Site icon Trickbd.com

নিয়নবাতি [পর্ব-৪১] :: বিনা পয়সায় ইন্টারনেটে বিজন্যেস করে বড়লোক হওয়ার সিক্রেট ফিকশন!!!

“বাপের থাকলে ছেলের হয়” কথাটা অনেকাংশেই মিথ্যা কেননা বাপের হোটেলের বিল আমরা কখনোই শোধ করার কথা চিন্তাও করিনা। একটা কথা চিন্তা করুন আজকের দিনের সফল ব্যক্তিরা প্রায় সবাই আদতে গরীব ছিলেন, তাহলে তাদের বাপ-দাদার ফিরিস্তি টেনে এনে নিজের অযুহাত ঢেকে কি করবেন বলুন??
ইন্টারনেট হলো এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে সফল হতে বাপ-দাদার জমিদারী কিংবা মামা-খালুর রেফারেন্স লাগে না…শুধুমাত্র নিজের মেরিট থাকলেই ম্যাজিকাল কিছু করতে ফেলতে পারেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কি??
আমরা সবাই বিটকয়েনের নাম শুনেছি; এছাড়াও ডগিকয়েন, লাইটকয়েন কতো কি কয়েন আর টোকেন আছে সেটা মুখস্থ করা কার সাধ্যি? আসলে এইগুলা সবই ক্রিপ্টোকারেন্সি তথা ভার্চুয়াল মুদ্রা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বহু জটিল জটিল থিউরি দেওয়া যেতে পারে তবে সেগুলির সবকিছু আপনার মাথাতে ঢুকবে কিনা সন্দেহ, ইভেন আমার মাথাতেও সবকিছু আটে না!!!
সোজাকথাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে ভার্চুয়াল মুদ্রা যেটা চোখে দেখা যায়না,হাতে ছোয়া যায়না কিন্তু সেটার মূল্য লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে…..কি আজব তাইনা???

নিজেই বানান নিজের ক্রিপ্টোকারেন্সি!
আপনি চাইলেই বিটয়কেয়নের মতোন ক্রিপ্টোকারেন্সি বানাতে পারেন তবে তাতে কোডিং জানা যেমন আবশ্যক তেমনি গাটে টাকা থাকাও দরকার কেননা ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট যেখানে মিলিওনিয়ার-বিলিওনিয়ারের আড্ডা চলে সেখানে আপনার আমার মতোন মানুষেরা নিতান্তপক্ষে নস্যি; অপরদিকে হেক্সেল হতে টোকেন ক্রিয়েট করতেও মেটামাস্ক আনলক করতে হয়….ইন্টারনেট বহুত বেত্তামিজ চিজ হোত্যা হে!!!

যখন কিছুই করার নেই তখন দুনিয়াকে দেখানোর অনেক কিছুই আছে!
আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরী করতে কোডিং জানাও লাগবে না আবার টাকাও খরচ করতে হবে না; আপনাকে শুধুমাত্র একটু মাথা খাটাতে হবে।
সবার আগে আমার তৈরী ডেমো ক্রিপ্টেকারেন্সি প্লাটফর্ম দেখুন DevilCoin ; জানি তো মেগাবাইট ফুরাবে তাহলে স্ক্রিনশট দেখুন….


এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি বলতে আপনি শুধু কিছু সিক্রেট কোড তৈরী করবেন এবং সেটা আপনার ঐ প্লাটফর্মে বেচাকেনা করবেন। সিক্রেট কোড এমনটা হতে পারে “1Devil…..Coin” এখানে এই “1” সংখ্যাটি হলো আপনার কয়েনটিকে ইউনিটি প্রদান করবে এবং (…..) এই ডটের মাঝে থাকবে আপনার ঐ সিক্রেট কোড যেটা হতে পারে এমন robbobpop ইত্যাদি [আপনি ROB-BOB-POP] এমন বিভিন্ন সিরিয়াল মনে মনেই তৈরী করে নিতে পারেন কিংবা চাইলে স্পেশাল ক্যারেটার যেমন (@#$%*! ইত্যাদি) বিভিন্ন লেন্থে ব্যবহার করতে পারেন।
মনে করুন আমি আপনার কাছে একটি DevilCoin কিনতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি আমাকে এই কোডটা দিলেন “1DevilrobbobpopCoin” এবং এর বিনিময়ে ১০০ টাকা নিলেন; এই ১০০ টাকা হলো আপনার ঐ ক্রিপ্টেকারেন্সি (কোড) এর মূল্য। এই ১০০ টাকাতে আপনি ডিমে তা দিয়ে দিয়ে ২০০ টাকা করতে পারলে লাভ ১০০ টাকা রেখে মূল কয়েন মূল্য আপনি উক্ত ক্রেতাকে ফেরত দিয়ে দিলেন…. কিসব অদ্ভুত কথাবার্তা তাইনা????
অথচ এই আপনারাই ইনভেস্ট করে আর্নিং করার বিষয়টা নিয়ে কতোই না কৌতূহলী হয়ে থাকেন….কিপ সাম কমনসেন্স ড্যুড!
আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যেমন ট্রেডিং করে লাভাবান হওয়া যায় তেমনি আপনার কোড’টিকে ট্রেড করিয়ে লাভবান হওয়ার আশাতেই মানুষেরা আপনার কোড’টি কিনবে; অপরপক্ষে আপনার প্রাপ্ত ঐ ১০০ টাকা খাটিয়ে সেটা বড় এমাউন্ট করার দায়িত্ব আপনার নিজেরই [সেটা হতে পারে আপনি বাস্তবে নিজে বিজন্যেসে খাটালেন / অন্য করো বিজন্যেসে ইনভেস্ট করলেন /অনালাইনে ইনভেস্ট করলেন…সেটা আপনার উইশ] এবং মোট লাভবান হওয়া অংশ হতেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান লাভ টোটাল ক্রেতাদের মাঝে বন্টন করে দিলেন [ আপনারা যারা বলেন টাকার অভাবে জীবনে সফল হতে পারিনা তারা আরেকবার উপরের থিসিসটা ভালোমতো পড়ুন…ততোক্ষণ পড়ুন যতোক্ষন না পর্যন্ত বিষয়টা মাথাতে ঢুকে]।

কিছু বিষয়ে খেয়াল করুন→
(১) ক্রিপ্টোট্রেডিং করতে যেমন লাভ/লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি আপনিও লাভ/লস অপশন রাখুন তাতে নির্ভার হতে পারবেন; বিষয়টা ইন্ডিকেট করবে আপনার কয়েনের কারেন্সি রেটে যেমন বিটকয়েনের দাম উঠা নামা করে।
বিষয়টা বোঝানো হয়েছে DevilCoin Currency দ্বারা।
(২) আপনার বিক্রি করা কোডটি ভালো মতো নোট করে রাখুন কেননা কেউ রিটার্ন নেবার সময় উক্ত কোডটিই পুনরায় আপনাকে জানাবে; এখানে সিক্রেট কোডটি শুধুমাত্র আপনি এবং উক্ত ক্রেতার মাঝেই গোপন থাকবে। তবে কে কিনলো সেটি উল্লেখযোগ্য নহে কেননা সর্বপ্রথম যিনিই কোডটি রিটার্ন চাইবেন তিনিই উক্ত সময়ের কারেন্সির বিপরীতে অর্থ পাবেন তাতে ক্রেতার কোডটি সিক্রেট রাখার দায় যেমন থাকবে তেমনি একাধিক ক্রেতারা নিজেদের মাঝে কোড বিনিময় করতেও পারবেন। আপনার নিকটে থাকা অবিক্রিত কয়েন এবং বিক্রিত কয়েনের আপডেট সবসময় পাবলিকলি শো ডাউন করাবেন যেননটা উপরের উদাহরণে Available DevilCoin এবং Sold DevilCoin দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
(৩) মনে করুন আপনার একটা কোড পাবলিক এক্সপ্লয়েট হয়ে গিয়েছে, আইমিন সবাই সিক্রেট কোডটি জেনে গিয়েছে তাহলে কি করবেন??
সেই কোডটি RIP Currency হিসেবে স্টোর করে রাখবেন এবং ভিন্নভাবে নতুন একটি কোড তৈরী করবেন ; অনেকটা বিটকয়েন মাইনিং এর মতোই।
আপনি চাইলে আপনার কোড একবার ব্যবহারের পরই RIP করে দিতে পারেন অর্থাৎ One time useful Currency কিংবা এমন বিড়ম্বনা এড়াতে চাইলে কোড রিসাইকেল করতে পারেন যেমন ROBBOBPOP এর সাথে আলাদা একটা কোড লাগিয়ে দিলেন SOS তাহলেই তো প্রবলেম সলভড!
বিষয়টা অনেকটাই বিটকয়েন এড্রেসের মতোই যা ক্ষনে ক্ষনে পাল্টে গেলেও দুইটা এড্রেসই পরস্পর লিংকড থাকে।
(৪) হয়তো আপনি চিন্তাতে পড়ে গিয়েছেন যে কারেন্সি রেট নিয়ে তাইনা? তাহলে আপনি আপনার কোড’কে ডলারের সাথে কমপেয়ার করুন তাহলেই দেখবেন সেটা বিশ্ব বাজারের শেয়ারের সাথে দাম উঠা নামা করছে…খুব সহজ তাইনা?
আসলে ইন্টারনেট এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসেই দুনিয়া কনট্রোল করার এক্সেস পেতে পারেন।
(৫)DevilCoin প্লাটফর্মের মতোই আপনি ব্লগের নিচের দিকে আপনার কোড( কয়েন) বাই/সেল করার একটি ফর্ম পাবেন কিংবা সরাসরি এডমিনের সাথে কনভারসেশন করার জন্যও ফর্ম পাবেন। মনে রাখবেন এখানে আপনিই কারেন্সির ক্রিয়েটর- আপনিই আপনার কারেন্সির মাইনার- আপনিই আপনার করেন্সি কনট্রোলার।

উপরের ক্রিপ্টোকারেন্সির এমন ব্লগার টেম্পলেট’টি ডাউনলোড করতে পারেন এই লিংক হতে →DevilCoin.xml এটি আমার মোডিফাইড করা তাই প্রয়োজনে আপনি নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন। আরও উল্লেখ্য যে DevilCoin বলে আদতে কিচ্ছুই নেই…আমি তো আপনাদের বোঝানোর জন্য একটা নাম ব্যবহার করেছি মাত্র; এখানে Devil হউক আর Dev হউক সেটা মুখ্য নয় বরং আপনার মাথাতে বিষয়টা ঢুকেছে কিনা সেটিই আসল কথা!!!

ফ্ল্যাশব্যাক!!

আপনার পকেটে টাকা নেই এমতাবস্থায় নিজেকে শূন্য হতে শাইন করাতে হলে আপনার ব্রেইনটাকে কাজে লাগাতে হবে; আপনি কাল্পনিক কোড বিক্রির মাধ্যমেই নতুন এক প্রকার বিজন্যেস শুরু করছেন যেখানে টাকায় টাকা ডিম পারে; ডিমটা হলো আপনার ড্রিম যেটা টাকার অভাবে পূরন করতে পারছেন না। শুধু নিজে ডিম পারলেই হবেনা বরং অন্যরাও যেন ডিম পারে এবং সেই ডিমে আপনি তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাবেন কথাটার অর্থ হলো শুধু আপনার ড্রিম নয় বরং যারা কোড কিনছেন তাদেরও ড্রিম দেখাতে হবে এবং সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেই ড্রিমটা পূরণ করতে হবে।
যদি আপনার কাছে মনে হয় ব্লকচেইনের মতোন কঠিন বিষয়টা কিভাবে খাতা কলমে নিয়ন্ত্রণ করবেন তাহলে জেনে রাখুন You have the Super Computer at you own brain!!!!

শেষকথা :
উপরের পুরো বিষয়টাই একটা ফিকশন বলতে পারেন সুপার মিলিওনার প্রজেক্টের একটা প্রোটোটাইপ; আপনি চাইলে এটাকে কাজে লাগিয়ে বড়লোক হতে পারেন আবার চাইলে স্কিপ করে যেতে পারেন ; যদি মনে করেন “আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা তাহলে সত্যিই আপনাকে দিয়ে কিছুই হবেনা” কেননা আপনার ভাবনার মাঝেই আপনার স্বপ্ন আর সফলতা নির্ভর করে….সো লিভ (Leave) ইউর ভাব( আলগা দাম্ভিকতা) লিভ (Live) উইথ ভাব( ভাবনা/ স্বপ্ন)!!

ফেসবুকে আমি → নিশান আহম্মেদ নিয়ন

আল্লাহ হাফেজ