Site icon Trickbd.com

ওলি বা পীর দের কাছে কিছু চাওয়া শিরক – কাউকে ত্রানকর্তা মনে করা শিরক যদিও তারা আল্লাহর ইবাদত করে

আসসালামু আলাইকুম ,আজকের টপিক বুঝার জন্য আগের টি দেখতেই হবে কারণ তার সব লেখা এক জায়গাতে লিখলে লেখা বড় হবে। লিংক টাইটেল দিয়ে দিচ্ছি –


Link:  [১] মক্কার কাফের রা আবু জেহেল আবু লাহাব রা আল্লাহকে মানতো ও বিশ্বাস করতো

আমাদের দেশ একটা গান আছে বা কয়েকটা গান আছে – “বাবা শাহজালাল ওলি, বাবা শাহ পরান ওলি, দয়া কর বাবা”

এদের কাছে প্রশ্ন করেন, সৃষ্টিকর্তা কে? বলবে – আল্লাহ। জিজ্ঞাসা করেন রিজিক দেয় কে? এরা বলবে আল্লাহ।

কিন্তু যদি বলেন  – আল্লাহ ছাড়া আর কারোও কাছে চাওয়া যাবেনা – তাহলে মানবে?   মানবেনা, বরং মারবে।

খেয়াল করুন ও মিলিয়ে দেখুন — 

আবু জাহাল দের যখন প্রশ্ন করা হতো –

সৃষ্টিকর্তা কে? বলতো  – আল্লাহ। জিজ্ঞাসা করা হতো  রিজিক দেয় কে? তারা বলতো আল্লাহ।

কিন্তু যদি বলা হতো   – আল্লাহ ছাড়া আর কারোও কাছে চাওয়া যাবেনা – তাহলে মানতোনা। মানতোই না ও  পরে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কে এরা মারছে এজন্যই।

তাদের কথা ছিলো ২ টা –

১। আল্লাহর ওলি দের কাছে বললে আল্লাহ শোনবেন , আমাদের কথা আল্লাহ ওনে নাকি? আমরা কোন পাপী মানুষ।

২। এত যুগ ধরে বাপ দাদারা করে আসছে তা ভুল হয় কি করে?

খেয়াল করুন, আজকেও বাংলাদেশে এরকম ই কথা বলে।

সুরাহ ফাতেহা দেখুন “আমরা আপনারই ইবাদত করি, আপনার কাছেই সাহাজয চাই” সরাসরি শিক্ষা –  – চাইতে হবে আল্লাহর কাছে একথা বার বার বলা আছে কুরআন ও সহীহ হাদিস গুলোতে। তবে  দ্বীন শিখতে শিক্ষক লাগবে, দ্বীন শিখতে পীর লাগবে, দ্বীন শিখতে আলেম  লাগবে, কিন্তু তার প্রতি অন্ধ ভক্তি করা যাবেনা, তার কাছে চাওয়া যাবেনা, তার গায়েব জ্ঞান আছে এমনটা মনে করা যাবেনা। তার প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে কিন্তু অন্ধ অনুকরণ নয়, তিনি যা বলেন তা কুরআন ও সুন্নাত এ আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

 আসলে শুধু পীর বা ওলি ই নয়, কোন মানূষের কাছে সন্তান চাওয়া, বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া, সবজান্তা মনে করা,
সুখ চাওয়া, আমাকে দেখতে পায় মনে করা, কেয়ামতে সুপারিশ করবে মনে করা, গায়েব জানে মনে করা শীরক।
  এগুলো আল্লহ তায়ালার নিজস্ব গুণ, অন্য কাউএ সে সব গুণের মালি মনে কয়রা তার কোন সিফাতের সাথে অন্য কাউকে বসানো ই শিরক।

তাই ফ্রেশ হোন, সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন ।

ইবাদত কবুলের ও সাওয়াব পেতে ২ শর্তঃ

১। এক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জন্য হতে হবে। (শিরক মুক্ত ইবাদত)

২। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম এর দেখানো পথে হতে হবে।  এবিষয়ে বুঝার জন্য দেখবেন

Link: [2] রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমগ্র জীবনটাই আমাদের জন্য সুন্নাত