আল্লাহু আকবার
আস্ সালামু অ্যালাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করছি। ট্রিকবিডিতে অনেকদিন ধরে দেখছি ট্রেইনার ভাইয়েরা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটা-দুইটা বই নিয়ে পোস্ট করছেন। তাই আমি ভাবলাম গুগল মামা তো অনেককিছু পারে। তাহলে নিশ্চয়ই হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সকল বই একসাথে ডাউনলোড করার কোনো উপায়ও বলে দিতে পারবে। যা ভাবা তাই কাজ। অনেক খুঁজাখুঁজি করে পেয়ে গেলাম স্যারের সকল বই একসাথে একটা Rar ফাইলে। ব্যাস ডাউনলোড করে নিলাম যদিও সাইজ একটু বেশি মাত্র ১.৭ জিবি। তো চলুন শুরু করা যাক।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের(নানাবাড়ি) বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তাঁর পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেটে লেখা ১০ এপ্রিল ১৯৫০ সাল, কেন এই ভুল এটা তিঁনি নিজেও জানেন মা। তাঁর পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। বাবা-মা দু’জনই লেখালেখি করতেন।
হুমায়ূন আহমেদ বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে
অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি
থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি
লাভ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তিঁনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় একসময় তিনি
অধ্যাপনা ছেড়ে দেন৷ শিক্ষক হিসেবে ছাত্র-
ছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন এই
অধ্যাপক৷ ২০১১-এর সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসার সময় তাঁর দেহে মলাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই-এ স্থানীয় সময় ১১:২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে এই নন্দিত লেখক মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হয়।
অনেক কথা হল এবার ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকে
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সকল বই একটি ফাইলে ১.৭ জিবি
বিঃদ্রঃ অনেকে ভাবতে পারেন হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বইয়ের লিংক দিতে গিয়ে কেন এত কথা বললাম! একটাই কারণ- তিঁনি একজন শিক্ষক। এবং একজন সনামধন্য ব্যক্তিত্ব। তাই তাঁর সম্মানার্থে দু’টো কথা বলতেই হয়। অনেক ভাই আছেন যারা তাঁকে শুধু হুমায়ূন আহমেদ বলে সম্বোধন করে, এটা করবেন না ভাই। একজন শিক্ষককে সম্মান দিতে শিখুন।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন। ভুল-ত্রুটি আল্লাহ্র ওয়াস্তে মাফ করে দেবেন।