এ বিষয়ে অনেকে বলেছেন পর্ব ২ এ সব কিছু বলার জন্য তাই আজকের এই পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আগের পোস্ট যারা দেখেন নাই
Youtube থেকে যা পেয়েছিলাম –
যখন কোন কিছু থেকে কিছু পাচ্ছিলাম না তখন ভাবি এখন ইউটিউবিং শুরু করি। শুরু করে দিলাম চ্যানেলের নাম দিলাম mohin360 সোহাগ ভাইকে দেখে। চ্যানেলে যখন আগেই বলে রাখি তখন মনিটাইজেশন এর জন্য ১০০০ সাবস্ক্রাইব বা কোন সর্ত ছিল না। আমার চ্যানেলে যখন ৪০০ সাবস্ক্রাইবার হয় তখন মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করি। মনিটাইজেশন রিভিউতে থাকা অবস্থায় একটা বন্ধু বলে এপ্স বানিয়ে admob থেকে ইনকাম করা যায়। তাও আবার ভিপিএন কানেক্ট করে নিজের এডে নিজে ক্লিক করে।
শুরু করে দিলাম একটা এপ্স বানালাম সেখানে Youtube এর জন্য যে এডসেন্স খুলেছিলাম সেই এডসেন্স এর admob থেকে এড নিয়ে এপ্সে বসাই এবং ভিপিএন দিয়ে নিজে নিজে ক্লিক করি। মাত্র ৭-৮ দিনে ৭০ ডলারের মত জমা হয় এডসেন্সে। আমি তো মহা খুশি এত কম সময়ে এত টাকা কিন্তু একদিন সকালে উঠে দেখি এডসেন্স ডিজেবল। ইউটিউবে গিয়ে দেখি মনিটাইজেশন পেজে লেখা আসছে ডিজেবল।
গেল আমার ইউটিউবো কারন নতুন এডসেন্স আর এই চ্যানেলে এড করা যাবে না। এর থেকেও একটা শিক্ষা পেলাম দুই নৌকায় পা দিলে একটায়ও থাকা সম্ভব না।
আরেকটা শিক্ষা পেলাম ইনকাম করা এত সহজ না যে নিজের এডে নিজে ক্লিক করলেই তারা বোকার মত আমাকে টাকা দিয়ে দিবে। মনে রাখতে হবে গুগল জানে অনেকে এমন অবৈধ ভাবে কাজ করতে পারে আর তাই এসব বিষয় তারা আগে থেকেই নজরদারি করে।
যাই হোক এই গেলো আমার ইউটিউব থেকে মন উঠে অনেক সপ্ন নিয়ে কাজ করা চ্যানেলে মনিটাইজেশন পাবোনা যেনে আবার নতুন করে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আবার নতুন চ্যানেল খুলে কাজ করার ইচ্ছা আছে দেখি কবে থেকে পারি।
ক্রিপ্টো কারেন্সি
সব দিক থেকে বাশ খেয়ে একটা বন্ধুর কথায় গেলাম ক্রিপ্টো কারেন্সিতে। সেখানে প্রতিদিন এয়ারড্রপ করতাম এটি হচ্ছে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় লাইক কমেন্ট ফলো করার কারনে তারা কিছু কয়েন দিত তা এক্সেঞ্জারে লিস্টেড হলে কিছু পরিমানে টাকা পাওয়া যেত। ক্রিপ্টোতে ৬ মাস কাজ করি এবং ৬ মাসে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারি যার কিছু টাকা দিয়ে আমার হাতে মোবাইলটা কিনি এবং বাকি টাকা নিজে খরজ করি।
বিঃদ্রঃ সব টাকা কিন্তু এক সাথে পাইনি এক একটা থেকে ৩০০, ৫০০, ১০০০, এভাবে পেয়েছিলাম কিছু দিন পড় পড়। এক সাথে পেয়েছিলাম ৫ হাজার টাকা এটাই সব থেকে বড় এমাউন্ট ছিল অনলাইনে। আস্তে আস্তে এয়ারড্রপের কাজও বন্ধ হয়ে গেল। তারপর নিরামিস ছিলাম কোন কিছুই করতাম না।
ব্লগিং
একেবারেই অনলাইন থেকে কেটে পরিনাই। ব্লগে একটা ওয়েবসাইট খুলে পোস্ট করতে ছিলাম ১০-১৫ দিন পর পর। সেটায় এডসেন্স পাই কিন্তু টাকা ইনকাম হয়না কারন এডসেন্স পেলেই টাকা পাওয়া যায়না সাইটে ভিজিটর থাকতে হয়। তবুও কিছু পাওয়ার আসায় আছি। আর হ্যা কেও জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি এখন কি করি। আমি ডিপ্লোমা শেষ করলাম এবছরই এখন একটা জব খুঁজছি । তবে অনলাইন ছারছি না। চেস্টা চালিয়ে যাব।
কিছু কথাঃ
বার বার হারতে হারতে এসেছি কিন্তু তাও আবার নতুন করে কিছু পাওয়ার আসায় আছি। মনে রাখবেন হেরে যাওয়া মানেই শেয় নয়। প্রত্যেকটা হারানো থেকে আপনি নতুন করে কিছু সিখছেন আপনি আরো মজবুত এবং শক্ত হচ্ছেন আপনার নলেজ আরো বাড়ছে। হেরে যাওয়া মানে শেষ নয়! হেরে যাওয়া মানে নিজেকে আরো ভালভাবে প্রস্তুত করা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া।
সবাই আমার ওয়েবসাইটে ঘুরে আসবেন আমার ওয়েবসাইট – www.mohinbd24.com
ফেসবুক –Facebook