshmallow ভার্শন এর তুলনাই Nougat এবং Oreo ভার্শনে দিগুন ভাল গেমিং করা সম্ভব।যারা গেমিং করতে বেশি পছন্দ করেন তারা অবশ্যয় Nougat বা Oreo ভার্শন সবচেয়ে ভাল।এর গেমিং সিস্টেম গেম করে তুলবে এক দম প্রাণবন্ত।
- Predictive Text:
এই ফিচার ব্যবহার করে লেখার সময় কি বোর্ড নিজে নিজেই কিছু তথ্য পূরন করে দেয়।আপনার ফোনে থাকা তথ্য থেকে কোন কিছু পূরন করে নেই এই ফিচার।কিন্তু Marshmallow ভার্শনে সাজেশন থেকে সিলেক্ট করে নিতে হয়।এই ফিচারটি লেখা লেখিকে আরো সহজ করেছে।
- Notification Dots:
কোন অ্যাপ থেকে নোটিফিকেশন পেলেন সেটা জানাবে এই ফিচার।Nougat ভার্সন থেকে এই ফিচারটি রয়েছে।কোন অ্যাপ নোটিফিকেশন পেলে সাথে সাথে অ্যাপ আইকনে নোটিফিকেশন ডট পেয়ে জাবেন।অ্যাপ আইকন চেপে ধরে থাকলে সকল নোটিফিকেশন সাথে সাথে পেয়ে যাবেন।যার ফলে কখনওই মিস করবেন না গুরুত্বপূর্ন সব নোটিফিকেশন।
- PIP mode:
Picture in Picture mode এই ফিচার ব্যবহার করে এক সাথে দুটি অনলাইন ভিডিও দেখতে পারবেন।এই ফিচার সব ফোনে না থাকলেও ত্রিডি সাউন্ড যুক্ত ফোন গুলোতে এই ফিচার পাবেন।
- Developer’s Features:
Oreo ভার্শনে অনেক কাস্টমাইজেশন সহ অনেক ডেভেলপ ফিচার রয়েছে।চাইলে নিজের মত করে সিকিউরিটি বাড়ানো বা কোমানো সম্ভব।
- OEM Feature:
Marshmallow কিংবা Nougat ভার্শনে সাধারণ OEM বা Original equipment manufacturer ফিচার থাকলেও Oreo তে রয়েছে উন্নতমানের OEM lock এবং উন্নতমানের সিকিউরিটি।যার ফলে আপনার প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকবে দিগুণ সুরক্ষিত।
Android Oreo ভার্শনে গুরুত্বপূর্ণ সব ফিচার থাকা সত্ত্বেও খুব কম সংখ্যক ফোনে Android Oreo পাওয়া যাচ্ছে।তাছাড়া মধ্যম বাজেট এর মধ্যে প্রায় ৭ থেকে ১০ হাজার এর মধ্যে Android Nougat ফোন বাজারে প্রচুর।তাছাড়া Nougat অনেক ফোনেই PIP এবং কিছু ফিচার থাকায় তেমন কোন সমস্যা হয় না।তাই আমার মতে বাজেট এবং ব্যবহার ও ফিচার এর দিগ দিয়ে বাংলাদেশে ভাল ফোন কেনার জন্য মধ্যম বাজেটে আমি Android Nougat ভার্শন কে প্রধান্য দেব।তবে বাজেট একটু বেশি হলে Android Oreo কেনাটায় ভাল হবে।আর হ্যা কিছু দিন পর গুগোল দ্বারা Android P ভার্শন রিলিজ প্রাপ্ত হলেও বাংলাদেশি বাজারে মধ্যম বাজেটে এই ফোন মনে হয় না কেনা সম্ভব হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট সমুহ:
মন্তব্য:
পোস্টটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ, এই পোস্ট Android P রিলিজ পর আপডেট করা হবে। পোস্ট সম্পর্কিত কোন তথ্য বা মতামতের জন্য কমেন্ট করে জানান।টেক বিষয়ে যাবতীয় কোন সমস্যার জন্য কমেন্ট করুন।
সম্পূর্ণ ক্রেডিটঃ Shaheen
Message: Shaheen
এই পোস্ট অন্য কোথাও করা হয় নিই।ট্রিকবিডিতেই প্রথম প্রকাশ।তাই আমার পোস্ট কেউ কপি করার চেষ্টা করবেন না(করাতো দূরে থাক)।যদি অন্য কোথাও পোস্ট করতে চান তাহলে আমার অনুমতি নিয়ে করবেন এবং ক্রেডিট সহ দিবেন।ধন্যবাদ।
মানে এক কথায় নতুন মোবাইল কিনতে হবে।
OS মূল থেকেই সিষ্টেমাইজ্ড থাকে। এটাকে আর পাল্টানো যায়না।
sotti owsome lagce ekon
onek din dore use korci kono problem nai, bettary backup o ager tke valo,,, sobmile ager tke onek valo,, ar note 3 nougat update pabe na, fb.com/dontbesadbesaad
Custom ROM এর জন্য অনেক পোস্ট আছে।(লিংক লাগলে বলবেন)
ধন্যবাদ আপনার এই উপকৃত মতামতের জন্য।
রিয়াদ ভাই এর পোস্ট গুলো দেখুন পেয়ে যাবেন।
আপনার version অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিন।
onek din dore use korci kono problem nai, bettary backup o ager tke valo,,, sobmile ager tke onek valo,, ar note 3 nougat update pabe na, fb.com/dontbesadbesaad