Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Hadith & Quran » রাসূল (সাঃ) এর এই দোয়াটি পড়ে চোখে ফুঁ দেন। যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে

রাসূল (সাঃ) এর এই দোয়াটি পড়ে চোখে ফুঁ দেন। যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে


প্রিয় পাঠক মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের দিকে চেয়ে থাকা আজকাল আমাদের জীবনের স্বাভাবিক চিত্র। চোখের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একে অপরকে সাবধান করতেন। এর মাঝে এলো মহামারী করোনা। শুরু হলো লকডাউন এবং এই লকডাউনের পরেও মানুষ অনেকটা মোবাইল বা কম্পিউটার উপরে অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই এখন যতক্ষণ একটা মানুষ জেগে থাকে তার প্রায় সবটুকু সময় থাকে কোন না কোন ডিভাইসের পর্দায়। গেম খেলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং, আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ সবই এখন মোবাইল বা কম্পিউটারে হয়। সব মিলিয়ে চোখের উপর দিয়ে প্রত্যেকদিন যাচ্ছে উপর্যুপরি ধকল। আবার সেগুলো বাদ দিয়ে সময় কাটানোর যেন মুশকিল ঘটে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে চোখের উপর কিভাবে চাপ কমানো যায় তার একটু যত্ন নেওয়া যায় এবং মহানবীর সাল্লাহু সাল্লাম চোখের যত্নে কোন দোয়া পড়তেন…? প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি ছোট-বড় সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১. বিরতি পদ্ধতিটি অনুসরণ করা জরুরি। একটানা লম্বা সময় বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর চাপ পড়ে এবং তার শুকিয়ে যায়। তাই প্রতি কুড়ি মিনিট পর ২০ ফিট দূরে কোন কিছুর দিকে কুড়ি সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে।( এই নিয়মটি থ্রিপল টুয়েন্টি (২০-২০-২০) নামেও পরিচিত) এতে চোখ বিশ্রাম হবে এবং চোখের উপর ধকল কমবে।

২. চোখের পলক ফেলার পদ্ধতিঃ বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পলক ফেলার মাত্রা কমে যায়। আর এই কারণেই মূলত চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। পলক ফেলার মাধ্যমে চোখ আর্দ্রতা পায়, শুষ্ক ও জ্বালাপোড়া কমে যায়। তাই চোখের পলক ফেলার পরিমাণ নিচ থেকে বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

৩. এরপর খাবারের কথা বলতে হয়। খাদ্য তালিকায় প্রচুর মাছ রাখুন। এতে প্রচুর ওমেগা-থ্রি রয়েছে। “ওমেগা 3 অয়েল” কাজ হলো চোখ পিচ্ছিল রাখে, চোখের আর্দ্রতা যোগায়।

৪. চোখকে আরাম দিন। যেমন দুই হাতের তালু ঘষে তাপ উৎপন্ন করে তা দুচোখে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে চোখের জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং চোখ আরাম বোধ করবে।

৫. আমরা সাধারণত কাছের বস্তুতে দৃষ্টি দিতে অভ্যস্ত। তাই মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ দূরে দৃষ্টি দিন। চলতে ফিরতে হাটতে-বসতে দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করুন।

৬. সূর্যের আলো চোখের ফ্রি চিকিৎসা দেয়। তবে তা প্রখর রোদে নয়। খুব সকালে যখন সূর্য উদিত হয় অথবা শেষ বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে তাকিয়ে থাকুন অথবা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকুন। এতে করে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়, যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং মনে রাখবেন এই ভিটামিন ডি কিন্তু অন্য কোন উৎস থেকে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র সূর্যের আলো থেকে এটি উৎপন্ন হয়।

৭. অনেকের চোখে ঝাপসা দেখেন। সেক্ষেত্রে পানির ঝাপটা নিয়ে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শুষ্ক অবস্থার কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে।

৮. আর্দ্রতাবিহীন বাতাস থেকে চোখ দুটি দূরে রাখুন। শুকনো বাতাস চোখের বাষ্প শুষে নেয়। তাই এয়ারকন্ডিশনের বাতাস থেকে চোখ আগলে রাখা উচিত।

৯. সুযোগ পেলেই চোখে পানি দিন। মুখ ধোয়ার সময় চোখে বেশি বেশি পানি দিয়ে নিন। এতে চোখে ধুলো পরিষ্কার হবে এবং যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য পাঁচবার উত্তমরূপে অজু করেন তাদের জন্য এই কাজটি অনেক সহজ হয়। তবে ওযু করার সময় চোখে একটু বেশি পরিমাণে পানির ঝাপটা দেওয়া চেষ্টা করবেন।

১০. কম্পিউটারে স্মার্টফোন ও টেলিভিশনের উজ্জলতা কমিয়ে রাখুন।

১১. ধূমপান চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এটি ত্যাগ করতে হবে।

১২. চোখের মেকআপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। যদি নিয়ে থাকেন তবে যত দ্রুত সম্ভব ধুয়ে ফেলুন।

১৩. প্রচুর পালংশাক খান। এতে বহু ধরনের পুষ্টি উপাদান ও লুটেন রয়েছে। নানা সমস্যা দূর করবে এই পালংশাক।

১৪. কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নিয়ে নিন।

১৫. চেয়ার থেকে সামান্য উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করুন এবং বাহিরে দিকে কয়েক মিনিট তাকিয়ে থাকেন।

১৬. ঘুমের অভাবে মাথা ও চোখে ব্যথা হয়। ঘুমালেই চোখ শান্তি পাবে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→ এশার নামাজের পর বিশেষ কোনো কাজ না থাকলে বাজে গল্পগুজব করে সময় না কাটিয়ে আমাদেরকে ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন। ( মুসনাদে আবি ইয়ালা হাদিস ৪৯৭৯)

প্রিয় পাঠকবৃন্দ এখন আমরা জানবো একটি বিশেষ দোয়া সম্পর্কে। যা নিয়মিত আমল করলে আমাদের চোখ, কান, জবান, অন্তর ইত্যাদির ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। এই দোয়াটি হলো

অর্থাৎ হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা,চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা, অন্তরের অপকারিতা এবং আমার লজ্জাস্থানের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই।( সহিহ মিশকাত হাদিস নাম্বারঃ ২৪৭২, সহিহ আবূ দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ১৩৮৭)

প্রিয় পাঠক দোয়াটি আপনারা যে কোন নামাজের পর অজু অবস্থায় তিনবার পড়ে দুই হাত একত্র করে তাতে ফুঁক দিবেন এবং তারপর মোনাজাতের মতো করে চোখে হাত দুটো মাচেহ করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ চোখে কোন সমস্যা থাকলে চোখে ব্যথা হলে ( এই দোয়ার উছিলায়) তা নিরাময় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

3 years ago (Oct 18, 2021)

About Author (493)

MD Shakib Hasan
author

️যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ( সূরা তালাক আয়াত ৩) ------------------------------------------------ Facebook ID ------------------------------------------------ Facebook Page

Trickbd Official Telegram

2 responses to “রাসূল (সাঃ) এর এই দোয়াটি পড়ে চোখে ফুঁ দেন। যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে”

  1. Zisan Islam Contributor says:

    Usefull post take ?

Leave a Reply

Switch To Desktop Version