Site icon Trickbd.com

তাবলীগ-ওয়ালাদের কথিত নেকি ঊনপঞ্চাশ কোটি গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে !!!

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম…

আশা করি ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
Title দেখেই বুঝে গিয়েছেন হয়তো আজ কি নিয়ে কথা বলবো।
তো চলুন….

আল্লহ’র রাস্তায় আমলের ফজিলতঃ

#————–>>>

আল্লহ পাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। উম্মতে মোহাম্মদীর উপরে আল্লহ পাক দায়িত্ব দিয়েছে দুটি। প্রথমত নিজে ইবাদত করা এবং দ্বিতীয়ত মানুষকে নবীগণের ন্যায় আল্লহ পাকের হুকুম তথা দীনের দিকে ডাকা। ইসলাম ধর্ম বা দীন প্রচারের জন্য আল্লহ পাকের মনোনীত পন্থা হল নবীগণের তরীকা অর্থাৎ নবীরা যে তরীকায় মেহনত করেছেন ঠিক সেইভাবে যদি আমরা মানুষকে আল্লহ পাকের দিকে ডাকি সেটাই একমাত্র ফলপ্রসূ হবে। দীন কে নিজের জীবনে আনা এবং পুরা উম্মতের মধ্যে আনার একমাত্র মাধ্যম হল, নবীজীর তরিকায় এবং সাহাবাওয়ালা জজবা নিয়ে আল্লহ পাকের রাস্তায় বের হওয়া এবং জান, মাল ও সময়ের কুরবানী দিয়ে দীনের মেহনত করতে থাকা। আল্লহ পাকের ওয়াদা রয়েছে, পরবর্তী যামানার লোকেরা যখন দীনের মেহনত করতে থাকবে, তখন আল্লহ পাক তাদের ১০ জন সাহাবার সমান সাহায্য এবং ৫০ জন সাহাবার বরাবর সওয়াব দান করবেন। সূরা মোহাম্মদের ৭ নং আয়াতে আল্লহ পাক দীনের কাজ করনেওয়ালা বা দীনের সাহায্য করনেওয়ালাদের জন্য সাহায্যের ওয়াদা করেছেন। সূরা আল-বাক্বারার ২৬১ নং আয়াতে আল্লহ পাক, তাঁর রাস্তায় খরচের বদলা ৭০০ গুন বর্ধিত করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। আল্লহ পাক আরো উল্লেখ করেন, যার জন্য খুশি আল্লহ পাক আরো বহুগুনে বর্ধিত করে দিবেন।

★ কোরান পাক এবং রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র হাদিস পাকে আল্লহ’র রাস্তার ফজীলতের অনেক বর্ণনা রয়েছে যা বিস্তারিত বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। কতিপয় ফজীলতের দিকে যদি আমরা আলোকপাত করি তাহলে আল্লহ চাহে তো বুঝে আসতে পারে যে, আল্লহ পাক তাঁর রাস্তায় মেহনতকারীদের জন্য কি বিপুল পুরস্কার ও মর্তবা রেখে দিয়েছেন। নিচে আল্লহর রাসুল (সাঃ) এর একটি হাদীস ভাবানুবাদ সহকারে উল্লেখ করা হল-

عن عمران بن حصين عن رسول الله صلى الله عليه و آله قال: من أرسل بنفقة في سبيل الله و أقام في بيته فله بكل درهم سبعمائة درهم، و من غزا بنفسه في سبيل و أنفق في وجهه فله بكل درهم يوم القيامة سبعمائة ألف درهم ثم تلا هذه الآية (و الله يضاعف لمن يشاء) …

★ অর্থঃ হযরত ঈমরান বিন হোসাইন (রাঃ) রাসূলুল্লহ (সাঃ) এর ইরশাদ বর্ণনা করেন যে, যদি কোন ব্যক্তি আল্লর রাস্তায় খরচ দেয় কিন্তু নিজে ঘরে অবস্থান করে তবে সে তার ব্যয়িত দিরহামের বিনিময়ে ৭০০ গুন সওয়াব লাভ করবে। আর যদি কোন ব্যক্তি নিজে আল্লহর রাস্তায় বের হয় এবং নিজের ব্যক্তিগত দরকারে এক দিরহাম খরচ করে তবে কিয়ামতের দিন প্রত্যের দিরহামের বিনিময়ে সে ৭০০,০০০ (সাত লক্ষ) গুন সওয়াব লাভ করবে। এরপরে তিলাওয়াত করেন, আল্লহ যাকে ইচ্ছা যতখুশি বর্ধিত করেন।

মুসনদে আহমদ শরীফে হযরত সাহল (রাঃ) রসূলুল্লহ (সাঃ) এর ইরশাদ বর্ণনা করেন যে, “আল্লহর জিকিরের সওয়াব এত বেশী যে, আল্লহর রাস্তায় খরচ এর চাইতে সাত লক্ষ গুন বেশী হয়ে যায়”। অর্থাৎ আল্লহর রাস্তায় নামাজ এবং জিকিরের বদলা খরচের উপরে আরো ৭০০,০০০ (সাত লক্ষ) গুন বাড়িয়ে দেয়া হয়। কোন কোন বর্ণনায় ৭০০ গুনের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাজেই, নামাজ ও জিকিরের ফজীলত দানের উপরে ৭০০ গুন বেশী হলে হয় ৭০০ X ৭০০,০০০ = ৪৯,০০০০০০০ (ঊনপঞ্চাশ কোটি)।
★ আর যদি আহমদ শরীফের বর্ণনা অনুসারে ৭০০,০০০ গুন ধরা হয় তাহলে আল্লহ’র রাস্তায় নামাজ জিকিরের ফজীলত হবে ৭,০০০০০ X ৭,০০০০০= ৪৯,০০০,০০০০০০০ (ঊনপঞ্চাশ হাজার কোটি) গুন। এই সংখ্যা আমাদের কাছে যত বিপুল পরিমানই হোক না কেন, মহান আল্লহ পাকের সীমাহীন ভান্ডারের কাছে এই অবারিত দান কিছুই নয়! হাদীসে কুদসী থেকে জানা যায়, বান্দা আল্লহ পাক সম্পর্কে যেমন একীন রাখবে, আল্লহ পাক তার সাথে ঠিক তেমন ব্যবহার করবেন। কাজেই আমরা পুরস্কারের ব্যপারে আল্লহ পাকের অপার রহমতের প্রত্যাশা রেখে সর্বোচ্চোটাই কামনা করবো।
(লিখাংশটি লিখেছেন ড. জায়েদ বিন জাকির সাওন)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

[আল্লাহর রাস্তায় ১২০ দিনের সফরে আছি। তাই বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করতে পারলাম না। ১ম ৪০ দিন ছিলাম কুমিল্লার লাঙলকোট থানার ঢালুয়া ইউনিয়নে, পরের ২০ দিন ssc এর ছাত্রদের সাথে সিলেটের জাফলং ; আর এখন আলহামদুলিল্লাহ ৬০ দিনের জন্য গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার পারুলিয়া ইউনিয়নে। ]

কোনো ভুল হলে মাফ করবেন।
কমেন্টের উওর দিতে দেরি হতে পারে। যাই হোক আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার দাওয়াত রইলো। আল্লাহ হাফিয।