মারিয়ানা’স ওয়েবঃ এখন যদি বলা হয় এই ডার্ক ওয়েব এর চাইতেও গভীর একটি ওয়েব রয়েছে; আর তখনই তা ব্রাউজ করা যাবে যখন;সেই ওয়েবসাইট এর এড্রেস আপনার কাছে থাকবে আরও থাকতে হবে সেই ওয়েবসাইটে ঢোকার চাবি। মারিয়ানা’স ওয়েব এতই গভীর যে এখানে ঢোকা সহজ কোন ব্যাপার নয়; খুবই কঠিন একটি প্রক্রিয়া। যেকেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারবে না এই ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে।
এই মারিয়ানা নামটি এসেছে মানিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে। এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চ হল প্রশান্ত মহাসাগর এর সবচেয়ে গভীর তম স্হান [গভীরতা প্রায় ১১ কি.মি]। এটি সমুদ্রের এমন একটি স্হান যা পুরো পৃথিবীর সবচাইতে গভীরতম স্হান। এই নাম থেকেই এর নাম হয়েছে মারিয়ানা’স ওয়েব।
এটা মানা হয় যে; সরকার এর যতসব টপ সিক্রেট তথ্যগুলো আছে তা এখানে পাওয়া যায়। দুনিয়ায় সবচেয়ে রহস্যময় আর গোপনীয় জিনিস যদি থাকে সেসব এখানে দেখা যায়। আরও বলা হয় যে; “এটলান্টিস” সমুদ্রের নিচে এক কাল্পনিক দ্বীপ যেটি আছে; তার তথ্যও এই মারিয়ানা’স ওয়েবে আছে।আরও বলা হয় যে; ইলুমিনাটি বা ইলুমিনাটিদের লোকদের [শয়তানের পূজারী]সাথে যোগাযোগ; এর ব্যবস্হা এই মারিয়ানা’স ওয়েবে আছে। তাই এই মারিয়ানা’স ওয়েব হল ইন্টারনেটের সবচেয়ে রহস্যময় ও গোপনীয় জায়গা। এর চাইতে রহস্যময় ও গোপনীয় ওয়েব আর নেই।
তো গর্ভমেন্ট কী জন্য এটার বিরুদ্ধে কিছু করছে না? কেন এটাকে প্রকাশ করা হচ্ছে না? এখানে গর্ভমেন্ট এই জন্য এটি করেনা কেননা;অনেক দেশের সিক্রেট অনেক তথ্য এই মারিয়ানা’স ওয়েবে আছে;এমনকি তাদেরও থাকতে পারে। মারিয়ানা’স ওয়েবে Human Experiments ও হয়ে থাকে; এবং তার ডাটাবেসও সেভ করা হয় এখানে।
কয়েক বছর আগের কথা; একজন ওয়েব ডেভেলপার ছিল যে ফ্রিল্যান্স কাজ করত। অর্থাৎতাকে কেউ টাকা দিত সে তার বিনিময়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিত। এভাবে ওই ব্যক্তিকে একজন unknown লোক যার নাম 450w[হয়ত তার কোডনাম] ছিল; reddit নামের ইন্টারনেট ফোরামে ভাড়া করল। ওয়েব ডেভেলপার জানত না যে এই লোকটি কে। কিন্তু সেই unknown লোকটি তাকে অনেক বেশী প্রাইজ অফার করল;খুবই সাধারন একটা কাজ করার জন্য।
সে বলেছিল আমি আপনার থেকে নরমাল ওয়েবসাইট আমার সার্ভারে ডিজাইন করে নিব; এর বিনিময়ে আপনাকে সপ্তাহে ৫০ হাজার ডলার দেব। তখন ওই ওয়েব ডেভেলপার এর মনে হল কোন স্ক্যাম বা এইরকম কিছু হবে হয়তবা;কিন্তু তার টাকার দরকার ছিলো তাই সে অর্ডারটি নিয়ে নিল। তারপর সেই ওয়েব ডেভেলপার দিয়ে পার্সোনল প্রাইভেট কোন সার্ভারে কাজ করানো হল;সাধারন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করানো হল। শুধু ডিজাইন করিয়ে নেয়া হল কোনো কনটেন্ট দেয়া হলনা। এভাবে কাজ চলতে থাকল, ৯ সপ্তাহ সেই ডেভেলপার কাজ করেছিল।
একটি ক্লিপে কিছু বাইনারি কোড নির্দেশ করছিলো, ডিকোড করার পর তা দাঁড়ায় “একবার আপনি এখানে ঢুকলে আর বের হওয়ার রাস্তা নেই, ঢুকার চেষ্টা করবেন না, এখানেই থেমে যান”
ধারনা করতে পাচ্ছেন মারিয়ানা’স ওয়েব কেমন এবং; ভয়ংকর একটি জায়গা তার বলতে আর কোন সন্দেহ থাকে না।এখানে সাধারন কোন এথিক্যাল বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের কোন স্হান নেই। একজন সাধারন মানুষের মারিয়ানা’স ওয়েবে বেশি ঘাটাঘাটি বা ঢোকার চেষ্টা না করা; এসবের ভেতর না যাওয়াই ভালো।
আর এখানে আপনার কাজের কোনো কিছু ও নেই। আর এসবই মূল কারন কেউ মারিয়ানা’স ওয়েব প্রকাশ এর জন্য কোন অভিযান করে না। গর্ভনমেন্ট কোন পদক্ষেপ নেয়না; আগেই বলেছি তাদেরও অনেক গোপন তথ্য এখানে বিদ্যমান। বড় থেকে বড় হ্যাকারও এই মারিয়ানা’স ওয়েব নিয়ে কিছু করার আগে অনেকবার ভাববে। এটি ইন্টারনেটের একটি কোনা যেখানে বিনা ঠিকানা, বিনা চাবিতে ঢোকা বলতে অসম্ভব এটি বিষয়।
এটাও মানা হয় যে, মারিয়ানা’স ওয়েবে ঢুকতে তা দখল করতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারস এর প্রয়োজন হবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটারও বলা যেতে পারে; এদের প্রোসেসিং স্পীড আমাদের সাধারন কম্পিউটার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশী হবে। [মানা হয় মাত্র ৪টি কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়ে সম্পূর্ণ আমেরিকার কম্পিউটারের ঘাটতি পূরন করা সম্ভব!!!!
collected from :cyber71