বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন
আইনজীবী বন্ধ রাখা সামাজিক
যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দিতে
সরকারের কাছে একটি আইনি নোটিশ
পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে
ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপের
মতো
জনপ্রিয় সোশ্যাল যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো
বন্ধ রাখা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে ডাক ও
টেলিযোগাযোগ সচিবকে উদ্দেশ্য করে
নোটিশটি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি
বলেছেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
মিডিয়াগুলো
খোলা না হয়, তবে কর্তৃপক্ষ আইনি
জটিলতায়
পড়বেন। উল্লেখ্য, ফেসবুকসহ তিনটি
প্রধান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গত ১৮
বন্ধ করে দেয়া হয়।
advertisement
দেবুল কুমার দে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,
‘ডাক
ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ফেসবুক,
হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভাইবারের মতো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের
ওয়েবসাইট
এবং অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দিয়েছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে
ইন্টারনেট
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল
অপারেটরদের মাধ্যমে এটা তারা
করেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ কারণেই ফেসবুকসহ
তিনটি মাধ্যম ১৮ নভেম্বর থেকে বন্ধ
আছে।’
এই আইনজীবী সরকারের সিদ্ধান্তটিকে
‘খামখেয়ালি’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি
জানান, সরকারের এই সিদ্ধান্ত
সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন। একই
সাথে
তা সংবিধানের ৩৯ ধারার তথ্য অধিকার
আইন, ২০০৯ এর পরিপন্থী।
সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে
একটি
বাধা।
ফেসবুকসহ উল্লেখিত মাধ্যমগুলো বন্ধ
করার
পর মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট
ব্যবহার
শতকারা ২২ ভাগ কমে গেছে। ঢাকা
ভিত্তিক
ইংরেজি পত্রিকা দ্যা ডেইলি স্টার এ
বিষয়ে তিনটি বড় মোবাইল অপারেটরের
কাছ
থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।