[পোস্ট’টি টেক ফিকশান তাই টেক হিউমার নিয়ে পড়বেন আশা করি]
আপনি কখনো ব্যাংকে টাকা রেখেছেন…ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার জমানো টাকা নিয়ে করে কিংবা ব্যাংকে টাকা রেখে আপনার লাভ কি হয়?
উত্তরগুলো হলো
(১) আপনার টাকার সিকিউরিটি দেয়
(২) আপনার টাকা খাটিয়ে ব্যাংক কতৃপক্ষ লাভ করে
এই সহজ বিষয়টা যদি ফেসবুক একাউন্টের ক্ষেত্রে ইউটিলাইজ করা হয় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়? আসুন একটু এডভান্স হই…
ফেসবুক সিকিউরিটি ব্যাংক:
মূলত এখানে বিভিন্ন ইউজারেরা তাদের ফেসবুক একাউন্ট জমা রাখবে আর আপনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হয়ে তাদের একাউন্ট গুলোর সিকিউরিটি দিবেন; এই যেমন একাউন্টগুলো হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা করা কিংবা ডিজেবল বা লক হওয়ার থেকে সুরক্ষিত রাখা ইত্যাদি। বিষয়টা হয়তো একটু কমন শোনাতে পারে তাইনা?
আজকাল অবশ্য ভার্চুয়ালে এমন অনেক গ্রুপ আছে যারা টাকার বিনিময়ে বা ফেইম কামাতে ফেসবুক একাউন্ট রিকোভারী করে থাকেন। বিষয়টা একটু কমপ্লিকেটেড কেননা ফেসবুক একাউন্ট রিকোভারী করে টাকা দাবী করা যেমন হীনতা দীনতার প্রকাশক আবার এই কাজটুকু করতে যতোটুকু সময় রিকোভারী কর্তা খরচ করে সেটাও তো আর ফেলনা নয়…যাই হউক এসব প্যাঁচাল বাদ দিন; আমি আপনাকে রিকোভারী করার কথা বলছিনা আমি আপনাকে একাউন্টগুলা আগে হতেই সুরক্ষিত রাখবে এমনি একটি অথেনটিক ভার্চুয়াল ব্যাংক এর ফিকশান বলছি।
তবে হ্যা, এক্ষেত্রে কোন একাউন্ট যদি হ্যাক/ডিজেবল/লক হয়েও যায় তবে সেটা রিকোভার করার যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে।
আপনি ফেসবুক একাউন্ট সিকিউরিটি দেবার কে?
প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ন কেননা ফেসবুকের মালিক তো স্বয়ং জুকারবার্গ তাহলে আপনি কিভাবে একাউন্ট সিকিউর রাখবেন? হ্যা, ফেসবুকের মালিক কিংবা ফেসবুক টিম অবশ্যই মানুষ তবে ভুলে গেলে চলবে না ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট এবং এর সার্ভার ও সিস্টেম একটি কম্পিউটার চালিত ব্যবস্থা মাত্র তাই চাইলেই আপনি উক্ত সিস্টেম এনালাইসিস করতে পারেন।
ব্যাংক বানিয়ে লাভ কি?
এইটাই বুঝলেন…আজকাল সবাই লাভের পেছনে ছুটে; তো এমন ফেসবুক সিকিউরিটি ব্যাংক বানিয়ে আপনার লাভটা কি হবে?
মূলত জমা থাকা ফেসবুক একাউন্ট গুলোতে আপনি এডভারটাইজ/ প্রমোট/ প্রমোশন করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আবার ইউজার একাউন্টগুলো’কে আপনি আপনার উপার্জিত অর্থ হতে কিছু পরিমান লাভ দিতে পারেন যেমনটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহক’কে ইন্টারেস্ট দিয়ে থাকেন। এ বিষয়টা সম্পর্কে আরো ডিটেইলস জানতে পারেন ট্রিকবিডিতে প্রকাশিত আমার লেখা “নিয়নবাতি [পর্ব-১৬] ফেসবুক ফার্ম হাউস; সাফল্যের এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার”
স্পেশাল গিফট:
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের সবচেয়ে ওনারেবল গ্রাহক’কে স্পেশাল কিছু গিফট দিয়ে থাকেন, তবে এটা ভার্চুয়াল তাই টাকার চেয়ে ভার্চুয়াল গিফটই এখানেই হতে পারে সারপ্রাইজ!
যেমন আপনি উক্ত ইউজারকে একটি ভেরিফাইড পেইজ/ আইডি গিফট করতে পারেন। দাঁড়ান দাঁড়ান….আগেই লাফাবেন না!
আপনাকে আগে নিজেই পেইজ ভেরিফাই করা জানতে হবে। অনেকেই হয়তো এটা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়েছেন কিন্তু বাস্তবে কতোজন পেইজ ভেরিফাইড করতে পেরেছেন বলুন তো…তা হউজ ব্লু টিক ভেরিফাইড ব্যাজ বা গ্রে টিক ভেরিফাইড ব্যাজ।
এমনি একটা এক্সামপল দেখতে পারেন এই ভেরিফাইড পেইজ→ ভেরিফাইড পেইজ ডেমো
এবার হয়তো ভাবতে পারেন যে এই পেইজটাতে কি এমন ডকুমেন্ট সাবমিট দিলো যে এটা ভেরিফাইড হইলো? আচ্ছা ডেমো হিসেবে এই পেইজে সাবমিট করা লিগ্যাল ডকুমেন্ট ডাউনলোড লিংকও দিচ্ছি→ মিডিয়াফাইল ডাউনলোড লিংক
তাইবলে এবার কেউ এমনটা রিকুয়েস্ট করবেন না যে আমিও যেন আপনার আইডি/ পেইজ ভেরিফাইড করে দিই বা সহায়তা করি, কেননা যারপরনাই কাজটা একটু সময় স্বাপেক্ষ এবং আমার সময়ের মূল্য আছে; তাইবলে কিপটামি নয় বরং আমি পুরোটাই উদারচিত্তে শেখাচ্ছি; আপনি যেকোনো ভিপিএন(পেইড হলে ভালো হয়) ইউএসএ কানেক্ট করে নতুন আইডি খুলে তাতে একটি পেইজ ক্রিয়েট করুন এবং ৩ দিন পর ভেরিফাইড অপশন পেলে ডকুমেন্ট সাবমিট করুন। পেইজে প্রোপিক ও কাভার পিক ইউনিক দিন, ইউএসএ’তে জিপকোড সহ একটি স্পেসিফিক লোকেশন পেইজে মার্ক ডাউন করুন এবং ভালো রেজুলেশনে লিগ্যাল ডকুমেন্ট এডিট করে জেপিইজি ফরম্যাটে সেভ করে তা সাবমিট করবেন… ব্যাস কাজ শেষ। শতভাগ সফল না হলেও আশা করি সঠিকভাবে করতে পারলে ব্যর্থ হবেন না।
এটা কি গল্প নাকি বাস্তব?
কোই যেন ছিলাম…. ওহো, ফেসবুক সিকিউরিটি ব্যাংক নিয়ে তাইনা?
শুনতে হয়তো এটাকে খুব জটিল কিংবা হাস্যকর লাগছে তবে আবার ভাবুন এটাই হয়তো হতে ডিফারেন্ট কিছু করে আপনার লাইফটাকে ড্যাজলিং করার একটা অন্যতম উপায় সুতরাং Don’t leave a chance to keep alive your dream!!!
এছাড়া একদিকে ফেসবুক সোস্যাল মার্কেটিং এবং সিকিউরিটি এনশিওরমেন্ট একদিকে যেমন বিপুল সম্ভাবনা তৈরী করতে পারে অন্যদিকে ফেসবুক হ্যাকিং এর মতোন সাইবার ক্রাইম রোধ করতে পারে কেননা “চোর যেথায় পাহারাদার সেখানে চুরি যে হবেনা এইটাই বাস্তব”!
ফেসবুকে আমি → নিশান আহম্মেদ নিয়ন
নারে ভাই, আমাকেও আমার লাইফ,ক্যারিয়ার আর ছোট্ট একটা ড্রিম নিয়ে ছুটতে হয় তাই ততোটা সময় খুজে পাওয়ায় দুষ্কর তবুও নিছক হাই/হ্যালো বাদ দিয়ে সরাসরি বক্তব্যটা তুলে ধরুন আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাকে সহায়তা করার।
আর আগামী বছর শুরুর দিকে আমি America এর Maryland চলে যাচ্ছি তাই সকলের দোয়া দরখাস্ত।
শেষকথা :
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন নিজে,ভালো রাখুন নিজের প্রিয়জনকে।