আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলেই ভাল আছেন!….
পাল্টা প্রশ্নের জবাবে বলব আমি ভাল নেই!
যদি কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খোজতে চান তবে পুরো পোস্টটি পড়ুন।
টাইটেল পড়ে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন? হবারই কথা।
এই একবিংশ শতাব্দিতে কোনও ছেলের মেয়েবন্ধু (হোক বেস্ট ফ্রেন্ড, গার্লফ্রেন্ড, শুধু ফ্রেন্ড বা অন্য কিছু) নেই এমন ছেলে খোজে পাওয়া দুঃস্কর। প্রায় ৯৭% ছেলেরাই কোনও না কোনও ভাবে কোনওনা কোনও মেয়ের সাথে সম্পৃক্ততা আছে।
তো আমি যেটা বলতে চাচ্ছি মনের অজান্তে বিয়ের বিষয়ে! আমরা প্রায় হরহামেশায়ই আমাদের মেয়েবন্ধু দের সাথে ঠাট্রা ফাজলামো করে থাকি! ঠাট্রার সীমা কতদুর যায় তা বলা মুশকিল, অনেকসময় বিয়ে পর্যন্ত চলে যাই! আর যাদের গার্লফ্রেন্ড আছে তারা তো মনে প্রানে বলে বৌ বৌ! অর্থাৎ মেয়েবন্ধুটিকে বৌ বলে স্বীকৃতি দেয়। বিশেষ করে আমার মত টীনেজার যারা তারা। আমরা এটাকে স্রেফ ফাজলামো বলে চালিয়ে দিই। কিন্ত ইসলামি দৃষ্টিতে এই বিষয়টাকে অন্যভাবে ব্যাখা করা হয়েছে।
অর্থাৎ কোনও ছেলে বা মেয়ে (সাবালক) যদি
একজন আরেকজনকে মৌখিক স্বীকৃতি হিসেবে বউ বা স্বামী মেনে নেয় তবে তারা স্বামী স্ত্রী হয়ে যাবে( যদিও তারা ফাজলামো করুক)।
যেমন কোনও ছেলে তার মেয়েবন্ধুকে বলে যে আমি তোমাকে/তোকে বিয়ে করলাম আর এক্ষেত্রে যদি মেয়েটি বলে কবুল/আলহামদুলিল্লাহ্ তাহলে তারা একে অপরের স্বামী স্ত্রী হয়ে যাবে।
কি অবাক করা ব্যাপার না? আমি আসলে জানতাম না বিষয়টা,, কিন্ত একটা হাদিস পড়ার পরে বিষয়টা জানতে পারলাম।
হাদিসঃ হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্নিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তিনটি বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে বললেও যথার্থ হবে, এবং ঠাট্রাচ্ছলে বললেও যথার্থ গন্য হবে: বিবাহ(কবুল করা), তালাক দেওয়া,তালাক প্রত্যাহার।[তিরমিযীঃ জামে’ আত-তিরমিজি” হাদিস নং: 1184.]
তো এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এতক্ষন কোনও ফাজলামো বলিনি।
এবার শুনুন আমার ও আরো ২টি বাস্তব উদাহরণঃ
আমার কাহিনিঃ আমার একটা বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। খুবই ক্লোজ। প্রায় ১৯ মাসের সম্পর্ক। তো আমার একদিন শখ জাগল যে সবার মত আমিও উনাকে বৌ ডাকিব। তো উনার কাছে আমার মনের ভাব প্রকাশ করিলে উনি বলেন কেন আমি তোমাকে বর ডাকিব কেন? আমি কি তোমার বউ? আমি বুদ্ধি খাটাইয়া বলিয়াছিলাম, আমি উমুকের ছেলে উমুক সজ্ঞানে তোমাকে বিবাহ করিতেছি, উনি ঠাট্রাচ্ছলে বলিয়াছিলেন কবুল কবুল।
তো যখন এই হাদিস জানলাম তখন আমি এক মাওলানার কাছে এর ব্যাখা জানতে চাইলাম। উনি বলিলেন হ্যা এই হাদিস সত্য এবং অকাট্য। অর্থাৎ আমরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্ত তিনি বলিলেন শরিয়তে বিবাহের শর্ত হচ্ছে ২ জন বালেগ পুরুষ অথবা একজন বালেগ পুরুষ আর ২ জন বালেগ মহিলা সাক্ষী থাকা। এটা খুবই একটা বিশেষ বিষয়। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ এসব ফাজলামোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কারন বিবাহহ প্রত্যেকের জীবনেই একটা স্পর্শকাতর বিষয়।
বিঃদ্রঃ শরিয়তে বালেগ মানে যাদের বয়ঃসন্ধি হইছে তারা।
।
বাচার উপায়
বাচার উপায় বলতে যাদের এরকম ভাবে বিয়ে হয়ে গেছে তারা কি করবেন?
প্রথমত সবদিক থেকে পসিবল হলে নিজের ঘরে তুলে নিবেন, এটাই সর্বোত্তম হবে।
আর দ্বিতীয়ত তালাক দেয়া। তালাক দেয়ার অনেক সুরত, অনেক হালত, অনেক আখলাক আছে।
তার মধ্যে উত্তম হচ্ছে ৩ হায়েজে ৩ তালাক দেয়া।
১মম হায়েজে বলবে আমি তোমাকে তালাক দিলাম।
এতে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে।
আর ২য় হায়েজে অনুরুপভাবে তালাক দিবে। তবে এই ২ পর্যায়ের যেকোনও সময় স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে, এজন্য তাদেরকে পুনরায় বিয়া করতে হবে।
আর ৩য় তালাক দিবে ৩য়য় হায়েজে।
যদি কেও এ তালাক দিয়ে দেয় তবে আর বিয়ে করেও স্ত্রী ফেরানো জায়েজ হবেনা। তবে হিল্লা দেয়ার পর আবার বিবাহ করা যাবে।
আর কেও যদি মনে করেন ১ টি বা ২ টি তালাক দিয়ে রেখে দিবেন তাহলেও স্ত্রী তালাকই গন্য হবে তবে তাদের ইদ্দত পূর্ন হলে অন্য জায়গায় বিয়া করতে পারবে।
আর এক স্বামীর কাছে বিবাহ বহাল অবস্থায় অন্য জায়গায় বিয়া হারাম।
তাই যারা এরকম সমস্যায় পড়েছেনন তাদের উচিৎ বিষয়টি সুরাহা করার।
।
এখন এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কাজ করতে পারেন।
।
তবে এর থেকে দূরে থাকাই ভাল কারন এই ১৭/১৮ এর বিয়ে জীবনে সুখকর হতে পারেনা।
যেমন আমি,, পড়েছি মহাজ্বালায়,,,,,নামের পাশে বিবাহিত Tag বসল কিন্ত কেউ জানতে পারলনা।
ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটা পড়ে যদি কোনওভাবে উপকৃত হোন তবে আমার চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করবেন প্লিজ