শুভ সকাল ট্রিকবিডির সকল সদস্যরা
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজকে নিয়ে এলাম রুট করার কয়েকটি প্রধান কারন।
তো চলুন শুরু করা যাক
১। প্রি ইন্সটালেড অ্যাপ রিমুভ করা।
সবার ফোনেই কিছু না কিছু অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ প্রি ইন্সটালেড করা থাকে। এগুলা রিমুভ করা যায় না। কারন সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থাকে। এগুলো শুধু স্টোরেজ ধরে রাখে না ফোনকে অনেকাংশে স্লো করে দেয়। রুট করে এগুলো অ্যাপ রিমুভ করে দিতে পারেন।
২। ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো।
আপনার ফোন যদি কম ব্যাটারি ব্যাকাপ দেয় তবে আপনি ফোন রুট করে ফোনের ব্যাটারি ব্যাকাপ বাড়িয়ে নিতে পারেন।এর জন্য বিভিন্ন অপটিমাইজেশন অ্যাপ আছে।
৩। সবকিছুর ব্যাকাপ
হ্যা, রুট করলে আপনি আপনার ফোনের সবকিছুর ব্যাকাপ নিতে পারবেন। এবং ফোনের কোন সমস্যা হলে নিশ্চিত ভাবে রিস্টোর করতে পারবেন খুব সহজেই। এতে ফ্লাশ করার জন্য কাস্টোমার কেয়ারে যাবার কোন দরকার পরবেনা, ঘরে বসেই ফ্লাশ করতে পারবেন।
৪। অভার ক্লকিং
এই পদ্ধতিতে আপনার ফোনের পারফরমেন্স অনেকাংশেই বাড়াতে পারেন। কারন এরর মাধ্যমে আপনার ফোনের প্রসেসর এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায়।
৫। ফাইল পুনঃরুদ্ধার করা
রুটেড ফোনের এটা আরো একটা বাড়তি সুবিধা। আপনার ফোনের ডিলিট করা ফটো গুলো আপনি সহজেই ফেরত পাবেন। ভাগ্য ভাল থাকলে আপনার অন্যান্য ডিলিট করা ফাইলও উদ্ধার করতে পারেন।
৬। ফোন কাস্টোমাইজ
রুটেড ফোন আপনি ইচ্ছামত কাস্টোমাইজ করতে পারবেন। এতে কোন বাধা থাকবেনা। আপনি চাইলে কাস্টোম রম ব্যবহার করে পুরা সিস্টেম চেঞ্জ করে দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এডভান্স ইউজার হতে হবে।
সতর্কতা
এটা সত্য যে রুট করলে ওয়ারেন্টি চলে যায়। কিন্তু সেটা শুধু সফটওয়্যার সমস্যার ক্ষেত্রে। যেমন আপনি ওয়ারেন্টি থাকা অবস্থায় ফোন রুট করেছেন। এখন আপনার ফোনের চার্জার নস্ট হয়ে গেল। এক্ষেত্রে আপনি চার্জার ঠিক করতে গেলে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে না যে আপনি ফোন রুট করেছেন কি না। কারন এর সাথে ফোন রুট করার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু যদি আপনি বুট লুপ বা সফটওয়্যার জনিত কোন সমস্যায় পরেন, তখন আপনাকে অবশ্যই রুট নিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। এই ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি কোন কাজে আসবে না।
রুট এক প্রকার পারমিশন যা ফোন যে কোন কিছু করতে দেয়। আর যার হাতে থাকে সে হয় রাজা। তাই রাজা হবার আগে জেনে নিন আপনি এর জন্য উপযুক্ত কি না। এর সুবিধা এবং রিস্ক ঘাড়ে নেবার জন্য প্রস্তুত কি না।