আসসালামু আলাইকুম সবাইকে,আশা করি অনেক ভালো আছেন আপনারা। আজকে একটি ভিন্ন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত এবং মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। আশা করছি সবারই এটা কাজে লাগবে, মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে শেষ করার অনুরোধ রইলো।
বিঃদ্রঃ যাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবেনা তারা এখুনি চলে যান। না বুঝে কেউ মন্তব্য করবেন না,
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে পিছিয়ে নেই কেউই। প্রযুক্তি যেমন আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে তেমনি পরোক্ষভাবে আমাদের ক্ষতিসাধনও করছে। বিশেষ করে কারখানার রোবটিক সিস্টেমসহ আরো কিছু জিনিস। কারখানার যেকোনো কাজ এই রোবটই করে থাকে। বিভিন্ন পার্টস বানানোর কাজগুলো প্রায় ৯০% কাজই রোবট মেশিন দিয়ে করে ফেলা হয়। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন মানুষেরা তাদের চাকরি হারাবে। তাদের জন্য আর কোনো কাজ থাকবেনা, সবই মেশিন দ্বারা করানো হবে।
আজকে আলোচনা করবো আমাদের দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত ও মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলো নিয়ে।
তো চলুন আর দেরি নয় শুরু করা যাক, উনবিংশ শতাব্দীর সময়ে মোবাইল ছিলো খুবই নিম্নমানের এবং খুবই অল্প নেটওয়ার্ক কাভারেজ। এর পরে যখন ওয়্যারলেস মোবাইল ফোন আবিষ্কার হলো তখন থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্হায় একটি বিপ্লব ঘটে। যেকোনো স্হান থেকেই মোবাইলে কথা বলা যেতো কারণ তখন টাওয়ারের মাধ্যমে যেকোনো জায়গাতে সিগনাল পাঠানো যেতো।
ইন্টারনেটর অগ্রগতি
মোবাইলে ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্হার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যেতো। ফলে সেই যুগের প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ইন্টারনেট প্রযুক্তি আরো উন্নতি লাভ করলো। ইন্টারনেটের গতিও অনেক বৃদ্ধি পেলো, যার কারণে অডিও কলের পাশাপাশি ভিডিও কল করারও সুবিধা পাওয়া যায়।
স্মার্টফোনের যাত্রা ও সুবিধা
যখন প্রথমবার স্মার্টফোন আবিষ্কার করা হয় তখন থেকেই মানুষের কৌতুহল অনেক বেড়ে গেলো। স্মার্টফোনে এমন অনেক সুবিধা পাওয়া যায় যা নরমাল মোবাইল ফোনে থাকেনা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যায় এবং স্মার্টফোনে অনেক অনেক ফিচারস যুক্ত করা হয়। আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্মার্টফোনও বাজারে চলে এসেছে। স্মার্টফোন প্রথম অবস্হায় খুব বেশি দামি ছিলো, এখন সে তুলনায় দাম অনেক কমে এসেছে। এই স্মার্টফোন এতই উন্নত হয়েছে যে কম্পিউটারের বেশিরভাগ কাজ স্মার্টফোনে করে ফেলা সম্ভব।
স্মার্টফোন আসক্তি ও ক্ষতিকর দিক
প্রযুক্তির বিকাশ এবং দৈনন্দিন যোগাযোগের অগ্রগতির লক্ষে স্মার্টফোনের ভুমিকা অতুলনীয়। তাছাড়া স্মার্টফোন দিয়ে সব ধরনের কাজ সহজেই করে ফেলা সম্ভব। কম্পিউটারের অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। তবে স্মার্টফোন যে কম্পিউটারের সমতুল্য সেটা বলা উচিত নয়, কিন্তু কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের স্মার্টফোন যতটুকু ব্যবহার করা দরকার তার চেয়েও বেশি আমরা ব্যবহার করি। ফেসবুক ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে,যেগুলো আমরা দিনের অর্ধেক সময় ব্যয় করে ফেলি। এমন কিছু অনলাইন গেইম রয়েছে যেগুলোতে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের প্রচুর আসক্তি রয়েছে। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে আজকে সহজেই যেকারো ক্ষতি সাধন করা সম্ভব। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেদের হাতেও আজকাল স্মার্টফোন ধরিয়ে দেয়া হয় ফলে তাদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটেনা। একটানা গেমস খেললে চোখের ক্ষতি হয় শরীরের সঠিক বিকাশ হয়ননা। অনেকে এমনও আছে যারা ঠিকঠাক দিনের সূর্যটাও দেখেনা,সারাক্ষণ শুধু মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে। ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে অনেক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে চলেছে যাকে সাইবার ক্রাইম বলা হয়। ইন্টারনেটের সবথেকে ভয়ংকর এবং খারাপ দিক হচ্ছে পর্ণ সাইট গুলো। এখন রীতিমতো কমবয়সী কিশোর-কিশোরী’রা এতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে আছে। এই কারণে দেশের সর্বত্রই কিশোররা উন্মাদ হয়ে আছে, ধর্ষণ খুব বেড়ে গেছে। ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে আজকে এই অবস্থা। তাই আমাদেরকে মোবাইলের অপব্যবহার এবং এর আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অপরাধমূলক কাজ করা যাবেনা, পর্ণ সাইট থেকে দূরে থাকতে হবে ও বাচ্চাদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। আমরা যদি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলোকে ব্যবহার করি তবে প্রযুক্তিও আমাদের কোনো ক্ষতি করবেনা।
দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত
একটি গবেষণা থেকে জানা গেলো যে মানুষের একদিনে সর্বোচ্চ ৩ ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ব্যবহারকারীর চোখের বা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয়না। কেননা আমরা প্রয়োজনে দেশ বিদেশের অনেক আত্মীয়র সাথে মোবাইলে কথা বলি, এর বাইরে মোবাইলে আমাদের আর অন্য কোনো কাজ থাকেনা। বাকি যে সময়টা আমরা স্যোসাল মিডিয়া বা অনলাইন গেমস খেলে ব্যয় করি সেটা আমাদের খুব বেশি ক্ষতি করে। যেমন ধরুন দিনের ১০ ঘন্টা আপনি মোবাইল ব্যবহার করলেন। তাতে দেখা গেলো আপনি সারাদিনে মাত্র ১ ঘন্টা কারো সাথে কথা বললেন। বাকি ৯ ঘন্টা আপনি অন্য কাজে ব্যয় করলেন,যা মোট ব্যবহারের ১০ ভাগের এক ভাগ। শরীরের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে মোবাইলের ব্যবহারটা কমিয়ে ফেলা ভালো। দৈনিক ২-৩ ঘন্টা করে মোবাইল ব্যবহার করলে আপনি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো পাবেন।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আজ এ পর্যন্তই পরে আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই অনেক ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, বিদায় ।
আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে এমন কোনো উপায় আছে কি যা ডিভাইস এর সামনে বেশি সময় ধরে থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না |
আমাদের কী করণীয়?