কাইওস মোবাইলগুলো ব্যবহার অসুবিধা সংক্রান্ত সকল তথ্য
সবাইকে আরও একবার স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের পোস্টে । গত পোস্টের কথামতো আজ কাইওস ফোনের অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব যা আমি টাইটেলের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি । তো চলুন কাইওস মোবাইল ব্যবহারের অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক ।
প্রতিটি জিনিসের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা থাকে । ঠিক তেমনি কাইওস ফোনেরও সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও আছে । গত পোস্টে সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম । আজ অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । তো চলুন শুরু করা যাক ।
কাইওস ফোন ব্যবহারের অসুবিধাগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১) কাইওস ফোন মূলত বাটন ফোনকেই নির্দেশ করে । কাইওস ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাধারণ সুবিধাগুলো উপভোগ করা যায় । কাইওস ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিছু ফিয়েচার যুক্ত করলে তা নিঃসন্দেহে অ্যান্ড্রয়েড ফোন হয়ে যেত । অন্যদিকে একটি কাইওস ফোনের দাম প্রায় ৪হাজার টাকা বা তার কাছাকাছি যা দিয়ে একটি নিম্নমানের অ্যান্ড্রয়েড ফোন হয়ে যায় । এক্ষেত্রে এটি একটি বড় অসুবিধা । কারণ অ্যান্ড্রয়েডের অতি প্রয়োজনীয় সুবিধা কাইওস ফোনে উপভোগ করা যায় না ।
২) কাইওস ফোনের Ram মাত্র ৫১২ এমবি । কিছু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস যা আকারে বড় ফাইলের মতো তা মোবাইলে রাখা শুরু করলেই মোবাইল তুলনামূলকভাবে ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে যায় । এটিও একটি বড় অসুবিধা ।
৩) কাইওস ফোনগুলোর বেশিরভাগই ভারী ও মোটা । ব্যাটারিও খুব ভারী । পকেটে নিয়ে বেড়ানো ভারী দুঃষ্কর । অন্যদিকে একটি জাভা ফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ফোন মোটা ও ভারী হয় না । পকেটে করে নিয়ে বেড়ানো যায় । এক্ষেত্রে কাইওস ফোন ব্যবহার আরামদায়ক নয় ।
৪) কাইওস ফোনগুলোর ব্যাটারি অনেক মোটা যা বাজারে পাওয়া যায় না । অফিশিয়ালি অর্ডার করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না । উদাহরণ হিসেবে জিও ফোনগুলোর কথা আলোচনা করা যেতে পারে । জিও ফোন ৪থেকে ৬ মাস ব্যবহার করার পরপরই ব্যাটারি ফুলতে শুরু করে । জিও ফোনের মোবাইলগুলো স্টক আউট । তাই ব্যাটারিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তাই অনেকের মোবাইল থাকার পরও ব্যবহার করতে পারছে না । এতও আরও এক বড় সমস্যা ।
৫) কাইওসের অ্যাপ স্টোরে থাকা অ্যাপগুলো ব্যতীত অন্য কোন অ্যাপ (যেমন জাভা) ব্যবহার করা যায় না । অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সকল অ্যাপ ব্যবহার করা যায় ।
৬) জাভা ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইউটিউবের ভিডিও যেকোন পথ অবলম্বন করে ডাউনলোড করা যায় কিন্তু কাইওস ফোনে ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না । অনলাইনেই দেখে নিতে হয় । এইটাতো আরও বড় অসুবিধা ।
৭) কাইওস ফোনে ফেসবুক ব্যবহার করা যায় ঠিকই কিন্তু ভয়েস, ভয়েস কল, ভিডিও কল দেওয়া যায় না । কিন্তু কম দামি যে কোন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এগুলো উপভোগ করা যায় । হট্সঅ্যাপে অডিও কল ও ভয়েস ম্যাসেজ দেওয়া যায় কিন্তু ভিডিও কল দেওয়া যায় না ।
৮) কাইওস ফোনে শুধুমাত্র গুগল ডিও ব্যবহার করে ভিডিও কল দেওয়া যেত । কিন্তু বর্তমানে সেই সুবিধাটাও ভোগ করা যাচ্ছে না । কারণ গুগল তাদের ডিও কে ‘গুগল Meet’ এ রুপান্তর করে ফেলেছে ।
৯) জিও ফোনে প্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপ এবং ব্রাউজার পাওয়া যায় না । নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো :
twitter, Instagram, telegram, google duo, zoom, chrome, vidmate, Gmail এবং অন্যান্য অ্যাপ । তবে এর মধ্যে অনেক অ্যাপ তৈরি করে ফেলেছে বাংলাদেশের লোকেরা । তবে এগুলো স্ট্যান্ডার্ড মানের নয় ।
১০) বায়োস্কোপে লাইভ দেখার সময় এদিক ওদিক স্ক্রোল করলেই ক্রাশ খেয়ে অটোমেটিক হোমপেজে নিয়ে চলে আসে ।
১১) কাইওস ফোনে ব্রাউজার দিয়ে কোন টেক্সট ও লিংক কপি করা যায় না । এটা সব থেকে বড় সমস্যা ।
তো এসকল দিকগুলোর প্রতি আলোচিত হয়ে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে কাইওস ফোনের অসুবিধাগুলো কোথায়?? ভিডিও ও লাইভ স্ট্রিমিং দেখার জন্য এটি সেরা ।
তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে বাংলাদেশের প্রোগ্রামাররা অনেক অ্যাপ তৈরি করে ফেলেছে । তাদের মধ্যে অন্যতম বায়স্কোপ, মাইজিপি, গুগল ডিও সহ আরও অনেক ।
সবাই সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন।