[Root]WAKELOCK কি?
কিভাবে তা ফোনের ব্যাটারি লাইফকে প্রভাবিত করে? এবং বাচাঁর উপায়!
WakeLock এর কথা পরে বলি, আগে
আমরা এন্ড্রয়েড আর আমাদের দৈনিক
জীবনের সাথে কিছু মিল খুঁজে বের
করি। আমরা শক্তি পাই খানাপিনা
থেকে আর ফোন পায় ব্যাটারি
থেকে, ঠিক। আমরা দৌড়াদৌড়ি-
চিন্তাভাবনা করে শক্তি খরচ করি
আর ফোন শক্তি খরচ করে অ্যাপ নিয়ে
দৌড়াদৌড়ি করে, তাও ঠিক। আমরা
যেমন ঘুমাই (কাজকম্ম না থাকলেও),
আমাদের ফোনও ঘুমায়। কি? আগে
জানতেন না, না? আমাদের ফোন
সত্যিই ঘুমায়! যখন সেটার
খেয়েদেয়ে আর কোন অ্যাপ
চালানোর কাজ থাকে না। কিন্তু
একদম ঘুমিয়ে গেলে তো সমস্যা, মরে
পড়ে থাকবে, আপনি পাওয়ার বাটন
নিয়ে চিপাচিপি করলেও আর
রেসপন্স করবে না।
সেজন্য সামান্য
পরিমাণে CPU চলতে হয়, এই পর্যায়কে
বলে Deep Sleep. যদিও আমরা একদম
ঘুমিয়ে নিতেই চাই কারণ এতে
ব্যাটারির চার্জ কম যাবে। কিন্তু
এন্ড্রয়েডকে বাঁচিয়ে রাখতে
হার্টবিট চালু রাখা প্রয়োজন, যা
হচ্ছে তার CPU. এখন CPU কে সামান্য
অন রেখে এন্ড্রয়েডের মজার ঘুম
দেয়া, কাজের সময় সব শক্তি দিয়ে
কাজ করা, একটু রেস্ট নেয়া এসব কিছু
যা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলে
WakeLock!
WakeLock আসলে কি?
Wakelock হচ্ছে পাওয়ার-ম্যানেজিং
সফটওয়ার ম্যাকানিজম, যেটা আপনার
যেতে দেয় না (যেটাতে আমরা
নিয়ে যেতে চাচ্ছি )। এর কারণ
হল স্ক্রিন অফ থাকলেও কিছু কিছু
অ্যাপ ডিভাইসের System Resource
ব্যবহার করে, যদি Deep Sleep এ চলে
যায় তাহলে সব অ্যাপ সাথে সাথে
ক্র্যাশ করবে।
এরকম অনেক ধরনের Wakelock আছে
যেগুলো বিভিন্ন ধাপে ধাপে
আপনার পাওয়ার বাঁচায়; নিচের
ছবিটা দেখুন।
সাধারণত, যখন আপনি ডিভাইস ব্যবহার
করেন না তখন Wakelock তেমন বেশি
system resource ইউজ করতে দেয় না।
এটা wakelock এর একটা ভালো দিক,
কারণ আমরা সবাই-ই চাই স্ক্রিন অফ
করলে যেন ব্যাটারির চার্জ না
যাক।
কিন্তু কিছু উল্টাপাল্টা কোডিং
করা বা বাগ যুক্ত অ্যাপ যেগুলো
অনেক বেশি পরিমাণে wakelock এর
উপর প্রেসার দেয়, ফলে আপনার
ডিভাইস থাকে অলটাইম দৌঁড়ের
উপর। আবার কিছু অ্যাপ আছে যা একটু
পর পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে, যেমনঃ
Facebook, Whatsapp. এদের জন্য একটু পর পর
Wakelock হয়।
অন্যদিকে কিছু অ্যাপের আপডেট
আপনার অজান্তেই ডিভাইসকে Partial
Wakelock এ রাখতে পারে যার ফলে
ব্যাকগ্রাউন্ডেই আপনার ব্যাটারি
ড্রেইন হয়। তাই নিয়মিত অ্যাপের
Wakelock চেক করা উচিত।
এবার তাইলে দেখা যাক কিভাবে
Wakelock ডিটেক্ট করবেন!
প্রথমেই Wakelock Detector ডাউনলোড
করতে হবে (Root)।
Rooted না হলে
পোস্টের নিচে|
অ্যাপটা ইন্সটল করার পর কিছুক্ষণ সময়
দিতে হবে (২-৩ ঘন্টা) যাতে এটা
যথেষ্ট ড্যাটা কালেক্ট করতে
পারে। এ টাইমে চার্জ দিবেন না,
কিন্তু মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন,
সমস্যা নেই। নরমাল ইউজ হলে এটা
আরো সঠিকভাবে ফলাফল দিতে
পারবে।
এবার শয়তান ধরার পালা! কয়েক
ঘন্টা চালালে আপনি রিপোর্ট
পাবেন কোন অ্যাপ বেশি Wakelock
ইউজ করছে। তাই যদি এগুলো কাজে
না লাগে, ধরে সেগুলোকে আনইন্সটল
করে দিন। অথবা ওই Wakelock এর
সমাধান নেটে খুঁজে নিন।
এহ, আনইন্সটল? আর
কোন উপায় নাই? :/
যদি কোন অ্যাপ আনইন্সটল করতে মন না
চায়, তাহলে যা করতে পারেন তা
হল Greenify ইউজ করা। Greenify হল কোন
অ্যাপকে হাইবারনেট করে ব্যাটারি
ও র্যাম বাঁচানোর সেরা জিনিস।
Greenify নিয়ে আমার লেখা
টিউনটা পড়তে পারেন।
ধন্যবাদ।