হ্যালো Trickbd! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও ভালো আছি।
আজকের টপিকস এ আপনাদের সামনে আলোচনা করবো Transformer কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এই বিষয়ে।
তো চলুন শুরু করি –
ট্রান্সফরমার কি?
ট্রান্সফরমার একটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা বিদ্যুৎ শক্তিকে একটি বৈদ্যুতিক বর্তনি (সার্কিট) থেকে অপর একটি বৈদ্যুতিক বর্তনিতে ফ্রিকুয়েন্সিকে কোন প্রকার পরিবর্তন না করে স্থানান্তর করে।
ওপরের এই দৃশ্যটিকে হয়তো নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নাই। যদি দৃশ্যটি পরিচিত না হয়, তবে জেনে রাখুন – এই রবোট/গাড়িটির নাম বাম্বেলবি। ইনি একজন ট্রান্সফরমার। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের সাথে ইনার অতি ক্ষীণ একটা সম্পর্ক আছে। ওপরের ছবিটি দেখুন, কীভাবে বাম্বেলবি রবোট থেকে গাড়িতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই রূপান্তরের কারণেই তাকে ট্রান্সফরমার বলা হয়। ট্রান্সফরমার মানে হল এক দশা হতে অন্য দশায় পরিবর্তিত হওয়া।
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারও পরিবর্তনের কাজ করে। তবে এটি পরিবর্তন করে ভোল্টেজ ও কারেন্টকে। বেশি ভোল্টেজকে কম ভোল্টেজে পরিবর্তন করা কিংবা কম ভোল্টেজকে বেশি ভোল্টেজে পরিবর্তন করাই হচ্ছে এর মূল কাজ। একটা উদাহরণ দেই। সাধারণত আমরা বাসা-বাড়ীতে যে ভোল্টেজ ব্যবহার করি তা হল ২২০ ভোল্ট। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে যে বিদ্যুৎ তৈরি হয় তার ভোল্টেজ থাকে ১১০০০ ভোল্ট কিংবা ৩৩০০০ ভোল্ট । এই ভোল্টেজকে কমানোর জন্য ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়।
ট্রান্সফরমার বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এর বিশদ আলোচনায় আর গেলাম না।
ট্রান্সফরমার কিন্তু বিভিন্ন আকারের ও হতে পারে। হাতের তালুতে এঁটে যাওয়া নিচের ট্রান্সফরমারও যেমন আছে,
তেমনি বাড়ির সমান বড় আকারের নিচের মত ট্রান্সফরমারও রয়েছে।
তবে সাধারণত আমরা রাস্তাঘাটে বিদ্যুতের খুঁটিতে নিচের ট্রান্সফরমারগুলোই বেশি দেখি।
ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন যা
পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে।
ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ অথবা স্টেপ ডাউন দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং এটি ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন
(Magnetic induction) নীতি অনুসারে কাজ করে। ট্রান্সফরমারে কোন চলমান/ ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে না, এটি সম্পূর্ণ স্থির ডিভাইস।
ট্রান্সফরমারে দুটিউইন্ডিং থাকে। যথাঃ-
১. প্রাইমারি এবং
২. সেকেন্ডারি উইন্ডিং ।
প্রাইমারি ওয়াইন্ডিয়ে ভোল্টেজ প্রদান করলে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স আয়রন কোরের মধ্য দিয়ে সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিয়ে যায়
এবং সেখানে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। যার ফলশ্রুতিতে সেকেন্ডারি কয়েলে ভোল্টেজ পাওয়া যায়। ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ পরিবর্তনের হার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, ট্রান্সফরমার শুধু ভোল্টেজের পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু পাওয়ার ও ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে। পাওয়ার ঠিক থাকে তাই ভোল্টেজ পরিবর্তনের জন্য কারেন্টেরও পরিবর্তন হয়।
Source: Circuitglobe
অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টা পড়ার জন্য। অবশ্যই trickbd.com নিয়মিত ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। বিদায়।
You must be logged in to post a comment.
aro detail e likhle valo hoto
Abdul Quader Zilani,
Thanks for your feedback
Stay with Trickbd
আরো ভালভবে বুঝিয়ে বড় করে লিখলে ভাক হতো। বুঝেছি কিন্তু মনের মত না।
Sk Shipon,
I will try
Thanks for your feedback ?
Stay with Trickbd
আপনাকে ও ধন্যবাদ। আশা করি ভাল কিছু পাব পরবর্তীতে
মোটামুটি কিছু জানি। পদার্থ বিজ্ঞান বইয়ে পড়েছিলাম
MD Shakib Hasan,
Thanks for your feedback ☺️
Stay with Trickbd
অনেক ভালো। এসব জানা ছিলো না জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
এটা অনেক কাজে লাগে,, তবে সত্যি এত কারণ জানতাম না
?
Nice
অনেক কিছু জানার মতো একটি পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই