# শিক্ষামূলক_পোস্ট
.
আচ্ছা এমন কোন ম্যাসেজ কি আপনিও পেয়েছিলেন?
.
(১) আল্লাহর এই ৭টি নাম ১২ জনকে দাও দেখবে ৩দিনের মধ্যে একটা খুশির খবর পাবে 100%গ্যারান্টি। আর যদি Avoid কর তাহলে আগামী ১২বছরে অনেক কষ্ট করতে হবে। .
(২) এই কালেমাটি ১২জনকে দাও দেখবে ১দিনের মধ্যে তোমার একটা আশা পূর্ণ হবে 100% গ্যারান্টি।
.
(৩) এই সূরা টি ২২জনকে দাও দেখবে আজ রাতের মধ্যে তুমি একটা সু-খবর পাবেই পাবে 100% গ্যারান্টি। আর যদি Avoid কর তাহলে আগামী ১০ বছরে অনেক ক্ষতি হবে। plz share it.
.
.
এবার আলোচনায় আসি- প্রথমেই পরম করুনাময় ও দয়ালু আল্লার নামখানি স্মরণ করছি। কারন, একমাত্র আল্লহই আছেন যিনি তার বান্দার মনের খবর সু-স্পষ্ট ভাবে জানেন এবং বুঝেন।
.
এই যে উপরিউক্ত ম্যাসেজ গুলো দেখলেন ঐ ব্যাপারে আপনার বক্তব্যটা কি? হয়ত ভাবছেন,- আসলেই আল্লাহর নাম, আল্লাহর কালিমা এসব অন্যদের মাঝে পৌছে দেয়াটা সওয়াবেরই কাজ। আর এসব Avoid করলে যদি সত্যিই বড় কোন ক্ষতি হয়ে যায়? .
হ্যাঁ আমরা মুসলিম জাতি শত ভাগ বিশ্বাস করি যে, আল্লাহর নাম/কালাম অন্যদের মাঝে পৌছে দেয়াটা অবশ্যই অধিক পরিমান সওয়াবের কাজ। আর তাই হয়ত আমরা এই ম্যাসেজ গুলো লিষ্টে থাকা পরিচিত- অপরিচিত প্রায় সবাইকেই দিচ্ছি। কিন্তু আমারা কি এই ম্যাসেজ গুলোর সঠিক অর্থ জানি? আসুন জেনে নেই-
.
আচ্ছা তার আগে বলুন, আপনি কি এইসব ম্যাসেজ কাউকে কখনও দিয়েছেন? অথবা অন্য কেউ আপনাকে কখনও এসব দিয়েছিল? তবে আজ তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা, .
.
.
((১। আল্লাহর এই ৭টি নাম ১২ জনকে দিলে # ৩দিনের মধ্যেই একটা খুশির সংবাদ পাবেই পাবে (100%গ্যারান্টি)
.
২। এই কালেমাটি ১২জনকে দিলে # ১দিনের মধ্যে একটি মনের আশা পূর্ণ হবে (100%গ্যারান্টি)
.
৩। এই সূরা টি ২২জনকে পাঠালে আজ # রাতের মধ্যেই একটি সু-খবর পাবেই পাবে (100%গ্যারান্টি)
.
# আর_যদি_Avoid_কর_তাহলে_আগামী_অম ুক_বছর_পর্যন্ত_অনেক_ক্ষতি_বা_ক ষ্ট_পেতে_হবে ))
.
আচ্ছা এবার বলুন, (# ট্যাগে) লিখিত যেই শব্দ গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো কি যথার্থ? নিজের বিবেককে একটি বার প্রশ্ন করে দেখুন তো বিবেক কি বলে? আমরা জানি ইসলাম কোন যুক্তি দিয়ে চলে না। ইসলাম শুধু মাত্র ইসলামের পথে তখা শান্তির পথেই চলে। আমরা যদি উক্ত বাক্য গুলোকে ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিতে বিচার-বিশ্লেষণ করি তাহলেই বুঝতে পারি যে, বর্তমানে মুসলিম জাতি কতটাই নাস্তিকতার মাঝে ডুবে আছে। প্রতিনিয়তই নাস্তিকতা বিড়াজ করছে তাদের মুখে উচ্চারিত প্রত্যেকটি বাক্যে বাক্যে ও কলিতে কলিতে।
.
কিন্তু কেন? মানুষের তো একটা কমনসেন্স বলেও কিছু একটা থাকে। অনেক শিক্ষিত মানুষ গুলোও আজকাল এইসব ম্যাসেজ প্রচার করে বেরাচ্ছে। কিন্তু তবুও তার বিবেক নাড়া দিচ্ছে না। ভাবতে পারছেন নাস্তিকতা মানুষকে কতটাই হ্রাস করে ফেলেছে? চোখ জোড়া যেন কালো পর্দায় ঢেকে দিয়েছে এই নাস্তিকতা। ফলে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গও এই নাস্তিকতার কুচক্রে বশীভূত হয়ে পরেছে। .
আচ্ছা আপনাকে কে বলেছে, আল্লাহর ৭টি নাম/কালিমা ১২জনকে দিলে (৩দিনের) মধ্যেই একটা না একটা খুশির সংবাদ পাবেন? আপনাকে কে বলেছে, অমুক সূরা টি এত জনকে দিলে (৭দিনের) মধ্যেই মনের আশাটি পূর্ণ হবেই হবে? শুধু কি তাই? সেটা আবার (১০০% গ্যারান্টি) দিয়ে বীর-বাহাদুরী চ্যালেঞ্চ ছুড়ে বুকের পাটা ফুলিয়ে কন্ঠ উজার করে বলে যাচ্ছেন। হায় রে মানুষ! .
আল্লাহ কখন কার কোন আশাটি পূরণ করবে তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানে। কিন্তু আমরা সেই আল্লাহর উপর এই দৃঢ় বিশ্বাসটুকু মাটি চাপা দিয়ে নিজেরাই (১০০%গ্যারান্টি) দিয়ে জোড় গলায় চেচিয়ে বলে বেরাচ্ছি।
.
আরে নাস্তিক তো তারাই যাদের কথা শুনলে মনে হবে, এ যেন সত্যিই কোরআন-সুন্নাহর অনুকূলেই কথা বলছে! কিন্তু তার উচ্চারিত কথা গুলোকে ব্যাখ্যা করলেই বুঝতে পারবেন, তারা কথাটির ভিতরে কেমন একটা প্যাঁচ মেরে তারপরে উচ্চারণ করেছে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বুঝা বড়ই কঠিন। .
আরে ম্যাসেজ গুলো তো এভাবেও লিখা যেত,
.
(আল্লাহর এই নাম/কালিমা গুলো নিজে পড়ুন এবং অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন! এতে অনেক সওয়াব আছে। যার ফলে পরম করুনাময় আল্লাহ্ যে কোন সময় আপনার মনের যে কোন নেক আমল বা নেক আশাটি পূরণ করলে করতেও পারে)
.
.
আর এই সমস্ত নাস্তিকতা ও ইবলিসের কুচক্রের স্বিকার দিন দিন নারীই বেশি হচ্ছে। যা সেই আদি মানবী হাওয়া (আঃ) এর আমল থেকেই হয়ে আসছে। আর তাই হয়ত নারী জাতিই ইবলিসের ধোঁকায় বেশি পতিত হয়। তাছাড়া এই সমস্ত ম্যাসেজ আজ পর্যন্ত যত্ত গুলো পেয়েছি তা সবই ছিল কোন না কোন নারীরই দেওয়া।
.
আমরা আল্লাহর নাম/কালাম প্রতিটি নিঃশ্বাষেই স্বরণ রাখব ঠিকই, কিন্তু সেটা অবশ্যই অবশ্যই আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস ও পূর্ণ আস্থা রেখে। নিজেরাই যদি ১০০%গ্যারান্টির চ্যালেঞ্চ দিয়ে এমন কিছু প্রচার করি তাহলে আল্লাহর উপর আমাদের বিশ্বাসটা কি রইল বলুন?
.
আর আমি নাস্তিক তাদেরকে বলছি না যারা এইসব ম্যাসেজ সবার কাছে প্রচার করে বেরাচ্ছেন। নাস্তিক হল সেই ব্যক্তি, যিনি সর্ব প্রথম এই ম্যাসেজটির সূত্রপাত ঘটিয়ে পুরো মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছে। .
.
তাই আসুন! এসমস্ত নাস্তিকতার কুচক্র থেকে আমরা আমাদের মা-বোনকে রক্ষা করি এবং নিজেরাও শতর্ক হই। লেখাটি শেয়ার করে অন্যদের কাছেও পৌছে দিন। এবং নাস্তিকের কুচক্র থেকে গোটা মুসলিম জাতিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।
পোষ্টটি ফেসবুক,টুইটার,ব্লক,সাইটে সর্বোচ্চ শেয়ার করে সকলকে জানান। লেখায় কোন ভুল থাকলে যানান আমাকে।
আপনাদের যদি কেউ মেসেজ দেয় তবে এটা তাকে Forward করেন।