আসসালামু আলাইকুম সকলে ভালোই আছেন, বজকে আমরা জানবো ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা কি। ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে লেখাপড়ার ওপর কি কি কি প্রভাব পড়ে সেটাও আমরা জানবো।
চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন কি কাজে লাগে?
আজকাল সবার হাতেই একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। ব্চ্ছা ছেলে থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষেরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। মূলত, একজন ছাত্রের জন্য স্মার্টফোন কিছু ক্ষেত্রে কাজে লাগে, যেমন ধরুন অনলাইন ক্লাস, ইন্টারনেট থেকে তথ্য বের করা, ই-বুক ব্যবহার করা ইত্যাদি। তোহ, তারা ইন্টারনেট সম্পর্কে ব্যাসিক ধারনা পায় বই থেকে। বইয়ের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট চালানো থেকে শুরু করে অনলাইনের অনেক কাজই তারা করতে পারে। এখন তো অনলাইনে ক্লাস করায়,তাই প্রতিটি ছাত্রের কাছে একটি করে স্মার্টফোন থাকা জরুরী। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যবহার একজন ছাত্রের লেখাপড়ার প্রতি অমনোযোগী হওয়ার প্রধান কারণ। মোবাইল ফোনের যেমন কিছু ভালো দিক রয়েছে তেমনি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। আমরা কেওই চাইনা প্রযুক্তি দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হতে। একজন ভালো ছাত্রের পক্ষে যৌক্তিক কারণ ছাড়া অন্যান্য কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। কাজের জন্য যেটুকু সময় মোবাইল ব্যবহার করা প্রয়োজন সেটুকু সময়ই ব্যবহার করা উচিত।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
একজন ছাত্রের মোবাইল ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক নয় বলে আমি মনে করি। কেননা একমাত্র অনলাইনে ক্লাস হলে তখনই এই মোবাইলের দরকার হবে তার জন্য। আবার কখনো কোনো ই-বুক নিয়ে মোবাইলে পড়লে সেটাও ঠিক আছে তবে খব বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা একদম উচিত নয়। সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রাখা উচিত যেমনঃ সে মোবাইলের অতিরিক্ত বা অপব্যবহার করছে কিনা, কোনো অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়েছে কিনা, স্যোসাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিচ্ছে কিনা এসব বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা অনেক সময় দেখা যায় ছাত্ররা স্যোসাল মিডিয়ায় বেশি সময় দিচ্ছে,ফলে তার লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ কমে আসবে। খুব বেশি সময় ধরে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে এক প্রকার আসক্তি চলে আসে। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল হাতে নেওয়ারও প্রয়োজন নেই, বড় কোনো দূর্যোগ দেখা দিলে তখন অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলে। শুধুমাত্র ওই দূর্যোগকালে ক্লাসে অংশগ্রহণ করার জন্য একটি স্মার্টফোন থাকা জরুরী। এখন সবথেকে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে কোনো ছাত্র অনলাইন গেইমে আসক্ত কিনা। অন্যান্য সকল নেশাজাত দ্রব্যের ন্যায় কাজ করে অনলাইন গেইমের আসক্তি। ছাত্র থাকা অবস্থায় মোবাইলে গেমস খেলে সময় কাটানো উচিত নয়। দরকার হলে বিকেলে মাঠে গিয়ে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলুন। একজন ছাত্র অবশ্যই সে অপ্রাপ্তবয়স্ক হবে, এই অল্প বয়সে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে যদি চালাক হয়ে যায়, সে পর্ণ দেখা শুরু করবে, তাতে তার লেখাপড়া বরবাদ হবে এবং ভবিষ্যতে সে সমাজের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠবে।
মোবাইল ফোনের বাড়তি ব্যবহারে একজন ছাত্রের লেখাপড়ার ওপর কি কি কি প্রভাব পড়ে!
সে যেহেতু একজন ছাত্র,তাই তার উচিত লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়া। কোনোকিছুই চাহিদার উদ্ধে নয়, মোবাইল সে যেকোনো সময় পেতে পারে। তাই তার উচিত হবে মোবাইলের চিন্তা না করে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া। একজন ছাত্র যখন স্কুল ছুটির পরে বাড়ি আসবে, তখন ফ্রেশ হয়ে মাঠে খেলতে যাওয়ার বদলে যদি মোবাইলে গেমস খেলে। সেটা তার ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবেনা এবং তার সুন্দর সময়গুলো এভাবেই নষ্ট হয়ে যাবে। সন্ধ্যায় তার পড়তে যাওয়া উচিত তবে মোবাইলের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়ার কারণে পড়া মুখস্ত হয়না ও পড়া মনে থাকেনা, এক কথায় স্মৃতিশক্তি কমে যায়। রাতে খাওয়ার পরে ঘুমানোর বদলে সে যদি রাত জেগে পর্ণ দেখে তাহলে সে তার জীবন যৌবন সবই হারাবে। কিছু এমন অনলাইন গেমস আছে যেগুলো একবার খেললে সারাক্ষণ খেলতে মন চাইবে, যে কেও এতে আসক্ত হতে বাধ্য। তাহলে ছাত্র হয়ে সে যদি মাঠে না খেলে মোবাইলে গেমস খেলে, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয় তাহলে তার ভবিষ্যত কি! একবার ভেবে দেখুন, শেষে তাদের অবস্হা হবে নারী উত্যক্তকারী, কিশোরগ্যাং এসবই। হে তবে সবাই সমান নয় তবে প্রতি ১০ জনের ১জনই এমন ভাবে সমাজে বেড়ে উঠছে।
আপনিও আপনার সন্তানকে/আপনার ছোট ভাইকে দেখে রাখুন। অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়, খারাপ কাছ থেকে তাকে বিরত রাখুন।
আরো পড়ুনঃ দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক,
ধন্যবাদ সবাইকে,আবার দেখা হবে বিদায়।