Site icon Trickbd.com

অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে সি-প্রোগ্রামিং শিখুন (পর্ব-৩) ডাটা টাইপ (ইনপুট ও আউটপুট)

গত পর্বগুলো যারা পড়েন নি, তারা এই লিংক থেকে পড়ে আসতে পারেন।
পর্ব ১
পর্ব ২

এখন,

আজকের পর্বে আমরা যোগ করা শিখবো।

তবে তার আগে আমাদেরকে ভ্যারিয়েবল সম্পর্কে জানতে হবে।
সব প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এ ভ্যারিয়েবল নামক একটা জিনিস আছে যেটার কাজ হলো একটি মান বা ডাটা ধারণ করা। এটা মুলত কম্পিউটার মেমরিতে সংখ্যা বা বিভিন্ন ডাটা রাখার কাজ করে।
এবার জানতে হবে যে ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন সম্পর্কে।
আপনার লেখা ভ্যারিয়েবল টা কী ধরণের সেটা কম্পিউটারকে জানানোর পদ্ধতিই হলো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন। আরো সহজ ভাবে বললে এমন যে, আপনি যখন ভ্যারিয়েবল এর একটি মান লিখলেন সেটা কোন ধরনের মান সেটা কম্পিউটার কে জানানোই হলো ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন

মনে করুন, আপনি একটি দোকানে ডিম কিনতে গেলেন।
আপনিঃ ভাই, আমি ডিম কিনবো।
দোকানদারঃ কীসের ডিম নিবেন?
আপনিঃ মুরগির ডিম।
দোকানদারঃ দেশি ডিম নাকি হাইব্রিড?
আপনিঃ দেশি ডিম ১০ টা ও হাইব্রিড ডিম ২০ টা।

এখন খেয়াল করুন, এখানে এখানে দোকানদার হলো কম্পিউটার। ডিম হলো ভ্যারিয়েবল। দোকানদারের কাছে কিন্তু অনেক ধরণের ডিম থাকে, কিন্তু আপনি নির্দিষ্ট করে বললেন যে আপনি মুরগির ডিম নিবেন তখন আপনি ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন করলেন। এরপর আপনি যে বললেন দেশি ডিম নিবেন ১০ টা ও হাইব্রিড ডিম নিবেন ২০ টা, এখানে ১০ ও ২০ হলো ডাটা।

আসুন এবার হিসাব করি যে আপনি মোট কয়টি ডিম নিলেন।

এখানে ডাটা আছে ১০ ও ২০ যেটা পুর্ণসংখ্যা।
তাহলে আমাদের ভ্যারিয়েবল ডিক্লেয়ারেশন হবে int
int শব্দটা আপনাকে মনে রাখতে হবে। যখন ডাটা সংখ্যাবাচক হবে তখন এটা লিখতে হবে। এই শব্দ টা এসেছে integer হতে যেটার অর্থ হলো পূর্ণসংখ্যা।

তাহলে,
ডিম= int

মনে করি,
দেশি ডিম= a
হাইব্রিড ডিম= b
মোট ডিম= sum
এখানে আপনি চাইলে যেকোনো শব্দ ধরে নিতে পারেন। নিজের নাম লিখলে চাইলে সেটাও আপনার ইচ্ছা।

এখন, দেশি ডিম নিয়েছি ১০ টা আর হাইব্রিড ডিম নিয়েছি ২০ টা।
তাহলে,
a=10
b=20
sum=a+b

আমরা জানি যে এর উত্তর কত, কিন্তু সেটা বিষয় না, উত্তর টা প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে বের করাটাই বিষয়।

তাহলে এবার আমরা প্রোগ্রামটি লিখবো এভাবে-


#include <stdio.h>
int main ()
{

int a;
int b;
int sum;

a=10;
b=20;
sum=a+b;

printf(“Total eggs %d”, sum);

return 0;

}


এবার দেখুন আউটপুট

আসুন বুঝার চেস্টা করি ভ্যারিয়েবল গুলো।
int a;
int b;
int sum;
এগুলো দিয়ে বুঝিয়েছি যে a, b ও sum এর ডেটা গুলো পুর্নসংখ্যা।
printf() ফাংশনের কাজ তো জানেন ই।
এর ভেতরে কোটেশনের মধ্যে আপনি যা লিখবেন সেটাই শো করবে। কিন্তু আমরা %d লিখেছি। এটা একটি নির্দেশক যেটা একটা নির্দিষ্ট ইন্টিজার এর মান দেখাবে। খেয়াল করে দেখুন আমি ঐখানে কোটেশন শেষে কমা চিহ্ন দিয়ে sum লিখেছি, তাই %d আমাদেরকে sum এর মান দেখাবে।

বুঝতে অসুবিধা হলে পরের উদাহরণ গুলো দেখুন, বুঝতে পারবেন।


এবার বুঝতে পারছেন %d এর কাজটা?

এখন আমরা একটু সহজ করে লেখা শিখবো। প্রোগ্রাম যতো অল্প শব্দ ব্যবহার করে লেখা যায় ততই ভালো, তবে খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের রেজাল্ট এর যেন কোনো পরিবর্তন না ঘটে।

তাহলে,
int a;
int b;
int sum;
এখানে দেখুন সব গুলোই int এর আওতায়, তাই আমরা এগুলোকে এক স্টেটমেন্টেই লিখতে পারি।
অর্থাৎ,

int a, b, sum;

তাহলে আমাদের প্রোগ্রামটি হবে এমন-

এটা রান করুন, রেজাল্ট সেম আসবে।
এখন, আমরা আরো একধাপ সংক্ষিপ্ত করবো।

a=10;
b=20;
sum=a+b;
এই মান গুলো কে যদি আমরা int a, b, sum; এই স্টেটমেন্টের সাথে যুক্ত করি, তাহলে কেমন হয়?
দেখুন,

এবারও রান করে দেখুন রেজাল্ট সেম ই আসবে।

এই চ্যাপ্টার এই পর্যন্ত ই। এবার একটু উপর লেভেলে যাবো।


#include <stdio.h>
int main ()
{

int a=10;
int b=20;
int c=30;
int d=40;
int e=50;

int sum1=a+b+c;
int sum2=b+c+d;
int sum3=c+d+e;

printf(“First Sum is %d”, sum1);

printf(“Second Sum is %d”, sum2);

printf(“Third Sum is %d”, sum3);

return 0;

}


এই প্রোগ্রাম রান করলে রেজাল্ট কী আসবে আগে ভাবুন, তারপর নিচের ছবিটা দেখুন।

তিনটা আলাদা আলদা উত্তর। ☺️

কিন্তু……..

একটা সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। রেজাল্ট টা একদম খিচুড়ি হিয়ে গেছে, তাইনা? ?

তাহলে এখন আমরা শিখবো রেজাল্ট কীভাবে একাধিক লাইনে পাওয়া যায়।

এটা সিম্পল।

%d এর জায়গায় %d\n লিখুন কাজ হয়ে যাবে।
দেখুন-

আউটপুট-

দেখেছেন? কতো সুন্দর লাগছে এখন।

কিন্তু….. এখনো আরো “কিন্তু” বাকি আছে। ?

হ্যা, যেটা ভাবছেন সেটাই। আমরা যে এতো বড় একটা প্রোগ্রাম লিখে ফেললাম, এখন সেটা সংক্ষেপে লেখার ট্রাই করবো।

ডিম এর প্রোগ্রাম টা যেভাবে ছোট করেছি এটাও যদি সেভাবে ছোট করি, তাহলে কী হবে বলুন তো?
আগে আপনি নিজের মতো করে করুন, তারপর আমারটা দেখুন, তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি শিখতে পেরেছেন কিনা।

আসুন প্রথমে int গুলো সব এক জায়গায় লিখি।

এবার printf() এক জায়গায় করি।

আবার নিচের মতোও লিখতে পারেন। ইচ্ছা।

এবার দেখুন আউটপুট সেম।

আজ এ পর্যন্তই।

আশা করি বুঝাতে পেরেছি।


আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এতো বড় বড় প্রোগ্রাম লিখে মাত্র এক/দুই লাইনের রেজাল্ট?!
ধৈর্য্য ধরুন, আর কয়েকদিন পর ই বুঝতে পারবেন। তখন ২ লাইন প্রোগ্রাম লিখে ২০০ লাইনের রেজাল্ট পেতে পারবেন। ☺️
এটা তো ব্যাসিক। হাতেখড়ি বলতে পারেন। ধীরে ধীরে উপর লেভেলে উঠতে থাকলে বুঝবেন যে প্রোগ্রামিং এর আসল তৃপ্তি কোথায়।