আসসালামু আলাইকুম সকল ভিজিটরস, কেমন আছেন আপনারা? আশা করছি অনেক ভালোই আছেন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়। যদিও টাইটেল এমনভাবে দেওয়া হয়েছে,কিন্তু লেবুর মধ্যে অনেক গুণ আছে। আমরা চেষ্টা করবো কিভাবে আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান করা যায়।
এখন অধিকাংশ মানুষই তার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে ব্যস্ত। অনলাইন শপে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু হারবাল ও অ্যালোপেথিক এর ঔষধ পাওয়া যায়। এই ঔষধ সেবন করলে ২০-৩০ দিনে শরীরের ওজন বাড়িয়ে তুলবে। যানিনা এগুলো কতোটা কার্যকর তবে অনেক ক্ষেত্রেই পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। যাদের দেহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ও মোটামুটি মজবুত। তাদের জন্য ঔষধগুলো ভালো কাজ করবে,ও আশানুরুফ ফলাফল পাবে।
তোহ একদিকে লোকেরা ওজন বাড়াতে ব্যস্ত আর অন্যদিকে ওজন কমাতেও ব্যস্ত। ওজন কম হলে যেমন রোগা পাতলা মনে হয় তেমনি মোটা শরীর খুব অসুস্থির কারণ। ওজন বেশি হলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাধে। বেশি ওজনের দেহ নিয়ে উঠতে বসতে অসুবিধা লাগে। তাহলে আমরা প্রথমেই জেনে নিই মোটা হলে কি সমস্যা হতে পারে।
দেহের ওজন বেশি হলে কি হয়
এক শ্রেণির লোক আছে যারা তাদের দেহের ওজন নিয়ে বিরক্ত। ওজন কিভাবে কমানো যায় সে ব্যাপারে তারা জানতে আগ্রহী। শুধু যে বেশি খেলে ওজন বাড়ে তা কিন্তু নয়। দেখলে বুঝবেন,অনেক লোকের সারাদিন খাওয়াদাওয়া করলেও তারা রোগা পাতলাই থাকে। তোহ মোটা হওয়াটাও একই রকম, কেও চাইলেই মোটা বা চিকন হতে পারবেনা। বেশি ওজনের দেহ নিয়ে হাঁটাচলা করাও কষ্টকর। গাড়িতে বসলে অনেক সময় দেহের সাইজ থেকে সিট ছোটো হয়। ওজন বেশি বাড়লে চেহারায় লাবন্যতা কমে যায়। বেশি ওজন হলে চেহারাও কেমন বিকৃত দেখায়। দেহের বেশি ওজনের কারণে অনেক রকমের রোগের জন্ম হয়। দেহের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়ে গেলে দেখতে সুন্দর লাগেনা। কেওই তাকে আর পছন্দ করেনা সবার কাছে অপ্রিয় হয়ে যায়।
দেহের ওজন অতিরিক্ত বাড়ার কারণ
আমরা প্রতিদিন যা খাই তার বেশিরভাগই হচ্ছে তৈলাক্ত বা চর্বি জাতীয় খাবার। বেশি ওজনের মানুষের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমাট বাধে। এজন্য তাদের দেহ ফুলে ফেঁপে অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
আসুন তাহলে মূল কাজে যাই, যেটা হচ্ছে,,
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
লেবু একপ্রকার প্রাকৃতিক ঔষধ, লেবুর গুনগত মান ভালো। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা মানবদেহের জন্য উপকারী। আমরা রোজ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গরম চা বা কফি পান করি। তবে এই চা/কফি আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরী করে। তাই চা/,কফি বাদ দিয়ে আপনি লেবু মেশানো পানি খেতে পারেন। আমাদের শরীর যেহেতু দীর্ঘক্ষণ বিশ্রামে ছিলো সেজন্য শরীরবৃত্তীয় কাজগুলোও বন্ধ রয়েছে। ঘুম থেকে ওঠার পরে তা আবার আগের ন্যায় চালু হয়। এজন্য শরীর চাঙ্গা করতে সকালে লেবু শরবত/মধু মেশানো লেবুর পানি পান করা উচিত। সহজে বলতে গেলে ৪০০ মিলি হালকা গরম পানিতে মাত্র ২চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হালকা মধু লাগিয়ে খেতে পারেন। এটি যদি খালি পেটে খান তাহলে ক্ষুধা কম লাগবে। ক্ষুধা কম লাগার কারণে প্রয়োজনের বেশি খবার গ্রহণ করতে পারবেননা। ফলে অতিরিক্ত কোনো ক্যালরি জমে যাওয়ার ভয় থাকবেনা। এভাবে দেহের ওজন আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাছাড়া খাবার হজমে এটা অনেক কার্যকরি।
লেবু মেশানো পানি পান করার নিয়ম
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবুর পানি পান করুন, এর ৩০ মিনিট পরে নাস্তা করুন। নাস্তা বলতে চা-কফি বাদে অন্য কোনো ভালো খাবার খান। সেক্ষেত্রে কলা বা জেলি দিয়ে পাউরুটি খেতে পারেন। অথবা আপনি যেকোনো কিছু খেতে পারেন। এতে করে দেহের পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে। দেহে পানিশূন্যতা বা এই ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেবেনা।
লেবু আর পানির মিশ্রণে যদি একটু মধু দিয়ে তা পান করেন তাহলে ক্ষুধা কম লাগবে। ফলে আজেবাজে ও বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবেনা। পরিমানমতো খাওয়াও হবে, অতিরিক্ত ক্যালরি জমা থাকবেনা।
লেবুর পানি যখন খাবেন, এটা খাওয়ার পরে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। কারন এর মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন-সি আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। আবার যদি আপনার এসিডিটি জনিত কোনো সমস্যা থাকে তাহলে এই পানি একদমই পান করবেন না।
প্রতিদিন সকালে একবার করে পান করুন, একটা সময় খেয়াল করবেন এটা কাজ করছে। এটা আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি ভেঙে দেবে, সরিয়ে ফেলবে। একটু ধীর গতিতে হলেও শতভাগ কার্যকর এটি।
সবশেষে আমি বলবো আপনারা নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। শরীরের ফিটনেস ঠিক রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আপনি এক গ্লাস মধু মিশ্রিত লেবুর পানি পান করে সমস্ত চর্বি ক্ষরণ করে ফেলবেন। এরকম কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তাই এর পাশাপাশি আপনাকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। তৈলাক্ত খাবার ও জাঙ্কফুড একদম খাওয়া যাবেনা। নিয়ম মেনে চলতে পারলে আপনি অবশ্যই ফিট হতে বাধ্য।
আরো পড়ুনঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা। লেখাপড়ার ওপর কি কি কি প্রভাব পড়ে!
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সম্পূর্ণ’টা পড়ার জন্য, বিদায়।