Site icon Trickbd.com

দেখে নিন হাইপ তোলা মুভি The Suicide Squad (2021) [রিভিউ ও ডাউনলোড লিংক]

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

সদ্য মুক্তি পেয়েই সাড়া জাগিয়েছে “ডিসি”র যে ফিল্ম তা হলো Suicide Squad (2021)। আজকে আমি এই মুভিরই ডাউনলোড লিংক ও রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। তো চলুন শুরু করা যাক।

 

Movie Name: The Suicide Squad (2021)

 

 

Genre: Action, Adventure

Imdb Rating: 7.5/10

Google Users: 87% liked This Film

Personal Rating: 8/10

 

***হালকা স্পয়লার***

দ্য সুইসাইড স্কোয়াড(২০২১) ডিসি কমিকসের ওপর নির্মিত সিনেমাটিক জগত , ডিসিইইউ (DCEU) এর দশম মুভি। বিস্তারিততে যাওয়ার আগে এর ব্যাকগ্রাউন্ড কিছুটা জানা উচিত।

এর আগেও “সুইসাইড স্কোয়াড” নামে ডিসিইইউয়ের ২০১৬ সালে একটি মুভি রিলিজ দেওয়া হয়েছিল। যেটি বক্স অফিস , দর্শক বা ক্রিটিক্সদের মনে তেমন একটা সাড়া জাগাতে পারেনি। এরপরেও ওই মুভির ডিরেক্টর ডেভিড আইয়ারে “সুইসাইড স্কোয়াড ২” বানানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে ডেভিড তার সিদ্ধান্ত বদলায় এবং অবশেষে মার্ভেলের “গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি”র ডিরেক্টর জেমস গানকে সুইসাইড স্কোয়াডের এই প্রজেক্টির জন্য হায়ার করা হয়।‌ যদিও এটি ২০১৬ সালের সুইসাইড স্কোয়াডের একটি সিক্যুয়াল হওয়ার কথা এবং অনেকে সেটা মনেও করে কিন্তু ডিরেক্টর জেমস গানের ভাষ্যমতে এটা একটি “সফট রিবুট” ।

“সুইসাইড স্কোয়াড” টা আসলে কি? সুইসাইড স্কোয়াডের অফিসিয়াল নাম হলো “টাস্ক ফোর্স এক্স” (Task Force X)। এই দলটির সদস্যরা হলো বিভিন্ন সুপারভিলেন বা এন্টিহিরোরা। যাদের দিয়ে গোপনে বিভিন্ন হাই রিস্ক মিশন কমপ্লিট করা হয়। মিশন কমপ্লিট করার বদলে এসব ভিলেন বা এন্টিহিরোদের মুক্তি , সাজা কমানো বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চুক্তি করা হয়। এই দলটির সম্পূর্ণ আমান্ডা ওয়ালারের অধিনে চলে।

তো প্লটটা বেসিক্যাললী সেটাই যেটা সব সুইসাইড স্কোয়াডের হয়। আমান্ডার ভাষ্যমতে দক্ষিণ আমেরিকার দ্বীপ দেশ কর্টো মাল্টিজে অবস্থিত “প্রোজেক্ট স্টারফিস” পৃথিবী বা আমেরিকার জন্য পরবর্তী সময়ে ভয়ানক হতে পারে। তাই এই সুইসাইড স্কোয়াডকে পাঠানো‌ হয় প্রোজেক্ট স্টারফিস ধংস করার জন্য।

ডিসিইইউর এপর্যন্ত যতো মুভি হয়েছে দ্য সুইসাইড স্কোয়াড তার থেকে অনেকেটাই ভিন্ন। প্রথমত মুভি “রেটেড আর” ক্যাটাগরির! তাই ভায়োলেন্স , কাটাকাটি , রক্তারক্তি দিয়ে পুরো মুভি ভরপর। ডিসিইইউ শুরু থেকে জ্যাক স্নাইডারের ডার্ক টোন ফলো করে আসছে। কিন্তু এখানে ডার্ক টোন , একশনের সাথে কমেডির মিশ্রনও খুবই ভালোভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। গার্ডিয়ান অব দ্য গ্যালাক্সি তে জেমস গানের লাইট কমেডির ব্যবহার থেকে এখানকার ডার্ক কমেডি আরো ভালো লেগেছে আমার। এরপর জেমসের ট্রেডমার্ক , প্রচুর পরিমাণে গানের ব্যবহার। সেটাও এখানে উপস্থিত। সবমিলিয়ে বিজিএম ভালোই ছিল। গ্রাফিক্সের কাজ বলতে গেলে বর্তমানে সুপারহিরো মুভিতে যেমনটা হয় তেমনই। খুব আহামরি না , খারাপও না। অভিনয়ে তেমন ত্রুটি তেমন চোখে পরেনি।

স্টোরিলাইন আগের সুইসাইড স্কোয়াড থেকেই ভালোই। কিন্তু সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো ক্যারেক্টার গুলোর মৃত্যু! কে কখন মারা যায় এটার কোনো প্রকার নিশ্চয়তা নাই। সবচেয়ে ভালো লাগার ক্যারেক্টার ছিল জন সিনার “পিসমেকার” এবং কিং শার্ক। এছাড়া কিছু টার্ন , টুইস্ট সবমিলিয়ে স্টোরিলাইন চলনসই। তবে সবচেয়ে ভালো দিক স্ক্রিনপ্লে। বোরিং ফিল বা “এটা কেন হইলো? , ওটা কেন হইলো ?, মার্থা মার্থা মার্থা ” এসবের সু্যোগ দেওয়া হয়নি‌।

ডিসিইইউর রিসেন্ট ক্যানন কিছু মুভি গুলোর দিকে যদি আমরা নজর দেই , তাহলে এটা নিশ্চিত বলা যায় যে তারা মার্ভেলের মুভি গুলোর সাথে কমপিট করার মতো মুভি তৈরি করতে পারেনি। এবং এবার জেমস গান খেলে দিয়েছে। জেমস , স্নাইডারের মতো এক্সপেরিমেন্টাল কিছু করার চেষ্টা করেনি। সাধারণ যেই ফ্লো তো থাকার কথা ওই রেঞ্জেই থেকেছে। সন্দেহ ছাড়া দ্য সুইসাইড স্কোয়াড ডিসিইইউর ভালো মুভির একটি। কিন্তু সবমিলিয়ে হিসেব করলে জ্যাক স্নাইডারের জাস্টিস লিগ ভার্শনটা এখনো ডিসিইইউর সেরা মুভি আমার কাছে।

কর্টোমল্টীজ আইল্যান্ডে অবস্থিত ইউটেনহাইম নামক এক ল্যাব আছে যেখানে প্রজেক্ট স্টারফিশ নামক এক ভয়ানক এক্সপারিমেন্ট চালানো হচ্ছে। স্টারফিশ হচ্ছে একটা এক্সট্রাটেরিটেরিয়াল এলিয়েন যেটা পুরো ওয়ার্ল্ড কে ধ্বংস করে দিতে পারে।স্টারফিশ নামক জায়ান্ট এলিয়েন প্রানিটি( Starro the conqueror) আসলেই স্টারফিশ প্রোজেক্টে এক্সিস্ট করে এবং একসাথে অগনিত বেবি প্রডিউজ করতে পারে একই সময়ে।

ইন্টেলিজেন্স অফিসার Amanda Waller সেখানে টাস্কফোর্স এক্স(সুইসাইড স্কোয়াড) টিমকে পাঠায় যাতে স্টারফিশ রিলেটেড সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে কারন এই প্রজেক্টটি মানবতার জন্যে হুমকি সরুপ।

টাস্কফোর্স এক্স আবার দুই টিমে ভাগ হয়ে মিশন এ যায়। এইখানেই মুলত ডিসি কমিক্স এর নতুন কিছু চরিত্র রিভিল হয়।

প্রথম একটা টিমে লিডার হিসেবে দেখা যায় কর্নেল রীগকে, আর সাথে হার্লে কুইন তাছাড়াও কিছু নতুন চরিত্র ক্যাপ্টেন বুমেরাং, স্যাভেন্ট, মংগল,টি. ডি.কে, জেভেলিন যারা মিশনের শুরুতেই মারা যায়।

সেকেন্ড টিমে লিডার হিসেবে নতুন চরিত্র ব্লাডস্পোর্ট আর কিং শার্ক, পিসমেকার,পোল্কাডট ম্যান আর দি র্যাটকাচার থাকে। এই সেকেন্ড টিমটাই মুলত মেইন মিশনে অংশগ্রহণ করে।

তো এইখানে কর্টোমল্টিজ নামক আইল্যান্ডের ইতিহাস আগে কিছুটা জেনে নেয়া যাক। এই আইল্যান্ডটিকে আগে শাসন করতো হেরেরা ফ্যামিলি। কিন্তু হেরেরা ফ্যামিলিকে মেরে ফেলে জেনারেল লুনা আর তার সহযোগী ছিলো মেজর জেনারেল সুয়ারেজ। এখানে থিংকার নামক আরেক চরিত্র দেখা যায় যে কিনা ইউটেনহাইম এর চিফ সায়েন্টিস্ট। উনি জেনারেল লুনা আর সুয়ারেজ দুজনের জন্যে কাজ করে।

তো সুইসাইড স্কোয়াড এর সদস্যরা থিংকার নামক ব্যাক্তিকে কিডন্যাপ করে যাতে তারা ইউটেনহাইম নামক ল্যাবে থিনকার এর সাহায্যে এক্সেস নিতে পারে এবং গিয়ে সবকিছু ধ্বংস করতে পারে।তো ল্যাবে ঢুকার সময় ওইখানের আর্মিদের সাথে তাদের প্রচুর ফাইট শুরু হয়।ইতিমধ্যে তারা ল্যাবে প্রবেশ করে আর বিভিন্ন স্থানে বোম্ব ফিট করে ল্যাবকে গুড়িয়ে দেয়ার জন্যে।

মুভির এই সময়ে দেখা যায় দ্যা থিংকার, দা র্যাট ক্যাচার, আর পিচ মেকার ল্যাবের এমন একজায়গায় পৌছায় যেখানে দেখা যায় স্টারফিশ যে বেবিগুলো প্রডিউস করেছিলো সেগুলো দিয়ে ওইখানের লোকাল সিভিলিয়ান, জার্নালিস্ট এবং অন্যান্য লোকদের উপ্রে এক্সপারিন্ট চালানো হচ্ছে।

আর এখানেই ছবির মুল টুইস্ট দেখানো হয়। থিনকার বলে, এই পুরো এক্সপারিমেন্ট টা ই আমেরিকান গভর্নমেন্ট করিয়েছিলো আর তারা সিক্রেট লি এটার জন্যে ফাইন্যান্সিয়াল ও সাপোর্ট দেয়।কর্নেল রিগ ফ্ল্যাগ এই কথা শুনে কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং সে এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনা যে এই নির্দোষ মানুষ গুলোকে এইভাবে এক্সপারিমেন্ট এর মাধ্যমে বলি দেওয়া হচ্ছে। তখনি ওইখানে সে একটা হার্ডডিস্ক খুজে পায় যেটাতে জমা ছিলো আমেরিকান গভার্নর্মেন্ট এর সব সিক্রেট প্রজেক্ট স্টারফিশকে নিয়ে।রিগ ফ্ল্যাগ এই তথ্যগুলা ফাস করার জন্যে উদ্যত হয়।তখন ই দেখা যায় পিস মেকার বলে এই সিক্রেট তথ্য কখনোই ফাস হওয়া যাবেনা।

তখন ই আরেক টুইস্ট দেখা যায় যে পিসমেকার যে মুলত আমেরিকান গর্ভামেন্ট এর জন্যে কাজ করে এবং সে এটা আগে থেকেই জানত। এই নিয়ে কর্নেল রিগ আর পিসমেকার এর মধ্যে ফাইট শুরু হয় এবং কিছু সময় পর রিগ ফ্ল্যাগকে পিসমেকার মেরে ফেলে। আর তখন ই ওই ল্যাবে লাগানো সব বোমাগুলা ব্ল্যাস্ট হতে শুরু করে আর বিল্ডিং ভেঙে পড়তে থাকে।পোল্কা ডট ম্যানের কিছু ভুলের কারনেও ভয়ানক বিস্ফোরণ শুরু হতে থাকে একই সময়ে।বিস্ফোরণের কারনে ওই সময় ল্যাবে বন্দী রাখা জায়ান্ট স্টারফিশ (মাদার এলিয়েন)এর চেম্বার ভেঙে যায় সে বাইরে এসে সবকিছু ধ্বংস করতে শুরু করে।

আর ওইদিকে পিসমেকার ও কর্নেল রীগের ধস্তাধস্তিতে হার্ডডিস্ক টা কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে তখন হার্ডডিস্কটা দ্যা র্যাট ক্যাচার খুজে পায়। তখন ই পিসমেকার দ্যা র্যাট ক্যাচারকে শুট করতে যায় কারন দ্যা র্যাট ক্যাচার এই ব্যাপারের তথ্যগুলো বাইরে ফাস করে দিতে পারে এই সন্দেহে। কিন্তু ব্লাডস্পোর্ট ঘটনাক্রমে সেখানে পৌছে যায় এবং পিসমেকার কে গুলি করে হত্যা করে হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে।

ইতিমধ্যে স্টারফিশ জায়ান্ট বাইরে বেড়িয়ে এসে ধ্বংস লীলা চালানো শুরু করে আর তার বেবিদের মাধ্যমে সবাইকে( আর্মি, সাধারন জনগন) কন্ট্রোল করা শুরু করে তবে ঘটনাক্রমে সুইসাইড স্কোয়াড এর জীবিত সদস্যদেরকে এলিয়েন কন্ট্রোল করতে পারেনা।
তো টাস্কফোর্স এক্স (সুইসাইড স্কোয়াড) এখানে তাদের মিশন হেড ওয়ালারকে জিজ্ঞাসা করে তারা সেখানে কি করবে!কারন তাদের মিশনের অবজেক্টিভ ই ছিলো ইউটেনহাইম ল্যাবকে ধ্বংস করে ফেলা যা ইতিমধ্যেই পূরন হয়েছে!
তখন এমান্ডা ওয়ালার বলে যে, তোমরা স্টারফিশ রিলেটেড সবকিছু নষ্ট করেছো।তোমাদের মিশন শেষ তোমরা এখন ফিরে এসো।

তো মুভির এইখানে ব্লাডস্পোর্ট (সুইসাইড স্কোয়াড এর লিডার) ফিল করে তারা এই শহরের এতোগুলো মানুষকে কে এইভাবে একটা এলিয়েন এর কাছে বলি দিতে পারেনা। এটা খুবই অমানবিক কাজ হবে। তখন ই সে সিধান্ত নেয় যে এই স্টারফিশ কে খতম করবে।তার সাথে সুইসাইড স্কোয়াড এর অন্য সদস্যরাও (কিং শার্ক,দ্যা র্যাট ক্যাচার, আর হার্লে কুইন, পোল্কাডট ম্যান) যোগ দেয় আর স্টারফিশকে ধ্বংস করে।

মুভিটা অবশ্যই খুব এন্টারটেইনিং। আশা করি খুব এঞ্জয় করবেন।

 

যদি প্রশ্ন করেন এটা কি ২০২১ এর সেরা কমিকবুক মুভি?
উত্তরে হ্যা বলতেই হবে। কমেডি, একশন জনরার এই মুভিতে কি নেই! কমেডি, সুপার্ব ভিএফএক্স, সিজিয়াই, সুন্দর প্লেইন স্টোরি লাইন আর একগাদা তারকায় ঠাসা সব মিলিয়ে এই মুভিটি ফুল প্যাকেজ।

মুভিটিতে ডিসি কমিক্স এর নতুন কিছু চরিত্রের প্রেমে আপনি পড়তে বাধ্য।
আহ!বিশেষ করে কিং শার্ক  এর প্রেমে তো পড়বেন ই। হার্লেকুইন, ব্লাডস্পোর্ট, পিসমেকার এর দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখে মুগ্ধ হবেন।

 

Trailer


Screenshots

 

 


Download Links (English Only)

360p (210 MB): Direct Download Link

480p (410 MB): Direct Download Link

720p (HEVC 710 MB): Direct Download Link

720p (1.2 GB): Direct Download Link

1080p (2.6 GB): Direct Download Link

Bangla Subtitle:  

Subtitle By Mohammad Yusuf

Subtitle By Fahmidul Islam

Subtitle By Subtitle Hut Group

[যে সাবটাইটেল টা ইচ্ছা সেটা দিয়ে মুভি উপভোগ করতে পারেন]

কিভাবে মুভিতে বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে দেখবেন তা জানতে এই লিংকে ক্লিক করে পোস্টটি পড়ে নিন।


Download Links (Dual Audio Hindi Dubbed)

[বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ মুভির হিন্দি ডাবিং হলো হল প্রিন্ট কিন্তু ক্লিয়ার সাউন্ড।  হিন্দি ডাবিং এ দেখলে বাংলা সাবটাইটেল মিলবে না। তাই আমার রিকমেন্ডেশন হলো মুভিটি ইংলিশে বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে উপভোগ করুন। বাকিটা আপনাদের ইচ্ছা]

480p (460 MB): Direct Download Link

720p (HEVC 770MB): Direct Download Link

720p (1.3 GB): Direct Download Link

1080p (2.1 GB): Direct Download Link


[Links Credit: Mlwbd]

 

মজার মজার মিমস ও ভিডিও পেতে জয়েন করুন আমাদের গ্রুপেঃ  Facebook Group

আজকে এই পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।