আচ্ছা আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনি এখন কোন কিবোর্ড টা দিয়ে লিখছেন, তাহলে বেশিরভাগই বলবেন, রিদ্মিক নাহলে জিবোর্ড। কিন্তু কেমন হয় যদি বাংলাদেশেরই একটা কিবোর্ডে রিদ্মিক এর মতো ফাংশন আর জিবোর্ড এর মতো UI পান?
যারা এখনো বর্ণ কিবোর্ড এর নাম শুনেন নাই, তাদেরকে নতুন একটি বাংলা কিবোর্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় জন্যই আজকের এই পোস্ট।
??? বর্ণ কিবোর্ড এর কিছু ফিচারসমূহ: ???
১. ৬ টা লে আউট:
বর্ণ তে রয়েছে ফোনেটিক/অভ্র, প্রভাত, জাতীয় এর মতো জনপ্রিয় লে আউটের পাশাপাশি সবমিলিয়ে ছয়টি লে আউট।
২. মার্জিত ডিকশনারী:
বাংলায় লেখার জন্য মার্জিত ডিকশনারী পাবেন, যার মাধ্যমে আপনার টাইপ করা লেখা অনুযায়ী সাজেশন দিবে।
৩. পৃথক টপবার:
জিবোর্ড এর টপবার এর সাথে অনেকেই পরিচিত আছেন। বর্ণ তেও আছে একটা ফাংশনাল টপবার, যার মাধ্যমে আপনি সিলেক্ট, কাট, কপির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করতে পারবেন খুব সহজেই।
৪. স্পেস সোয়াইপ:
জিবোর্ড ইউজ করে যারা অভ্যস্ত তারা এই ফিচারটি সম্পর্কে আগে থেকেই পরিচিত । স্পেস কি তে সুইপ করলে কার্সর চেঞ্জ করা যায়। বর্ণ তেও রয়েছে এই ফিচারটি ।
বর্ণ তে এন্ডয়েডের ডিফল্ট ও ম্যাটেরিয়াল থিমের পাশাপাশি বিভিন্ন কালার ও গ্রেডিয়েন্ট এবং ল্যান্ডস্কেপ থিম রয়েছে। এগুলোর বাটন স্টাইল, ফন্ট স্টাইল, ফন্ট কালার চেঞ্জ করতে পারবেন।
৬. ইমোজি ১২.১:
বর্ণ তে ইমোজি ১২.১ ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে আপনি লেটেস্ট সব ইমোজি ব্যবহার করতে পারবেন এই কিবোর্ড এ।
৭. ফাস্ট ভয়েস রেকগনেশন:
আমরা অনেকেই লেখার পরিবর্তে মুখে বলি, সেটা অটোমেটিক টাইপ হয়ে যায়। এই সুবিধা টি আপনারা বর্ণ কিবোর্ড এ পাবেন। বর্ণ তে বাংলা ভয়েজ রিকোগনাইজেশন খুবই ফাস্ট এবং একুরেট।
তবে এই ফিচারটি ইউজ করার জন্য আপনার ফোনে গুগল অ্যাপ টি ইন্সটল থাকতে হবে এবং ডাটা আনরেস্টিক্টেড থাকতে হবে।
৮. জেসচার টাইপিং:
বর্ণ তে আপনি জেসচার এর মাধ্যমে সুইপ করে করে টাইপ করতে পারবেন। তবে এটা শুধু মাত্র AOSP রোম এ কাজ করবে এবং Gapps ইন্সটল থাকতে হবে। বিভিন্ন ভেন্ডর রোম যেমন MIUI, realmeOS, colorOS এ এটা কাজ করবে না।
৯. লাইটওয়েট এবং ক্লিন:
বর্ণ কিবোর্ড এর সাইজ ১০ এম্বির ও কম আর এর UI টা পারসোনালি আমার অনেক ভালো লেগেছে আর মোটেও কনফিউজিং না।
❇️ ❇️ ❇️ কেন ইউজ করবেন বর্ণ কীবোর্ড? ❇️ ❇️ ❇️
১. রিদ্মিক এর পরে বাংলাদেশে ডেভেলপ করা দ্বিতীয় বাংলা কিবোর্ড। বাংলাদেশের তৈরি বাংলা লেখার জন্য এতো সুন্দর একটি কিবোর্ড থাকতে আমরা কেন জিবোর্ড, সুইফট কিবোর্ড বা ইন্ডিয়ান কোন কিবোর্ড ইউজ করবো?
২. কিবোর্ড খুব সেন্সিটিভ একটা অ্যাপ, তাই এক্ষেত্রে যেটা সবার প্রথমে মাথায় আসে, সেটা হলো প্রাইভেসি। বর্ণ কিবোর্ড কোন নেট পারমিশন নেয় না। তাই আপনার ডাটা শেয়ার হবার কোন ভয় নেই।
৩. বর্ণ কিবোর্ড এর যিনি ডেভেলপার তিনি প্রত্যেকটা ইউজার এর মন্তব্য খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখেন এবং সেগুলো সলভ ও করেন, যার প্রমাণ শেষের দুইটা আপডেট এর চেঞ্জগুলো দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন। কিবোর্ড এর মাত্র তৃতীয় বেটা ভার্শন রিলিজ হয়েছে, কিন্তু এখনই এটা ডেইলি ইউজের জন্য স্ট্যাবল এবং ফিচারপ্যাকড একটি কিবোর্ড।
৪. বর্ণ কিবোর্ড টা প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন ফিচার অ্যাড করা হচ্ছে। পরবর্তী আপডেট এ দুটি পৃথক এডিশন এক্সটেন্ডেড এবং লাইট, ক্লিপ বোর্ড ফিচার, অ্যারাবিক লেআউট, স্মার্ট কারেকশন (ফনেটক), ইমোজি স্টাইল(টুইটার, আইওএস, নোটো অথবা সিস্টেম ডিফল্ট) পছন্দ করার অপশন, যা টাইপ করা হয়েছে সেগুলো সাজেশন বারে দেখানো সহ আরো বেশ কিছু ফিচার অ্যাড করা হবে।
⛔⛔⛔ কিছু অসুবিধা: ⛔⛔⛔১. প্রথমত, কিবোর্ড টা আপনি এখনই প্লে স্টোরে পাবেন না। এখন কিবোর্ড টা ইউজ করার জন্য আপনাকে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সেটাপ করে নিতে হবে। তবে ডেভেলপার এর কথা অনুযায়ী, ফিচারগুলো ইম্প্লিমেন্ট এবং বাগগুলো ফিক্স করা হলেই খুব শীঘ্রই প্লে স্টোর এ পেয়ে যাবেন।
২. যেহেতু এটা বেটা ভার্শন, তাই কিবোর্ড টিতে বেশ কিছু বাগ ফেস করবেন। আপনার উচিৎ হবে কিবোর্ড টা ইউজ করে বাগ গুলো বর্ণ এর অফিসিয়াল ফেইসবুক গ্রুপ বা টেলিগ্রাম গ্রুপে রিপোর্ট করবেন।
??? গুরুত্বপূর্ণ লিংক ???ডাউনলোড লিংক: Codepotro Official Website
ফেইসবুক গ্রুপ: Borno Users Community
টেলিগ্রাম গ্রুপ: Official Telegram Group