খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer),
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer),
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer)।
১. সুপার মাইক্রো (super micro) : সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
গ.ল্যাপটপ (laptop) : ডেক্সটপ থেকে ছোট কম্পিউটারগুলো সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। এটি lap (কোল) এর উপর top (উপর) রেথে কাজ করা যায়।
ল্যাপটপ দুইশ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন-
নোট বুক (note book) ও পিডিএ (pda)।
১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer),
২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer),
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer)।
১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 ও 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।
আমার মনে হয় না কম্পিউটার সম্পর্কে আর কিছু উল্লেখ করার দরকার আছে আপাদত
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট কি?
ইন্টারনেট হচ্ছে কম্পিউটার নির্ভর বৈশ্বিক তত্ত্ব পদ্ধতি। পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার কেন্দ্রিক নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক এর সমষ্টিই হচ্ছে ইন্টারনেট।
কি ভাই মাথার উপর দিয়ে গেলে নিচে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করবো।
যখন আপনি কারো সাথে চ্যাট করেন কিংবা কাউকে মেইল সেন্ড করেন তখন কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে এই কাজ গুলো সম্পূর্ণ হতে কতোগুলো আলাদা কম্পিউটার একসাথে কাজ করে যাচ্ছে?
ধরুন আপনি আপনার কম্পিউটার নিয়ে বসে আছেন, পৃথিবীর আরেক প্রান্তে আপনার বন্ধু কম্পিউটার নিয়ে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু আপনি আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ফাঁকের মধ্যে অসংখ্য কম্পিউটার রয়েছে যা আপনার আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যের ফাঁকা স্থান পূরণ করছে। আর এভাবেই একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার সংযুক্ত রয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়ে আর এটাই হলো দ্যা ইন্টারনেট।
সব কিছুর নাটের গুরু সেই ইন্টারনেটের মালিক কে? সেটা কি সিম কোম্পানি গুলো নাকি ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান?
অবাক করা উত্তর হল না আপনি নিজেই এর মালিক। বিশ্বাস হলো না তো আসলে আপনি আমি সকলেই ইন্টারনেটের এক একটা অংশের মালিক
আপনার বাড়িতে যদি দুটি কম্পিউটার থাকে তবে সে দুটিকে অপটিকাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলে মুহূর্তেই বড় বড় ফাইল আপনি আপনার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ট্রান্সফার করতে পারবেন। তাহলে তৈরি হয়ে গেল আপনার বাসার ইন্টারনেট। এভাবে যদি এলাকার সব কম্পিউটার জুড়ে দেন তাহলে তৈরি হয়ে গেল এলাকার ইন্টারনেট। এমনিভাবে পুরো দেশ বা পুরো পৃথিবীর কম্পিউটারগুলোকে জুড়ে দেওয়ার নামই হলো ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক বা সংক্ষেপে ইন্টারনেট। বাংলায় একে আমরা বলতে পারি আন্তঃসম্পর্কের নেটওয়ার্ক।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে বাড়ির ইন্টারনেট না হয় অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলাম কিন্তু বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গুলো কিভাবে যুক্ত থাকে? এটা কি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে? উত্তর হল না ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৯ ভাগ ইন্টারনেট চলে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে।
চুলের মত আকৃতির শতশত অপটিক্যাল ফাইবার গুলো একসাথে সাবমেরিন কেবলের মধ্য দিয়ে চলে যায় পৃথিবীর এক দেশ থেকে আরেক দেশে। সমুদ্রের নিচে এরকম শত শত সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আমাদের এই বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে।
তো বুঝলাম ইন্টারনেটের মালিক আমরা সবাই তবে কেন আমরা ইন্টারনেট চালাতে টাকা দেই? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। বন্ধুরা সমুদ্রের নিচে এমন হাজারো তার গুলোকে বলা হয় ইন্টারনেটের মেরুদন্ড। আর এগুলো বিছানো এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে তো অনেক খরচ তাই না। ইন্টারনেটকে আমাদের ঘরে পৌঁছানোর জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যারা আমাদের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছান তাদেরকে বলা হয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি বা সংক্ষেপে আইএসপি।
আরো বিস্তারিত বলছি আশা করি বুঝতে পারবেন সহজে।
আমাদের জানতে হবে ISP সম্পর্কে, জানতে হবে ISP কি জিনিস। ISP এর পূর্ন রূপ হল Internet Service Provider। আর এই ISP কে ভাগ করাহয় মোট ৩ টি ভাগে :
টাইর ১
টাইর ২
টাইর ৩
প্রথম পর্যায় এর ISP
এখানে টাইর ১ ISP হল সেসব ISP যারা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ভারত, বারত থেকে শ্রীলংকা বা বাংলাদেশ ইত্যাদি স্হানে সমুদ্রের নিচ দিয়ে তার বসায় এবং আমাদের দেশের সাথে অন্য দেশের সংযোগ স্হাপন করে, এরা হল আন্তর্জাতিক Internet Service Provider।
দ্বিতীয় পর্যায় এর ISP
আর এর পরেই আসে হল টাইর ২ ISP। যেখানে টাইর ১ ISP আন্তর্জাতিক সেখানে টাইর ২ ISP হল জাতীয় পর্যায়ে কাজ করে এর উদাহরন হল এরা টাইর ১ থেকে ইন্টারনেট গ্রহন করে যেমন: BSCCL বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড
এদের সাধারনত সারাদেশে সংযোগ এবং ভালো কানেক্টিভিটি থাকে, এর উদাহরন হল BTCl। এরা বাংলাদেশ এর সরকারি টাইর ২ ISP। অনেক সময় এরাও লোকাল পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে; যেমন : BTCL ADSL (BTCL Broadband সংযোগ যেভাবে নিবেন জেনে নিন)
তৃতীয় পর্যায় এর ISP
আর এখন আসল টাইর ৩ ISP এরা হল আঞ্চলিক পর্যায়ের ISP যেমন Smile Broadband, Go Broadband, Link3, TM International ইত্যাদি ISP আপনার বাসা বাড়ি বা অফিস বা স্কুল, আদালতে তাদের ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকেএরা টাইর ২ থেকে ইন্টারনেট কেনে। এখানে গ্রামীনফোন, রবি, বা এয়ারটেল কখন এরা টাইর ২ বা টাইর ৩ ISP থেকে তাদের গ্রহকদোর জন্য ইন্টারনেট নেয়। তবে উদাহরন হিসেবে রবি TM International থেকে ইন্টারনেট নেয়। TM হল টাইর ৩ ISP; টাইর ৩ ISP এর ভেতর থেকে TM এর ক্ষমতাটা একটু বেশি।
বিশ্বব্যাপী সম্পর্ক রক্ষার জন্য যারা সমুদ্রের নিচে সাবমেরিন ক্যাবল বিছানো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন তারা টি আর ওয়ান কোম্পানি। TR 2 এবং TR 3 কোম্পানিগুলো এদের কাছ থেকে ভাড়ার বিনিময়ে সংযোগ নিয়ে দেশের মধ্যে অবস্থিত সকল স্থানে পৌঁছে দেয়। টিয়ার টু কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভাড়া নেয় আমাদের স্থানীয় ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। আর সিম কোম্পানি গুলো টি আর ওয়ান কোম্পানি থেকে ভাড়া নিয়ে তাদের টাওয়ারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়।
একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হয়। , ধরুন আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন। সিম কোম্পানি গুলো আপনার এ তথ্য কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় থাকা টি আর ওয়ান কোম্পানির লাইনে পৌঁছে দেয়। আর টি আর ওয়ান কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে থাকা ফেসবুকের সার্ভারে সেটা পৌঁছে দেয়। পুনরায় বিপরীত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফেসবুকের সার্ভার থেকে আপনার মোবাইলে ফেসবুকের ওয়েব পেইজ ওপেন হয়। তো বন্ধুরা প্রক্রিয়াটা সত্যিই জটিল। আর এগুলো সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রটোকল। যা আবার নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একটি হলো দা ইন্টারনেট সোসাইটি। তো বন্ধুরা এই বিশাল মহা আয়োজন এর খরচ তো অনেক তাই না। তাই আমরা ইন্টারনেটের একাংশের মালিক হওয়া সত্ত্বেও টাকা দিয়ে ইন্টারনেট চালাই।
কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর পার্থক্য নিচে সংক্ষেপে আলোচনার করছি।
উপরের আলোচনা থেকে যা বুঝা যায় তা হলো কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা দ্বারা মোটামুটি সব ধরনের কাজ করা সম্ভব এবং আমাদের আলোচ্য বিষয় ইন্টারনেট কেও নিয়ন্ত্রন করতে কম্পিউটার প্রয়োজন পড়ে।
আর অন্যদিকে ইন্টারনেট, আপনার কম্পিউটারকে বিশ্বের অন্যান্য কম্পিউটারগুলিতে সংযুক্ত করে, এবং ইন্টারনেট ডাটা আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয় । ওয়েব এমন সফ্টওয়্যার যা আপনাকে সেই ডাটা ব্যবহার করতে দেয় … অথবা আপনার নিজের ডাটা অন্য কোথাও পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
তাহলে আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।
সৌজন্যেঃ সাইবার প্রিন্স চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগ