আসসালামু আলাইকুম।
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালোই আছেন।
প্রতিদিনের মতো আপনাদের সামনে আমি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাঁজির হয়েছি। আমরা আপনাদের কথা মাথায় রেখেই নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে আসি। আজকেও ব্যতিক্রম নয়।
আমার এই পোস্ট গুলো পড়লে আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন কার্যক্রম, কম্পিউটার ইন্টারেটের ইতিহাস ও ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক ভাবে জানতে পরবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোস্টে চলে যায়।
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তর গ্লোবাল ভিলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু আলোচনা করবো।
গত পোস্টে অর্থাৎ এই পোস্টের প্রথম পর্বে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পর্ক যুক্ত বিশ্বগ্রামের ধারণা, বিশ্বগ্রামের ইতিবাচক ব্যবহার ও নেতিবাচক ব্যবহার সাম্পর্কে জেনেছিলাম।
কেউ যদি এই পোস্টের প্রথম পর্বটি দেখে না থাকেন তাহলে এখানে ক্লিক করে অথবা নিচে ক্লিক করে পোস্টটি দেখতে পারবেন।
তথ্য ও প্রযুক্তির বিশ্বগ্রামের ধারণা, ইতিবাচক ব্যবহার, নেতিবাচক ব্যবহার। বিস্তারিত পোস্টে। [পর্বঃ ১]
তো মূল পোস্টে আসা যাক।
বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট প্রধান উপাদানসমূহ (Main elements of Global village)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে বিশ্ব গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রামে পরিবর্তিত হচ্ছে। যে উপাদানগুলো বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট তা উল্লেখ করা হলো যোগাযোগ (Communication).
চিত্রঃ বিশ্বগ্রামের ব্যবহার।
আকাশ, জলপথ ও সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। রেলওয়ে ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন-টাইম-টেবিল তৈরি করা, আসন সংরক্ষণ করা, কোন ট্রেন কোন ট্র্যাকে যাবে তা নির্ধারণ, ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত ট্রাফিক লাইন সকল সড়কের সাথে সমন্বয় রেখে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ব্লু-টুথ, ওয়াইফাই ও GPRS পদ্ধতিতে গাড়ীর গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের দেশের রেলওয়ের টিকিট ব্যবস্থা এবং কিছু বাস কোম্পানির টিকেটিং বা সিট রিজার্ভেশন ইন্টারনেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রেডিও ও টেলিভিশন বিভিন্ন তথ্য সম্প্রচার করে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানকে উন্নত করতে সাহায্য করছে।
ফ্যাক্স, টেলিপ্রিন্টার, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক মেইল ব্যবহার করে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টেক্সট মেসেজ, ভয়েস মেসেজ অতি অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে। টেলিফোন, মোবাইল ফোন, টেলিকনফারেন্সিং, ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে আমরা নিজেদের মধ্যে সরাসরি অনুভূতি বিনিময় করতে পারছি যা যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব এনে দিয়েছে। আমরা ইন্টারনেটের বুলেটিন বোর্ডের সাহায্যে যেকোনো তথ্য খুব সহজেই বিনিময় করতে পারছি।
নিম্নে কয়েকটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম বর্ণনা করা হলোঃ
ই-মেইল (E-mail):
ই-মেইল শব্দের অর্থ হলো ইলেকট্রনিক মেইল। দ্রুত ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম হলো ই মেইল। তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবিত নতুন ডাক ব্যবস্থা যা হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের সমন্বয়ে তৈরি। খুব দ্রুত ও অল্প সময়ে চিঠিপত্র, অন্যান্য ডকুমেন্ট নির্ভুলভাবে গন্তব্যস্থানে পৌঁছানো যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ব্যবসা বানিজ্য, লাইব্রেরি, ইতিহাস ঐতিহ্য ব্যবহারের জন্য অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট এমনকি চ্যাটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
একজন এর কাছ থেকে একাধিক জনকে E-mail করা যায়। উইকিপিডিয়া অনুসারে “Electronic mail or email is a method of exchanging digital message from an autor to one or more recipients.”
ই-মেইলের জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তা হলো- কম্পিউটার, বা স্মার্ট ফোন, মডেম, ইন্টারনেট সংযোগ এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস। যে ই মেইল প্রেরণ করবে এবং যার কাছে প্রেরণ করবে উভয়েরই অ্যাড্রেস থাকতে হবে।
ই-মেইল এর দুটি অংশ থাকে। প্রথম অংশে ব্যবহারকারীর পরিচিতি (User identity) এবং @ এর পর Domain name থাকে। যেমন: masud5972@gmail.com. masu-Irc@yahoo.com.
চিত্র: ই-মেইল
টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing):
টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলে। এই সভাকে টেলিকনফারেন্স বলে। টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সেমিনার বা দলবদ্ধভাবে যোগাযোগ করা যায়।
ভিন্ন ভৌগলিক দূরত্বে কিন্তু ব্যক্তি অবস্থান করে টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে কোন সভা অথবা সেমিনার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়।
টেলিকনফারেন্স সংযোগ, জন্য টেলিফোন কম্পিউটার অডিও কার্ড, মাইক্রোফোন MIC ও স্পীকার এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে মোবাইল ফোনে টেলিকনফারেন্সিং-এর ব্যবস্থা আছে।
চিত্র: টেলিকনফারেন্সিং
ভিডিও কনফারেন্সিং (Video conferencing):
এটি একটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক জায়গা থেকে অন্য এমনকি এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেকোন ব্যক্তি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স করতে পারে।
শিক্ষক হান, ডাক্তার রোগী, রাজনীতিবিদ জনগণ, গবেষক এমনকি পারিবারিক আত্মীয়, স্বজনের সাথে যোগাযোগ এর এটি একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। স্কাইপি বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য প্রয়োজন হয় মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার, ওয়েবক্যামেরা, ভিডিও ক্যাপচার কার্ড, মডেম এবং ইন্টারনেট সংযোগ।
রিজার্ভেশন সিস্টেম (Reservation system):
এই পদ্ধতিকে কম সময়ে ঘরে বসে অগ্রীম আসন সংরক্ষণ করা যায়। বিমান কোম্পানীর বিভিন্ন স্থানের এজেন্টরা নির্দিষ্ট সময়ে ভ্রমনের জন্য। টিকিট বুকিং এর কাজ করে থাকে।
কর্মসংস্থান (Employment):
তাছাড়া আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুসারে কাজ করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। আউটসোর্সিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়া।
ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার জন্য কিছু ওয়েবসাইট হলো www. odesk. com, www.peopleperhour.com, www.freelancer.com
কর্মক্ষেত্রগুলো সভাক্ষেত্র হবে এবং অফিস চলে আসবে বাসায় ফলে শহরের যানযট লাঘব হবে মানুষের মানসিক ও শারিরীক চাপ কমে যাবে। অফিস খরচ পরিবারিক খরচে চলবে। খরচ কমে যাবে কিছু উপার্জন বেড়ে যাবে ফলে উন্নত হবে দেশ ও জাতি।
শিক্ষা (Education):
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাবলি কম্পিউটারের স্মৃতিতে মজুদ রাখা হয়। পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী স্মৃতি থেকে এ সমস্ত তথ্যাদি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ের উত্তরপত্র কম্পিউটার সংযুক্ত OMR ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় এবং প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে ফলাফল তৈরি করে তা ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টও কম্পিউটারের সাহায্যে করা যায়। তাছাড়া অনলাইনে পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করা যায়।
ই-ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নানা দেশের শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। এক কথায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, ইন্টারনেট এর প্রয়োগ, লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষা ফলাফল তৈরি দূরশিক্ষাসহ, ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান ব্যাপক।
চিকিৎসা (Treatment):
রোগীর সব লক্ষণ ও রক্ত, মুদ্র ইত্যাদি পরীক্ষার ফল কম্পিউটারে ইনপুট দিলে কম্পিউটার উভয়ের তুলনা করে সম্ভাব্য রোগ বলে দেয়। এছাড়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্ক্যানার মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট সূক্ষ্মভাবে বিচার করে কোথাও কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, বা থাকলে কী ধরনের অস্বাভাবিকতা আছে বলে দিতে পারে। চিকিৎসা ছাড়াও হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে ক্যান্সার এর চিকিৎসা ও টিউমারের গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে কম্পিউটারের সাহায্যে গবেষণার কাজ করা হয়। এছাড়া চোখের দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা নির্ণয়, এক্স-রে ইত্যাদি অনেক পরীক্ষার কাজ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকেও চিকিৎসা সুযোগ প্রদান ও গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিকেই টেলিমেডিসিন বলা হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে এক দেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা যায়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট থেকে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। কম্পিউটার টমোগ্রাফী উন্নত ধরনের রোগ নির্ণয় যন্ত্র। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা ও রোগীর যাবতীয় বিষয়াবলী এখন কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
গবেষণা (Research):
পদার্থের অণু-পরমাণুর গঠন প্রকৃতি, রাসায়নিক দ্রব্যের বিচার বিশ্লেষণে, জটিল গাণিতিক হিসাব-নিকাশে, প্রাণীকোষের গঠন প্রকৃতি বিশ্লেষণে, ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে সূর্যের আলোকমণ্ডল ও বর্ণমণ্ডলের মৌলিক পদার্থের অবস্থান নির্ণয়ে কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। মহাকাশযান ডিজাইন এবং পাঠানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কম্পিউটার দ্বারা দ্রুত সমাধান করা হয়।
অফিস(Office):
তাছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অফিস অটোমেশনের মাধ্যমে অফিসের সার্বিক কার্যক্রম যথা- অফিসের কাজ বণ্টন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ডকুমেন্ট তৈরি, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, দৈনিক আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এতে অফিসের সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বাড়ে, অফিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়, অফিসের যাবতীয় তথ্যাদি প্রয়োজনে দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করা সহজ হয়। আর ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে চব্বিশ ঘণ্টা অফিসের কার্যক্রম চলছে। ফলে অফিসের কার্যকারিতা বাড়ছে।
বাসস্থান (Residence):
খেলা এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাসায় বসে অবসর বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করবে কম্পিউটার গ্লোবাল বিশ্বে মানষ তৈরি করছে আধুনিক বাসস্থান বা স্মার্ট হোম। স্মার্ট হোম হলো এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং বা প্রোগ্রামিং ডিভাইসের সাহায্যে বাড়ির হিটিং সিস্টেম কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তো আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি, এইটা দ্বিতীয় পর্ব ছিলো। আশা করছি এই পোস্টের খুব শীঘ্রই তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব নিয়ে আসবো।
উপরের আমার এই পোস্টটি লিখতে অনেক নথির এবং ওয়েসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছে। যাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলেই নয়।
সহায়ক,
মোঃ কামরুল হাসান।
1. HSC ict book
2. Wikipedia.com
3. hpe.com
4. history-computer.com
5. civilian
তো আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের জন্যই আমরা নিয়মিত নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে হাঁজির হই।
তাই উক্ত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না। এবং যেকোনো মন্তব্য বা পরামর্শের জন্য কমেন্ট করতে পারেন। পরবর্তীতে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।