Site icon Trickbd.com

মারভেল অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন সম্পুর্ন মুভি রিভিউ — উপভোগ করুন মারভেল এর অন্যরকম টুইস্ট

অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন

 

অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন চলচ্চিত্রটি মার্ভেল কমিকস সুপার হিরো টিমের উপর ভিত্তি করে ২০১৫ সালে নির্মিত হয়। চলচিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেছেন জশ হেডন। ছবিটি ২০১১ সালের দ্য অ্যাভেঞ্জার্স ছবির সিক্যুয়াল এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের একাদশতম চলচ্চিত্র। উইকিপিডিয়া
মুক্তির তারিখ: ১ মে, ২০১৫ (বাংলাদেশ)
পরিচালক: জোস উেডোন
অনুষ্ঠান চলার প্রকৃত সময়: ২ ঘন্টা ২২ মিনিট
বাজেট: : $444–495.2 মিলিয়ন (gross); $365.5 million (net);
চলচ্চিত্রের সিরিজগুলি: দ্য অ্যাভেঞ্জার্স
IMDB:7.8
একটা সুপারহিরো নিয়ে যখন পোষায় না , তখন ডাক পড়ে সুপারহিরোদের নিয়ে দলের। একেক কমিক্সে একেক নাম। ডিসি কমিক্সে জাস্টিস লীগ, গণতন্ত্র কমিক্সে ছাত্রলীগ এবং মার্ভেল কমিক্সে Avengers। সুপার হিরোদের সাথে লড়াইয়ের জন্য দরকার ধুমধাড়াক্কা ভিলেন। এবার সেই ভিলেন হলো Ultron।

Ultron ভাইয়ের এক কথা এক দাবী: “আঁর লগে চুদুর বুদুর চইলত ন”। সেই আলট্রন কে নিয়ে অ্যাভেঞ্জারসদের দ্বিতীয় কিস্তি “শোধ নিমু দল: আলট্রন চাচার বয়স”। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করলাম আর কি।

 

কাহিনী জানা যাক। ঢাকার মেয়র নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গিয়ে হঠাৎ দেখা যায় অ্যাভেঞ্জারসদের প্রাণপ্রিয় “ধন” : লোকির লাঠি হারায় গেসে গা। লোকির লাঠি খুঁজতে এক দফা মারামারি দেখায় অ্যাভেঞ্জারসের বর্তমান সদস্যরা :আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন ম্যারিকা, হাল্ক, থর , রবিন হুড এবং Scarlette Johansson। লাঠির মধ্যে আবার কী একখান সুলেমানি পাথর আটকানো।

টনি স্টার্ক তার বুয়েট কর্তৃক পরিক্ষিত যন্ত্রপাতি দ্বারা বুঝতে পারে যে এই পাথরের মধ্যে লুকায় আসে এক রোবট বানানোর চোথা। টনি স্টার্ক বাংলাদেশী ছাত্রদের মতো কপি- পেস্ট করে বানায় ফেলে পৃথিবীর মঙ্গলকামী রোবট “ আল্ট্রন”। আল্ট্রন নিজের জ্ঞান পেতে না পেতেই বুঝে “আগে ফেসবুক, তারপর দুনিয়ার সেবা”

আলট্রন তখনই বুইঝা ফেলে। এই দুনিয়া রাখতে হইলে সব মানুষরে আগে মারতে হইবোই। তারপর আর কাহিনীর কিসু জানার দরকার আসে? ঢিসুম ঢিসুম … ঢিসুম ঢিসুম।

 

মুভিটির একই সাথে ভালো দিক এবং খারাপ দিক হলো এটি প্রথম মুভিটির হুবহু নকল এক মুভি। ভিলেন আসে , সবাই এক হয়, লাস্টে ঢিসুম ঢিসুম। প্রথম মুভিটির মতোই দুর্দান্ত রকমের রোমাঞ্চকর এবং হাসির। কিন্তু এমন কিসুও নাই যেটা প্রথম মুভিতে নাই।

 

হ্যাঁ! আছে। এক দৃশ্য। আয়রন ম্যান এবং আলট্রনের একটি মারামারি দৃশ্য আছে যেটা চিত্রায়িত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। দারুণ লাগসে ঔ দৃশ্য দেখে।

একটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রটি বাদে অন্যান্য চরিত্রদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া মারাত্মক রকমের কঠিন। কিন্তু পরিচালক Joss Whedon দ্বিতীয়বারের মত অনেকগুলি সুপারহিরোকে নিয়ে মোটামুটি সবাইকেই গুরুত্ব দিয়ে একেবারে দেখিয়ে দিলেন।

 

অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, মার্ক রুফালো, স্কার্লেট আপা ফাটাইবো এটা জানা কথা। কিন্তু আলট্রন চরিত্রে জেমস স্পেডার এক্কেরে ফাটায় ফালাইসে।

 

মুভিতে প্রচুর চরিত্র একসাথে দেখানো হয়েছে। এত চরিত্র দেখতে দেখতে কেন জানি মনে হয় হাল্ক এবং আয়রন ম্যানের দৃশ্য এত কম ক্যারে?

আসুন কিছু সিন দেখে নেই।

সব মিলিয়ে যাদের সুপারহিরো এবং বিশেষ করে অ্যাভেঞ্জারস মুভির ভক্ত তাদের এই মুভি দেখা একান্ত আবশ্যক।  আর যারা পছন্দ করেন না, তারা একটু না হয় সহ্য করে নেন। মজাই তো লাগে!

মুভিটি আমার কাছে অনেক ভালোই লেগেছে যখন আমি প্রথম দেখি। আসা করি আমার রিভিউ টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

আপনাদের পছন্দের মুভির রিভিউ পেতে হলে কমেন্ট করুন আমি রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করবো।
মারভেল অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন ডাউনলোড Google Drive

 ফেইসবুক আমি

Exit mobile version